বেসরকারি সংস্থা (ইংরেজি: Nongovernmental Organizations,বা, Nongovernment Organizations),যা সাধারণত এনজিও (NGOs)হিসাবে পরিচিত, হলো এমন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যারা সাধারণত অলাভজনক ও স্বাধীনভাবে সরকার কর্তৃক সরাসরিভাবে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণের বাইরে (যদিও এগুলোতে প্রায়শঃই সরকার কর্তৃক অর্থায়ন করা হয়)মানবতার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জনসাধারণের নীতি, সামাজিক, মানবাধিকার, পরিবেশগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী জন সেবায় নিয়োজিত।
এনজিও উপাদান বা বৈশিষ্ট্য কী কী?, এনজিও বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন, এনজিও বৈশিষ্ট্য সমূহ, এনজিও বৈশিষ্ট্য কী কী?
ভূমিকা : অমুনাফাভোগী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনই এনজিও নামে পরিচিত। এনজিও প্রতিষ্ঠানের কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হতে আলাদা করেছে। নিম্নে উক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. মানবসেবা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত : বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. অনুদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত : এনজিওসমূহ মানুষের বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুদানের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। বর্তমানে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মানব সেবার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।
৩. অমুনাফাভিত্তিক : এনজিও প্রতিষ্ঠানের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত হয় না।
৪. সহজ প্রশাসনিক কাঠামো : সরকারি প্রশাসনিক কাঠামোর মতে এনজিওসমূহের প্রশাসনিক কাঠামো জটিল নয় !
৫. নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত : এনজিও পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার নিয়ম নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং তা অনুসারে এনজিও প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালিত হয়।
৬. টার্গেট গ্রুপের উন্নয়ন : এনজিও প্রতিষ্ঠানসমূহ কিছু মানুষকে সাহায্য করার টার্গেট নিয়ে গড়ে ওঠে।
৭. নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালিত : এনজিও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য এর নিজস্ব জনবল থাকে ।
৮. সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন : এনজিওসমূহের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন রয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানে কার্যনিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা আছে বলে সমন্বয়সাধন খুব সহজ ।
৯. স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কার্যক্রম চালায় : এনজিওসমূহ তিনভাগে বিভক্ত। এগুলো তিনভাগে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে । যথা-১. স্থানীয়, ২. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ।
১০. জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ : এনজিওর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে। সরকারি কার্যক্রমে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকে না। কিন্তু এনজিওসমূহ জনগণের জন্য কাজ করে বলে এতে জনগণ সরাকরি সম্পৃক্ত হয়।
উপসংহার : উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের আলোকে বলা যায়, এনজিও প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানসমূহ যারা তাদের নিজস্ব বা অনুদানের অর্থ দ্বারা জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের জনবল দ্বারা নিযুক্ত থাকে ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।