ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে এলসি খোলার পদ্ধতি,ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে LC খোলার পদ্ধতি আলোচনা করো, এলসি (LC) কিভাবে করতে হয় ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে

প্রশ্ন সমাধান: ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে এলসি খোলার পদ্ধতি,ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে LC খোলার পদ্ধতি আলোচনা করো, এলসি (LC) কিভাবে করতে হয় ইসলামিক ব্যাংকের ১০০% মার্জিনে

ক. এলসি খােলার পূর্বেই গ্রহক কর্তৃক আমদানি ভ্যাট ও অন্যান্য খরচবাবদ ব্যাংকের বিনিয়োগ ১০০% মার্জিনে এলসি খােলার জন্য আবেদন করা বলাস ভােলার পূর্বেই গ্রাহক কর্তৃক আমদানি উত্তর শুষ্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচবাবদ ব্যাংকের বিনিয়ােগ সুবিধাসহ ৭ মার্জিনে এলসি খােলার জন্যে আবেদন করা।

খ. এলসি খােলার পূর্বেই গ্রহক কর্তৃক আমদানি উত্তর খুক, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যাংকের বিনিয়ােগ সুবিধা ব্যতীত ১০০% মার্জিনে এলসি খােলার জন্যে আবেদন করা হলে ; ব্যাংকের গ্রাহক/আমদানিকারক তার কাঙ্ক্ষিত ও নির্দেশিত পণ্যসামগ্রী বিদেশের নির্ধারিত কোম্পানির নিকট হতে আমদানি করে দেওয়ার জন্যে পণ্যের মূল্যের সাকুল্য অর্থ (১০০%) তার নিজস্ব তহবিল হতে ব্যাংকে জমা দেয় এবং এলসি খােলার জন্য ব্যাংকে আবেদন করে। এ ধরনের এলসি কে বলা ১০০% সিকিউরিটিভিত্তিক এলসি।

১. এল সি খােলাসংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক খরচাদি যেমন- পােস্টেজ চার্জ, টেলেক্স চার্জ, ইস্যুরেন্স, পরিদর্শন খরচ ও অন্যান্য খরচ আমদানিকারক বহন করে থাকে। এছাড়া আমদানিতব্য মালামালের যাবতীয় খরচ যেমন-শুল্ক, ভ্যাট (মূল্য সংযােজন কর), সি অ্যান্ড এফ চার্জ, পরিবহণ ও অন্যান্য যাবতীয় খরচ আমদানিকারক নিজেই বহন করবে বলে অঙ্গীকার করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কোনাে অর্থ বিনিয়ােগ করতে হয় না। উল্লেখ্য যে, আমদানি ক্ষেত্রে রপ্তানিকারককে (বিদেশি বিক্রেতাকে) মালামারে বিক্রয় মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশােধ করতে হয় তাই বিদেশ থেকে আমদানিযােগ্য মালামাল অবাধে আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিময়ের লাইসেন্স প্রাপ্ত যেকোনাে ব্যাংকের সহযােগিতা অবশ্য নিতে হয়। ১০০% এলসির ক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংকসমূহ আমদানিকারকের প্রতিনিধি ও জামিনদার হিসেবে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করে থাকে। আর এ দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যাংক তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও প্রশাসনিক অন্যান্য খরচ নির্বাহের জন্য আমদানিকারকের নিকট হতে পারস্পরিক আলােচনা ও চুক্তির ভিত্তিতে কেবলমাত্র সার্ভিস চার্জ বা কমিশন আদায় করে থাকে। অতঃপর, মালামাল পাের্টে আসার পর আমদানিকারক ব্যাংক থেকে ডকুমেন্টস নিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ নিজ খরচে পাের্ট থেকে মালামাল ছাড় করিয়ে নেয়।


আরো ও সাজেশন:-

২. এলসি খােলর পূর্বেই গ্রাহক কর্তৃক আমদানি উত্তর শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যাংকের বিনিয়ােগ সুবিধাসহ’, ১০০% মার্জিনে এলসি খােলার জন্য আবেদন করা হলে ; ১০০% মার্জিনে এলসি খােলার ক্ষেত্রে আমদানিকারক যদি আমদানিতব্য মালামালের শুল্ক, মূল্যসংযােজন কর, সি অ্যান্ড এফ চার্জ, পরিবহণ ইত্যাদির সম্পূর্ণ বা আংশিক খরচ নির্বাহের জন্য L\c খােলার পূর্বেই ব্যাংকের বিনিয়ােগ সুবিধাসহ এলসি খােলার জন্যে আবেদন করে এবং ব্যাংক বিনিয়ােগ সুবিধা দিতে সম্মত হয়; তাহলে এক্ষেত্রে, ব্যাংক নিম্নের যেকোনাে আবেদন . করে একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।

(ক) বাই মুরাবাহ : ব্যাংক আমদানিকারকের সাথে পারস্পরিক আলােচনা ও চুক্তিতে তথা, গ্রাহক তার নির্দেশিত পণ্য সামগ্রী একটি নির্ধারিত মূল্যে ব্যাংকের নিকট হতে ক্রয় করে নিবে, এ শর্তে ব্যাংক মুরাবাহ নীতিমালার ভিত্তিতে এলসি খুলবে। তবে, মুরাবাহ নীতিমালাকে অনুসরণ করা হলে আমদানিকারকের জমাকৃত ১০০% টাকাকে পণ্যের মূল্য হিসেবে গণ্য করা যাবে না। বরং তা ব্যাংকের নিকট জামানত হিসেবে গণ্য করতে হবে। আমদানি সংক্রান্ত ডকুমেন্টস প্রাপ্তির পর ব্যাংক বিদেশি রপ্তানিকারককে পণ্যের মূল্য পরিশােধ করে পণ্যের মালিক হবে এবং শুষ্ক, ভ্যাট, পরিবহণ খরচ ইত্যাদি পরিশােধ করে পাের্ট (বন্দর) হতে মালামাল ছাড় করিয়ে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। অতঃপর চুক্তি মােতাবেক, গ্রাহক একটি নির্ধারিত মূল্যে ব্যাংকের নিকট হতে মালামাল ক্রয় করে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন হতে মালামাল ছাড় করিয়ে নিবে। আমদানিকারকের জমাকৃত ১০০% টাকাকে যদি পণ্যের মূল্য হিসেবে গণ্য করা হয় এবং মালামাল বন্দর থেকে ছাড় করানাের জন্যে শুল্ক, ভ্যাট, পরিবহণ ও অন্যান্য খরচবাবদ গ্রাহকের অনুরােধে ব্যাংক বিনিয়োেগ সুবিধা প্রদান করে, তাহলে এক্ষেত্রে তা আর মুরাবাহা পদ্ধতি হবে না; বরং মুশারাকা পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে হবে। কারণ মালামাল ক্রয় ও ছাড়করণে পুঁজি বিনিয়োেগর ক্ষেত্রে ব্যাংক এবং গ্রাহক উভয়েই অংশীদার।

২. মুশারাকা : ব্যাংক আমদানিকারক/গ্রাহকের সাথে পারস্পরিক আলােচনার ভিত্তিতে মুশারাকা নীতিমালার ভিত্তিতে লেসি খুলতে পারে। এক্ষেত্রে আমদানিকারকের জমাকৃত অর্থকে পণ্যের মূল্য হিসেবে গণ্য করা হবে। অতঃপর, বন্দরে মালামাল আসার পর ব্যাংক মালামালের সম্পূর্ণ বা আংশিক শুল্ক, মূল্য সংযােজন কর, সি অ্যান্ড এফ চার্জ, পরিবহণ ইত্যদির খরচ নির্বাহের জন্যে প্রয়ােজনীয় অর্থের যােগান দিয়ে আমদানি বাণিজ্যে ব্যাংক আমদানিকারকের সাথে অংশীদার হবে। অতঃপর আমদানি মালামাল বিক্রি করে যদি মুনাফা হয় তাহলে অর্জিত মুনাফা চুক্তি মােতাবেক পূর্বনির্ধারিত হারে ব্যাংক ও আমদানিকারকের মধ্যে বণ্টন করা হবে। আর লােকসান হলে ব্যাংক ও আমদানিকারক তাদের স্ব-স্ব পুঁজির অনুপাতে লােকসান বহন করবে। এ পদ্ধতি ব্যাংকের জন্যে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment