প্রশ্ন সমাধান: অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কাকে বলে, অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাব কি?,অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাব pdf, অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান, অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কাকে বলে?, অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কত প্রকার ও কি কি?, অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য?
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কাকে বলে :-
যে সকল প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম তথা ক্রয়-বিক্রয়, উৎপাদন বন্টন ও সহায়ক কার্যাবলীর মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত না হয়ে জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয় সে সব প্রতিষ্ঠানকে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বলতে ঐ সব প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যা সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা প্রদান, জনকল্যাণ, সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যেমন : স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাঠাগার, ক্লাব, এতিমখানা, হাসপাতাল, মসজিদ ইত্যাদি।
এ সকল প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস হল সদস্যদের ভর্তি ফি, চাঁদা, দান, সরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অনুদান ইত্যাদি। এদের কোন কোন কার্যক্রম থেকে মুনাফা অর্জিত হলেও তা জনকল্যাণে ব্যয় করা হয়।
সভ্যতার অগ্রগতি ও শিক্ষা বিস্তারের সাথে সাথে মানুষের সামাজিক দায়িত্ববোধ ও চেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজবদ্ধ মানুষ সমষ্টিগত কল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে সাধারণতঃ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তুলছে।
ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনবিদ, হিসাববিদ প্রভৃতি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করে না বলে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আওতাভূক্ত।
অতএব অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বলতে সামাজিক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও মুনাফা অর্জনের জন্য পরিচালিত হয় না।
আরো ও সাজেশন:-
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আয়সমূহকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১। মূলধনজাতীয় আয় এবং
২। মুনাফা জাতীয় আয়
মূলধনজাতীয় আয়সমূহ:
০১। অনুদান (Donation)
০২। আজীবন সদস্য’র চাঁদা (Life time member fees)
০৩। ভর্তি/প্রবেশ ফি(Entrance fee )
০৪। উইলকৃত ধনদৌলত (Legacies)
০৫।বিশেষ তহবিলে অনুদান প্রাপ্তি (Donation received on special fund)
০৬। ঋণ/কর্জ(Loan)
০৭। পুরাতন সম্পত্তি বিক্রয় (Sale of old assets)
মুনাফাজতীয় আয়সমূহ:
০১। চাঁদা
০২। প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি থেকে অর্জিত আয়। যেমন- হল ভাড়া, লকার ভাড়া, চারণ কর, মাঠ ভাড়া, উপভাড়া, ক্যারাম বোর্ড ফিস, টেবিল টেনিস ফিস ইত্যাদি
০৩। প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে অর্জিত আয়। যেমন- নাট্যাভিনয়ের টিকিট বিক্রয়, চ্যারিটি শোর টিকিট বিক্রয়, বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট টিকিট বিক্রয়, ম্যাগাজিন বিক্রয়, ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন বাবদ আয়, পুরাতন খবরের কাগজ বিক্রয়, ক্যান্টিন হতে আয়, বক্তৃতা হতে আয় ইত্যাদি।
০৪। বিনিয়োগের সুদ , ব্যাংক জমার সুদ প্রাপ্তি ইত্যাদি।
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান-এর বৈশিষ্ট্য
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে না।
সদস্যদের কল্যাণ সাধনের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
পণ্য উৎপাদন বা ক্রয়-বিক্রয় কাজে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান লিপ্ত থাকে না।
সদস্যদের চাঁদা, ভর্তি ফি, সমাজের মহৎ ব্যক্তিদের দান, সরকারি অনুদানের মাধ্যমে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আয় অর্জিত হয়।
ব্যয় অতিরিক্ত আয় সদস্যদের মাঝে বণ্টিত হয় না।
ব্যয় অতিরিক্ত আয়ের উপর আয়কর দিতে হয় না।
আয় জনকল্যাণ ও সমাজ সেবামূলক কাজে ব্যয় হয়।
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যয়সমূহ:
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যয়সমূহকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১। মূলধনজাতীয় ব্যয় ও
২। মুনাফাজাতীয় ব্যয়
মূলধনজাতীয় ব্যয়সমূহ:
আসবাবপত্র ক্রয়
খেলার সরঞ্জাম ক্রয়
বিলিয়ার্ড টেবিল ক্রয়
প্রাঙ্গন/ভূমি উন্নয়ন
বৈদ্যুতিক সংস্থাপন ব্যয়
দালানকোঠা সংযোজন ব্যয়
কুকারিজ ক্রয়
অফিস সরঞ্জাম ক্রয়
বিনিয়োগ/সেভিং সার্টিফিকেট ক্রয়
টেলিভিশন ক্রয় ইত্যাদি
মুনাফাজাতীয় ব্যয়সমূহ:
বেতন
ভাড়া
টেলিফোন বিল
ছাপা ও মনিহারি
আর্দালির মজুরি
নাট্যাভিনয় খরচ
খেলাধুলার ব্যয়
আপ্যায়ন খরচ
দান খয়রাত
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
অবচয় খরচ ইত্যাদি
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীসমূহ:
০১। প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব/বিবরণী
০২। আয় ব্যয় হিসাব/বিবরণী
০৩। উদ্বৃত্তপত্র/উদ্বর্তপত্র/আর্থিক অবস্থার বিবরণী
প্রারম্ভিক মূলধন তহবিল নির্ণয়:
একটি নির্দিষ্ট হিসাবকালের প্রথম তারিখের মোট সম্পত্তি ও মোট দায়ের অন্তরফলই হলো প্রারম্ভিক মূলধন তহবিল। অর্থাৎ চলতি হিসাবকালের প্রথম তারিখের মোট প্রারম্ভিক সম্পত্তি থেকে মোট প্রারম্ভিক দায় বাদ দিলে প্রারম্ভিক মূলধন তহবিল পাওয়া যায়।
(ক) মোট প্রারম্ভিক সম্পত্তি:
০১। প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবের ডেবিট পাশ হতে প্রারম্ভিক সম্পদ:
ক) প্রারম্ভিক নগদ উদ্বৃত্ত
খ) প্রারম্ভিক ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত
গ) প্রারম্ভিক ব্যাংক চলতি/স্থায়ী হিসাবের উদ্বৃত্ত
০২। সমন্বয় হতে প্রারম্ভিক সম্পদ:
ক) স্থায়ী সম্পত্তির প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত
খ) মনিহারি/ডাকটিকিট/খাদ্য সামগ্রী ও ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদির প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত
গ) বিগত বছরের অনাদায়ী/বকেয়া আয় প্রাপ্তি
ঘ) বিগত বছরের অনাদায়ী/বকেয়া আয় এখনো বকেয়া
ঙ) বিগত বছরের অগ্রিম মুনাফাজাতীয় খরচ ইত্যাদি
(খ) প্রারম্ভিক মোট দায়:
০১। প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবের ক্রেডিট পাশের প্রারম্ভিক দায়:
ক) বকেয়া দায়
খ) বকেয়া ভাড়া/খরচ
গ) বিবিধ পাওনাদার/প্রদেয় হিসাব
০২। সমন্বয় হতে প্রারম্ভিক দায়:
ক) বিগত বছরের বকেয়া খরচ পরিশোধ
খ) বিগত বছরের অপরিশোধিত বকেয়া খরচ
গ) বিগত বছরের অগ্রিম আয় প্রাপ্তি
ঘ) কোন বিশেষ তহবিলের প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত
ঙ) ঋণ/কর্জের প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত
(গ) প্রারম্ভিক মূলধন তহবিল (ক-খ)
বিঃ দ্রঃ – ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্ট টা শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন। আপনাদের অনুপ্রেরণা কাজের আগ্রহ বাড়াবে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
০১.চাঁদাঃ-অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জন করে না|প্রতিষ্টান সদস্যদের নিকট থেকে মাসিক বা বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা আদায় করে থাকে|এ চাঁদা থেকেই মুনাফা জাতীয় খরচ গুলো নির্বাহ করা হয়| তাই চাঁদাকে আয় হিসাবে গন্য করা হয়। এটি মুনাফা জাতীয় আয় ।
০২.প্রবেশ ফি/ভর্তি ফিঃ- ক্লাবে /প্রতিষ্ঠানে কোনো নতুন সদস্য ভর্তির সময় ভর্তি ফি বাবদ যে অর্থ প্রদান করে তাকে ভর্তি ফি বা প্রবেশ ফি বলে|এটি একটি আয় হিসাব|এটি মূলধন জাতীয় আয় হিসাব।
০৩.অনুদানঃ-সরকার,সরকারি প্রদস্থ ব্যক্তি, দাতা সংস্থা,সমাজের কোনো জনহিতৈষী ব্যক্তি নিকট থেকে এককালীন যে বড় অংকের টাকা দান হিসাবে পাওয়া যায় তাকে অনুদান বলে| এটি মূলধন জ়াতীয় আয় হিসাব।
০৪.আজীবন সদস্যের চাঁদাঃ-অব্যবসায়ী প্রতিষ্টানে যদি কোন সদস্য মাসিক বা বাৎসরিক মেয়াদ ভিত্তিতে চাঁদা না দিয়ে এক কিস্তিতে একসজ্ঞে বড় অংকের চাঁদা সারাজীবনের জন্য প্রদান করে তবে উক্ত চাঁদাকে আজীবন সদস্যের চাঁদা বলা হয়|এটি এটি মূলধন জ়াতীয় আয় হিসাব।
০৫.উইলকৃত সম্পদঃ- সমাজের দানশীল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে চুক্তি মারফত জমি বা ব্যাংক ব্যালেন্স বা বিষয় সম্পত্তি উইল করে দিলে তাকে উইলকৃত সম্পদ বলে।এটি মুলধন জ়াতীয় আয় হিসাব।
০৬.বিশেষ তহবিলঃ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিশেষ ধরনের ব্যয় নিবার্হের জন্য পূর্বে থেকেই খরচের বিপক্ষে বিভিন্ন তহবিল গঠন করে থাকে একেই বিশেষ তহবিল বলে।এটি দায় হিসাব।
০৭.চারন করঃ অনেক ক্লাব বা সমিতির নিজ়েদের মাঠ থাকে।এই মাঠ অন্য প্রতিষ্ঠান বা লোকের নিকট পশু(গরু,ছাগল)চড়াবার জন্য ভাড়া দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হয়।এই আয়কে চারন কর বলে। এটি মুনাফা জাতীয় আয় হিসাব।
০৮.চা-চক্রে হতে মুনাফাঃ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় বড় ধরনের আয়োজন করা হয়,আয়োজনকৃত চাঁদা হতে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে সেইটুকু অর্থকেই চা চক্র হতে মুনাফা বলা হয়।এটি মুনাফা জাতীয় আয় হিসাব।
০৯.প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে অর্জিত আয়ঃ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আয় বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে পরিচালনাপর্ষদ বিভিন্ন ধরনের উদ্যাগ গ্রহন করে থাকে।যেমন-নাটক,চ্যারিটি শো,টুর্নামেণ্ট ইত্যাদি।এসব অনুষ্ঠানের বিক্রিত টিকেট মুনাফা জাতীয় আয় হিসাবে গণ্য হয় ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
মক্তব, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ। তরুন, কিশোর ও যুবকদের শিক্ষিত করে তাদের জ্ঞান-ভান্ডার, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে শিক্ষিত জনশক্তিকে মানব সম্পদে রূপান্তর করাই এ সব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।
খ. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে। এ জাতীয় অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকান্ড মানুষের কল্যাণের জন্য পরিচালিত হয়। এদের সংস্পর্শে মানুষ স্রষ্টাও সৃষ্টি সম্পর্কে সচেতন হয় এবং শান্তি প্রিয় ও সুশৃংখল জীবে পরিণত হয়।
গ. হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান :
হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিংহোম, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র প্রভৃতি এ শ্রেণীতে পড়ে। এ সকল প্রতিষ্ঠান অসহায় ও অসুস্থ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকে।
ঘ. দারিদ্র বিমোচন ও পূর্নবাসন প্রতিষ্ঠান :
রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বয়েজ স্কাউট, মুসলিম এইড, রাবেতা আলমে ইসলামী ইত্যাদি এ শ্রেণীর আওতাভুক্ত। বন্যা, জলচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মহামারী, যুদ্ধ, দাঙ্গা ইত্যাদির কারণে অনেক সময় মানুষ গৃহহারা ও অসহায় হয়ে পড়ে। এরূপ অবস্থায় এই শ্রেণীর অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঔষধপত্র, ত্রাণ সামগ্রী ও গৃহায়নের ব্যবস্থা করে থাকে।
ঙ. সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান :
এতিমখানা, ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্র, অন্ধকল্যাণ সমিতি, মসজিদ মিশন, লায়ন্স ক্লাব ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান সমাজ কল্যাণমূলক কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকে।
চ. বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান :
ক্লাব, সাহিত্য সংস্থা, ক্রীড়া সংস্থা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ইত্যাদি বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ছ. এন.জি.ও :
বর্তমান যুগে উন্নয়নশীল দেশসমূহে কিছু এনজিও (বেসরকারী প্রতিষ্ঠান) যেমন : আগাখান উন্নয়ন তহবিল, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম, আদ্দিন, কেয়ার, সিডা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অমুনাফাভোগী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
২. মুনাফাভোগী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান :
যে সব অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ক্রয়-বিক্রয়, উৎপাদন-বণ্টন ইত্যাদি ব্যবসায়ী কর্মকান্ডে নিয়োজিত না হয়েও মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয় তাদের মুনাফাভোগী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বলে। যেমন – নার্সিং হোম, হিসাববিদ সংঘ, ব্র্যাক ইত্যাদি। এদেরকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে বর্ণনা দেওয়া হল –
ক. পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান :
এ জাতীয় অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বস্তুগত লেনদেন করে না কিন্তু পেশাগত সেবা ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে এবং অর্জিত মুনাফা ভোগ করে। যেমন : আইনজীবি, প্রকৌশলী, হিসাববিদ, ডাক্তার ইত্যাদি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান।
খ. এন.জি.ও :
ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, মাইডাস ইত্যাদি এনজিও কিছুটা সেবার পাশাপাশি মুনাফা অর্জন করে থাকে। বিদেশী সাহায্যে সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে অল্প সুদে তহবিল সংগ্রহ করে এবং বেশী সুদে গরীব মানুষদের ধার দেয় ও অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রকল্পে অংশ গ্রহন করে।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য –
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কোন ব্যবসায় সংক্রান্ত কাজ করে না এবং মুনাফা অর্জন করা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য নিম্নে বর্ণনা করা হল :
১. জনকল্যাণ :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সভ্যদের, সমাজের ও দেশের কল্যাণ সাধনে কাজ করে।
২. অব্যবসায়ী কার্যক্রম :
ব্যবসায়ী কার্যক্রম বলতে ক্রয়-বিক্রয়, উৎপাদন-বণ্টন ও সহায়ক কার্যাবলী বুঝায়। অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না। অব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
৩. উদ্দেশ্য :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষাবিস্তার, সেবা প্রদান, সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্য অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়।
৪. ব্যয় নির্বাহ :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সাধারনতঃ ব্যয় নির্বাহের জন্য সদস্যগণের চাঁদা, ভর্তি ফি, দান, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অনুদান ইত্যাদি উৎস হতে প্রাপ্ত অর্থের উপর নির্ভর করে।
৫. স্থায়ী সম্পদ সংগ্রহ :
এ সকল প্রতিষ্ঠান স্থায়ী সম্পদের বেশীর ভাগ দান ও অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
৬. সম্পদের তত্ত্বাবধান :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সম্পদ অর্জন ও সংরক্ষণের চেয়ে প্রাপ্ত সম্পদের তত্ত্বাবধান করার প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়।
৭. পরিচালনা :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সর্বাবস্থায় সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিকরীতি অনুসরণ করা হয়।
৮. মূলধন তহবিল :
এ সকল প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনার পুঁজিকে বা সম্পত্তি ও দায়ের পার্থক্যকে মূলধন তহবিল বলে। মূলধন তহবিলকে নীট সম্পত্তিও বলা হয়।
৯. শ্রেণী বিভাগ :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি বিবেচনা করে মুনাফাভোগী ও অমুনাফাভোগী এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১০. হিসাব :
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাব পদ্ধতি থেকে পৃথক। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মত সাধারণ জাবেদা, খতিয়ান, রেওয়ামিল, লাভ-লোকসান হিসাব, উদ্বৃত্তপত্র ইত্যাদি তৈরী করা যায় না। সাধারণতঃ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব, আয়-ব্যয় হিসাব ও উদ্বৃত্তপত্র প্রস্তুত করা হয়।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- ইজারা অর্থায়ন পরিকল্পনা সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা কর
- ইজারা অর্থায়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা কর
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- লিভারেজ ইজারা বলতে কি বুঝ বিস্তারিত আলোচনা করো
- IAS 17 ও IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 vs IFRS 16 পার্থক্য, IAS 17 ও IFRS 16 মধ্যে পার্থক্য আলোচনা
- আইএফআরএস ১৬ ও আইএসি ১৭ পার্থক্য । আইএফআরএস ১৬ vs আইএসি ১৭ পার্থক্য