ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল টেকনলোজি)
সেমিস্টারঃ ৪র্থ
বিষয়ঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিক্স
শিরোনাম : ইনভার্টার
শিক্ষকের নাম :-মো:আশরাফুল আলম
প্রশ্ন : ইনভার্টার কি?
উত্তর: – ইনভার্টার হলো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা ডিসি বিদ্যুৎ প্রবাহকে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহে (এসি) রুপান্তরিত করে। রূপান্তরিত এসি যেকোন ধরনের বিভব ও ফ্রিকুয়েন্সির ব্যবস্থাতে উপযুক্ত ট্রান্সফরমার, সুইচ এবং নিয়ন্ত্রক বর্তনীর মাধ্যমে ক্রিয়াশীল হতে পারে।
ইনভার্টার এর কাজ কি?
উওর:-বর্তমান সময়ে ইনভার্টার এমন একটি বহূল প্রচলিত ডিভাইস যা যে কোন ধরনের মেশিন এ ইন্ডাকশন মোটরের স্পীড কন্ট্রোল করতে কাজে লাগে। আমাদের দেশে পাওয়ার সাপ্লাই 50 HZ । এই fixed HZ এ মোটরের স্পীডও fixed ।
এখন আস্তে বা জোরে মোটর চালানোর প্রয়োজন হলেই ইনভার্টার প্রয়োজন হয়ে পড়বে।
ইনভার্টার আমরা কোথায় ব্যবহার করব:
মোটরের স্পীড কমাতে বা বাড়াতে চায় তাহলে আমাদের Inverter প্রয়োজন হবে।
ডিসি পাওয়ার সোর্স হিসেবে ব্যবহারঃ ইনভার্টার মূলত ডিসি পাওয়ার(ব্যাটারি সোর্স, জ্বালানি কোষ, সোলার প্যানেল ) ইত্যাদি থেকে এসি ইলেক্ট্রিসিটিতে রুপান্তর করতে পারে।
ইউপিএস পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্যঃ আন ইন্টারাপ্টেড পাওয়ার সাপ্লাই এ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় পাওয়ার স্টোরেজ এর জন্য এবং ইনভার্টার এর মাধ্যমে তা এসি পাওয়ার প্রেরণ করে থাকে যখন প্রধান পাওয়ার(ইলেক্টিসিটি) থাকে না।
যখন মেইন পাওয়ার চলে আসে তখন রেক্টিফায়ার ব্যাটারিতে ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য।
ইলেকট্রিক মোটর স্পীড কন্ট্রোলঃ ইনভার্টার বা ভিএফডি বা ড্রাইভ মূলত ব্যবহার করা হয় লোডের স্পিড বা গতিকে কন্ট্রোল করার জন্য।
ধরুন আপনার একটি কনভেয়ার বেল্ট আছে। যাকে আপনার মাঝে মাঝে 10 minute এ ঘুরাতে হবে।আবার মাঝে মাঝে 5 minute ঘুরাতে হবে।
অবশ্যই ঘুরানোর জন্য যে মোটর আছে তার স্পিড কন্ট্রোল করবেন। আর এর স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে Inverter / ভিএফডি / ড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে।
ইনভার্টার / ভিএফডি/ ড্রাইভ দিয়ে মোটরের লোড নেওয়ার ক্ষমতাকে কমবেশী করা যায়।
এছাড়া ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের ড্রাইভ, এয়ার কন্ডিশনারে, এইচভিডিসি পাওয়ার সরবরাহ, চলক ফ্রিকুয়েন্সী ড্রাইভ, আবেশী তাপ প্রয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইনভার্টার এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
ইনভার্টার কি
পাওয়ার ইনভার্টার কি ? (What is an Inverter? ): ইনভার্টার হলো একটি যন্ত্র, এটির মাধ্যমে ব্যাটারির মধ্যে সঞ্চিত ডাইরেক্ট কারেন্ট কে (Direct Current) কে অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC) তে পরিবর্তন করে বাড়িতে অথবা বিভিন্ন জায়গাতে পাওয়ার ব্যবহার করতে পারি। অথবা অন্যভাবে বলে যেতে পারে, ডিসি ইলেকট্রিক সাপ্লাইকে এসি সাপ্লাইয়ে পরিবর্তন করে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ইনভার্টারের এক প্রান্তে ডিসি (DC) ইলেকট্রিক সাপ্লাই দিলে অন্য প্রান্ত থেকে এসি (AC) ইলেকট্রিক সাপ্লাই পাওয়ার পদ্ধতিকে বলে। ইনভার্টার বা ভিএফডি বা ড্রাইভ মূলত ব্যাবহার করা হয় ডিভাইসে লোডের স্পিড বা গতিকে কন্ট্রোল করার জন্য।
ইনভার্টার কাকে বলে
একটি ইনভার্টার হলো এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা ডিসি বিদ্যুৎ প্রবাহকে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহে (এসি) রূপান্তরিত করে। এসি যেকোন ধরনের বিভব ও ফ্রিকুয়েন্সির ব্যবস্থাতে উপযুক্ত ট্রান্সফরমার, সুইচ এবং নিয়ন্ত্রক বর্তনীর মাধ্যমে ক্রিয়াশীল হতে পারে। বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এসি (AC অর্থাৎ Alternative Current) এ চলে, কিন্তু ব্যাটারির মধ্যে ডিসি (DC) সাপ্লাই সঞ্চিত থাকে তাই ওই ব্যাটারির সঞ্চিত ইলেকট্রিক শক্তির মাধ্যমে ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, ইনভার্টারের মাধ্যমে ব্যাটারির মধ্যে সঞ্চিত ডিসি(DC) সাপ্লাইকে এসি (AC) তে পরিবর্তন করে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালানো যায়।
ইনভার্টার এর প্রকারভেদ
পাওয়ার কনভার্টটিং প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে ইনভার্টারকে প্রথমত তিন ভাগে আলাদা করা যায়। যথা- এসকিউ ওয়্যার ওয়েভ, মোডিফাইড সিন্স, সিন্স ওয়েভ ইনভার্টার এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে অন্য একটি আর্টিকেলে আলোচনা হবে আজ শুধু ধরণ গুলো জেনে রাখুন।
- ১. এসকিউ ওয়্যার ওয়েভ ইনভার্টার।
- ২. মোডিফাইড সিন্স ওয়েভ ইনভার্টার।
- ৩. সিন্স ওয়েভ পাওয়ার ইনভার্টার।
ইনভার্টার কিভাবে কাজ করে
সাধারণত ব্যাটারীর মধ্যে সঞ্চিত কম ভোল্টের ডিসি (DC) সাপ্লাই কে এসি (AC) ইলেকট্রিক সাপ্লাই এ রুপান্তরিত করতে ইনভার্টার ব্যাবহার করা হয়। যেমন- মনে করুন আপনার কাছে ১০ অ্যাম্পিয়ার ১২ ভোল্টের ব্যাটারি আছে এখন আপনি সেই ব্যাটারি দিয়ে আপনার ঘরের মধ্যে থাকা লাইট জ্বালাতে চান। এখন সমস্যা হলো ঘরের মধ্যে যে লাইট লাগানো আছে তা ২২০ ভোল্টের এসি (AC) কারেন্টে চলে। কিন্তু আপনার ব্যাটারির মধ্যে 12 ভোল্ট ডিসি কারেন্ট আছে যা লাইট জ্বলার জন্য উপযুক্ত নয়। এমনতবস্থায় ইনভার্টার ব্যবহার করে 12 ভোল্ট ডিসি (DC) কে 220 ভোল্ট এসি (AC) কে কনভার্ট করে চালাতে পারেন। এজন্য আপনাকে পাওয়ার ইনভার্টার ক্রয় করতে হবে অথবা তৈরী করতে হবে। কিভাবে ইনভার্টার তৈরী করবেন জানতে নিচে কমেন্ট করুন।
ইনভার্টার সংযোগ করার নিয়ম
আপনি ইনভার্টার তৈরী করে অথবা বাজার থেকে কিনে ইনভার্টারের ইনপুটে ব্যাটারি কানেকশন করবেন এবং ইনভার্টারের আউটপুটে এসি লাইটের কানেকশন করে ইনভার্টারকে চালু করলেই ব্যাটারি থেকে ১২ ভোল্টের ডিসি (DC) কারেন্ট কনভার্ট হয়ে ২২০ ভোল্ট এসি (AC) তে রুপান্তরিত হয়ে লাইট জলে উঠবে। উপরের ফিচার ছবিতে কিভাবে আপনি একটি সোলার সিস্টেমে ইনভার্টার সংযোগ করতে পারবেন তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ইনভার্টারের সুবিধা সমূহ
আপনার বাড়িতে কারেন্টের ব্যাকআপ হিসাবে ইনভার্টার সেটআপ করে রাখলে বিদ্যু চলে গেলেও ব্যাটারী ক্ষমতা অনুযায়ী কয়েক ৩-৪ ঘন্টার বেশি কারেন্ট থাকবে। অনেই আমরা এই ধরণের সেটআপ কে আইপিএস ইউপিএস বলে থাকি। কারেন্ট চলে যাওয়ার সাথে সাথে ইনভার্টার অন হয়ে ব্যাটারি থেকে ইনভার্টারের মাধ্যমে বাড়িতে ইলেকট্রিক সাপ্লাই চালু হয়ে যাবে এবং বাড়ির মধ্যে যাবতীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি আগের মতই চলতে থাকবে। আবার বাড়ীতে সোলার সিস্টেম ইনভার্টার ব্যবহার করেও কারেন্ট এর সকল ডিভাইস চলাতে পারেন।
ইনভার্টার কেন ব্যবহার করবেন
মটরের স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনি দুই ধরণের ইনভার্টার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- ১. স্টার টু ডেল্টা ইনভার্টার, ২. সফট স্টার্টার ইনভার্টার। নিচে এই দুই ধরণের ইনভার্টার সম্পর্কে উদাহারণ দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি নিচের ব্যাখ্যা থেকে স্টার টু ডেল্টা ইনভার্টার, সফট স্টার্টার ইনভার্টার সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাবেন।
স্টার ডেল্টা ইনভার্টার ব্যবহার
মনে করুন আপনার কাছে এমন একটি বড় মোটর আছে, যার স্টার্টিং টার্ক অনেক বেশী লাগে। যার ফলে স্টার্টি বা চালু হওয়ার সময় অনেক অ্যাম্প কারেন্ট এর প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায় মোটরটি রান বা চালু হওয়ার সময় আপনার সর্বমোট পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর প্রভাব ফেলবে। ভেবে দেখুন হঠাৎ করে যদি আপনার পাওয়ার কনজাংশন অনেক বেড়ে আবার যদি হঠাৎ করে কমে যায় তাহলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই এর তো বারোটা বাজবেই তার সাথে সাথে অন্য লোড এবং ডিভাইসেরও বারোটা বাজবে। স্টার এ ডেল্টা থেকে অপেক্ষা কৃত কম পাওয়ারের প্রয়োজন হয়।
সফট স্টার্টার ইনভার্টার ব্যবহার
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক সফট স্টার্টার ইনভার্টার কেন ব্যাবহার হয়। এর নামটা একটু ভালভাবে খেয়াল করলে সফট স্টার্টার ইনভার্টার কি এ সম্পর্কে অনেকট আইডিয়া করা যায়। সফট্ স্টার্টার ইনভার্টারের কাজ অনেকটাই স্টার টু ডেল্টার মতই। বড় বড় মোটরের স্টার্টিং এর সময় সর্বোমোট সিস্টেমে এবং পাওয়ারের উপর যেন কোন ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে সেজন্য সফট্ স্টার্টার ইনভার্টার ব্যাবহার করা হয়। সফট্ স্টার্টার ইনভার্টারের কাজ হচ্ছে মোটরকে প্রোগ্রামিং অনুযায়ী ধীরে ধীরে চালু করা। মোটকথা যেখানে মোটর রানিং বা ফুল লোড অবস্থায় স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন নেই বা সামান্য স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন সেখানে সফট স্টার্টার ব্যাবহার করা হয়।
ব্যাটারি কি কাকে বলে
মূলত একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার এক বা একাধিক ইলেকট্রো কেমিক্যাল সেল দ্বারা গঠিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে। ব্যাটারীকে বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন- টর্চ লাইট, ঘড়ি, ড্রোন, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ট্যাবলেট, ইলেকট্রিক সাইকেল, রিক্সা, কার ইত্যাদি। ব্যাটারীতে ইনভার্টার ব্যবহার করে বাড়ীর সকল ইলেকট্রিক ডিভাইস চালানো সম্ভব। ব্যাটারী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে