আধুনিক পোর্টফোলিও তত্ত্ব আলোচনা কর, আধুনিক পোর্টফোলিও তত্ত্ব বর্ণনা কর,কিভাবে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তা আলোচনা কর
আধুনিক পোর্টফোলিও তত্ত্ব আলোচনা কর
উত্তর : আধুনিক পত্রকোন তত্ত্ব বা Modem Portfolio Theory – এর জনক হচ্ছেন হ্যারি মারকুইজ (Harry Markowitz)। হ্যারি কুইজ ১৯৫০ সালে এ তত্ত্বের ধারণা
পোর্টফোলিও নীতিমালা উন্নয়ন আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্বের মূল । কথা। অর্থাৎ যে নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগ পত্ৰ কোষ যথাযথ ও দক্ষ করা যায় তাই হচ্ছে আধুনিক পত্ৰকোষ তত্ত্ব। হ্যারি মারকুইজ-এর আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্ব সংক্রান্ত ধারণাটি প্রকৃতপক্ষে ১৯৫২ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ বর্তমানে এ তত্ত্বটি ৫৫ বছরেরও বেশি সময় আগের একটি ধারণা।
এ সময়েও Modern Portlio Theory বা আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্বটি সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়তার সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি এখন আরও বেশি বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ। তথ্যাদি ও আধুনিক বিনিয়োগ বিনিয়োগ পত্ৰকোষ তত্ত্বের প্রাথমিক প্রভাব পত্রকোষ তত্ত্বের প্রাথমিক পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনার উপর পড়ে।
কারণ, এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামো প্রদান করে, যার মাধ্যমে পদ্ধতিগতভাবে পোর্টফোলিও.নির্বাচন করা হয়ে থাকে প্রত্যাশিত আয় ও ঝুঁকির নীতিমালার মাধ্যমে। তাই অধিকাংশ পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্বের মৌলিক নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন।
বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্ব চিন্তা করা বা পোর্টফোলিও নির্বাচনে আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্ব ব্যবহার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ. পত্রকোষ তত্ত্ব হলো সাহায্যকারী এমন এক ধরনের কৌশল যা বিনিয়োগকারীকে কিভাবে অনুকূলভাবে বহুবিধকরণ বা বৈচিত্র্যকরণ করা যায় সে সম্পর্কে সাহায্য করে থাকে ।
অতএব, হ্যারি মারকুইজ প্রবর্তিত যে নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকি সর্বনিম্ন ও আয় সর্বোচ্চকরণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ পত্রকোষ যথাযথ ও দক্ষ করা হয় তাকে আধুনিক পত্রকোষ তত্ত্ব বা Modern Portfolio Theory বলে ।
কিভাবে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তা আলোচনা কর
সাধারণত পত্রকোষ ঝুঁকি বলতে আমরা বিভিন্ন আর্থিক হাতিয়ার বা বিভিন্ন প্রকল্পের সমন্বয়ে গঠিত একটি ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চায়। এ কারণে তারা তাদের বিনিয়োগ ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে পছন্দ করে যাতে বিনিয়োগ ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকে এবং এই উদ্দেশ্যেই বিনিয়োগ পত্রকোষ গঠন করা হয়।
পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস : কিভাবে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস করা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. বৈচিত্র্যকরণের জন্য সিকিউরিটির সংখ্যা : অনেক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যায় যে, সাধারণত সঠিক ও যথাযথ বৈচিত্র্যাকরণের জন্য ১৫-২০টি সিকিউরিটিই যথেষ্ট ।
২. বৈচিত্র্যকরণ : ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রধান হাতিয়ার হলো বৈচিত্র্যকরণ। বৈচিত্র্যকরণের দ্বারা বিনিয়োগকারীর আয়ের উপর তেমন প্রভাব না ফেলে ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। অতএব পত্রকোষ গঠনের মাধ্যমে সিকিউরিটিসমূহের বৈচিত্র্যকরণ করা হয় ।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩. কার্যকর বৈচিত্র্যকরণ : এক্ষেত্রে এলোপাতাড়িভাবে বিপুলসংখ্যক সিকিউরিটি বিনিয়োগ করা হয় না। এক্ষেত্রে আর্থিক নীতিমালা বিনিয়োগ কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে সিকিউরিটি নির্বাচন করা হয়।
৪. ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্যকরণ : সাধারণত এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী শুধু এলোপাতাড়িভাবে অনেকগুলো সিকিউরিটি নির্বাচন করা হয়। যেমন- প্রত্যাশিত আয়, শিল্পের প্রকারভেদ ইত্যাদি বিবেচনা করা হয় না ।
৫. আন্তর্জাতিক বৈচিত্র্যকরণ : আন্তর্জাতিক বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সে তার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৈরি করতে পারে এবং ঝুঁকি হ্রাসের দ্বারা তার প্রকল্পকে লাভজনক করে তুলতে পারে । বর্তমান বিশ্বায়ন অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বৈচিত্র্যকরণের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন বিনিয়োগকারী শুধু নিজ দেশই নয় অন্যান্য দেশেও সুবিধা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারে।
উপসংহার : আলোচনা পরিশেষে বলা যায়, উক্ত আলোচ্য বিষয়ের মাধ্যমে পোর্টফোলিও ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে ।