আসুন পথশিশুদের পাশে দাঁড়াই!
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষাই পারে একটি জাতির মজবুত ভিত্তি গঠন করতে। তাই শিক্ষার যেমন কোনাে বয়স নেই। তেমনি ধনী গরিব বলে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনাে বিভেদ নেই।
শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। কিন্তু দারিদ্রতা, অর্থ সংকট, পড়ালেখার অনুকূল পরিবেশ ইত্যাদি কারণে এখনাে আমাদের সমাজে অবহেলিত অনেক পথশিশুর দেখা মিলে। কারাে নেই দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা। কারাে | নেই পড়ালেখার খরচ বহণের সামর্থ্য।
ঠিক এভাবেই অসংখ্য শিশু ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার আলাে থেকে। সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা প্রায়ই দেখতে পাই বিচিত্র কিছু সংবাদ। কেউবা টিউশনি করে, কেউ কৃষিকাজ করে,
কেউবা আবার ট্রাকের হেলপারি করে নিজেরাই যােগাচ্ছেন নিজেদের পড়ালেখার খরচ। এমনকি কেউবা হয়ে উঠছেন- বিসিএস ক্যাডার।
প্রাইভেট কোচিং এর ব্যয়ভার যখন একটা পরিবারের জন্য বাড়তি বােঝা হয়ে দাঁড়ায়, ঠিত তখনই নিম্মমধ্যবিত্তদের সন্তানরা হিমশিম খান তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে। তাই ঝড়ে যায় আমাদের অনেক প্রতিভা। সমাজ রাষ্ট্র হারায় অনেক মেধাবি-মুখ।
সেভ দ্য চিলড্রেন-র একটি প্রতিবেদন বলছে- দেশের ১৮.৪% শিশু এখনাে স্কুল শিক্ষার বাইরে। শিশুশ্রমে যুক্ত ৪.৩% শিশু। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ বলছে৩৪.৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন শ্রমে যুক্ত।
১২.৮০ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। শিশুদের জন্য গৃহস্থলি কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সরকারিভাবে এখনও তা তালিকাভুক্ত নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।
-দৈনিক ইনকিলাব : ২৮.০৬.১৮ আমাদের সমাজে এখনাে অনেক শিশু অনাহারে অনাদরে অবহেলায় খাদ্য অভাবে, পেটের দায়ে পড়ালেখা করার সুযােগ পাচ্ছে না।
যার ফলে অনেক শিশুরাই পরিণত বয়সে বা তারও আগে মাদক চুরি ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানির মতাে সমাজ বিধ্বংসী নানা রকম অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। যা আমাদের সমাজব্যবস্থায় নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অন্যায় অপরাধগুলােও বেড়েই চলছে।
তাই আসুন আমরা আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা অবহেলিত পথশিশুদের পাশে দাঁড়াই! পড়ালেখা করে ওরা যেন আদর্শ নাগরিক হতে পারে। কারণ ওদের ভবিষ্যৎ মানেই একটি | জাতির ভবিষ্যৎ। ওরা শিক্ষিত হলেই আমাদের জাতি শিক্ষিত হবে।
লেখক : সাংবাদিক / মীযান মুহাম্মদ হাসান