আমাদের জীবন ও সম্পত্তির ঝুকি আবহমানকাল থেকে মানুষ সহজ ভাবে মেনে আসলেও সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে কারাে মৃত্যু বা সম্পদের ক্ষতি ব্যাক্তি জীবন ও আর্থিক বিপর্যয়ে সম্মুখীন করতে না পারে, সেই জন্য মানুষ কি ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তােলে।
নির্দেশনাঃ
ক. বীমা কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।
খ. বীমা চুক্তির বৈশিষ্ট্য লিখবে।
গ. বীমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করবে।
উত্তর সমূহ
ক. বীমা কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।
উত্তর :
প্রযুক্তিগত ভাষায়, এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একধরণের যাতে বিমাপ্রাপ্ত সত্তা সামান্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে সম্ভাব্য ক্ষতির ব্যয় অন্য সত্তায় স্থানান্তর করে। এই ক্ষতিপূরণ হিসাবে বলা হয়প্রিমিয়াম।
সহজ কথায় বলতে গেলে, এটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য সত্তাকে একক অঙ্কের অর্থ প্রদানের মতো। সুতরাং, যখন কোনও দুর্ভাগ্যের কোনও ঘটনা ঘটে, তখন বীমাকারী আপনাকে পরিস্থিতিটি পেতে সহায়তা করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বীমা হলো একটি চুক্তি। ইহা দুই পক্ষের মধ্যে একটি আইন সম্মত চুক্তি। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। অন্যপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।
প্রথম পক্ষ বীমাকারী এবং দ্বিতীয় পক্ষ বীমাগ্রহীতার মধ্যে যথাক্রমে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা সম্বলিত একটি চুক্তি। জীবন বীমার ক্ষেত্রে ক্ষতি পূরণ হয় না, মানুষের জীবনের কোন মূল্য পরিমাণ করা যায় না। তাই জীবন বীমার ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা হয়ে থাকে।
খ. বীমা চুক্তির বৈশিষ্ট্য লিখবে।
উত্তর :
আমরা যদি বীমা চুক্তির সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করি তবে বীমার কতকগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তাই বীমাচুক্তি পর্যালোচনার পর বীমা চুক্তির যে বৈশিষ্ট্যগুলো বেরিয়ে আসে তা বর্ণনা করা হলো ঃ
১. দুটি পক্ষ ঃ বীমা চুক্তির জন্য অন্ততঃ দুটি পক্ষের প্রয়োজন। যে পক্ষ নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে অন্যকে ঝুঁকি প্রদান করে তাকে বীমা গ্রহীতা বলে। অন্য পক্ষ যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ঝুঁকি গ্রহণ করে তাকে
বীমাকারী বলে।
২. বৈধ চুক্তি ঃ বীমা আইন অনুযায়ী বীমা একটি বৈধ চুক্তি। একটি বৈধ চুক্তির সকল শর্ত এতে বিদ্যমান।
৩. লিখিত চুক্তি ঃ বীমা চুক্তি অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
৪. ঝুুঁকি গ্রহণ ঃ বীমা চুক্তিতে এক পক্ষ প্রিমিয়ামের বিনিময়ে অপর পক্ষের ঝুুঁকি গ্রহণ করে।
৫. অনিশ্চিত চুক্তি ঃ বীমাকারী ও বীমাগ্রহীতা উভয়েই ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ঘটনা সামনে রেখেই চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। সে ঘটনা ঘটতে পারে আবার নাও ঘটতে পারে। জীবন বীমার ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ব্যতিক্রম আছে।
৬. শর্ত সাপেক্ষে চুক্তি ঃ ভবিষ্যতে কোন দূর্ঘটনা ঘটলেই কেবল মাত্র বীমাকারী ক্ষতি পূরণ দিবে। অন্যথায় বীমাকারীকে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে না।
৭. প্রিমিয়াম ঃ প্রিমিয়াম হলো বীমা গ্রহীতা বীমাকারীকে ঝুুঁকি গ্রহণের প্রতিদান হিসেবে যে অর্থ প্রদান করে। প্রিমিয়াম ব্যতিরেকে বীমা চুক্তি হয় না।
৮. বীমাযোগ্য স্বার্থ ঃ বীমা যোগ্য স্বার্থ হলো বীমা গ্রহিতার আর্থিক স্বার্থ। যে বিষয়ে বীমা করা হবে তার উপর বীমা গ্রহীতার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকতে হবে নতুবা বীমা চুক্তি বৈধ হবে না।
৯. একতরফা দায় ঃ বীমা গ্রহীতা বীমার প্রিমিয়াম প্রদান করার পর বীমাকারীর একক ভাবে চুক্তি অনুযায়ী দায় বহন করবে। তাই বীমা চুক্তিকে একতরফা চুক্তি ও বলা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১০. ক্ষতি পূরণের চুক্তি ঃ বীমা চুক্তির উদ্দেশ্য হলো প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমাকারীর ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া। লাভ করার কোন সুযোগ নেই। তাই বেশী পরিমাণ বীমা করা হলেও প্রকৃত ক্ষতির সমপরিমাণ ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়।
বীমাকারীকে লাভ করতে দেয়া হয় না।
১১. চূড়ান্ত বিশ্বাস ঃ বীমা চুক্তি চূড়ান্ত বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। কোন পক্ষ কোন প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করলে তা পরে প্রকাশিত হলে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। তাই উভয় পক্ষকেই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।
বীমাচুক্তির অপরিহার্য উপাদানসমূহ
বীমা চুক্তি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে বীমা চুক্তির দু ধরনের উপাদান আছে। এক চুক্তি হিসেবে চুক্তি আইন অনুসারে সকল উপাদান থাকতে হবে। দুই বীমার জন্য বিশেষ কিছু উপাদান থাকতে হবে। তাই বীমা চুক্তির উপাদানগুলো দু’ভাগে
ভাগ করা যায়।
যথা-
ক) আইনগত বা সাধারণ চুক্তির উপাদান সমূহ এবং
খ) বীমার সাথে সম্পৃক্ত বা বিশেষ উপাদান সমূহ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ক) আইনগত বা সাধারণ উপাদান সমূহ ঃ বীমা চুক্তি চুক্তি আইন অনুযায়ী একটি চুক্তি। তাই বীমা চুক্তির মধ্যে ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনে উলি−খিত চুক্তির সকল শর্ত বিদ্যমান থাকতে হবে। তাই বীমা চুক্তির মধ্যে যেসব সাধারণ শর্ত বা উপাদান সমূহ থাকতে হবে তা নিুে আলোচনা করা হলো ঃ
১. একাধিক পক্ষ ঃ যেকোন চুক্তির জন্য অন্ততঃ দু’টি পক্ষ থাকতে হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। বীমার ক্ষেত্রে বীমা গ্রহীতা ও বীমাকারী দুটি পক্ষ থাকে।
২. প্রস্তাব ঃ ১৯৭২ সালের চুক্তি আইনের ২(ক) ধারা অনুযায়ী “যখন কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির সম্মতি লাভের উদ্দেশ্যে কিছু করা বা করা থেকে বিরত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে তখন প্রথমোক্ত ব্যক্তি শেষোক্ত ব্যক্তির নিকট একটা
প্রস্তাব করেছে বলে ধরে নেয়া হয়।” বীমার ক্ষেত্রেও প্রস্তাব থাকতে হবে।
৩. স্বীকৃতি ঃ যে পক্ষকে প্রস্তাব করা হয় সে পক্ষ যদি কোনরূপ শর্ত যুক্ত না করে প্রস্তাব গ্রহণ করে তবে তাকে স্বীকৃতি বলা হয়। বীমার ক্ষেত্রেও অনুরূপ স্বীকৃতি থাকতে হবে।
৪. সম্মতি ঃ যখন কোন চুক্তির উদ্দেশ্যে উভয় পক্ষ কোন কিছু করা বা না করার জন্য ঐক্যমত পোষণ করে তখন তাকে সম্মতি বলে। এটা চুক্তির অন্যতম শর্ত। বীমার ক্ষেত্রেও অনুরূপ সম্মতি থাকতে হবে।
৫. আইনগত সম্পর্ক ঃ চুক্তির ফলে উভয়ের মধ্যে আইনগত সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কোন পক্ষ ইচ্ছাকৃত চুক্তি ভঙ্গ করলে অপর পক্ষ ক্ষতি পূরণের জন্য মামলা দায়ের করতে পারে। বীমাচুক্তির ফলে বীমাকারী ও বীমা গ্রহীতা উভয়ের মধ্যে
আইনগত সম্পর্ক স্থাপন হয়।
৬. আইনানুগ উদ্দেশ্য ঃ কোন চুক্তির উদ্দেশ্য আইন সিদ্ধ হতে হবে বে আইনী হলে চুক্তি বাতিল হবে। বীমা চুক্তির উদ্দেশ্য আইন সঙ্গত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৭. চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা ঃ কোন নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ও মস্তিষ্ক বিকৃত ব্যক্তি চুক্তি করার অযোগ্য। তাই বীমা করার জন্য ও আইনগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
৮. স্বেচ্ছা ও স্বাধীন সায় ঃ চুক্তি আইন অনুযায়ী সায় বা সম্মতি স্বেচ্ছা বা স্বাধীন ভাবে হতে হবে। কোনরূপ বল প্রয়োগ অনুচিৎ প্রভাব, মিথ্যা বর্ণনা বা প্রতারণার মাধ্যমে সায় আদায় করলে চুক্তি বৈধ হবে না। বীমার ক্ষেত্রে সায় স্বাধীন
ভাবে হতে হবে।
৯. নির্দিষ্ট বা নিশ্চয়তা ঃ চুক্তি আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী যদি কোন সম্মতির উদ্দেশ্য নির্দিষ্টকারী না হয় তবে তা চুক্তি হবে না। তাই বীমা চুক্তির ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
১০. চুক্তি পালনের সম্ভাব্যতা বা যৌক্তিকতা ঃ চুক্তি আইনের ৫৬ ধারা অনুসারে কোন অযৌক্তিক বা অবাস্তব কার্য সম্পাদনের জন্য কোন চুক্তি হলে তা অবৈধ হবে। যেমন- মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করার শর্তে প্রচুর অর্থ প্রদানের
প্রতিশ্রুতি।
১১. লিখিত ও নিবন্ধন কৃতঃ চুক্তি হতে হলে কিছু ব্যতিক্রম বাদে চুক্তি অবশ্যই লিখিত হতে হবে। বীমার ক্ষেত্রে চুক্তি লিখিত হতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
খ) বীমা ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত বা বিশেষ উপাদানসমূহ ঃ বীমা চুক্তির জন্য সাধারণ চুক্তির শর্ত ব্যতিরেকে বিশেষ কিছু শর্ত থাকা আবশ্যক নতুবা বীমা চুক্তি হবে না। বীমা চুক্তির বিশেষ উপাদানগুলো বর্ণনা করা হলো ঃ
১. বীমা যোগ্য স্বার্থ ঃ বীম যোগ্য স্বার্থ বলতে আর্থিক স্বার্থকে বুঝায়। এর অর্থ হলো বীমাকারী যে বিষয়ে বীমা করছে যদি তা ক্ষতি না হয় তবে সে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে আর ক্ষতি হলে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হবে। বীমা চুক্তি
হতে হলে বীমা গ্রহীতার বীমার বিষয় বস্তুর উপর বীমা যোগ্য স্বার্থ থাকতে হবে।
২. চূড়ান্ত বিশ্বাস ঃ এর অর্থ হলো উভয় পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য একে অপরকে খুলে বলবে। কোন তথ্য গোপন করবে না। যদি গোপন করে এবং তা পরবর্তিতে ধরা পড়ে তবে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। বীমার ক্ষেত্রে এক পক্ষ অপর
পক্ষকে অবশ্যই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খোলামনে পরিবেশন করবে।
৩. ক্ষতি পূরণ ঃ বীমা চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বীমা গ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতি পূরণ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। কিন্তু বীমার মাধ্যমে বীমা গ্রহীতা লাভ করতে পারবে না। সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণের জন্য বীমা করা হয়। লাভ
করার জন্য নয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৪. স্থলাভিষিক্ততা ঃ বীমা গ্রহীতার কোন বীমাকৃত বস্তু বা সম্পদের ক্ষতি সাধন হলে বীমাকারী ক্ষতি পূরণ করে যাতে বীমাকারী পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। তবে আরো শর্ত থাকে যে বীমা কারীকে পূর্ণ ক্ষতি পূরণ দেবার পর ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুর মালিক তখন বীমাগ্রহীতার স্থলে বীমা কারী হয়। এটাকেই স্থলভিষিক্ততা বলে যা বীমা চুক্তির অপরিহার্য
উপাদান।
৬. নিকটতম কারণ ঃ বীমাকৃত বিষয়বস্তু বা সম্পদের ক্ষতি হলে যে কারণে ক্ষতি হয় তা যদি বীমাকৃত থাকে তবে বীমার টাকা পাবে। এ ক্ষেত্রে দূর্ঘটনার সরাসরি কারণ বিবেচ্য বিষয় আনুষঙ্গিক কারণ নয়। যেমন, এক ব্যক্তি দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো পরে সেখানে টিটেনাসে মারা গেল। এখানে মরার কারণ টিটেনাস দুর্ঘটনা নয়।
৭. মনোনয়ন ও অধিকার অর্পন ঃ বীমাগ্রহীতা বীমা করার সময় বিশেষ করে জীবন বীমার ক্ষেত্রে তার মৃত্যুর পর কে বীমার টাকা ভোগ করবে তা উলে−খ করতে হয় যেটাকে মনোনয়ন বলে। বীমা গ্রহীতা তার বীমার দাবী অন্য কাউকে অর্পন করতে পারে। এটাকে হস্তান্তর বলা হয়। বীমার ক্ষেত্রে মনোনয়নও অর্পন উভয়টাই প্রযোজ্য যা বীমা চুক্তির
অপরিহার্য উপাদান।
৮. কিস্তি ফেরত ঃ কোন কোন বীমার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে কিস্তি ফেরত দেবার বিধান আছে। এ ধরনের বিষয়বস্তু চুক্তিতে উলে−খ থাকতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
গ. বীমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করবে।
উত্তর :
আমরা পূর্বের আলোচনার মাধ্যমে জেনেছি যে বীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ তার ব্যক্তিক ও ব্যবসায়িক ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও সমাজ জীবনের বিভিন্ন স্তরে বীমা আর্থিক নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ও প্রতিরক্ষা প্রদান করে আর্থিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ করে তোলে। যাই হোক আধুনিক জটিল ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় জগতে এবং মানুষের জীবনে বীমার গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণনা
করা হলো ঃ
(ক) ব্যীক্তগত ক্ষেত্রে বীমার ভূমিকা ও তাৎপর্য: মানুষের পরিবারের কোন উপার্জনক্ষম
ব্যক্তির মৃত্যু বা যেকোন দূর্ঘটনার কারণে উক্ত পরিবারটি আর্থিক সংকটে পতিত হয়, বীমা ব্যবস্থা এসব ক্ষেত্রে মানুষকে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সামান্য পরিমাণে হলেও আর্থিক সংকট মুক্ত করতে সচেষ্ট হয়। ব্যক্তিগত বীমার মধ্যে রয়েছে- জীবন বীমা, দূর্ঘটনা বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা।
একজন ব্যক্তি বীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে নিুলিখিত ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করে থাকের) জীবন বীমা গ্রহণকারীর অকাল মৃত্যুতে তার উত্তরাধীকারীগণ নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করে।
১) অনুরূপভাবে অগ্নি-বীমা, নৌ-বীমা, দূর্ঘটনা বীমা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশি−ষ্ট দূর্ঘটনা ঘটলে বীমা গ্রহীতা আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার সুবিধা পায়।
২) কোন বন্ধকী সম্পত্তি বীমা করা থাকলে তার যথাযথ সুরক্ষা বীমা বিধান করে।
৩) এছাড়াও পারিবারিক চাহিদা পূরণ, বৃদ্ধ বয়সের প্রয়োজন, অন্তবর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ, শিক্ষা, বিবাহ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ইত্যাদি বিবিধ প্রয়োজনে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে বীমা একজন বীমাগ্রহীতার বিবিধ চাহিদা পূরণ
করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
(খ) ব্যবসায়-এর ক্ষেত্রে গুরুত্ব ব্যবসায়ের প্রতিক্ষেত্রেই ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা থাকার কারণে ব্যবসায়কে ঝুঁকির খেলা ও বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- বাজারদর কমে খাওয়া, পণ্যদ্রব্য ও উৎপাদনের বা সরবরাহের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া (ধর্মঘটের কারণে), আগুন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধবিগ্রহের কারণে আভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক বাজারে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে, পণ্য পরিবহনকালে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, গুদামে আগুন লাগতে পারে অথবা চুরি-ডাকাতি বা রাহাজানি জনিত কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। বীমার সাহায্যে এই সমস্ত ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তা হ্রাস করা যায়। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বীমার প্রচলন সবচেয়ে বেশী। ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধিতে বীমা নিুলিখিতভাবে সহায়তা করে।
যথাঃ
১) বীমা আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক ক্ষতির অনিশ্চয়তা দুর করে।
২) যেকোন আর্থিক ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা দূর করার ক্ষেত্রে সহায়তার মাধ্যমে বীমা ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যাবলীতে গতিশীলতা বজায় রাখে এবং ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৩) ব্যবসা-বাণিজ্যের বীমা গ্রহণ করা থাকলে ঐ প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা ও সুবিধা উভয়ই বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের বীমা প্রচলিত সেগুলোর মধ্যে উলে−খযোগ্য হলো- নৌ-বীমা, অগ্নি-বীমা, দূর্ঘটনা-বীমা, রপ্তানী-বীমা ইত্যাদি।
(গ) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বীমার গুরুত্ব (ঋড়ৎ বপড়হড়সু) ঃ আধুনিক অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। ব্যক্তিগত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বীমার ভূমিকা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমার ভূমিকা
নিুরূপর) বীমা কোম্পানীগুলো প্রিমিয়াম আকারে সারা দেশ হতে অর্থসংগ্রহ করে এবং তা বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
১) বীমা কোম্পানী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় খাতের সকল প্রকার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকি বহন করে। ফলে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে, আয় বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত ও ত্বরানি¦ত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২) বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পরোক্ষভাবে জাতীয় সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করে।
৩) কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য, পরিবহনসহ সকল উৎপাদনশীল খাত বীমা সুবিধার আওতায় এসে ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয়।
(ঘ) সামাজিক ক্ষেত্রে বীমার ভূমিকা (ঋড়ৎ ঝড়পরবঃু) ঃ আধুনিক যুগে ব্যক্তিগত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্র ছাড়াও সামাজিক ক্ষেত্রেও বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সামাজিক ক্ষেত্রে বীমার গুরুত্ব বা তাৎপর্য বর্ণনা
করা হলোঃ
১. বীমা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় নিরাপত্তার ভূমিকা পালন করে জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ও অগ্নি বীমার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ যথাযথ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।
২. অর্থনৈতিক কল্যাণ যেমন ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় খাতের সর্ব প্রকার আর্থিক ঝুঁকির বড় একটি অংশ বীমা কোম্পানীগুলো বহন করে থাকে।
৩. বীমা জনসাধারণের মধ্যে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জন সচেতনা সৃষ্টি করে। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ উৎসাহিত করে তুলে।
৪. বীমা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনায়নে অবদান রাখে। যার ফলে মানুষের আরও ভোগ বৃদ্ধি পায় যার ফলে জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।
৫. বীমা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ফলে নতুন নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হয়। ফলে বীমা দেশের বেকারত্ব হ্রাস পাবার ক্ষেত্রেও অবদান রাখে।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, বীমা ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। এর ফলে এ সকল কর্মকাণ্ডে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় ও শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Assignment
- Agro Machinery-2nd Assignment Answer HSC Vocational
- এইচএসসি (ভোকেশনাল) এগ্রোমেশিনারি-২য় (৮২১১২)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- Vocational Agro Machinery – 1st (82111) Assignment Answer
- এইচএসসি ভোকেশনাল এগ্রোমেশিনারি-১ম (৮২১১১)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- এইচএসসি বিএম ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা -১ম (২২১৮) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- ডিপ্লোমা ইন কমার্স /বিএম/ভোকেশনাল শেষ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ
- এইচএসসি ভোকেশনাল কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (৮২৫১১)অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- এইচএসসি ভোকেশনাল ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ৮২৭১১ এসাইনমেন্ট উত্তর
- HSC Diploma in Commerce Life Skill Development (1718) Assignment Answer
- এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট (১৭১৮) এ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ উত্তর
- HSC Diploma in Commerce Commercial Geography (1717) Assignment Complete Answer
- এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্যক ভূগোল (১৭১৭) এ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ উত্তর
- বিএম মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ (১৮১৮) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
- Hsc Bm Marketing Policy(1818) Assignment Answer 2021
- HSC BM Business Organization and Management 1 (1817) Assignment Answer
2 thoughts on “আমাদের জীবন ও সম্পত্তির ঝুকি আবহমানকাল থেকে মানুষ সহজ ভাবে মেনে আসলেও সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই”