অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি সমালোচনাসহ আলোচনা কর।, সমালোচনাসহ অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি বর্ণনা কর ।
মৌলিক ধারণা : বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক আচরণ ব্যাখ্যা করার জন্য অপূর্ণ তথ্যের নমুনা মডেলটি ব্যবহৃত হয়।
সকল ঋণের বাজারেই সমস্যা থাকে; যথা- ১. অসামঞ্জস্যতা তথ্য, ২. এ্যাডভার্স সিলেকশন ও ৩. নৈতিক ঝুঁকি ।
বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে ক্ষুদ্র অর্থায়ন কার্যক্রমে এ সকল সমস্যা সমাধানে অরেক ধরনের পদ্ধতির সফল ব্যবহার করলেও অপূর্ণ তথ্যের মডেলটিতে এ সকল পদ্ধতির সমন্বয় নেই। Peer group lending পদ্ধতি ছাড়া। বিপরীতভাবে কিছু পদ্ধতি এই মডেলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সেগুলোর প্রভাব বাণিজ্যিক ক্ষুদ্র অর্থায়নের উপর প্রমাণিত হয়নি ।
অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটির অনুসিতি : নিম্নে অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটির অনুসিতিগুলো তুলে ধরা হলো :
১. নিম্ন ঝুঁকি ও উচ্চ ঝুঁকির ঋণ আবেদনকারীদের ঋণের খরচ সঠিকভাবে পৃথক করতে পারে না ।
২. সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতা দলকে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারে না ।
সমস্যা চিহ্নিতকরণ : উল্লিখিত অনুমানের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র ঋণ বাজারের অভিজ্ঞতার আলোকে নিম্নে অপূর্ণ তথ্যের ঋণের বাজার মডেলে সমস্যাগুলো উল্লেখ করা হলো :
১. ব্যাংক তাদের পার্থক্যকরণ অক্ষমতা থেকে রেহাই
২.পেতে সুদরে হার বাড়িয়ে দেয়। ঋণের ঝুঁকির ক্ষতিপূরণ হিসেবে এটা করা হয় ।উচ্চ সুদের হার কম ঝুঁকিপুর্ণ ঋণগ্রহীতা ঋণ বাজার থেকে প্রবেশ ঘটায় ।
৩. ঋণগ্রহীতাদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প পছন্দ করার প্রবণতা দেখা যায় এবং এতে করে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়ে যায় ।
৪. জামানত গ্রহণ নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ ঋণগ্রহীতারদের ঋণ গ্রহণে আকর্ষিত করে।
অপূর্ণ তথ্যের নমুন তত্ত্ব বর্ণনা : অপূর্ণ তথ্যের নমুন তত্ত্বের মূল ধারণা হলো অসামঞ্জস্য, তথ্য, ক্রেডিট রেলনিং এ্যাডভান্স সিলেকশন এবং নৈতিক ঝুঁকি। নিয়ে এই উপাদানগুলো আলোচনা করা হলো:
১. অসামঞ্জস্য তথ্য : অসামঞ্জস্য তথা উল্লেখ করে যে, ঋণের বাজারে এক পক্ষের হাতে লেনদেন সম্পর্কিত অনেক তথ্য থাকে অন্যপক্ষের তুলনায়; যেমন- তথ্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে ঋণের বাজারে এ্যাডভার্স সিলেকশন দেখা যায় । এই ধারণাটি George Akelot প্রবর্তন করে ।
২. এ্যাডভার্স সিলেকশন : অসামঞ্জস্য তথ্যের কারণে বাজারে ক্রেতা বিভিন্ন মানের পণ্য সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে না এবং ক্রয় করে থাকে তখন এ্যাডভার্স সিলেকশন হয়ে থাকে।
৩. নৈতিক ঝুঁকি :: ঋণের বাজারে নৈতিক ঝুঁকিও পরিলক্ষিত হয়। ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার প্রবর্তনের কারণে সীমাবদ্ধ দায় সম্পন্ন ঋণগ্রহীতা ঋণ নেয়। এই ঋণের অর্থ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে এবং তাদের বিনিয়োগ লোকসান হয় । এই বিষয়টি নৈতিক ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত।
৪. ক্রেডিট রেলনিং : এ্যাডভার্স সিলেকশন এবং নৈতিক ঝুঁকি ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিকে সমস্যাগ্রস্ত করে তোলে, যা পরবর্তীতে ক্রেডিট রেলনিং এ মোড় নেয় ৷
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।