অংশীদারি ব্যবসায়ের ধারণা সম্পর্কে লিখ, রহিম, করিম ও শফিক একটি কারবারের তিনজন অংশীদার। ২০২০ সালের ১ জানুয়রি তারিখে তাদের মূলধন ছিল রহিম ৬০,০০০ টাকা, করিম ৪০,০০০ টাকা, শফিক ২০,০০০ টাকা

১. অংশীদারি ব্যবসায়ের ধারণা সম্পর্কে লিখ।

২. রহিম, করিম ও শফিক একটি কারবারের তিনজন অংশীদার। ২০২০ সালের ১ জানুয়রি তারিখে তাদের মূলধন ছিল রহিম ৬০,০০০ টাকা, করিম ৪০,০০০ টাকা, শফিক ২০,০০০ টাকা।

অংশীদারগণ মূলধন অনুপাতে লাভ-ক্ষতি ভাগ করে থাকে। কারবারে সার্বক্ষণিক কাজের জন্য করিম ও শফিক যথাক্রমে প্রতিমাসে ৪০০ টাকা এবং ৬০০ টাকা বেতন গ্রহন করেছে। বছরে মাঝামাঝি করিম ১০,০০০ টাকা কাজস্বরূপ কারবারে আনয়ন করেছিল। ভবিষ্যত মূনাফার প্রত্যাশায় তারা সকলে প্রতিমাসের শেষ তারিখে কারবার হতে ৪০০ করে উত্তোলন করেছে। অংশীদারি চুক্তিমতে মূলধন ও উত্তোলনের সুদ সমন্ব য় করার পূর্বে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য কারবারে লাভের পরিমাণ ৩৬,০০০ টাকা হয়েছিল।

করণীয়ঃ লাভ-লোকসান আবন্টন হিসাব।

নিদেশনা :

  • অংশীদারি ব্যবসায়ের ধারণা
  • লাভ-লোকসান আবন্টনের ছক তৈরি
  • আবন্টন হিসাব
  • অংশীদারগণের মূলধন হিসাব

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অংশীদারি ব্যবসায়ের ধারণা

চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কর্তৃক গঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায় বলে। অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি হলো চুক্তি। অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কেক ভিত্তিতে যে ব্যবসায় পরিচালনা করে তাকেই অংশীদারি ব্যবসায় বলে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি?

চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়বস্তু যে দলিলে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে অংশীদারি চুক্তিপত্র বলা হয়। অংশীদারি চুক্তিপত্রে অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালনার ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশক হিসাবে কাজ করে। অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিপত্র এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত যেন ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তি লিখিত, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত এবং মৌখিক হতে পারে।

তাই বলা হয়, অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্ক চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী অংশীদারদের মূলধন বিনিয়োগ, পরিচালনা ও মুনাফা বন্টন করা হয়। চুক্তিই অংশীদারদের দায় ও অধিকার নিশ্চিত করে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা কত?

অংশীদারি ব্যবসায় সাধারণত সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন অংশীদারের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুসারে, সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন সদস্য সংখ্যা। আবার, ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য সংখ্যা হবে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি কি?

১. একাধীক সদস্য: অংশীদারি ব্যবসায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।

২. সদস্য সংখ্যা: সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন সদস্য সংখ্যা। এবং ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য সংখ্যা হবে।

৩. চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক: চুক্তিই হলো অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত ও পরিচালিত হয়।

৪. মূলধন সরবরাহ: চুক্তি অনুযায়ী অংশীদারগণ ব্যবসায়ে মূলধন সরবরাহ করে। যদি চুক্তিতে উল্লেখ থাকে তাহলে মূলধন ছাড়াও ব্যবসায়ের অংশীদার হওয়া যায়। যেমন: নামমাত্র অংশীদার।

৫. পরিচালনায় অংশগ্রহণ: অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সকল অংশীদারগন ব্যবসায়ের পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে, সকলের পক্ষে একজন দ্বারা অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

৬. মুনাফা বণ্টন: অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সকল অংশীদারদের মধ্যে সমানভাবে মুনাফা বণ্টন করা হয়। তবে চুক্তিতে যদি নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ থাকে তাহলে চুক্তি অনুসারে মুনাফা বণ্টন হবে।

৭. দায়: অংশীদারি ব্যবসায়ের দায় অসীম। এরূপ ব্যবসায়ের যে কোনো পরিমাণ দায়ের জন্য সকল অংশীদাররা ব্যক্তিগতভাবেও দায়বদ্ধ থাকে। আর এ ব্যবসায়ে দায়ের জন্য অংশীদাররা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে দায়ী থাকে।

৮. পারস্পরিক বিশ্বাস: অংশীদারদের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসই হলো অংশীদারি ব্যবসায়ের অন্যতম বিশেষত্ব। অংশীদারি ব্যবসায়ের সফলতা পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল।

৯. আইনগত সত্তা: অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দুইভাবেই হতে পারে। তবে নিবন্ধিত হলে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ব্যবসায়টি নিবন্ধিত হলেও কোনো ধরনের আইনগত সত্তা তৈরি হয় না। তাই অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে নায় বরং অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

১০. বিলোপসাধন: অংশীদারি ব্যবসায়ে অংশীদারদের মধ্যকার অংশীদারি সম্পর্কের বিলুপ্তিকেই অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলা হয়।

অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধা কি কি?

  1. সহজ গঠন প্রণালি
  2. সমন্বিত মূলধন
  3. সম্মিলিত সিদ্ধান্ত
  4. সম্মিলিত প্রচেষ্টা
  5. দক্ষ পরিচালনা
  6. ঝুঁকি বণ্টনের সুযোগ
  7. সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ
  8. বিশেষায়নের সুযোগ
  9. নমনীয়
  10. কম আইনী বাধ্যবাধকতা

অংশীদারি ব্যবসায়ের অসুবিধা কি কি?

  1. অসীম দায়
  2. অনিশ্চিত স্থায়িত্ব
  3. গোপনীয়তার অভাব
  4. পরস্পর বিশ্বার ও আস্থার অভাব
  5. অ-হস্তান্তরযোগ্য মালিকানা
  6. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব
  7. অংশীদার এবং পরিচালনার মধ্যে মতবিরোধ
  8. ব্যবসায়ের সম্পসারণের সীমাবদ্ধতা

অংশীদারি ব্যবসায়ের প্রকারভেদ:

  1. সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়:
    ক. ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায়
    খ. নির্দিষ্ট অংশীদারি ব্যবসায়: 
    A.নির্দিষ্ট মেয়াদী অংশীদারি ব্যবসায়
    B. নির্দিষ্ট লক্ষ্যকেন্দ্রিক অংশীদারি ব্যবসায়
  2. সীমাবদ্ধ অংশীদারি ব্যবসায়

অংশীদারদের প্রকারভেদ:

  1. সাধারণ বা সক্রিয় অংশীদার
  2. নিষ্ক্রিয় অংশীদার
  3. নামমাত্র অংশীদার
  4. আপত দৃষ্টিতে অংশীদার
  5. সীমিত অংশীদার
  6. কর্মী অংশীদার
  7. আচরণে অনুমিত অংশীদার
  8. প্রতিবন্ধ অংশীদার


লাভ-লোকসান আবন্টনের ছক তৈরি

লাভ-লোকসান আবন্টনের ছক

hsc বিএম ১২শ শ্রেণি হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ (২) ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১  https://www.banglanewsexpress.com/


আবন্টন হিসাব

hsc বিএম ১২শ শ্রেণি হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ (২) ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১  https://www.banglanewsexpress.com/

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


অংশীদারগণের মূলধন হিসাব

AVvXsEiZzDjF8cO3m 57xllq4tjHjWax9LcVpgkDeSHxmVXj05nNRkW4fDfdfvSDzTKSHuST7u 3JuJCFc3GEYbA3QbJHM2V5Ani8AY3esUYU12tAd2OIaVhfDUfF9gHVyvT1AK ooTv7iFjSQollZAydhlrqf9 csIkKp0IdPvEasTdhDg0rfz6MOFOf6S1

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Leave a Comment