عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم- « من نفس عن مؤمن زبة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة ومن يسر على معسر يسر الله | عليه في الدنيا والآخرة ومن ستر مسلما ستره الله في الدنيا والآخرة والله في عون العبد ما كان العبد في عون أخيه ومن سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا إلى الجنة وما اجتمع قوم في بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم إلا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحفتهم الملائكة وذكرهم الله فيمن عنده ومن بطأ به عمله لم يسنرغ به نسبه,হাদিসটির শাব্দিক ও সরল অনুবাদ,হাদিসটির শিক্ষা
জ্ঞানার্জনের ফযিলত ব্যাখ্যা, সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় হাদিসটির গুরুত্ব

শ্রেণি: দাখিল /SSC/2022 বিষয়: হাদিস শরীফ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 202
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ فضل العلم طلب تأسيس السلامة ف | المجتمع في ضوء الحديث الشريف

عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم- « من نفس عن مؤمن زبة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة ومن يسر على معسر يسر الله | عليه في الدنيا والآخرة ومن ستر مسلما ستره الله في الدنيا والآخرة والله في عون العبد ما كان العبد في عون أخيه ومن سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا إلى الجنة وما اجتمع قوم في بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم إلا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحفتهم الملائكة وذكرهم الله فيمن عنده ومن بطأ به عمله لم يسنرغ به نسبه
হাদিসটির শাব্দিক ও সরল অনুবাদ
হাদিসটির শিক্ষা
জ্ঞানার্জনের ফযিলত ব্যাখ্যা
সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় হাদিসটির গুরুত্ব

AVvXsEgvHhlq8yZ0iLKMid7M6HCWaSnhv u550MehECWG82A0TI7CJzTq1oOGX 0CC3DzSC760gKPXf9lkZjIyJUZPeuKXhQIHXy982Fd6YSRkM1CkNa9g4 nPFFUIhzsScWbkyoG6OqyvI1fnX2K7b5dkzF5 KSbq8L60RiwNA51mWvr6N1p4EHOmlCci9WFA

হাদিসটির সরল অনুবাদঃ

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করিম (সা) বলেছেন যে ব্যাক্তি কোনাে মুমিনের পার্থিব একটি ক্ষুদ্র কষ্ট দুর করে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার একটি বিরাট কষ্ট দূর করে দিবেন। যে ব্যাক্তি কোনাে অভাব গ্রস্থলােকের একটি অভাব দূর করে দিবেন, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তার যাবতীয় অডাব সহজ করে দিবেন।

আর যে ব্যাক্তি কোন মুসলমানের দোষ ত্রুটি গােপন রাখে, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ ত্রুটি ঢেকে রাখবেন। আর বান্দা যে পর্যন্ত তার ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা ও তা সাহায্য করতে থাকেন।

আর যে ব্যাক্তি জ্ঞান অর্জনের পথে চলতে থাকে, আল্লাহ তায়ালা তার জান্নাত লাভের সুগম করে দেন। এবং যখনই কোনাে একটি সম্প্রদায় আল্লাহর ঘরসমূহের কোনাে একটি ঘরে সমাবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব অধ্যায়ন করে এবং তার মর্ম উদঘাটনে পরস্পর আলােচনা করে তখন আল্লাহর ঘরসমূহের কোনাে একটি ঘরে সমাবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব অধ্যায়ন করে এবং তার মর্ম উদঘাটনে পরস্পর আলােচনা করে তখন তাদের উপর স্বস্তি ও প্রশান্তি অবতীর্ণ হতে থাকে।

রহেমত তাদের কেবেষ্টন করে রাখে, ফেরেশতাগণ রহমতের চাদর দিয়ে তাদের ঘিরে রাখেন এবং আল্লাহ তায়ালা সে সমস্ত লােকদের প্রসঙ্গে তার দরবারে উপস্থিত ফেরেশতাদের নিকট আলােচনা করেন। আর যার আমল তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারে না (মুসলিম)

হাদিসটির শিক্ষাঃ

গিবত শুধু মুখে বলার দ্বারা হয় তা নয়, বরং ইশারা-ইঙ্গিত ও অঙ্গভঙ্গির দ্বারাও গিবত হয়। গিবত শ্রবণ করা গিবত করার চেয়ে কোনাে অংশে কম নয়। দুটিই সমান অপরাধ। জীবিত ও মৃত উভয় ধরনের মানুষের গিবত করা হারাম। গিবত শুধু একটি জঘন্যতম গুনাহ নয়। বরং এটি মানুষের ঈমান-আমলকে ধ্বংস করে দেয়। দুনিয়া ও আখিরাতকে বরবাদ করে দেয়। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। থেকে বেঁচে থাকো।

কেননা অনুমান করে কথা বলা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারি, হাদিস নং:২২৮৭)। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘পেছনে ও সামনে প্রত্যেক পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ-ধ্বংস।’ (সুরা হুমাজাহ, আয়াত: ০১) আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অন্য জায়গায় ইরশাদ করেন, ‘তােমরা একে অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করাে না এবং পরস্পর গিবত করাে না।

তােমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গােশত ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুত, তােমরা তা ঘৃণাই কর। সুতরাং তােমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সরা হুজুরাত, আয়াত : ১২)। দুঃখের কথা হলাে, আমাদের সমাজের সিংহভাগ মানুষ এ জঘন্য কাজে জড়িত। এমন কে খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য, যে গিবতের সাথে জড়িত নয়। ঘরবাড়ি, অফিস-কারখানা, রাস্তাঘাট সবখানে গিবত বা পরনিন্দার চর্চা হচ্ছে জোরেশােরে।

আল্লাহ তায়ালা এ ধরনের লােক থেকে দূরে থাকতে আদেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে, আর তুমি আনুগত্য করাে না এমন প্রত্যেক ব্যক্তির, যে অধিক কসমকারী, লাঞ্ছনা, পেছনে নিন্দাকারী ও যে চোগলখােরি করে বেড়ায়, ভালাে কাজে বাধাদানকারী, সীমা লঘনকারী, পাপিষ্ঠ।’ (সুরা কালাম :১০-১৩)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

জ্ঞানার্জনের ফযিলতঃ

ইসলামে ঈমানের পর “ইলম” বা সাক্ষরতা, শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া য়েছে এবং এই জ্ঞানার্জন সকল মুমিন (বিশ্বাসী) নর-নারীর জন্য ব্যক্তিগতভাবে ফরজ করা হয়েছে। এজন্য “কলম” কে অক্ষর জ্ঞানকে জ্ঞানের মূল বাহন হিসেবে ঘােষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, “পড়াে তােমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে লটকে থাকা বস্তু থেকে। পাঠ করাে, তােমার সপ্রতিপালক মহা-মহিমান্বিত।

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা আলাক-১-৪) অতএব উপরের আয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, শিক্ষা গ্রহণের মূলনীতি হবে “প্রতিপালকের নামে” অর্থাৎ জ্ঞানের সকল শাখার জ্ঞানই মহান প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস ও সৃষ্টির কল্যাণের জন্য হতে হবে।

এজন্য জ্ঞানের সকল শাখার মধ্যে ধর্মীয় শাখায় পারদর্শিতা অর্জনকে ইসলামে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ‘ এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যার মদলের ইচ্ছা করেন তাকেই দীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ দান করেন। (সহীহ মুসলিম রাসূলুল্লাহ (সা.) সাক্ষরতা ও শিক্ষার অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন, বদরের যুদ্ধে কিছু কাফির যােদ্ধা বন্দি হন, যারা শিক্ষিত ছিলেন।

সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছু সংখ্যক মুসলিম শিশু কিশােরদের কিছুকাফরযােদ্ধাবান্দ হন, যারাশাক্ষত।ছলেনাসাক্ষরতার হার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছু সংখ্যক মুসলিম শিশু কিশােরদের লেখাপড়া শেখানাের বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। (মুসনাদে আহমদ- 8/৪৭)

এ জ্ঞান মানুষকে যেমন বিশ্বাস ও কর্মে পূর্ণতা দেয়, তেমনি সমাজের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, কর্ম, সততা, ও মানবিমুখতা সৃষ্টির যােগ্যতা প্রদান করেন। সেজন্য আল্লাহ তাআলা বলেন, “তােমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের “ইলম বা জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে, তাদের মর্যাদা আল্লাহ বাড়িয়ে দিবেন। তােমরা বিবর্ণকর তা আল্লাহ তাআলা সম্যক অবগত আছেন।” (সূরা মুজাদালা-১১)

অতএব অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে “ইলম” শিক্ষার নেকী ও মর্যাদা অনেক বেশি। আর সেজন্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “ইবাদতের ফজিলতের চেয়ে ইলমের বা জ্ঞানার্জনের ফজিলত অধিক উত্তম।” (সহীহুত তারগীব-১/১৬, হাদীসটি সহীহ) আলিমরাই (জ্ঞানীরাই হচ্ছেন নবীর উত্তরাধীকারী। নবীগণ (আ.) কোনাে টাকা পয়সা দীনার-দিরহাম উত্তরাধিকার রেখে যাননি। তারা শুধু “ইলম” এর উত্তরাধিকার রেখে যান।

কাজেই যে ব্যক্তি “ইলম (জ্ঞান) গ্রহণ করল, সে নবীদের উত্তরাধিকার থেকে একটি বড় অংশ গ্রহণ করল। (সহীহ বুখারী-১/৩৭, সুনানে তিরমিযী-৫/২৮)। রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবী আবুযর রা. কে বলেন, হে আবুযার! তুমি যদি কুরআনের একটি আয়াত শিক্ষা কর, তবে তা তােমার জন্য ১০০ রাকআত নফল নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম।

আর যদি তুমি ইলমের একটি অধ্যায় শিক্ষা কর, আমলকৃত অথবা আমলকৃত নয়-তবে তা তােমার জন্য ১০০০ রাকআত নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহীহ আততারগবি-১/৫৪, ২/২৩২)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ কোন “ইলম (জ্ঞান) শিক্ষা দেয়, তবে শিক্ষা অনুসারে যত মানুষ কর্ম করবে সকলের সমপরিমাণ নেকি ঐ ব্যক্তি লাভ করবে, কিন্তু এতে তাদের নেকির কোনাে ঘাটতি হবে না। (সুনানে ইবনু মাজাহ-১/৮৮, সহছিত তারগীব-১/১৯)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় হাদিসটির গুরুত্বঃ

সাহাবি হজরত হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মুসলমান তাকে বলা হয় যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। মুমিন ওই ব্যক্তি যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের জান-মালের ক্ষতির কোননা শঙ্কা না থাকে। বর্ণিত হাদিসে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একজন মুসলমানের স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কিছু গুণের কথা উল্লেখ করে দ্বীনের বিশাল এক তাৎপর্যময় শাখার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যাতে অজ্ঞতার দরুন মানুষ দ্বীনের শাখা জ্ঞান করতে না চায়।

অনেকের ধারণা হলাে, দ্বীন কেবল আকিদা, বিশ্বাস, নামাজ, রােজা ও নির্দিষ্ট কিছু ইবাদত-বন্দেগির নাম। এসব ইবাদত-বন্দেগি পালন করার পর মানুষ তার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে স্বাধীন।

নির্দিষ্ট কিছু ইবাদত-বন্দেগির নাম। এসব ইবাদত-বন্দেগি পালন করার পর মানুষ তার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে স্বাধীন। অথচ বাস্তবতা হলাে, ইসলাম যেমনিভাবে আমাদের নামাজ, রােজা ও অন্যান্য ইবাদতের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, ঠিকসেভাবেই জীবনের প্রতিটি শাখাপ্রশাখাতে এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা দিয়েছে, যার ওপর আমল করলে সমাজকে বেহেশেতে পরিণত করা সম্ভব। সত্য এবং বাস্তবতা হলাে, ইসলামের শিক্ষায় মাত্র এক-চতুর্থাংশ আকিদাবিশ্বাস এবং ইবাদত-বন্দেগির আলােচনা এসেছে। বাকি তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষা লেনদেন, আখলাক ও সামাজিক বিষয়সংক্রান্ত।

দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ শাখা-প্রশাখার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। হলাে সামাজিক আচার-আচরণ। যাতে অন্য মানুষের সাথে মেলামেশা ও পরস্পর মিলে জীবনযাপনের আদব-শিষ্টাচারের আলােচনা করা হয়েছে। উপরিউক্ত হাদিসটিতে রাসূলুল্লাহ ইসলামি সমাজব্যবস্থার স্বয়ংসম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র অঙ্কন করেছেন। কেননা, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ইসলাম যত বিধিবিধান দিয়েছে, তার চূড়ান্ত ও সর্বশেষ উদ্দেশ্য হলাে, আপন সত্তা দিয়ে কোনাে মুসলমান এমনকি কোনাে মানুষের যেন কোনাে ধরনের কষ্টের সম্মুখীন না হতে হয়। মহানবী (সা.) ইসলামি জীবনব্যবস্থার এই নীতিকে চূড়ান্তভাবে অন্তর্নিহিত করার জন্য হাদিসে এই বাক্য ব্যবহার করেছেন। প্রকৃত অর্থে মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত-মুখ থেকে অন্য করেছেন।

প্রকৃত অর্থে মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত-মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। ইসলাম দেড় হাজার বছর ধরে উদারতা, মানবিক মূল্যবােধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার বাণী প্রচার করে আসছে। এতে আজ বিশ্বব্যাপী। ইসলাম জীবন্ত আদর্শরূপে বহু জাতি-গােষ্ঠী অধ্যুষিত সমাজে নিজের ভীত মজবুত করতে সক্ষম হয়েছে। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করে যে চুক্তি করলেন, তা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। মদিনা সনদ’ নামে খ্যাত এ সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। ধর্মীয় ব্যাপারে কোনাে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। অপরাধের জন্য ব্যক্তি দায়ী হবে, সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। মদিনা প্রজাতন্ত্রকে পবিত্র ঘােষণা করা হলাে। কোনাে ধর্মকে কটাক্ষ, অপমান ও ব্যঙ্গ করা ইসলাম অনুমােন করে না।

অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযােগ ইসলামে জায়েজ নেই। কোনাে ঈমানদার ব্যক্তি অমুসলিমদের উপাসনালয়ে হামলা করতে পারে না। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে পাস্পরিক শ্রদ্ধাবােধ, সহমর্মিতা ও সদ্ব্যবহার ইসলামের অনুপম শিক্ষা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা আমাদের প্রতিবেশী। আত্মীয়-অনাত্মীয় প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। তাদের গালিকটাক্ষ না করার জন্যও মহান আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে।

মহানবীর ২৩ বছরের নবুওয়তি জীবনে অমুসলিমদের উপাসনালয়ে আক্রমণ বা তাদের বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন কোনাে নজির নেই। রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনেছেন। সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম ইসলামে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জদিবাদের কোনাে স্থান নেই।


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 9 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/


Leave a Comment