অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?

অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?,বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ বিবৃত কর,একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর ৷

অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?

ভূমিকা : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে যে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় তাকে অর্থায়নের অভ্যন্তীণ উৎস বলা হয় । অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. অবণ্টিত মুনাফা : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তথা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মুনাফা মালিকদের মধ্যে বণ্টন না করে উহা ঐ প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণকল্পে রক্ষিত হলে তাকে অবণ্টিত মুনাফা বলে । অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহের মধ্যে অবণ্টিত মুনাফার গুরুত্ব সর্বাধিক। লাভ-ক্ষতি হিসেবের ক্রেডিট উদ্বৃত্ত, সাধারণ সঞ্চিতি, লভ্যাংশ সমতা তহবিল, নিমজ্জিত তহবিল, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ তহবিল ইত্যাদি খাতসমূহ অবণ্টিত মুনাফার অন্তর্ভুক্ত ।

২. জমাকৃত তহবিল : ব্যবসায়ের অর্জিত মুনাফা হতে লভ্যাংশ বণ্টনের পূর্বে কিছু কিছু দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন ধরনের তহবিল সৃষ্টি করা হয়। যেমন : সাধারণ তহবিল ইত্যাদি। এ সকল তহবিলের অপ্রদত্ত অংশ ব্যবসায়ের সাময়িক প্রয়োজন মিটাতে ব্যবহার করা হয়।

৩. আয়কর সঞ্চিতি : সরকারকে আয়কর ও অন্যান্য কর প্রদানের প্রয়োজন হলে পূর্ব হতেই অর্থ বরাদ্দ করতে হয়। কিন্তু এরূপ কর সাধারণত বছরের শেষে বা পরবর্তী বছরের প্রথম দিকে প্রদান করা হয়। সুতরাং যে অর্থ কর বাবদ পৃথক করে রাখা হয় তা সাময়িকভাবে ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।

৪. অবচয় : অপচয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের অন্যতম উৎস। স্থায়ী সম্পত্তির অবচয় ব্যবসায়ের খরচরূপে গণ্য হয় কিন্তু এ খরচের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করতে হয় না। সুতরাং স্থায়ী সম্পত্তি হতে প্রতি বৎসর অবচয় বাবদ যে অর্থ কর্তন করা হয় তা তহবিলের একটি বৃহৎ উৎস হিসেবে। সম্পত্তির আয়ুষ্কাল শেষে সম্পত্তির প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় বলে সম্পত্তি প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অবচয় বাবদ সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার করতে পারে।

৫. কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড : শ্রমিক ও কর্মচারীদের পাওনা হতে নির্দিষ্ট হারে কিছু অংশ কেটে এ তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে কাজ করে।

৬. অতিরিক্ত স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয় : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পত্তি কাম্য পরিমাণ অপেক্ষা বেশি হলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান উক্ত অব্যবহৃত স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয় করে অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন করতে পারে ।

৭. পাওনাদারদের পাওনা স্থগিতকরণ : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনায় অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ উল্লেখ করা হলো। এদের মধ্যে অবণ্টিত মুনাফার গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসগুলো কি কি?,বিভিন্ন ধরনের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ বিবৃত কর,একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর ৷

Leave a Comment