ইক্যুইটি মূলধন ও ঋণ মূলধন পার্থক্য, ইক্যুইটি মূলধন vs ঋণ মূলধন পার্থক্য, ইক্যুইটি মূলধন ও ঋণ মূলধন তুলনামূলক আলোচনা, ঋণ মূলধন ও ইক্যুইটি মূলধন মধ্যে পার্থক্য

প্রশ্ন সমাধান: ইক্যুইটি মূলধন ও ঋণ মূলধন পার্থক্য, ইক্যুইটি মূলধন vs ঋণ মূলধন পার্থক্য, ইক্যুইটি মূলধন ও ঋণ মূলধন তুলনামূলক আলোচনা, ঋণ মূলধন ও ইক্যুইটি মূলধন মধ্যে পার্থক্য

1%20%281%29

আরো ও সাজেশন:-

1%20%282%29

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ইক্যুইটি মূলধন কাকে বলে

ইক্যুইটি মূলধন সাধারণত শেয়ারহোল্ডারদের কর্তৃক শেয়ারে বিনিয়োজিত অর্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইক্যুইটি মূলধনের ব্যয় নির্ণয় করা তুলনামূলক কঠিন। ইক্যুইটি মূলধন ঋণ মূলধনের মত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার প্রয়োজন হয় না। তবে শেয়ার বাজারে শেয়ারে পারফর্মেন্স ও শেয়ারে মূল্যের ওঠা-নামার উপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বিনিয়োগের জন্য মুনাফার একটি অংশ পেয়ে থাকেন। বিনিয়োগকারীরা যাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে নিয়মিত বিনিয়োগ করে সেজন্য কোম্পানিগুলোতে শেয়ার মূল্যের যথাযথ মূল্যায়ন ও লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে নিয়মিত আয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাশিত আয়ের হার বা ইক্যুইটি মূলধনের ব্যয় নির্ণয়ের জন্য ক্যাপিটাল এসেট প্রাইজিং মডেল (CAPM) ব্যবহার করা হয় যা সামগ্রিক বাজারের রিস্ক প্রিমিয়াম ও কোম্পানির শেয়ারের বেটা ভাল্যুকে মূল্যায়ন করে।

সাধারণত, ইক্যুইটি মূলধনের ব্যয় ঋণ মূলধনের ব্যয়ের তুলানায় বেশি হয়ে থাকে। শেয়ারহোল্ডারদের ঝুঁকির পরিমাণ ঋণদাতাদের ঝুঁকির তুলনায় বেশি কারণ এটি ইক্যুইটিয়ের মত কোম্পানির আয়ের উপর নির্ভর করে না।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

ঋণ মূলধন কাকে বলে

ঋণ মূলধন বলতে এমন মূলধনকে বোঝায় যা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি উৎস হতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দেওয়ার শর্তে ঋণ নেওয়া হয়। এই ঋণ স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী উভয়ই হতে পারে। গৃহীত ঋণের বিপরীতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করতে হয়। এর ফলে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কখনো কখনো জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষত যখন সুদের হার অনেক বেশি হয়ে থাকে। একটি কোম্পানিকে আইনতভাবে এর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বণ্টনের পূর্বে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয়। যার ফলে বার্ষিক আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ঋণ মূলধন পরিশোধ সর্বাপেক্ষা প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

ঋণ একটি কোম্পানিকে স্বল্প বা অধিক যেকোনো পরিমানে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দিয়ে থাকলেও ঋণদাতা ঋণের বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ দাবি করেন। এই সুদের হারকে ঋণের ব্যয় বলা হয়। একটি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির জন্য ঋণ মূলধন সংগ্রহ করা একটি কষ্টকর বিষয়। কারণ এক্ষেত্রে কোম্পানিটি নির্দিষ্ট সময়ে সুদসহ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে কিনা ষে বিষয়ে ঋণদাতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি কোম্পানি ১,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে থাকে যার সুদের হার ৭% তবে এই ৭% সুদকেই ঋণের ব্যয় হিসেবে ধরা হয়। যেহেতু ঋণের ব্যয় কর বাদযোগ্য, তাই প্রকৃত ঋণের ব্যয় নির্ণয়ের জন্য কোম্পানিগুলো সুদের হারে সাথে কর্পোরেট করের বিপরীত মানের সাথে গুণ করা হয়। যদি কর্পোরেট করের হার ৩০% হয় তবে উপরোক্ত উদাহরণ অনুযায়ী ঋণের ব্যয়ের পরিমাণ হবে ০.০৭Í(১-০.৩) বা ৪.৯%।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment