ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম,কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম,কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার।
ওয়েবসাইট কি
ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ বলতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
তবে ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন না। মূলত ওয়েবসাইট তৈরি করতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। প্রথমেই প্রয়োজন হয় একটি ইউনিক ডোমেইন নেম। যেমন: www.facebook.com, www.google.com. এগুলোকে বলা হয় ডোমেইন নেম। এরপর দ্বিতীয়ত প্রয়োজন হয় ওয়েব হোস্টিং। বা সহজ করে বললে ইন্টারনেটভিত্তিক স্টোরেজ। ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে যেকোনো ভিডিও, ইমেজ বা তথ্য সংরক্ষণ করে সেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার কাছে প্রদর্শন করা যায়।
এই দুটি জিনিসই অর্থ খরচ করে কিনতে হয়। এরপর সর্বশেষ যেটা দরকার হয়, তা হলো ওয়েব ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে জ্ঞান। এই কাজটি নিজে না জানলে অন্যকে দিয়ে করাতেও গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। তবে আপনি চাইলে খুব সহজেই মাত্র কয়েক মিনিটে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেই নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতেন পারেন। এজন্য আপনি www.blogger.com অথবা www.wordpress.com ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লগার থেকে বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ওয়েব ব্রাউজার থেকে blogger.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর “create your blog” নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগিন করতে হবে। লগিন করার পর নতুন একটি পেজ আসবে। প্রথম ধাপে “Choose a name for your blog” এই লেখাটির নিচের বক্সে আপনার ওয়েবসাইটের একটি টাইটেল বা শিরোনাম দিতে হবে। যা আপনার ওয়েবসাইটের একদম ওপরে প্রর্দশিত হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে “Choose a URL for your blog” এই লেখার নিচের বক্সে আপনাকে একটি ইউনিক ওয়েব অ্যাড্রেস বেছে নিতে হবে। আপনি যেই অ্যাড্রেসটি নিতে চান সেটি যদি আগে থেকে কারও নেওয়া থাকে তবে “Sorry, this blog address is not available” এমন লেখা দেখাবে। আর যদি আপনার পছন্দ করা অ্যাড্রেসটি কেউ নিয়ে না থাকে তবে “This blog address is available” এমন লেখা আসবে। তবে আপনি যেই অ্যাড্রেসই নেন না কেনো, তার শেষে .blogger.com লেখা আসবে।
যেমন ধরুন আপনি অ্যাড্রেস নিলেন shafinit তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা হবে shafinit.blogger.com। তৃতীয় ধাপে আপনাকে একটি “display name” বেছে নিতে হবে। সেখানেও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামটি দিয়ে দেবেন।
এরপর “Finish” এ ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট। এরপর ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের থিম/লেআউট/ডিজাইন নিজের মতো করে বেছে নিতে পারবেন। একইসঙ্গে ওয়েবসাইটে যেকোনো ভিডিও, ছবি বা লেখা প্রকাশ করতে পারবেন।
এ ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস থেকে বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ওয়েব ব্রাউজার থেকে www.wordpress.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর “Get started” এ ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার সামনে নতুন একটি ওয়েব পেজ আসবে।
সেখানে আপনাকে ইমেইল অ্যাড্রেস, ইউজারনেম এবং একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনার কাছে একটি ইমেইল যাবে, ইমেইলটি খুলে কনফার্ম বাটনে চাপ দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে আপনাকে একটি ডোমেইন নেম বেছে নিতে হবে। আপনি চাইলে wordpress.com এর ফ্রি সাব-ডোমেইন (yourname.wordpress.com) ব্যবহার করতে পারেন।
অথবা প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনে সেটা সংযুক্ত করতে পারেন। এরপর পরবর্তী ধাপে আপনাকে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখান থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের থিম, ডিজাইন ইত্যাদি কাস্টোমাইজ এবং ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?
আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?
এত কিছুর পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজে বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আপনি ওয়েবসাইট কেন নিবেন? নিলেও কেমন ডিজাইন হবে, দেখতে কেমন হবে। আপনি ওয়েবসাইটের কোথায় কি দেখাতে চান তা নিয়ে আপনার সম্পূর্ন ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মনের মত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন । আপনি যদি এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং নিজের বিজনেস প্ল্যান স্টেপ বাই স্টেপ তৈরি করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে তেমনিভাবে আপনার আডিয়েন্সও বেশি পছন্দ করবে। যে কোন সুন্দর এবং রিসপোনসিভ ফার্স্ট ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের গতি অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে একই সাথে আপনার কাস্টমারও আপনার নিকট থেকে দ্রুত সার্ভিস পাবে। কম সময়ে হাতের কাছে যে কোন পন্য বা সার্ভিস পেতে কে না চায়!
নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয় ইচ্ছামত,যেভাবে অনলাইন ইনকাম করে নিতে পারবেন
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে এসইও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এসইও বিষয়টি ওয়েবসাইট তৈরির খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারন ওয়েবসাইট লাইভ হওয়ার পর লং টার্মে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য এসইও দরকার। নিচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল। নিজের ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে চান?
কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
ডোমেইন সিলেকশন
এরপর আপনাকে আপনার বিজনেসের জন্য নাম সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বিজনেস দীর্ঘ দিন ধরে অফলাইনে চললেও অনলাইনে নেই। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেসের নামেই ডোমেইন কিনতে পারেন। তবে দেখতে হবে ডোমেইনটি অনলাইনে অ্যাভেইলএবল আছে কি না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ডোমেইন কি? সহজ কথায় ডোমেইন হল কোন কিছুর নাম। আপনার বিজনেসের নামই হল আপনার ডোমেইন নেম। যে নির্দিষ্ট নামে আপনার বিজনেসকে সহজেই চিনতে পারবে।
হোস্টিং
ডোমেইন ঠিক করার পর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেসকে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখবেন। সহজভাবে বুঝার জন্য আপনি আপনার মোবাইলে মেমোরি কার্ড থাকে। সেখানে আপনি আপনার পছন্দের গান ভিডিও ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন এবং সেখানে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে ওয়েবসাইট যে জায়াগায় রাখা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি ঐ জায়গা থেকে হোস্ট করা হয়। এটিই ওয়েব হোস্টিং।
আপনার ওয়েবসাইটের ইনফোরমেশন হোস্টিং থাকে। ইউজারের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে যদি রিলেভেন্ট ইনফোরমেশন পায় তাহলে ইউজারের সামনে নিয়ে আসবে। মূলত এভাবেই যে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে আসে এবং সার্ভিস কিনে থাকে। এই কারনে ওয়েবসাইট তৈরিতে হোস্টিং এত গুরুত্বপুর্ন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন লে আউট প্ল্যান
আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ঠিক করে থাকেন অথবা কিনবেন এমন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট কিংবা ডিজাইন কেমন নিতে চাইবেন তা ঠিক করতে হবে। কোন অপশন থাকবে কোনটি থাকবে না এবং ইউজারে জন্য আরও কত সহজ করা যায় পেমেন্ট মেথড কি রাখতে চান ইত্যাদি আপনাকে হাতে কলমে ঠিক প্ল্যান করতে হবে। কেননা বাজারে যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আছে তেমনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাদের আউট লুক কিংবা লে আউট ভিন্ন ক্যাটাগরির সাথে মিলে না।
সহজ ভাবে বললে আপনার যদি হোটেল রেস্টুরেন্টের বিজনেস থাকে তাহলে আপনাকে ফার্নিচার কিংবা হার্ডওয়্যার স্টোরের লে আউট এর মত ওয়েবসাইট বানালে হবে না। এতে করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমার বিরক্ত হবে এবং সার্ভিস নিতে চাইবে না। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট যদি রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের মতই হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কাস্টমার আগ্রহের সাথে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ ঘুরে ঘুরে দেখবে। ওয়েব সাইট ডিজাইন এই কারনেই গুরুত্বপূর্ন। আর্থৎ সহজ কথায় আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী।
UI/UX ডিজাইইন
UI হল User Interface। অর্থাৎ আপনার কাষ্টমাররা/ব্যবহারকারী যে অংশটা দেখে (Visual Design)। যার মাধ্যমে কাষ্টমার/ব্যবহারকারীদের কোন জিনিষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের জন্য কোথায় কি কি থাকবে এবং কোন অপশনের ধরন কেমন হবে ইত্যাদি ডিজাইন করা ।
অপর দিকে UX হল User Experience । কারা আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট কাষ্টমার, তারা কেন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে আর প্রোডাক্ট কেনার পর সেই প্রোডাক্ট এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন – এসব বিষয় নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে UX ডিজাইন ।
একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় UI/UX তৈরি করা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে এটি ব্যবহারকারীদের সহজে বোধগম্য হওয়া জরুরী । এক জরিপে দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, শাওমি বা অ্যাপল মোবাইলে মধ্যে কোনটি আপনাদের বেশী পছন্দ , অধিকাংশের মতামত হল পছন্দের ক্ষেত্রে তারা শাওমি ফোনকেই বেশী পছন্দ করে। এর প্রধান কারন এটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী।
ডিজাইন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি
আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট বা ডিজাইন কমপ্লিট। এখন আপনাকে ওয়েবসাইট কোডিং করে অথবা বিভিন্ন CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডেভলপ বা তৈরি করতে হবে । অর্থাৎ স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে কোডিং করে অথবা CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা শিখে নিজেই বানাতে পারেন। কিন্তু এই পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ।
আরও সহজ পদ্ধতি হল আপনি কোন ওয়েব ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি থেকে আপনার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এসব এজেন্সি ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তারা তাদের নিজস্ব ডেভলপার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ফাংশন এবং ফিচার নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত খরচ পড়বে ইত্যাদি আপনি সরাসরি সশরীরে তাদের সাথে আলোচন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিং ফিক্স করতে হবে।
এসইও প্লাগিন- আপনি যখন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট এর ব্যাসিক কিছু এসইও করতে হবে। যদিও এস ই ও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে এস ই ও করার জন্য ভালো ২ টি প্লাগিন রয়েছে । যেমনঃ Rank Math ও Yoast SEO। আপনি খুব সহজেই এই প্লাগিন দুটি ব্যবহার করতে পারেন।
সিকিউরিটি প্লাগিন- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী করা যেকোন ওয়েবসাইট হোক না কেন সকল ধরনের ওয়েবসাইটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিটি ওয়েবসাইটের ওনাররা জানে কিভাবে কত কষ্ট করে একটি ওয়েবসাইট মেইটেইন করতে হয় আর সেই ওয়েবসাইট টি যদি অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সব কিছু মুছে ফেলে তখন কি হবে?
এ কারনে সব সময় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা উচিত। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট টি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট, তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটি অন্য সব ওয়েবসাইত এর মতো না। এতে থাকে বিভিন্ন পন্য, ব্যবহারকারীদের ইনফরমেশন, পেমেন্ট ডিটেইলস ইত্যাদি আর এই গুলো কোন অসাধু ব্যক্তির হাতে চলে যায় তাহলে ব্যবহারকারী এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।
রেডিমেড ওয়েবসাইট বা টেমপ্লেট
এভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতেও আপনাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি যদি এমনও হয় আপনার কাছে যে কোন কারনে সময় নেই হাতে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই সেক্ষেত্রে রেডিমেড ওয়েবসাইট কিনতে পারেন। বাজারে যেমন রেডিমেড জামা কাপড় কিংবা খাবার থাকে এবং জলদিই কেনা যায়; রেডিমেড ওয়েবসাইটও তেমনি ভাবে কেনা যায়। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলো কাস্টম ভাবে তৈরি করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওয়েবসাইট গুলোর ভিন্নতা রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলোর কালেকশন দেখতে চান? রেডিমেড ওয়েবসাইটের সাথে কিছু ফ্রি ফিচার ও থাকছে। প্রোডাক্ট গুলো দেখলে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ
ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ এবং লাইভ করাও হল। Congratulations আপনার বিজনেসের একটি অনলাইন উপস্থিতি বা ওয়েবসাইট আছে। আপনি নিজেও নিজের এন্ড্রয়েড ফোন থেকে সার্চ করে নিজের ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন তো ? গুগলের সাথে পরিচয় না করিয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট অন্যের কাছে যাবেনা এবং দেখতেও পারবে না। আসুন দেখে নেয়া যাক কি ভাবে গুগলের সাথে ওয়েবসাইট এর পরিচয় করিয়ে দিবেন!
ওয়েবসাইটকে গুগল এর সাথে পরিচয় করে দেওয়া
আপনি অফলাইনে ব্যবসা করলে যেমন আপনার কম্পিটিটর বা প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তেমনি অনলাইনেও আপনার বিজনেসের কম্পিটিটর আছে। আপনি আমি যে কোন কিছু সার্চ দিলে ১ম, ২য় এবং ৩য় অবস্থানে যেসব রেজাল্ট আসে সেগুলোই ভিজিট করে থাকি। এখন আপনার ওয়েবসাইটকেও সে অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে; যেন আপনার সার্ভিস নিয়ে যে কেউ সার্চ দিলে আপনাকেই খুজে পায়। এই বিষয়টিকে অনলাইন ভিজিবিলিটি বলে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি যার যত বেশি তার ওয়েবসাইটে ত বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক ঢুকে এবং সার্ভিস সেল হওয়ার চান্স বেশি থাকে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্যই এসইও করা দরকার হয়। এসইও আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাংক করাতে মেজর ভুমিকা রাখে। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও কোথা থেকে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত?
১. সাইটম্যাপ সাবমিট–সাইটম্যাপ হল কোন একটি ওয়েবসাইট এর মানচিত্র। এটি search engine কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটটি কি বিষয়ের উপর তৈরি করা এবং এই আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি আছে। ভিডিওতে দেওয় হলো : ভিডিও পেতে ক্লিক করুন।
যেমন ধরুন- আপনাকে দেশের বাইরে ( আমেরিকা) যেতে হবে, এখন আপনার হাতে যদি আমেরিকার একটি ম্যাপ তলে দেয়া হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন যে, কোথায় থেকে কি ভাবে এবং কোন পথে আপনার গন্তব্যে যেতে হবে। ঠিক এই রকম ভাবে সাইটম্যাপ ও সার্চ ইঞ্জিন কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি তথ্য দেয়া আছে। এই জন্যই প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাইটম্যাপ সাবিমিট করতে হবে।
২. অ্যানালাইটিকস সেটাপ- গুগল অ্যানালিটিক্স হ’ল এমন একটি ওয়েব অ্যানালিটিক্স পরিষেবা যা বর্তমানে ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক ট্র্যাক করে এবং একটি খসরা তৈরি করে। আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক কেমন তাদের বয়স,কোন লিঙ্গের,তাদের লোকেশন ইত্যাদি গুগল অ্যানালিটিক্স এর মাধ্যমে জানা যায়। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে গুগল অ্যানালিটিক্স সংযোগ করতে হবে যাতে করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ আসা সকল ব্যবহারকারীর তথ্য যেনে ,সে অনুসারে পদক্ষেপ নিতে পারেন। ভিডিওতে দেওয় হলো : ভিডিও পেতে ক্লিক করুন।
৩. গুগল মাই বিজনেস – GOOGLE MY BUSINESS (GMB) আপনার অনেকেই হয়তো এটার নাম শুনে থাকবেন। এটি গুগলের এমন একটি সার্ভিস যা গুগলের মাধ্যমে আপনার বিজনেস বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচিতি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ এবং গুগল ম্যাপে সহজে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে কোন খরচ ছাড়াই আপনার প্রতিষ্ঠানকে বা ব্যবসাকে পরিচালনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অপর দিকে গুগুল মাই বিজনেস লোকাল এস ই ও এর একটি অংশ। GOOGLE MY BUSINESS পেজ তৈরি করে এবং ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গুগুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সময়ের সাথে সাথে গুগলের প্রথম পেইজে আসতে সাহায্য করে। তাতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে এবং সেল জেনারেট বৃদ্ধি পাবে। তাই গুগুল মাই বিজনেস হচ্ছে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মাধ্যম। যার মাধ্যমে বিনা খরচে আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। ভিডিওতে দেওয় হলো : ভিডিও পেতে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন জিনিস দরকার হয়। এর মধ্যে কতগুলো আসে আপনি ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। আর কতগুলো আপনাকে কিনে নিতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা লাগেঃ
১। ডোমেইন নাম
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি লাগে তা হলো একটি ডোমেইন নাম।
আপনি যেই ডোমেইন নাম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তা যদি কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের ব্রাউজারে লিখে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুজে পাবে।
এ কারনে ডোমেইন নামকে ওয়েবসাইটের ওয়েব এড্রেসও বলা হয়ে থাকে।
ডোমেইন নাম আপনার পছন্দমতো আপনি যেকোনো কম্পানি থেকে কিনতে পারবেন। তবে ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি একক নাম। তার মানে হলো কেউ যদি একটি ডোমেইন নাম কিনে নেয় পরবর্তিতে সেটি কেউ কিনতে পারে না যদি না ডোমেইনের মেয়াদ শেষ হয়।
যেমনঃ https://www.banglanewsexpress.com/
আমাদের ডোমেইন নামটি ১ বছরের জন্য ৮০০ টাকা দিয়ে কেনা আছে। পৃথিবীর আর কেউ এটি কিনতে পারবে না। তবে এক বছর পর যদি আবার ৮০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করি, তাহলে যে কেউ আবার এই ডোমেইন নামটি কিনে নিতে পারবে।
তো আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবেন তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের সুন্দর নাম খুজে বের করা লাগবে।
যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার একটি ব্র্যান্ড তাই ডোমেইন খুব সতর্কতার সাথে বাছাই করা উচিত। তাই আগে এটি পড়ুন- ডোমেইন নেম কি এবং কিভাবে ডোমেইন কিনতে হয়
২। ওয়েব হোস্টিং সার্ভার
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য দ্বিতীয়ত যে জিনিসটি লাগে তা হলো একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভার।
ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন স্পেস যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে লাইভ করাতে পারবেন।
এটি ওয়েবসাইটের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব না।
এটি একটি অনলাইন মেমুরীর মতো কাজ করে।
তবে মেমুরী আর হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে আপনার মেমুরী আপনি ছাড়া আর কেউ ব্যবহার করতে পারে না কিন্তু হোস্টিং এ কোনো ওয়েবসাইট রাখলে সেটি পৃথিবীর সবাই ব্যবহার করতে পারবে। অর্থাৎ, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারে।
হোস্টিং বিভিন্ন কম্পানি থেকে কিনে নিতে হয়। এবং এটিও বছরে বছরে ভাড়া দিতে হয়। একটি ভালো মানের হোস্টিং কিনতে হলে আপনাকে প্রতিবছর ২০০০-৩০০০ টাকার আশেপাশে খরচ করতে হবে।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হোস্টিং অবশ্যই থাকা লাগে। হোস্টিং ছাড়া কখনই কোনো ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে লাইভ করানো যায় না।
নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে কমপক্ষে ১ জিবি কিংবা ২ জিবি হোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবেন। হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন –
৩। সি এম এস(CMS)
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এই প্রশ্ন করলে চলে আসে সি এম এস এর কথা। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস হলো ওয়ার্ডপ্রেস।
সি এম এস একটি ইংরেজী শব্দ Content Management system এর সংক্ষিপ্ত রূপ যথা CMS.
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে দরকার হয় একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে কন্টেনগুলো খুব সহজভাবে ম্যানেজ করা যায়।
এই কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যাবহার করে কোডিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এবং ওয়েবসাইট যেকোনো ধরনের ডিজাইন করা যায় এবং নতুন নতুন বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা যায়।
সি এম এস ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সুবিধা হলো এখানে পোস্ট করা অত্যন্ত সহজ। এবং প্রকাশিত পোস্টগুলো লিস্ট আকারে পাওয়া যায় এবং যেকোনো সময় ইডিট করা যায়।
পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সি এম এস (CMS) হলো ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
ওয়ার্ডপ্রেস কি, কেন শিখব, কিভাবে শিখব আগে বিস্তারিত জেনে আসুন।
ওয়ার্ডপ্রেস হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি একটি অপেন-সোর্স সফটওয়ার, তাই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
বর্তমানে ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন এর ৪০% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে একটি সি এম এস লাগে, আর আপনি সি এম এস হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসকে বাছাই করতে পারেন।
যদিও আরো অনেক সি এম এস রয়েছে যেমনঃ Joomla, Drupal, Magento, Wix এবং ইত্যাদি।
তবে, নতুনদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যাবহার করা সবচেয়ে সহজ এবং প্রস্তাবিত। মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট তৈরি করতে একটি সি এম এস লাগবেই।
নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয় ইচ্ছামত,যেভাবে অনলাইন ইনকাম করে নিতে পারবেন
আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
৪। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার দক্ষতা
একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার মতো দক্ষতা থাকা লাগে।
আসলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা অনেক সহজ। হোস্টিং ক্রয় করার পর আপনাকে একটি সি-প্যানেল তথা কন্টোল প্যানেল দেওয়া হবে।
সেখান থেকে আপনি কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন আপনি ভিন্ন ভিন্ন কম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে আপনার হোস্টিং সিপ্যানেলে প্রথমে ডোমেইন যুক্ত করতে হয়। এবং ডোমেইন প্যানেলে নেমসার্ভার আপডেট করতে হয়।
তারপর, ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয়। তাই, আলাদা আলাদা হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে ডোমেইন-হোস্টিং ক্রয় করলে আপনার এডভান্স লেভেলের কিছু দক্ষতা লাগবে।
৫। ওয়ার্ডপ্রেস থিম
ডোমেইন-হোস্টিং কিনলাম, এবং ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করলাম, তাহলে এখন আর ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?
থামুন!
এখনও আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ন হয় নি।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পরে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবেন। ভিজিট করলে দেখতে পাবেন, আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক নেই।
কারন, আপনি সেখানে কোনো ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করেন নি।
ওয়েবসাইটের সঠিক ডিজাইন করার জন্য আপনাকে ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে না। শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করলেই আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়ে যাবে।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম হচ্ছে মূলত ওয়েবসাইটের রেডি-মেইড ডিজাইজ যা কোনো ডেভেলোপার কতৃক তৈরি হয়ে থাকে।
কিছু থিম ডেভেলোপাররা ফ্রিতে দিয়ে থাকে। আবার কিছু থিম ব্যবহার করতে হলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ধরনের ফ্রি থিম আছে। ফ্রি থিম ইন্সটল করার জন্য আপনাকে WordPress Dashboard থেকে Appearance অপশনে যেতে হবে এবং সেখানে Theme নামক একটি অপশন থাকবে।
আপনার পছন্দমতো থিম বাছাই করে সেখান থেকে ইন্সটল করে নিন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি থিম হচ্ছে Astra
৬। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ওয়েবসাইট তৈরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা এবং ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে ম্যানেজ করার জন্য প্লাগিন ব্যবহার করতে হয়।
যেমন, আপনি একটি থিম ইন্সটল করলে আপনার সাইট থিমের মতো দেখতে হয়ে যাবে। কিন্তু, সেখানের Text বা লেখাগুলো আপনার মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য দরকার হবে একটি পেইজ বিল্ডার প্লাগিন (Elementor)।
আপনি যদি আপনার সাইটের এসইও করে গুগল সার্চ রেজাল্টে আসতে চান তাহলে তাহলে দরকার হবে একটি এসইও প্লাগিন (Yoast SEO)
আপনি যদি আপনার সাইটের পারফর্মেন্স বাড়াতে চান অর্থাৎ সাইট আরো ফাস্ট করতে চান তাহলে দরকার হবে Cache প্লাগিং (Litespeed)
তাছাড়া, ওয়েবসাইটকে আরো সয়ংক্রিয় করে তোলার জন্য অনেক ধরনের প্লাগিনের ব্যবহার করতে হয়।
তো এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়ে গেলে আপনি নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
ওয়েব সাইট থেকে আয় করতে চাইলে কি কি লাগবে
নিচের পোষ্ট গুলো পড়ুন:
- ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম,কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?
- নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয় ইচ্ছামত,যেভাবে অনলাইন ইনকাম করে নিতে পারবেন
- নিজের ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে চান?,১০০% ফ্রীতে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম শুরু করুন
- বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয়, ওয়েবসাইট ভিজিট করে ইনকাম
- ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায়, ওয়েবসাইট হতে পারে আপনার সারা জীবনের স্থায়ী উপার্জন
- ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে টাকা আয়, ওয়েবসাইট থেকে আয় করার ২০টি উপায়
ওয়েবসাইট সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারনা হয়ে গেছে । এখন কথা হল আমি যদি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চাই ওয়েবসাইটে কি কি জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রথমেই আপনার যে জিনিসটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনার অবশ্যই একটি কম্পিউটার অথবা ভালোমানের স্মার্টফোন থাকতে হবে। এবং সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। কেননা একটি ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনায় সমস্ত কাজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
ভালো মানের কন্টেন্ট
অতঃপর যে বিষয়টি দরকার সেটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ভালোমানের আর্টিকেল/প্রকাশ করতে হবে। আপনি যখন প্রতিনিয়ত ভালো মানের তথ্যবহুল কন্টাক্ট তথা আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর তথ্য সংগ্রহ করতে আসবে।
মনে রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের যত ভাল আর্টিকেল থাকবে আপনার ওয়েবসাইটে তত বেশি ভিজিটর আসবে। আর যত বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে আপনার ইনকাম তত বাড়বে।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য কখনো অন্য ওয়েবসাইটে আর্টিকেল কপি করার চিন্তা কখনোই করবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি হবে।
ভালো মানের ইমেজ
আর্টিকেল এর ফাঁকে ফাঁকে প্রয়োজন অনুসারে আপনাকে ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। ভালো মানের ইমেজ বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি ইমেজটি অবশ্যই ইউনিক তথা এর পূর্বে যাতে কোথাও ব্যবহার না হয়ে থাকে এমন ইমেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিতেই ভালো মানের ইমেজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা ফটোশপ বা অন্য ইমেজ এডিটর সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন।
ওয়েব সাইটে ভিজিটর আনতে হবে
ভিজিটর হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। একটি ওয়েবসাইটে যদি এ ভিজিটর না থাকে তাহলে সে ওয়েবসাইট থাকা না থাকা সমান কথা। তাই আপনি চাইলে বেশ কিছু মাধ্যম অবলম্বন করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারেন খুব সহজেই।
ঘরে বসে টাকা আয় করার কিছু পরামর্শ
- ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে টাকা আয়
- গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
- ঘরে বসে আয় করার উপায়, ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন যেভাবে টাকা আয় করবেন বিস্তারিত
- ব্লগিং করে ইনকাম অনলাইনে যেভাবে টাকা আয় করবেন বিস্তারিত
- ১০০% নিশ্চিত অনলাইন ইনকামের পথ
- কনটেন্টরাইটিংওব্লগিংবিস্তারিতজানতেক্লিককরুন!
- ছাত্রজীবনে আয় করবেন যেভাবে
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- ওয়েব ডিজাইন কি ? কিভাবে শিখব, ওয়েব ডিজাইন
- What is email marketing? Details
- এসইও কি? কিভাবে এসইও শিখবো?,এসইও (SEO) কি?
- কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে ইনকাম করা যাই
- CPA marketing কি ? সিপিএ মার্কেটিং এর লাভ ও উদাহরণ
- ইমেইল মার্কেটিং কী? বিস্তারিত
- ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় সম্ভব?
- গুগল থেকে কিভাবে আয় করব
- ইউটিউব থেকে আয়
একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?
ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।
ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ?
একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করার উপায় হলো, নিজের ওয়েবসাইটে “Google AdSense” বিজ্ঞাপন দেখানো এবং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়?
এক্ষেত্রে আপনার খরচ শুরু হতে পারে আনুমানিক ১ হাজার টাকা থেকে, সেটি আবার কোন ধরনের ওয়েবসাইট তার উপর ভিত্তি করে। যেমন, বিজনেস ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট, পার্সোনাল ওয়েবসাইট অথবা সাধারন ব্লগ ওয়েবসাইট হলে ১০/১৫ হাজার থেকে শুরু, এবং ই-কমার্স ওয়েবাসইট হলে ২০/২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু
ডোমেইন শব্দের অর্থ কি?
ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটা ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়। ডোমেইন নাম ক্লাইন্ট কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। একটি ডোমেইন নাম সংক্রান্ত সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে ডোমেইন নেম সিস্টেম।
ডোমেইন কি সাধারণ
ডোমেইন কি? ইন্টারনেটের জন্য সুনির্দিষ্ট, ডোমেন শব্দটি ইন্টারনেটকে কীভাবে গঠন করা হয় তা উল্লেখ করতে পারে এবং ডোমেন একটি সংস্থার নেটওয়ার্ক সংস্থানগুলিকে কীভাবে সংগঠিত করা হয় তাও বোঝায়। সাধারণভাবে, একটি ডোমেন হল নিয়ন্ত্রণের একটি ক্ষেত্র বা জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও