🎓🎓বিষয়ঃ হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র।🎓🎓
টপিকঃ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাব ( ১ম অধ্যায় )
🎓For—C Unit
⏹️ এডমিশন প্রস্তুতির সময় সবচেয়ে বড় বাধা কি জানো?? যা তোমায় মাঝ পথে রুখে দিবে, কানে ব্যার্থতার বিষ ঢালবে… তা হলো— হতাশা/ডিপ্রেশন।
✅ কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখবে, তুমি তোমার চেষ্টা ও পড়া বাদ দিয়ে শুধুই বসে বসে ভাবছো কি হবে না হবে তা নিয়ে আর হতাশা তোমায় ঘিরে নিচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে, কাজের কাজ কিছুই করছো না! আর এইযে এখন ভাবতে গিয়ে পড়ছো না, একটা সময় গিয়ে ঠিক এই কারণের সফলতা থেকে দূরে সরে যাবে। আর তার প্রধান কারণ হলো, তুমি পড়োনি ভালো করে, তুমি তোমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু দাও নি। তাই, কি হবে তা ভাবা আসলে ভিত্তিহীন। ফলাফল আল্লাহর হাতে, তুমি শুধু তোমার দ্বায়িত্ব পালন করো যথাযথ ভাবে।
✅”তোমার ভাগ্য নির্ধারিত হবে তোমার কাজের দ্বারা”
🔶 আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্রের ১ম অধ্যায়—অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। চলো শুরু করা যাক,
🎓🎓 অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ধারণাঃ🎓🎓
“✅ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান” নাম দ্বারাই আমরা বুঝতে পারি এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা আসলে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বা কোন প্রকার ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না। অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আয়ের প্রধান উৎস হলো— চাঁদা। এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান উদ্দেশ্য থাকে— সমাজকল্যাণ/জনকল্যাণ এবং সেবা প্রদান করা।
⏹️ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।যথাঃ অমুনাফাভোগী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং মুনাফাভোগী অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
- hsc result 2024
- hsc/এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন, ফাইনাল সাজেশন এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র, hsc logic 1st paper suggestion 100% common guaranty, special short suggestion hsc suggestion logic 1st paper
- আলিম ইসলামের ইতিহাস সাজেশন ১০০% নিশ্চিত কমন,আলিম পরীক্ষা ইসলামের ইতিহাস সাজেশন,A+ 100% Sure আলিম/Alim ইসলামের ইতিহাস সাজেশন
- hsc/এইচএসসি সমাজকর্ম ১ম পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন, ফাইনাল সাজেশন এইচএসসি সমাজকর্ম ১ম পত্র, HSC সমাজকর্ম ১ম পত্র সাজেশন ১০০% নিশ্চিত কমন
- এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অধ্যায়-০৬ কমন নৈবিত্তিক প্রশ্নের উত্তর
🎓🎓 অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীঃ🎓🎓
✅ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন খাতে কিছু আয় ও ব্যয় হয়ে থাকে। যেমনঃ চাঁদা আয়, অনুদান, বিদ্যুৎ বিল, আপ্যায়ন খরচ ইত্যাদি।
✅ তাই এসব প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য হিসাবনিকাশের প্রয়োজন হয়। আর এই হিসাবনিকাশের জন্য যে আর্থিক বিবরণী গুলো প্রস্তুত করা হয় তা হলো,
🎓🎓 প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবঃ🎓🎓
✅ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে সকল নগদ লেনদেন সংঘটিত হয় তা শ্রেণিবদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত করে যে হিসাব প্রস্তুত করা হয় তাই প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব।
✅ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের — নগদ প্রবাহ জানা যায়।
✅ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবের সমাপনী জের— সমাপনী হাতে নগদ ও ব্যাংক জমার পরিমাণ নির্দেশ করে।
✅প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব নগদান বইয়ের একটি সার-সংক্ষেপ।
✅ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবে মূলধন ও মুনাফাজাতীয় উভয় প্রকার আয়-ব্যয় দেখানো হয়।
✅ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবে অগ্রিম এবং বিগত হিসাবকালের বকেয়া আদায়-পরিশোধসহ যেকোন নগদ প্রাপ্তি ও প্রদান দেখানো হয়।
🎓🎓 আয়-ব্যয় হিসাবঃ🎓🎓
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে শুধু মুনাফাজাতীয় আয় ও ব্যয় গুলো নিয়ে যে যে হিসাব প্রস্তুত করে তাই আয়-ব্যয় হিসাব।
✅ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের “আর্থিক ফলাফল” নির্ণয় করার জন্য আয়-ব্যয় হিসাব প্রস্তুত করা হয়।
✅ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় হিসাব, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতি হিসাবের মতো কাজ করে।
✅ আয়-ব্যয় হিসাবে কোন প্রকার মূলধনজাতীয় আয় অথবা ব্যয় দেখানো হয় না।শুধু মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয় আসে।
- যে কারণে পুরুষের গোপন অঙ্গের ক্ষমতা নষ্ট হয়
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- হাঁপানি রোগী জন্য পরামর্শ ও হাঁপানি রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো
- ২০২৫ এর সেরা ১০ জন তারকারা গুগলিং সার্চে করে
- লিভারেজ ইজারা বলতে কি বুঝ বিস্তারিত আলোচনা করো
✅ আয়-ব্যয় হিসাবের ডেবিট দিকে(বা দিক) “মুনাফাজাতীয় ব্যয়” আর ক্রেডিট(ডান দিক) দিকে “মুনাফাজাতীয় আয়” দেখানো হয়।
✅ সংশ্লিষ্ট হিসাবকালের প্রয়োজনীয় সব সমন্বয়সমূহ এই হিসাবে দেখানো হয়।
✅ আয়-ব্যয় হিসাবের ক্রেডিট জের— ব্যয় অতিরিক্ত আয়। আর ডেবিট জের— আয় অতিরিক্ত ব্যয় নির্দেশ করে।
🎓🎓 আর্থিক অবস্থার বিবরণীঃ🎓🎓
⏹️ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার বিবরণী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার বিবরণীর মতোই। এক্ষেত্রেও একদিকে সম্পত্তিসমূহ এবং অপরদিকে দায় ও মালিকানা তহবিল দেখানো হয়।
✅ আর্থিক অবস্থার বিবরণীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের “আর্থিক অবস্থা” নিরূপণ করা হয়।
✅ মোট সম্পত্তি থেকে মোট দায় বাদ দিয়ে মালিকানা তহবিল নির্ণয় করা হয়।
⏹️ এই টপিক থেকে ম্যাথ আসার সম্ভাবনা আছে।আর তা চাঁদা সংক্রান্তই দিবে। চলো গানিতিক সমস্যা দেখে নেই,
🎓🎓 ফর্মুলা—১ঃ 🎓🎓
✅চলতি বছরের চাঁদা আয়= মোট সদস্য সংখ্যা × প্রতি সদস্যের বার্ষিক চাঁদা।
⏹️ সমস্যাঃ একটি অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে সদস্য সংখ্যা ১২০ জন। তাদের মাসিক চাঁদা ১০ টাকা। ২০১৯ সালে ২০ জন সদস্য তাদের চাঁদা পরশোধ করেনি, ৫ জন সদস্য ৬ মাসের চাঁদা অগ্রিম প্রদান করেছে এবং ১০ জন সদস্য গত বছরের চাঁদা এ বছর প্রদান করেছে। ২০১৯ সালের আয়-ব্যয় হিসাবে কত টাকা চাঁদা খাতে আয় দেখানো হবে?
🎓 সমাধানঃ🎓
আমরা জানি,
চলতি বছরের চাঁদা আয়= মোট সদস্য সংখ্যা × প্রতি সদস্যের বার্ষিক চাঁদা।
=১২০× (১০×১২) টাকা
=১২০× ১২০ টাকা
=১৪,৪০০ টাকা
[অগ্রিম ও বকেয়ার কথা সরাসরি উল্লেখ না থাকায় সহজ পদ্ধতি হিসেবে বকেয়া-অগ্রিম বিবেচনা না করে সরাসরি চাঁদা আয় নির্ণয় করা হয়েছে]
🎓🎓 ফর্মুলা—২ঃ🎓🎓
চলতি বছরের চাঁদা আয় = চলতি বছরে প্রাপ্ত চাঁদা + বিগত অগ্রিম – বিগত বকেয়া + চলতি বকেয়া – চলতি অগ্রিম।
✅ সমস্যাঃ
একটি অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে মোট চাঁদা প্রাপ্তি ২,০০,০০০ টাকা। এর মাঝে বিগত বছরের চাঁদার পরিমান ৩০,০০০ টাকা(বিগত বকেয়া) এবং আগামী বছরের চাঁদার পরিমান ১০,০০০ টাকা(চলতি অগ্রিম)। বিগত বছর অগ্রিম চাঁদা পাওয়া গিয়েছিল ২০,০০০ টাকা। চলতি বছরে চাঁদা বকেয়া আছে ৪০,০০০ টাকা। ২০১৮ সালের আয়-ব্যয় হিসাবে চাঁদা আয় বাবদ কত টাকা দেখাতে হবে?
🎓 সমাধানঃ
আমরা জানি,
চলতি বছরের চাঁদা আয় = চলতি বছরে প্রাপ্ত চাঁদা + বিগত অগ্রিম – বিগত বকেয়া + চলতি বকেয়া – চলতি অগ্রিম।
=(২,০০,০০০+২০,০০০–৩০,০০০+৪০,০০০–১০,০০০) টাকা
=(২,০০,০০০+৬০,০০০–৪০,০০০) টাকা
=২,০০,০০০+২০,০০০ টাকা
= ২,২০,০০০ টাকা
[সরাসরি অগ্রিম আর বকেয়া বলে দেয়ায় এই ফর্মুলায়, এছাড়া এখানে মাসিক চাঁদার পরিমান বলা নেই। তানাহলে ফর্মুলা–১ এর মতোই হতো]
🎓 ফর্মুলা—৩ঃ
চলতি বছরের চাঁদা প্রাপ্তি = চলতি বছরে চাঁদা আয় – বিগত অগ্রিম + বিগত বকেয়া – চলতি বকেয়া + চলতি অগ্রিম
✅ সমস্যাঃ প্রাপ্ত মোট চাঁদার মধ্যে বিগত বছরের চাঁদা ১২,০০০ টাকা(বিগত বকেয়া) এবং আগামী বছরের ১৭,০০০ টাকা(চলতি অগ্রিম)। বিগত বছর অগ্রিম চাঁদা পাওয়া গিয়েছিল ৮,০০০ টাকা এবং চলতি বছর বকেয়া আছে ২,০০০ টাকা। আয়-ব্যয় হিসাবে এ বছরের চাঁদা বাবদ আয় ৫২,০০০ টাকা দেখানো হলে, এবছর মোট প্রাপ্ত চাঁদার পরিমান কত?
🎓 সমাধানঃ
আমরা জানি,
চলতি বছরের চাঁদা প্রাপ্তি = চলতি বছরে চাঁদা আয় – বিগত অগ্রিম + বিগত বকেয়া – চলতি বকেয়া + চলতি অগ্রিম
=(৫২,০০০–৮,০০০+১২,০০০–২,০০০+১৭,০০০)টাকা
=(৫২,০০০–১০,০০০+২৯,০০০) টাকা
=৪২,০০০+২৯,০০০ টাকা
=৭১,০০০ টাকা
✅✅ মোটামুটি এগুলো পড়ে নিলে আর চাঁদা সংক্রান্ত ম্যাথ গুলো বুঝে নিলে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না। ম্যাথ লিখিত অংশেও আসতে পারে। এগুলো পড়লেই হবে।
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- অনার্স ১ম বর্ষ বাংলা উপন্যাস-১ ১০০% কমন সাজেশন, Nu Super Suggestion Honors 1st Year বাংলা উপন্যাস-১ স্পেশাল শর্ট সাজেশন্স
- অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা সামাজিক সমস্যা,ব্যতিক্রম সামাজিক সমস্যা সাজেশন অনার্স ১ম বর্ষ
- অনার্স ৩য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ
- Honors 4th Year Viva Exam Preparation,National University Honours Final Year Viva Preparation