উৎপাদনের ধারণা,উপকরণের পরিবর্তন ও উৎপাদন,ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি,ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি, তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ।

প্রশ্ন সমাধান: উৎপাদনের ধারণা,উপকরণের পরিবর্তন ও উৎপাদন,ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি,ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি, তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ।

  • উৎপাদনের ধারণা

উত্তর:

সাধারণ অর্থে ‘উৎপাদন বলতে কোন কিছু সৃষ্টি করাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে শুধু সৃষ্টি করাকে বুঝায় । অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন দ্রব্যের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন করে দ্রব্যের উপযােগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে।

প্রকৃতপক্ষে মানুষ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। মানুষের আশে পাশে যা কিছু রয়েছে সবই প্রকৃতির দান। মানুষ কেবল মাত্র প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের রূপগত, গুণগত, পরিমাণগত ও অবস্থানগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন উপযােগ সৃষ্টি করতে পারে বা ভবিষ্যতের জন্য মজুদ রেখে অতিরিক্ত উপযােগ সৃষ্টি করতে পারে।

এভাবে কোন দ্রব্যের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করাকে অর্থনীতিতে উৎপাদন বলে। যেমন- বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে আসবাবপত্র প্রস্তুত করে মানুষ কোন নতুন দ্রব্য বা পদার্থ সৃষ্টি করতে পারে না। শুধুমাত্র কাঠের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করে আসবাবপত্র তৈরী করে উপযােগ সৃষ্টি করা হয়েছে মাত্র।

অর্থাৎ আসবাবপত্র তৈরীর মাধ্যমেই কাঠের উপযােগ সৃষ্টি করা হলাে। সুতরাং অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে কোন দ্রব্য সৃষ্টি করাকে বুঝায় না; বরং দ্রব্যের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করে অধিক উপযােগ সৃষ্টি করাকে বুঝায়। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ উৎপাদনের বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন।

অধ্যাপক মার্শালের মতে, “এ বস্তু জগতে মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুকে অধিকতর উপযােগী করে তােলার উদ্দেশ্যে এরূপ পূর্নবিন্যাস করে যাতে তাকে অধিকতর কার্যোপযােগী করা যায়।”

অধ্যাপক ডানিয়েল বি. সুইটস এর মতে, “উৎপাদন হলাে এমন একটি পদ্ধতি যা দ্বারা মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুকে ভােগের উপযােগী করে তুলতে পারে।”

সুতরাং সংক্ষেপে বলা যায়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের সাথে নিজের শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করে। অধিকতর উপযােগ সৃষ্টি করে তাকে উৎপাদন বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • উপকরণের পরিবর্তন ও উৎপাদন

উত্তর: আমরা জানি, কোন দ্রব্য উৎপাদন করতে গেলে চারটি উপকরণ- ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠনের প্রয়োজন হয়। উৎপাদনকারী যখন উপকরণসমূহ বাড়াতে থাকে তখন উৎপাদনের পরিমাণও বাড়তে থাকে। কিন্তুু দ্রব্যের উৎপাদন সকল ক্ষেত্রে উপকরণ ব্যবহারের অনুপাতে বৃদ্ধি পায় না। উৎপাদনের পরিমাণ কখনো অধিক হারে, কখনো কম হারে ও কখনো সমহারে বৃদ্ধি পায়।

সুতরাং মোট উৎপাদনের উপর কোন উপকরণের প্রভাব কিরূপ তা জানার জন্য অন্যান্য উপকরণগুলোকে স্থির ধরে একটি উপকরণকে পরিবর্তনশীল ধরে এর ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন ঘটে তা পরিবর্তনীয় উপকরণ অনুপাত বিধিতে ব্যাখ্যা করা যায়। এবিধিতে বলা হয়, অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে একটি পরিবর্তনশীল উপকরণ ক্রমাগত নির্দিষ্ট অনুপাতে বৃদ্ধি করতে থাকলে উৎপাদন ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায় বা স্তরের সৃষ্টি হয়। যা উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় (ঝঃধমবং ড়ভ চৎড়ফঁপঃরড়হ) বা স্তর নামে পরিচিত। উৎপাদনের

তিনটি পর্যায় বা স্তর হলো ঃ (১) প্রথম পর্যায়, (২) দ্বিতীয় পর্যায়, (৩) তৃতীয় পর্যায়।

অনুমিত শর্তাবলী ঃ পরিবর্তনীয় উপকরণ অনুপাত বিধি অনুযায়ী উৎপাদন ক্ষেত্রে যে তিনটি পর্যায় দেখা যায় তা নিম্নলিখিত অনুমিত শর্তের উপর নির্ভরশীল।

(১) স্বল্পকালীন সময়।

(২) উৎপাদন কলাকৌশল ও কারিগরী স্থির।

(৩) শুধুমাত্র একটি উপকরণ পরিবর্তনশীল।

(৪) পরিবর্তনীয় উপকরণের এককগুলো সমজাতীয়। এবং

(৫) উপকরণ অনুপাত পরিবর্তনশীল।

  • ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি

উত্তর:

AVvXsEgTeeKgwzMK7H9UybmSYtA 95TBQzgbbRbFCofb07dKpFSX 2lxXMvkTikAR7GmI5LxtcvjXLiCJSGvZ0s4k9GpG40PuJAdxUq1vrP 0HVo1Mw9fh dECIAPsG1Dkq7 qOB0jNkI12dWbTo7AVhOCZr 9hpIjUsc1zz4ZMGdBBaIaKWkiN5hvXoZwGm

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি

উত্তর:

AVvXsEhglfvsYDo2HNwtR4Ac6ynu8I
AVvXsEhu1hMhqVM00 fmfmvMDoPXntIGJ0PPOS1P17005
AVvXsEjWXH9CgwLIkFU Ys3PV9ToYIZZfXFCTmZkYE8fnHuWzBxdbE3XGvD1qGQRu36agDA5rjTlIiu2HOikLU8zcPsia0cq69tP4J2DOi3jWIL1b 4hgRUfjS5XcckC28E0AU0yAxdXXTkYGGzEb WL6lT CIP4

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ।

উত্তর:

তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার । পরিবর্তন বিশ্লেষণঃ কৃষি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এখন দেশের প্রায় সব কৃষককে সেবা দেওয়া সম্ভব। সম্প্রতি ক্যাটালিস্টের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ কৃষক মুঠোফোন ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য পোঁছানাে সম্ভব।আলােচনায় মুঠোফোনের প্রতি মিনিটে কিছুটা বেশি খরচের বিষয়টি এসেছে।

আমলে একটি মুঠোফোনসেবাকেন্দ্রের সঙ্গে আরও অনেক বিভাগ কাজ করে। এ ক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসঙ্গে কাজ করলে খরচ কমে আসবে। ক্যাটালিস্ট ২০০৩ সাল থেকে কয়েকটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃষকদের কৃষিতথ্যের সেবা দিচ্ছে৷ ক্যাটালিস্ট গ্রামীণফোনের সঙ্গে ৫০০ গ্রামীণফোন কমিউনিটি ইনফরমেশনের মাধ্যমে কৃষকদের সেবা দিচ্ছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment