বিষয়: আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন, ভাবসম্প্রসারণ রচনা আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে , আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ভাবসম্প্রসারণ রচনা, আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ভাবসম্প্রসারণ PDF Download, নিয়োগ পরীক্ষায় আসা আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন:০১
কোনাে উপদেশ অন্যকে দেওয়ার আগে নিজেকে তা পালন করতে হবে। উপদেশ দেওয়া আর উপদেশ পালন করা এক কথা নয়। উপদেশ দেওয়া যত সহজ উপদেশ পালন তত সহজ নয়। কারণ উপদেশ দাতাকে আগে উপদেশটি পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয় । তা না হলে তার উপদেশ পালন করতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করবে না। প্রতিনিয়তই আমরা নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের নানা স্তরের মানুষ, বন্ধু-বান্ধব একে অপরকে নানা বিষয়ে উপদেশ দিই। যে উপদেশ দেওয়া হল কিংবা যে নীতির কথা বলা হল সে-গুণাবলি নিজের মধ্যে রয়েছে কিনা তা আমরা খুব কমই বিবেচনা করি।
অবলীলায় আমরা সবাইকে ভালাে হবার উপদেশ দিই, অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেরা ভালাে নই। সুতরাং আমাদের সকলেরই উচিত অন্যকে ভালাে মানুষ হওয়ার উপদেশ দেওয়ার আগে নিজেরা ভালাে মানুষে পরিণত হওয়া। একইভাবে যিনি উপদেশ দানে যােগ্য নেতা হবেন তাকে সকলের আগে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার মতাে গুণাবলি অর্জন করতে হবে।
পৃথিবীর উন্নত জাতিগুলাের ইতিহাস পর্যালােচনা করলে আমরা জানতে পারি, তারা তাদের চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠার শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। মহানবী (স) একটি শিশুকে মিষ্টি না খাওয়ার উপদেশ দেওয়ার জন্য পনের দিন চেষ্টা করে তিনি মিষ্টি খাওয়া ত্যাগ করেছিলেন- এ কথা কে না জানে। বস্তুত নিজের জীবনে মহৎ গুণাবলি অর্জন করতে পারলেই অন্যকে মহৎ হওয়ার উপদেশ দেওয়ার যােগ্যতা অর্জন করা যায়।
আমাদেরও উচিত অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজেকে সে বিষয়ে যােগ্য করে তোলা। যে বিষয় নিজে পালন করব না তার সম্পর্কে উপদেশ দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
আরো ও সাজেশন:-
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন:০২
মূলভাবঃ
উপদেশ দেওয়ার মানুষের অভাব হয় না। আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা উপদেশ দিতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের নিজেদের জীবনে সে কাজের প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায় না। এমন ব্যক্তিরা যখন কাউকে কোনো কিছু শিক্ষা দিতে চেষ্টা করেন, তখন সেটা খুব কমই গ্রহণযোগ্য হয়। ভালো কাজ করতে বলা খুবই সহজ, কিন্তু ভালো কাজ করে দেখানোটা খুবই কঠিন।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ
মানবজাতির ধর্মই হলো অন্ধকার ও নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ। এইসব খারাপ কাজে মানুষ সহজাত প্রবৃত্তিগত কারণেই আকৃষ্ট হয়। এসব থেকে দূরে থেকে জীবনে সুন্দর ও সত্যের বিকাশ ঘটানোই প্রতিটি মানুষের করণীয়। কিন্তু এসব মিথ্যা ও অন্ধকারের হাতছানিকে উপেক্ষা করে জীবনে সততার পথ অবলম্বন করা ভীষণ কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি নিজেরা সম্পাদন করার পরই কেবল অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। তবেই সেই শিক্ষা অর্থবহ হয়ে উঠবে। একজন নীতিবান মানুষ তার সারাজীবনে ন্যায়, নীতি ও অনুশীলন করলেই কেবল অন্যরা তার নিকট থেকে উপদেশ গ্রহন করবে।
মহানবী (স.) এর নিকট একদা এক মা এসে তার ছেলেকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সেই মাকে এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেন। সেই এক সপ্তাহে তিনি আগে মিষ্টি খাওয়া পরিহার করেন, তারপর সেই ছোট ছেলেটিকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন। এই উদাহরণ আরো স্পষ্ট করে যে, নিজে না করে, অন্যকে কিছু করতে বলাটাই অন্যায়। শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, অন্যান্য সকল ধর্মেই একই কথা বলা হয়েছে। গুণীজনদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও আমরা তাদের চরিত্রে এই গুণেরই চর্চা দেখতে পাই। সুতরাং উপদেশ দেয়ার আগে আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে আমরা নিজেরা কাজটি করতে কতটুকু সক্ষম।
শিক্ষাঃ
যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে উপদেশ প্রদানের পূর্বশর্ত হলো নিজে সেই কাজের যথার্থ অনুশীলন করা। নিজে সে কাজ করে দেখাতে না পারলে উপদেশ অর্থহীন হয়ে পড়ে। নিজে করে অপরকে শিক্ষা দিলেই, কেবলমাত্র সেই শিক্ষা গ্রহণযোগ্য হয়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন:০৩
একটি ভাব সম্প্রসারণের মূলত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত হয়। মূলভাব, সম্প্রসারিত ভাব ও শিক্ষা। ঠিক তেমনিভাবে আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ভাবসম্প্রসারণ মোট তিনটি অংশের সমন্বয়ে লিখতে হবে। চলুন আজকের ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
মূলভাব:
আমাদের সমাজে উপদেশ দেওয়ার মানুষের অভাব নেই। আমাদের সমাজ ও দেশে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা উপদেশ দিতে খুবই পছন্দ করে থাকে। তবে তাদের নিজেদের জীবনে সে কাজের প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায় না। অর্থাৎ তারা যে কাজের উপদেশ দেয় তারা সেই কাজে নিজেকে সফল করতে পারে না। অসফল ব্যক্তিরা যখন কাউকে কোনো কিছু শিক্ষা দিতে চেষ্টা করে,তখন কিন্তু সেটা খুব কমই গ্রহণযোগ্য মনে হবে। ভালো কাজ করতে বলা খুবি সহজ, তবে ভালো কাজ করে দেখানো অনেক কঠিন। অর্থাৎ সবাই ভালো কাজের উপদেশ দিতে পারলেও, সেই কাজটা করে দেখাতে কেউ পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব:
মানবজাতির স্বভাব হলো অন্ধকার ও নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ। অর্থাৎ আমরা সবাই অন্ধকার ও নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিবেশী আকর্ষিত হয়ে পড়ি। কারণ এই সব খারাপ কাজে মানুষ সহজাত প্রবৃত্তিগতে আকৃষ্ট হয়। তবে মানুষের উচিত এসব থেকে দূরে থেকে জীবনে সুন্দর ও সত্যের বিকাশ ঘটানোই প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু এসব মিথ্যা ও অন্ধকার জীবনকে উপেক্ষা করে সততার পথ অবলম্বন করা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়।
আর এই কঠিন কাজটি নিজে সম্পূর্ণ করার পরই কেবল অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। অর্থাৎ আমি আগে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করার পর,অপরকে সেই জিনিসটা শিক্ষা দিলে বেশি প্রাধান্য পাওয়া যাবে। তবেই সেই শিক্ষা মানুষের কাছে অর্থবহ হয়ে উঠবে ও অধিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে। একজন নীতিবান ও সত্যিকারের মানুষ তার সারাজীবনে ন্যায়, নীতি, বিনয়ী ও উদারতা প্রকাশ করলেই কেবল অন্যরা তার নিকট থেকে উপদেশ গ্রহন করবে। তখন আর আপনার কে অন্যকে উপদেশ দিতে হবে না। অন্য সকল মানুষ আপনার নিকটস্থে উপদেশ নিতে আসবে।
চলুন এই বিষয়ে একটি বাস্তব উদাহরণ বলা যাক। এখনো এক মহিলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছে এসে একটি বিষয়ে পরামর্শ চান। সে মহিলার ছেলে মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করে। তখন সেই মহিলা মহানবী মুহাম্মদ (সা) কে তার ছেলেকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করার জন্য অনুরোধ করেন। তখন মহানবী মুহাম্মদ (সা) সেই মহিলাকে আগে মিষ্টি পরিহার করতে বলেন। তারপর তার সন্তানকে মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত রাখতে বলতে পারবে।
মহানবী মুহাম্মদ (সা) সেই মাকে এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেন। তারপর এক সপ্তাহে তিনি আগে মিষ্টি খাওয়া পরিহার করেন, তারপর সেই ছোট ছেলেটিকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন। এই উদাহরণ আরো স্পষ্ট করে যে, নিজে না করে, অন্যকে কিছু করতে বলাটাই অন্যায়। ধরুন আপনার সন্তান যদি সিগারেট খায়। তাহলে আপনাকে প্রথমে সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তারপর আপনার ছেলেকে সিগারেট খাওয়া থেকে নিষেধ করতে হবে। তাহলে দেখবেন এটা কাজে লাগবে।
শুধু আমাদের ইসলাম ধর্মেই এই কথা আছে তা কিন্তু নয়, অন্যান্য প্রায় সকল ধর্মেই একই কথা বলা আছে। ইসলামী মনীষী ও গুণীজনদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আপনি এই বিষয়টি দেখতে পারবেন। তাদের চরিত্রে এই গুণেরই গুণান্বিত ছিল। তারা সব সময় আগে ভালো কাজ করতো। তারপর অন্য সকল মানুষকে ভালো কাজ করার জন্য উপদেশ দিতো। সুতরাং উপদেশ দেয়ার আগে আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে আমরা নিজেরা কাজটি করতে কতটুকু সক্ষম।
শিক্ষা:
আজকের ভাবসম্প্রসারণ থেকে আমরা এই শিক্ষা অর্জন করলাম যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে উপদেশ দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো নিজে সেই কাজের যথার্থ অনুশীলন করা। অর্থাৎ, অন্যকে যেকোনো কাজে উপদেশ দেওয়ার আগে আপনাকে আগে সেই কাজটি করতে হবে। আপনি যদি সেই কাজে নিজেকে জড়িত করতে না পারেন। তাহলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোন লাভ হবে না।
পরিশেষে কিছু কথা
এই ছিল আজকে আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা। এই ভাব সম্প্রসারণের মূল শিক্ষা হলো নিজে ভাল কাজ করার পর, অন্যকে সেই কাজের উপদেশ দেওয়া। অর্থাৎ, না আপনি যদি সত্যবাদী না হয়ে অন্যকে সত্যবাদী করার চেষ্টা করেন। তাহলে কিন্তু এটা কখনোই সম্ভব হবে না। এর মূল কারণ হলো আপনাকে আগে সত্যবাদী হতে হবে। তারপর আপনি অন্যকে সত্যবাদী করতে পারবেন।
আদিকাল থেকে এই রীতিনীতি চলে আসছে। কিয়ামত হওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিক একই রকম থাকবে। তাই শুধু পড়াশোনা নয় বাস্তব জীবনে সকল ক্ষেত্রে আমাদের এই ভালো গুণটি প্রয়োগ করতে হবে। যা দ্বারা মানুষ ভালো কাজের উৎসাহিত পেতে পারে। এইজন্য আমাদের সবার উচিত নিজেকে ভালো কাজের সাথে সবসময় জড়িত রাখা। তাহলে অন্যরা আপনার ভালো কাজের উৎসাহ পেয়ে নিজেরাও ভালো হবে।
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন:০৪
উপদেশ দেওয়ার মানুষের অভাব হয় না। আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা উপদেশ দিতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের নিজেদের জীবনে সে কাজের প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায় না। এমন ব্যক্তিরা যখন কাউকে কোনো কিছু শিক্ষা দিতে চেষ্টা করেন, তখন সেটা খুব কমই গ্রহণযোগ্য হয়। ভালো কাজ করতে বলা খুবই সহজ, কিন্তু ভালো কাজ করে দেখানোটা খুবই কঠিন। মানবজাতির ধর্মই হলো অন্ধকার ও নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ।
এইসব খারাপ কাজে মানুষ সহজাত প্রবৃত্তিগত কারণেই আকৃষ্ট হয়। এসব থেকে দূরে থেকে জীবনে সুন্দর ও সত্যের বিকাশ ঘটানোই প্রতিটি মানুষের করণীয়। কিন্তু এসব মিথ্যা ও অন্ধকারের হাতছানিকে উপেক্ষা করে জীবনে সততার পথ অবলম্বন করা ভীষণ কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি নিজেরা সম্পাদন করার পরই কেবল অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়া উচিত।
তবেই সেই শিক্ষা অর্থঃ বহ হয়ে উঠবে। একজন নীতিবান মানুষ তার সারাজীবনে ন্যায়, নীতি ও অনুশীলন করলেই কেবল অন্যরা তার নিকট থেকে উপদেশ গ্রহন করবে। মহানবী (স.) এর নিকট একদা এক মা এসে তার ছেলেকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সেই মাকে এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেন।
সেই এক সপ্তাহে তিনি আগে মিষ্টি খাওয়া পরিহার করেন, তারপর সেই ছোট ছেলেটিকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন। এই উদাহরণ আরো স্পষ্ট করে যে, নিজে না করে, অন্যকে কিছু করতে বলাটাই অন্যায়। শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, অন্যান্য সকল ধর্মেই একই কথা বলা হয়েছে। গুণীজনদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও আমরা তাদের চরিত্রে এই গুণেরই চর্চা দেখতে পাই। সুতরাং উপদেশ দেয়ার আগে আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে আমরা নিজেরা কাজটি করতে কতটুকু সক্ষম।
,
শিক্ষা: যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে উপদেশ প্রদানের পূর্বশর্ত হলো নিজে সেই কাজের যথার্থ অনুশীলন করা। নিজে সে কাজ করে দেখাতে না পারলে উপদেশ অর্থঃ হীন হয়ে পড়ে। নিজে করে অপরকে শিক্ষা দিলেই, কেবলমাত্র সেই শিক্ষা গ্রহণযোগ্য হয়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন:০৫
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে চলে। এজন্য সে মানবতার কল্যাণে কাজ করে, পাশাপাশি যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। সমাজে মানুষ তার কর্মের কারণে দুই ভাগে বিভক্ত। উত্তম এবং অধম। উত্তম সর্বদাই মানব কল্যাণে নিয়োজিত। যাবতীয় ভালো এবং জনহিতকর কাজ সে সম্পাদন করে থাকে। অপরদিকে অধম কখনোই মানবকল্যাণে নিয়োজিত হয় না। মানবধর্ম ভুলে সে আপন কাজে ব্যস্ত হয়। সমাজ-সংসার তাদের কাছ থেকে কিছুই পায় না। কোনো সমাজেই সে অনুকরণীয় হতে পারে না।
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমাদের রয়েছে বিবেকবোধ, চিন্তার ক্ষমতা এবং ভাল-মন্দ নির্ণয়ের ক্ষমতা। যে তার স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে ভাল-মন্দের বিচার না করে খারাপ কাজে লিপ্ত হয় সে সমাজে অধম হিসেবে বিবেচিত হয়। উত্তম স্বভাবের মানুষ সমাজের অন্য মানুষদের উত্তম হওয়ার প্রেরণা যোগায়। দুনিয়ার সর্বত্রই উত্তম মানুষগণ শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার সাথে স্মরণীয়। অন্যদিকে অধম কোনো সমাজেই সমাদৃত নয়।
একজন মানুষ তার জ্ঞান, বুদ্ধি, চিন্তাশীল মনের প্রখরতা দিয়ে সমাজে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করে। অধম সব সময়ই অকল্যাণকর কাজে রত। উত্তম এবং অধমের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় তাদের কাজ, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। আর সেজন্যই উত্তম সর্বদা অধমের চেয়ে আলাদা। সে কখনোই অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে না। উত্তম তাই অধম থেকে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে এবং সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। মূলত ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকলে মানুষ শত অধমের সঙ্গে থেকেও ভালো মানুষ তথা উত্তম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে কী কী?, সর্বকালের সেরা ২০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে
- বৃষ্টির আবহাওয়ায় আমার মোটরসাইকেলের যত্ন
- কিভাবে মরিচা থেকে আপনার মোটরসাইকেলকে রক্ষা করবেন?, বাইকে মরিচা কিভাবে দূর করা যায় ?