অবচয় কাকে বলে?, অবচয় কিভাবে নির্ণয় করতে হয়?,অবচয় কত প্রকার?, অবচয় ধার্যের পদ্ধতি কি কি?,অবচয় কিভাবে নির্ণয় করতে হয়,অবচয় কী,পুঞ্জীভূত অবচয় কি

প্রশ্ন সমাধান: অবচয় কাকে বলে?, অবচয় কিভাবে নির্ণয় করতে হয়?,অবচয় কত প্রকার?, অবচয় ধার্যের পদ্ধতি কি কি?,অবচয় কিভাবে নির্ণয় করতে হয়,অবচয় কী,পুঞ্জীভূত অবচয় কি

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো অবচয় কাকে বলে এবং অবচয় কিভাবে নির্ণয় করতে হয় বা অবচয় নির্ণয়ের পদ্ধতিসমূহ কি কি?

অবচয় কাকে বলে ?

অবচয় একটি অনগদ খরচ। এটি একটি বন্টন প্রক্রিয়া। স্থায়ী সম্পত্তির মোট অর্জন মূল্যকে বিভিন্ন বছরের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াই অবচয়। এটি একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। বিশেষ করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।

অবচয় ল্যাটিন শব্দ Depretium থেকে এসেছে। Depretium শব্দটির দুইট অংশ রয়ছে। প্রথম অংশ De যার অর্থ ক্ষয় পাওয়া (Decline) এবং দ্বিতীয় অংশ Pretium অর্থ মূল্য (Price)। অর্থাৎ অবচয়ের অর্থ মূল্যক্ষয় বা মূল্য হ্রাস পাওয়া।

অবচয় কাকে বলে তা আমরা জানলাম। এবার আমরা জানবো কিভাবে অবচয় নির্ণয় করতে হয়?

অবচয় নির্ণয়ের পদ্ধতিসমূহ

মৌলিকভাবে অবচয় দুই প্রকার 1.পূঞ্জীভূত অবচয় 2. অবচয় সঞ্চিতি

অবচয় ধার্যের পদ্ধতি হল,,,

১) স্থায়ী কিস্তি পদ্ধতি

২) ক্রমহ্রাসমান উদ্ধৃত পদ্ধতি 

৩) অবচয় তহবিল পদ্ধতি

৪) বীমাপত্র পদ্ধতি 

৫) বার্ষিক সমকিস্তি পদ্ধতি

৬) যান্ত্রিক ঘণ্টা পদ্ধতি। 

আরো ও সাজেশন:-

অবচয় নির্ণয়ের দুইট পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। নিচে যথাযথ উদাহরণসহ পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হলো-

১। সরলরৈখিক পদ্ধতি

যে পদ্ধতিতে সম্পত্তির মোট মূল্য থেকে ভগ্নাবশেষ মূল্য (Salvage Value) বাদ দিয়ে সম্পত্তির মোট আয়ুষ্কাল দিয়ে ভাগ করে বার্ষিক অবচয় নির্ণয় করা হয় তাকে সরলরৈখিক অবচয় পদ্ধতি বলে।

সূত্র: বার্ষিক অবচয় = (সম্পত্তির মোট মূল্য – ভগ্নাবশেষ)/সম্পত্তির মোট আয়ুষ্কাল।

উদাহরণ: মনে করি, একটি যন্ত্রের ক্রয়মূল্য ২,২০,০০০ টাকা, যার আয়ুষ্কাল ১০ বছর এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা।

সুতরাং, যন্ত্রটির অবচয় হবে,

বার্ষিক অবচয় = (২,২০,০০০-২০,০০০)/১০ =২০,০০০ টাকা।

২। বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি

এই পদ্ধতিতে সম্পত্তির মোট মূল্য থেকে ভগ্নাবশেষ মূল্য বাদ দিয়ে সম্পত্তির অবচয়যোগ্য আয়ুষ্কালের বর্ষসমূহের সমষ্টি দিয়ে ভাগ করতে হয়। প্রাপ্ত ভাগফলকে বর্ষসংখ্যার নিম্নক্রম অনুসারে সংশ্লিষ্ট বর্ষসংখ্যা দিয়ে গুণ করে সংশ্লিষ্ট বছরের অবচয় নির্ণয় করা হয়। এটি অবচয়ের বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বার্ষিক অবচয়ের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে।

উদাহরণ: মনে করি একটি যন্ত্রের ক্রয়মূল্য ১,০০,০০০ টাকা, যার আয়ুষ্কাল ৫ বছর এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ১০,০০০ টাকা। যন্ত্রটির বার্ষিক অবচয় হবে নিম্নরূপ-

এখানে যন্ত্রটির আয়ুষ্কালের বর্ষসংখ্যা হবে ১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং বর্ষসংখ্যার সমষ্টি = ১ + ২ + ৩ + ৪ + ৫ = ১৫।

এক্ষেত্রে, 

১ম বছরের অবচয় = (১,০০,০০০ – ১০,০০০)/১৫ × ৫ =  ৩০,০০০ টাকা। [এখানে / চিহ্ন = ভাগ]

২য় বছরের অবচয় = (১,০০,০০০ – ১০,০০০)/১৫ × ৪ = ২৪,০০০ টাকা।

৩য় বছরের অবচয় = (১,০০,০০০ – ১০,০০০)/১৫ × ৩ = ১৮,০০০ টাকা।

৪র্থ বছরের অবচয় = (১,০০,০০০ – ১০,০০০)/১৫ × ২ = ১২,০০০ টাকা।

৫ম বছরের অবচয় = (১,০০,০০০ – ১০,০০০)/১৫ × ১ = ৬,০০০ টাকা।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment