উপকরণ ইজারা গ্রহণের প্রভাব সমূহ

উপকরণ ইজারা গ্রহণের প্রভাব সমূহ

উপকরণ ইজারা গ্রহণ একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক কৌশল। এটি ব্যবসায়কে বিভিন্ন দিক থেকে প্রভাবিত করে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই:

ইতিবাচক প্রভাব:

  • মূলধন ব্যয় কমে: পুরোপুরি কোনো উপকরণ কিনতে হবে না, ফলে প্রাথমিক বিনিয়োগ কমে যায়।
  • সর্বশেষ মডেল ব্যবহার: ইজারার মাধ্যমে সর্বশেষ মডেলের উপকরণ ব্যবহার করা সম্ভব, যা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কমে: সাধারণত ইজারা দেওয়া কোম্পানিই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়।
  • আয়করের সুবিধা: অনেক ক্ষেত্রে ইজারা খরচকে আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • নমনীয়তা: প্রয়োজন অনুযায়ী ইজারার মেয়াদ বাড়ানো বা কমানো যায়।
  • অর্থপ্রবাহ পরিচালনা সহজ: মাসিক ইজারা পরিশোধের মাধ্যমে অর্থপ্রবাহ সহজে পরিচালনা করা যায়।

নেতিবাচক প্রভাব:

  • দীর্ঘমেয়াদী ব্যয় বেশি হতে পারে: যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য ইজারা নেওয়া হয়, তাহলে মোট খরচ কেনার চেয়ে বেশি হয়ে যেতে পারে।
  • মালিকানা নেই: ইজারা নেওয়ার ফলে উপকরণটির মালিকানা থাকে না।
  • চুক্তিবদ্ধ শর্তাবলি মেনে চলতে হয়: ইজারা চুক্তিতে উল্লেখিত শর্তাবলি মেনে চলতে হয়।
  • উপকরণ ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা: কিছু ক্ষেত্রে ইজারা চুক্তিতে উপকরণ ব্যবহারের ওপর সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।

কখন উপকরণ ইজারা নেওয়া উচিত?

  • বড় অঙ্কের মূলধন বিনিয়োগ করতে না চাইলে:
  • সর্বশেষ মডেলের উপকরণ ব্যবহার করতে চাইলে:
  • রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অন্যের উপর দিতে চাইলে:
  • নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখতে চাইলে:
  • অর্থপ্রবাহ সহজে পরিচালনা করতে চাইলে:

উপসংহার

উপকরণ ইজারা একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, যা ব্যবসায়ের প্রয়োজন এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ইজারা নেওয়ার আগে সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই বিবেচনা করা জরুরী।

উপসংহার : উপকরণ ইজারা গ্রহণের প্রভাব সমূহ

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ উপকরণ ইজারা গ্রহণের প্রভাব সমূহ

Leave a Comment