অগ্নি অপচয়ের কারনগুলাে উল্লেখ কর
বীমা আইনের ২৬(৬ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অগ্নিবীমা বলতে এরূপ বীমা চুক্তি বোঝায় যা দ্বারা অন্য কোন প্রকার বীমার আনুষঙ্গিক হিসাব ছাড়া, অগ্নিকা–র ফলে ক্ষতির দরুণ অথবা এরূপ অন্য কোন ঝুঁকির কারণে বীমা করা হয়।
ক্ষতিপূরণ অগ্নিবীমার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। বীমাকৃত বিষয়বস্তু আগুন দ্বারা ক্ষতি গ্রস্থ হলে বীমাকারী বীমা গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ করে।
এমনভাবে বীমাকারী ক্ষতি পূরণ করবে যেন দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বে যে অবস্থা ছিল সে অবস্থায় বা তার কাছাকাছি অবস্থায় নিয়ে যাবে বা ফিরিয়ে আনবে যেন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ক্ষতিপূরণ পেতে হলে নিæলিখিত
শর্তগুলো পূরণ করতে হবেঃ
(১) ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়বস্তুটি বীমাকৃত হতে হবে;
(২) ক্ষতি অবশ্যই বীমাকৃত কারণ দ্বারা হতে হবে;
(৩) ক্ষতি অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত হতে হবে এবং সাধারণ বৃদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য যে ধরনের চেষ্টা করার কথা সে ধরনের চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ কোন ধরনের অবহেলা বা শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না এবং আন্তরিকতার সাথে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করার প্রমাণ থাকলেই কেবল বীমাদাবী গ্রহণযোগ্য হবে।
উপরিউক্ত শর্তগুলো ব্যতিত ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নিæলিখিত নিয়মগুলো রয়েছে যা অনুসৃত হয়ে থাকে।
বীমা গ্রহীতার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র সে পূরণ দাবী পরিমাণ ও আদায় করার অধিকারী হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বীমাকারীর নিকট থেকে দাবী করতে পারবেন। যদি বাজার মূল্য বীমাকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশী হয় সেক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতির সমপরিমাণ মূল্য ক্ষতি পূরণ হিসেবে পাবে।
পুন:বীমা ও যুগ্নবীমা মধ্যে পার্থক্য
১. পূন:বীমা হলো দুটি বীমা কোম্পানীর সাথে চুক্তি, পক্ষান্তরে, যুগ্ন বীমা হলো একই বিষয়বস্তুর উপর দুটি কোম্পানীর সাথে
পৃথক দুটি চুক্তি।
২. পূন:বীমার ক্ষেত্রে মূল বীমা গ্রহীতার কোন লাভ বা দায়দায়িত্ব থাকে না। কিন্তু যুগ্নবীমার ক্ষেত্রে বীমা গ্রহীতার দায় দায়িত্ব ও
সুবিধা বৃদ্ধি পায়।
৩. ঝুঁকির পরিমাণ কমানোর জন্য পূনবীমা করা হয়; অপর দিকে বীমাযোগ্য স্বার্থ রক্ষার জন্য যুগ্নবীমা করা হয়।
৪. পূন:বীমা পূর্বের কোন বীমা চুক্তিকে বাদ দিয়ে করা যায় না; পক্ষান্তরে যুগ্নবীমা পূর্বের বীমা চুক্তিকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়েও করা
যায়।
৫. পূন:বীমার ক্ষেত্রে প্রথম বীমা চুক্তি বাতিল হলে পূন:বীমাও বাতিল হয়ে যায়, কিন্তু যুগ্নবীমার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না
অর্থাৎ বাতিল হবে না।
৬. পূন:বীমার ক্ষেত্রে প্রথম বীমাকারী পরবর্তী বীমার জন্য দায়ী থাকে। কিন্তু যুগ্নবীমার ক্ষেত্রে প্রথম বীমাকারী পরবর্তী
বীমাকারীর নিকট দায়ী থাকে না।
৭. পূন:বীমা অগ্নিবীমার ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োগ হয়। অন্য দিকে, যুগ্নবীমা জীবন বীমার ক্ষেত্রে বেশী ব্যবহৃত হয়।
৮. পূন:বীমা ক্ষতিপূরণের নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত; কিন্তু, যুগ্নবীমা ক্ষতিপূরণের নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত
নয়।
H.S.C
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি ব্যাংকের গুরুত্ব আলোচনা কর
- বৈদেশিক বিনিময় হার উঠা-নামার কারনগুলো উল্লেখ কর, ইসলামী ব্যাংকের মূলনীতি কী
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বর্ণনা কর
- দীর্ঘ মেয়াদি ঋন কি? জামানত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয়সমূহ বর্ণনা কর।
- ঝুঁকির প্রকারভেদ বর্ণনা কর, কিভাবে জীবন বীমার দাবি আদায় করা হয় বর্ণনা কর।
- বীমা বলতে কী বোঝায়? বাজি চুক্তি ও বীমা চুক্তির মধ্যে পার্থক্য লিখ
- বিনিময় বিলের সংজ্ঞা দাও, প্রত্যয়ন পত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
- বিভিন্ন প্রকার ব্যাংক হিসাবের বর্ণনা দাও? চেক কী?
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বানিজ্যিক ব্যাংক কী ভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে আলােচনা কর
- কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কার্যাবলী গতিশীলতা আনায়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে?