প্রশ্ন সমাধান: অভ্যন্তরীণ বানিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখাও, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য কি?, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলতে কী বােঝ?,অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পার্থক্য,পার্থক্য অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে (Domestic trade)ঃ
কোন দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে যে বাণিজ্য বা ক্রয়-বিক্রয় কার্য সম্পাদিত হয় তখন তাকে অভ্যন্তরীন বাণিজ্য বলে। আমরা জানি যে, একটি দেশে উৎপাদিত পণ্য বা সেবা দেশে এবং দেশের বাইরে বিক্রি হতে পারে। যখন পণ্য বা সেবা দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হয় তখন এটিকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অপর নাম দেশীয় বাণিজ্য ( domestic trade). কোনো দেশের জিডিপির বেশিরভাগ অবদান অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য থেকে আসে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য (International trade)ঃ
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশই তার নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা নিজস্ব উদ্যোগে এবং দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন করতে পারে না। এর প্রধান কারণ হলো, সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং কাঁচামাল তথা প্রাকৃতিক সম্পদ কোন একটি দেশে আনুপাতিক হারে বিদ্যমান নয়। কোন একটি বিশেষ প্রাকৃতিক সম্পদ হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় অধিক হারে বিদ্যমান, আবার কোন একটি প্রাকৃতিক সম্পদ প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। তাই রাষ্টত্থসমূহ কোন কোন দ্রব্য প্রয়োজনের তুলনায় অধিক হারে উৎপাদন করে এবং অতিরিক্ত পরিমাণ দেশের বাইরে রপ্তানি করে। একইভাবে, রাষ্টত্থসমূহ যে সকল দ্রব্য প্রয়োজনের তুলনায় কম হারে উৎপাদন করে সে সকল দ্রব্য বাইরে থেকে আমদানি করে তাদের নাগরিকদের সামগ্রিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলতে তাই বুঝায়, বিভিন্ন রাষ্টেত্থর মধ্যে বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যসামগ্রীর আদান-
প্রদান।
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে দ্রব্য ও সেবার বিনিময়কে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে। অন্যদকিে বভিন্ন সার্বভৌম দেশের মধ্যে দ্রব্য ও সেবার বিনিময়কে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলে।
২। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম হয় না। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম হয়।
৩। একই দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনের উপাদানসমূহ শ্রম, মূলধন ও উদ্যোক্তা অত্যন্ত গতিশীল হয়। অন্যদকিে বিভিন্ন দেশের মধ্যে জলবায়ু, সামাজিক রীতিনীতি, ভাষা এসবের পার্থক্যের কারণে উৎপাদনের উপাদানসমূহ সহজে গতিশীলতা লাভ করতে পারে না।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৪। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য বা অসুবিধার সৃষ্টি হয় না। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কারণ এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে বিনিময় হার নিরূপণের প্রয়োজন হয়।
৫। এই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নীতির কোনো বিভিন্নতা নেই, অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের উপর সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সম্পূর্ণ প্রভাব রয়েছে। অন্যদকিে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নীতির বিভিন্নতা রয়েছে। এরূপ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহু দেশ অংশগ্রহণ করে বিধায় বিভিন্ন দেশের সরকারের বিভিন্ন প্রকার নীতি ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
৬। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন হয় না। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য পৃথক বাণিজ্য নীতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের জন্য পৃথক পৃথক বাণিজ্য নীতির প্রয়োজন হয়।
৭। একই দেশের অভ্যন্তরে বাজারের মধ্যে সামাজিক রুচি, পছন্দ, রাষ্ট্রীয় রীতি-নীতি এসবের তেমন কোনো পার্থক্য লক্ষ করা যায় না। অন্যদকিে বিভিন্ন দেশের বাজারগুলো রাষ্ট্রের পৃথক পৃথক সীমানার দ্বারা পৃথকীকৃত। সামাজিক রুচি, পছন্দ, রাষ্ট্রীয় নীতি এসবের দ্বারা এক দেশের বাজারের সঙ্গে অপর দেশের বাজারের পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
৮। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের মাধ্যমে ভোগের পরিমাণ, ভোগ অভ্যাস স্থির থাকে। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে ভোগের পরিমাণ, ভোগ অভ্যাস পরিবর্তিত হয়। কারণ এক্ষেত্রে অনুৎপাদিত দ্রব্য ভোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৯। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে লেনদেনের ভারসাম্যের কোনো সমস্যা নেই। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেনের সমস্যা বেশ জটিল ও চিরন্তন। এ রূপ বাণিজ্যে লেনদেনের ভারসাম্যের সমতা স্থাপনের জন্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন, মুদ্রা সংকোচন, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
১০। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভিন্ন সার্বভৌম দেশের মধ্যে সংঘটিত হয়।
১১। একই দেশের ভেতরে কারখানা আইন, শ্রম ও রাজস্বনীতি ইত্যাদি প্রায় একই রকম থাকে। অন্যদকিে বিভিন্ন দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা বিভিন্ন ধরনের হয় বলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে একই ধরনের দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
১২। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে পরিবহন ব্যয় তুলনামূলক কম এবং বিমা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পরিবহন ব্যয় তুলনামূলক অধিক এবং বিমা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক।
১৩। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের তেমন রাজনৈতিক প্রভাব নেই। অন্যদকিে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রায় রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হয়।
অভ্যন্তরীণ বানিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখাও
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization