অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি কী?,অতিরিক্ত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক? , মাত্রাতিরিক্ত যৌন চাহিদাও রোগ
স্বামী বা স্ত্রী থাকা অবস্থায়তেই অনেকে একাধিক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যৌন চাহিদার কারণে এমনটি ঘটে থাকে। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের পরও তাদের চাহিদা না কমায় অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এই অতিরিক্ত যৌন চাহিদা মানসিক ব্যাধি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
অতিকামিতা,হাইপারসেক্সুয়ালিটি, অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই নেশা
এই ব্যাধির কারণে অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক কামাসক্তি দেখা দেয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটির নাম নিমফোম্যানিয়া আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এ রোগের নাম স্যাটেরিয়াসিস।
অস্বাভাবিক মাত্রায় শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসে আক্রান্তরা একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কখনও একের পর এক সম্পর্কে, কখনও আবার একই সঙ্গে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।
অনেক সময় এই শারীরিক চাহিদা বা তাকে পূরণের সক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন রকমের মাদকও সেবন করেন তারা। অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক এই কামাসক্তি সমাজের কাছে ‘ব্যভিচার’ বা ‘চারিত্রিক দোষ’ বলে বিবেচিত হলেও মনস্তত্ত্ববিদ বা মনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে এটি একটি মানসিক ব্যাধি।
মার্কিন মনরোগ বিশেষজ্ঞ টিমোথি জে লেগ এর একটি গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার প্রায় ৩ কোটি মানুষ নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসে আক্রান্ত। কোনো ব্যক্তি নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসে আক্রান্ত হলে তা কীভাবে সনাক্ত করা যাবে, সে বিষয়ে আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন এর গবেষকরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
কেন এই রোগ মানুষের মনে বাসা বাঁধে আর অস্বাভাবিক বা বিকৃত যৌন আসক্তি তৈরি করে সে সম্পর্কেও তেমন কোনো কারণ নির্দিষ্ট করতে পারেননি তারা।
নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসের লক্ষণ:
- নিয়মিত ঘন ঘন হস্তমৈথুন।
- একাধিক যৌন সম্পর্ক, একাধিক যৌনসঙ্গী বা শুধুমাত্র যৌন বাসনা চরিতার্থ করতে সামায়িক ভাবে কোনো সম্পর্কে জড়ানো।
- পর্নোগ্রাফির প্রতি অস্বাভাবিক আসক্তি।
- অসুরক্ষিত এবং উদ্দাম যৌনজীবনের প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ।
- সাইবার সেক্স, ফোন সেক্স বা ভিডিয়ো কনফারেন্সে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া।
- অশ্লীলভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে অনাবৃত করার ইচ্ছা।
- অন্যকে অনাবৃত অবস্থায় দেখার বা যৌনতায় লিপ্ত হতে দেখার ইচ্ছা ইত্যাদি।
এর সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় অপরাধবোধ কাজ করে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় উদ্বিগ্ন, অন্যমনস্ক বা অবসাদগ্রস্ত থাকেন।
চিকিৎসা:
ধ্যান বা যোগাভ্যাস আর নানা রকম ওষুধপত্রের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তবে ওষুধপত্র ছাড়াও ‘রেসিডেন্সিয়াল ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম’, ‘কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি’ কাজে লাগিয়েও নিমফোম্যানিয়া বা স্যাটেরিয়াসিসের চিকিৎসা করা হয়।
পরিশেষে : অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনার, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি কী?,অতিরিক্ত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?, লাগাম ছাড়া যৌন চাহিদা রোগ
আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট