অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাসমূহ কি কি?, অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।
অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাসমূহ কি কি?, অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।
উত্তর : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সম্পদ হতে অর্থের সংস্থান করে তখন তাকে অভ্যন্তরীণ বলা হয় । অনেক ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থান বাহ্যিক অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। নিম্নলিখিত সুবিধাগুলোর কারণে বাহ্যিক অর্থসংস্থান অপেক্ষা অর্থসংস্থান বেশি পছন্দনীয়। নিম্নে অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের সুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো :
১. মালিকানা : এই ধরনের তহবিল ব্যবহার করার ফলে কোম্পানির মালিকানার কোনো পরিবর্তন আসে না। ফলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকে ।
২. নির্ভরশীলতা : কোনো প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ উৎস পর্যাপ্ত থাকলে বহিঃউৎসের উপর তেমন নির্ভর করতে হয় না। ফলে বহিঃউৎসের তহবিলের জন্য ব্যয় করতে হয় না। ফলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
৩. ঝামেলা কম : এ ধরনের অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে বাহ্যিক উৎসের উপর আর্থিক নির্ভরতা হ্রাস পায়। এর ফলে অর্থ সংগ্রহের ব্যয় ও ঝামেলা হতে রেহাই পাওয়া যায়।
৪. স্বার্থ রক্ষা : অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে মালিকদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে রক্ষিত হয়। ফলে কারবারের উন্নতি ত্বরাম্বিত হয়। কিন্তু বাহ্যিক অর্থসংস্থানের ফলে তা সম্ভব হয় না।
৫. কম ব্যয় : অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে বাধ্যতামূলকভাবে সুদ দিতে হয় না, কিন্তু বাহ্যিক অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সুদ দিতে হয়। ফলে এ ধরনের তহবিল সংগ্রহে ব্যয় অত্যন্ত কম।
৬. নিয়ন্ত্রণ : অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায়সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে কোম্পানির অর্থসংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় না। এতে কোম্পানির মালিকানার বিস্তৃতি ঘটে না . এবং নিয়ন্ত্রণের কোনো সমস্যা দেখা দেয় না ৷
৭. জামানত : ঋণের মাধ্যমে অর্থসংস্থান করতে গেলে জামানতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে কোনো জামানতের প্রয়োজন হয় না ।
৮. বিধিনিষেধ : অভ্যন্তরীণ অর্থসংস্থানের জন্য আইনগত কোনো বিধিনিষেধ আরোপিত হয় না। তাই যখন অর্থের প্রয়োজন হয় কেবলমাত্র তখনই অর্থ সরবরাহ করা সম্ভব হয় ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।