বিষয়: অনার্স ও ডিগ্রি (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তির আবেদন ২০২৪
উপবৃত্তি কার্যক্রম
অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বৃত্তি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ এপ্রিল, ২০১০ খ্রি: তারিখে একটি ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে একটি লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ফাণ্ড গঠনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষাপূর্বক প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীকে আহবায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কে আহবায়ক করে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। মুখ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯ আগস্ট, ২০১০ খ্রি: তারিখের সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কে আহবায়ক করে একটি টেকনিক্যাল উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৫ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩১ জানুয়ারি, ২০১১ খ্রি: তারিখের পত্রে ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন সম্পর্কিত প্রতিবেদন, নীতিমালা ও আইনের খসড়া পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়।
মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফাণ্ড আইন ২০১১ এর খসড়া প্রণয়ন করে Rules of Business, 1996 এবং সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত ট্রাস্ট ফাণ্ড সংক্রান্ত প্রণীত খসড়া আইনটি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখের মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১১ বিগত ১২ ডিসেম্বর, ২০১১ খ্রি: তারিখে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ১১ মার্চ ২০১২ খ্রি: তারিখে নবম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট বিল, ২০১২ পাস হয়। সংবিধানের ৮০ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১৪ মার্চ, ২০১২ খ্রি: তারিখে উক্ত বিলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং একই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর স্থায়ী তহবিল হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিডমানি হিসেবে ১০০০.০০ (এক হাজার ) কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকে এফ. ডি. আর. হিসেবে রক্ষিত আছে। উক্ত এফ. ডি. আর. থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শুধুমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরকেও উপবৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সকল উপবৃত্তি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে স্থানান্তরিত হবে মর্মে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উদ্দেশ্য:
- ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি;
- ছোট পরিবার গঠনে উৎসাহ প্রদান এবং প্রজনন হার নিয়ন্ত্রণ;
- চাকুরির সুযোগ ও উপার্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি;
- দারিদ্র্য বিমোচন ও জেন্ডার সমতা অর্জন; এবং
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন।
শিক্ষার্থী নির্বাচনের শর্তাবলী:
- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
- তৃতীয় লিঙ্গধারী সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্য হবে এবং এদের তালিকা পৃথক ভাবে প্রেরণ করতে হবে।
- উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
- অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত আয় ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত সনদপত্র যুক্ত করতে হবে।
- উপবৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্নাতক (পাস)/ সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বা নির্বাচনী পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর বিরতিহীনভাবে ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করতে হবে এবং স্নাতক(পাস)/সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।
- নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) কাউন্ট করা যেতে পারে।
- ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি থাকতে হবে।
শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি:
সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি ’ গঠন করতে হবে।
ক. সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি:
(১) অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট কলেজ- সভাপতি
(২) একজন শিক্ষক প্রতিনিধি- সদস্য
(৩) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার- সদস্য
(৪) একজন অভিভাবক প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য
(৫) শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক- সদস্য সচিব
সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার:
শ্রেণিস্নাতক (পাস) ও সমমান | উপবৃত্তির হার টাকা | মোট টাকা | বই ক্রয় | পরীক্ষার ফিস | সর্বমোট | মন্তব্য |
১ম বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৪৯০০/= | |
২য় বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৪৯০০/= | |
৩য় বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৪৯০০/= |
(খ) বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি:
(১) গভর্নিং বডি/ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি- সভাপতি
(২) শিক্ষকদের মধ্য হতে নির্বাচিত গভর্নিং বডির একজন শিক্ষক প্রতিনিধি- সদস্য
(৩) গভর্নিং বডির একজন অভিভাবক প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য
(৪) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট উপজেলা)- সদস্য
(৫) সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ- সদস্য সচিব
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি ও অন্যান্য ভাতার হার:
শ্রেণিস্নাতক (পাস) ও সমমান | উপবৃত্তির হার টাকা | মোট টাকা | টিউশন ফি | মোট টাকা | বই ক্রয় | পরীক্ষার ফিস | সর্বমোট | মন্তব্য |
১ম বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ৬০ x ১২ | ৭২০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৫৬২০/= | |
২য় বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ৬০ x ১২ | ৭২০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৫৬২০/= | |
৩য় বর্ষ | ২০০ x ১২ | ২৪০০/= | ৬০ x ১২ | ৭২০/= | ১৫০০/= | ১০০০/= | ৫৬২০/= |
শিক্ষার্থী নির্বাচনের নিয়মাবলী:
(ক) প্রাথমিক নির্বাচন:
(১) প্রথমত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে হতে উপরোক্ত শর্তাবলির আলোকে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট আবেদিত ছাত্র এবং ছাত্রীর পৃথক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
(২) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্রী তালিকাকে ১০০% ধরে তার মধ্যে হতে ৭৫% ছাত্রীকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করতে হবে।
(৩) একইভাবে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্র তালিকাকে ১০০% ধরে তার মধ্যে হতে ২৫% ছাত্রকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করতে হবে।
(খ) চূড়ান্ত নির্বাচন:
(১) শিক্ষার্থী নির্বাচনী কমিটি উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন চূড়ান্ত করবে এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নাম, শ্রেণি রোল নম্বর ও কলেজের নাম চূড়ান্ত করবেন।
(২) নির্বাচনি কমিটি উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তালিকা চূড়ান্ত্ভাবে প্রস্ততকালে একটি রেজুলেশন করবেন। উক্ত রেজুলেশন এর
একটি কপিসহ উপবৃত্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অফিসে প্রেরণ করবেন।
উল্লেখ্য যে, রেজুলেশন এর কপি ব্যতিত নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা গ্রহণযোগ্য হবে না।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] |
একনজরে উপবৃত্তি (স্নাতক) বিতরণের চিত্র:
উপবৃত্তির বছর | উপবৃত্তি বিতরণের বছর | ছাত্রী সংখ্যা (জন) | ছাত্র সংখ্যা (জন) | মোট শিক্ষার্থী (জন) | বিতরণকৃত টাকার পরিমাণ | মন্তব্য |
২০১২-১৩ | ২০১৩ | ১,২৯,৮১০ | ০০০ | ১,২৯,৮১০ | ৭২,৯৫,৩২,২০০ | শুধু মাত্র ছাত্রীদের মাঝে |
২০১৪-১৫ | ২০১৫ | ১,৪৮,৪০২ | ১৪,৬৭৭ | ১,৬৩,০৭৯ | ৯১,৬৫,০৩,৯৮০ | |
২০১৫-১৬ | ২০১৬ | ১,৬৯,৮৪৬ | ৩৯,০৪০ | ২,০৮,৮৮৬ | ১১৩,৬১,৩৩,৫৬০ | |
২০১৬-১৭ | ২০১৭ | ১,৮৬,৭১৪ | ৬১,১১৯ | ২,৪৭,৮৩৩ | ১৩৪,২৪,৭৫,৪৬০ | |
২০১৭-১৮ | ২০১৮ | ১,৯০,২৪৩ | ৬৯,৮২৭ | ২,৬০,০৭০ | ১৩৭,৬০,৮৪,০৪০ | |
২০১৯-২০ | ২০২০ | ১,৪৬,৮৫৮ | ৬৩,১৯১ | ২,১০,০৪৯ | ১১০,৯৮,৯২,৩৪০ | |
২০২০-২১ | ২০২১ | ১,২৪,৩০৫ | ৫৭,৭৯৮ | ১,৮২,১০৩ | ৯৭,০৯,৮৫,৫৮০ | |
২০২১-২২ | ২০২২ |
ডিগ্রি (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তির আবেদন 2024
ডিগ্রি উপবৃত্তি ২০২৪ | ফাজিল উপবৃত্তি ২০২৪ : স্নাতক (পাস) পর্যায়ের ডিগ্রি ও ফাজিল শ্রেণির দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” কর্তৃক উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। সে লক্ষে এবার ২০২৪ সালের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। নিম্নে সকল তথ্যবলি দেখুন :
ডিগ্রি (স্নাতক) উপবৃত্তি ২০২৪ | ফাজিল উপবৃত্তি তথ্য ২০২৪
সুপ্রিয় বন্ধুরা! আপনারা এডু মাসাইল (Edu Masail) ওয়েবসাইটের এই পোষ্ট হতে জানতে পারবেন যে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক উপবৃত্তির জন্য কারা আবেদন করতে পারবে, শিক্ষার্থীদের করণীয় ও শর্তাবলী কি কি এবং উপবৃত্তি পেতে আবেদন করার বিস্তারিত তথ্যবলী। যাইহোক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ২০২৪ কর্তৃক স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
উপবৃত্তির জন্য যারা আবেদন করতে পারবে ২০২৪
শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস) / ডিগ্রি / ফাজিল পাস শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে সকল সেশনের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না।
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষ এবং ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উক্ত উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
ডিগ্রি উপবৃত্তি | টাইমলাইন ২০২৪ |
---|---|
আবেদন শুরু | ০৮ মে ২০২৪ হতে |
আবেদন শেষ | ২৩ মে ২০২৪ হতে |
তালিকা প্রেরণ | ০৭ মে ২০২৪ হতে |
যারা Upobritti আবেদন করার জন্য অপেক্ষা করতেছেন তাদের জন্য সুখবর। গত ২রা মে ২০২৪ ডিগ্রি উপবৃত্তির নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে। উপবৃত্তি আবেদন আগামী ৮ মে থেকে শুরু হবে। যেখানে Degree প্রথম বর্ষ ২১-২২ এর শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
অনলাইনে আবেদন করতে যা যা লাগবে :
১. শিক্ষার্থী HSC রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার।
২. ডিগ্রির Registration নাম্বার।
৩. শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও birth registration নিবন্ধনের নম্বর।
৪. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
৫. পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি (অনলাইন কপি হলে ভালো হয়)
৬. শিক্ষার্থীর ব্যাংকের নাম ও একাউন্ট নম্বার। (ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে বিকাশ বা রকেট ব্যবহার করবেন)
ডিগ্রী উপবৃত্তি ২০২৪ | ডিগ্রি উপবৃত্তির অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
ধাপ – ০১ : Online আবেদন করার জন্য নিচের ওয়েবসাইট লিংকে ক্লিক করুন – estipend.pmeat.gov.bd
ধাপ – ০২ : ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “নিবন্ধন” ট্যাবে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।
ধাপ – ০৩ : পরবর্তী ধাপে Password সেট করুন। (যেকোনো ৬ ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন)
ধাপ – ০৪ : পাসওয়ার্ড সেট হয়ে গেলে শিক্ষার্থী “সাইন ইন/প্রবেশ করুন” ট্যাবে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।
ধাপ – ০৫ : লগ-ইন করার পরে শিক্ষার্থী তার ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবে এবং “আবেদন করুন” এ ক্লিক করে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ধাপ – ০৬ : “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন সম্পাদন করুন। শিক্ষার্থীরা উপবৃত্ত ফর্মটি পূরণ করুন এবং “সংরক্ষণ করুন চালিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন এবং ট্যাব অনুসারে নির্দেশ অনুসরণ করুন।
ধাপ – ০৭ : ট্যাব নির্দেশ শেষ হওয়ার পরে, শিক্ষার্থী হ্যাঁ বাছাই করবেন (সর্তকতা, একবার এপ্লিকেশন সাবমিট করার পর তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না)। পৃষ্ঠাটি ড্যাশবোর্ডে পুনঃনির্দেশিত হবে সেখানে ব্যবহারকারী আপ্লিকেশন উপস্থিতি দেখতে পাবেন।
বি দ্রঃ অনলাইনে আবেদন করার পর, এখন আর পূর্বের মতো অনেকে কলেজে আবেদনের প্রিন্ট কপির সাথে কোন কাগজপত্র, কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয় না। তারপরও যদি কোন কলেজ ডকুমেন্ট নিতে চায় তাহলে অবশ্যই তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। (কলেজ নোটিশ অনুসরণ করুন)
শর্তাবলী :
১) উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
২) অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
সতর্কতা :
১) যাদের নিবন্ধন করার সময় “Error! Not Eligible! Annual Income more than 100000” লিখাটি আসবে, তারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না! কারণ ডিগ্রির ভর্তির সময় অভিভাবকের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি দিয়েছিলেন তাই!
২) একবার আবেদন করে ফেললে তা আর পুনরায় ঠিক করার অপশন নেই, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সাথে আবেদন করবেন।
৩) যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সার্ভার জটিলতা (“Error! Data Load failed from NU server!!”) জন্য আবেদন করতে পারবেন না । অনুগ্রহ করে তারা কয়েকদিন অপেক্ষা করে আবেদন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক উপবৃত্তির আবেদন পদ্ধতি নিয়ম ২০২৪
স্নাতক (পাস) পর্যায়ের ডিগ্রি ও ফাজিল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রথমে নিম্নে দেওয়া আবেদন লিংক থেকে অনলাইনে আবেদন বা নিবন্ধন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন / নিবন্ধন করার পদ্ধতি দেখুন এখান থেকে অথবা নিম্নের ভিডিওতে দেখুন বিস্তারিত–
আবেদন করার লিংক : উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে এই লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধনের জন্য প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা বর্ণিত ওয়েবসাইটে ব্যবহার নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে। উক্ত সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের আলাদা আলাদা User ID ও password শিঘ্রই প্রেরণ করা হবে।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে। সামগ্রীক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে প্রেরণ করার জন্য অনুরােধ করা হলাে। উল্লেখ্য, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার কোন হার্ড কপি প্রেরণের প্রয়ােজনীয়তা নাই।
ডিগ্রি উপবৃত্তি | ফাজিল উপবৃত্তি ২০২৪ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
02. নিবন্ধন করার সময় রেজিঃ ও রোল নম্বর সঠিক থাকা সত্তেও ভুল দেখালে কি করবো?
উত্তরঃ দুইটি কাজ করা যাবে। রেজিঃ ও রোল এবং মোবাইল নম্বর অবশ্যই ইংরেজি অক্ষরে দিতে হবে। এরপরও ভুল দেখালে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন। কেননা সার্ভাররের সমস্যার কারনে ভুল দেখাতে পারে।
03. নিবন্ধন করতে পাসওয়ার্ড কি দিবো?
উত্তরঃ নিবন্ধন করার সময় আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো 6 digit বা সংখ্যা / বর্ণ দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন। উল্লেখ্য, পরবর্তীতে এই পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনাকে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
04. নিবন্ধন করার পর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবো ও উপায় কি?
উত্তরঃ নিবন্ধন করার পর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আপনার স্নাতক রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এ জন্য “পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?” অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যদি দিয়ে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা যাবে।
05. ডিগ্রি সেশনের শিক্ষার্থী এবার আবেদন করতে পারবে?
উত্তরঃ হুম পারবে যাদের এডমিট কাড আছে তারা দিতে পারবে
06. ডিগ্রি প্রাইভেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যা, ডিগ্রি / ফাজিল প্রাইভেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
07. অর্নাসের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে?
উত্তরঃ না, পারবেন না। উপবৃত্তি শুধু ডিগ্রি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। অর্নাস শেষ করার পর আপনাদের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে মেধাবৃত্তি দেওয়া হবে।
08. এক, দুই বা ততোধিক সাবজেক্ট F থাকলে কি আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যা, আবেদন করা যাবে।
09. রেজাল্টে Not promoted আসলে উপবৃত্তি পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না। সুতরাং Not promoted প্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না।
10. আবেদনের সময় ছবি আপলোড হয় না, সমাধান কি?
উত্তরঃ ছবিতা ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল এবং ১০০ kb এর কম হতে হবে। তাই ছবি আপলোড দেওয়ার আগে ক্রপ করে পরিমাণ মত ছোট করে নিন। মোবাইল দিয়ে মাপমত ছবি রিসাইজ করতে এই পোষ্টের নিচে ছবি রিসাইজ করার নিয়ম দেখুন
11. অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে “Error! Your Institution is not Register for PMEAT scholarship program!” লিখা আসছে। নিবন্ধন হচ্ছে না সেক্ষেত্রে কি করণীয়?
উত্তর : এটা সার্ভার সমস্যা বা কলেজ/মাদ্রাসা এখনও ডাটা এন্ট্রি করেনি। তাই কয়েকদিন পর আবেদন করার চেষ্টা করুন। যেহেতু যথেষ্ট সময় আছে।
12. উপবৃত্তির জন্য কি (অনলাইন/সেভিংস) ব্যাংক একাউন্ট লাগবে?
উত্তর : অনলাইনে আবেদন করতে অবশ্যই যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিতে হবে। তবে (অনলাইন/সেভিংস) ব্যাংক একাউন্টের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলে নেওয়া যাবে বা দেওয়া যাবে।
13. মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট হলে হবে এবং কি কি মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দেওয়া যাবে?
উত্তর : হ্যা, মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট হলে হবে। আর বিকাশ ও রকেট এর মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দেওয়া যাবে।
14. যারা পূর্বে আবেদন করে উপবৃত্তির অর্থ পেয়েছেন, তাদের কি আবার আবেদন করতে হবে?
উত্তর : হ্যা, ইতিপূর্বে ডিগ্রি (পাস) / ফাজিল (পাস) পর্যায়ের সেসব শিক্ষার্থী উপবৃত্তির অর্থ পেয়েছেন, তাদেরকে আবার পুনরায় অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
16. আবেদনের সময় জমির পরিমাণ ও বার্ষিক আয় কি দিবো?
উত্তর : উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অভিভাবক / পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী জমির ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে এবং অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
17. আবেদনের সময় বার্ষিক আয় কি দিবো?
উত্তর : উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
18. আবেদন সম্পন্ন করার পর সংশোধন করা যাবে?
উত্তর : না, আবেদন সম্পন্ন করার পর সংশোধন করা যাবে না। তাই, সতর্কতার সহিত আবেদন ফরম পুরন করবেন।
19. অনলাইনে আবেদন করতে কি কলেজে/মাদ্রাসা যেতে হবে বা কলেজ/মাদ্রাসা থেকে করতে হবে?
উত্তর : না, আপনি নিজে বা যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করতে পারবেন। কলেজ/মাদ্রাসা নোটিশ দিলে প্রিন্ট কপি জমা দিবেন।
20. অনলাইনে আবেদন করার পর কি কলেজে/মাদ্রাসায় জমা দিতে হবে?
উত্তর : অনলাইনে নিবন্ধন ও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর প্রিন্ট কপি, আর কলেজ/মাদ্রাসা কর্তৃক নির্দেশিত কাগজপত্র (যেমনঃ পাসপোর্ট সাইজের ছবি, রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি) জমা দিতে হবে। কলেজ নোটিশে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
21. আবেদনের সময় কোনো টাকা লাগবে?
উত্তর : না, অনলাইনে আবেদন করতে কোনো ফি/টাকা লাগবে না।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের নিয়মাবলী
(ক) প্রাথমিক নির্বাচন: (১) প্রথমত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে হতে উপরোক্ত শর্তাবলির আলোকে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট আবেদিত ছাত্র এবং ছাত্রীর পৃথক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। (২) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্রী তালিকাকে ১০০% ধরে তার মধ্যে হতে ৭৫% ছাত্রীকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করতে হবে। (৩) একইভাবে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্র তালিকাকে ১০০% ধরে তার মধ্যে হতে ২৫% ছাত্রকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করতে হবে।
(খ) চূড়ান্ত নির্বাচন: (১) শিক্ষার্থী নির্বাচনী কমিটি উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন চূড়ান্ত করবে এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নাম, শ্রেণি রোল নম্বর ও কলেজের নাম চূড়ান্ত করবেন। (২) নির্বাচনি কমিটি উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তালিকা চূড়ান্ত্ভাবে প্রস্ততকালে একটি রেজুলেশন করবেন। উক্ত রেজুলেশন এর একটি কপিসহ উপবৃত্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অফিসে প্রেরণ করবেন। উল্লেখ্য যে, রেজুলেশন এর কপি ব্যতিত নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক স্নাতক (পাস) শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক উপবৃত্তির জন্য শর্তাবলী
আবেদন করার লিংক : উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে এই লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
তৃতীয় লিঙ্গধারী সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্য হবে এবং এদের তালিকা পৃথক ভাবে প্রেরণ করতে হবে।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত আয় ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত সনদপত্র যুক্ত করতে হবে।
উপবৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্নাতক (পাস)/ সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বা নির্বাচনী পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর বিরতিহীনভাবে ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করতে হবে এবং স্নাতক(পাস)/সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।
নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) কাউন্ট করা যেতে পারে।
ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি থাকতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের Session 2022-2023 অর্থ বছরের ডিগ্রি (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তির আবেদন করার
এক নজরে অনলাইনে আবেদন করতে যা যা লাগবেঃ
১. শিক্ষার্থী এইচএসসি রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার;
২. ডিগ্রির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার;
৩. শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম নিবন্ধন নিবন্ধনের নম্বর;
৪. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর;
৫. পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি;
৬. শিক্ষার্থীর ব্যাংকের নাম ও একাউন্ট নম্বার।
(উল্লেখ্য,ব্যাংক একাউন্টের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন! কোনো শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করে (শুধুমাত্র বিকাশ,রকেট) একাউন্ট নম্বর দিয়ে আবেদন করতে পারবেন)
আবেদন করার লিংক : উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে এই লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে? উত্তর-২৩ মার্চ, ১৯৭২,বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়? উত্তর- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২,গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উত্তর-০৪ নভেম্বর,১৯৭২,কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়? উত্তর-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- Degree 3rd Year Exam Marketing 5th paper Suggestion