ওহমের কাকে বলে | ওহমের প্রভেদ এর পার্থক্য|ওহমের কত প্রকার ও কি কি?|ওহমের সূত্র | ওহমের সূত্রের ব্যখ্যা|ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা

ওহমের কাকে বলে | ওহমের প্রভেদ এর পার্থক্য|ওহমের কত প্রকার ও কি কি?|ওহমের সূত্র | ওহমের সূত্রের ব্যখ্যা|ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা

ওহমের সূত্র (Ohm’s law): 1825 এবং 1826 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম (Georg Simon Ohm) পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার পরিবর্তন কীভাবে বিভবপ্রভেদের পরিবর্তনের ফলে হয়, সেই নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। 1827 খ্রিস্টাব্দে তিনি কোনো বর্তনীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা ( I ) , বিভবপ্রভেদ ( V ) এবং রোধের ( R ) মধ্যে একটি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন, যা ওহমের সূত্র নামে পরিচিত।

ওহমের সূত্র (Definition of Ohm’s Law)

উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা (যেমন যান্ত্রিক বিকৃতি, চৌম্বকক্ষেত্র, চাপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকলে কোনো ধাতব পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা, পরিবাহীর প্রান্তীয় বিভবপার্থক্যের সমানুপাতিক হয়।


আরো ও সাজেশন:-

ওহমের সূত্রের ব্যখ্যা (Explain Ohm’s Law)

ওহমের সূত্রের ব্যাখ্যা : ধরা যাক , AB পরিবাহীর A ও B বিন্দুদ্বয়ের তড়িৎবিভব যথাক্রমে VA ও VB VA > VB হলে প্রবাহ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে A বিন্দু থেকে B বিন্দু অভিমুখে চালিত হয়।

ওহমের সূত্রের গাণিতিক ব্যাখ্যা

তড়িৎ প্রবাহমাত্রা “I” হলে, ওহমের সূত্র অনুসারে,

( VA – VB ) ∞I [ যখন উন্নতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত ] বা , I = K ( VA – VB ) [ K হল সমানুপাতিক ধ্রুবক ] 2 . ( VA – VB ) = KI= IR [ যেখানে R = 1

(VA-VB ) = V হলে , V = IR এটিই ওহম সূত্রের গাণিতিক রূপ।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা

পরিবাহীর রোধের ধারণা (Concept of conductor’s resistance) : কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ V এবং ওই পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা “I” হলে, ওমের সূত্র থেকে আমরা পাই , V = IR বা I = V/R যেখানে R একটি ধ্রুবক।

সুতরাং, I = সম্পর্কটি নির্দেশ করে, পরিবাহীর উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা এবং দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ V স্থির থাকলে, R- এর মান বৃদ্ধি পেলে । -এর মান হ্রাস পায় এবং R- এর মান হ্রাস পেলে । -এর মান বৃদ্ধি পায়।

অতএব, বলা যায় যে, A হল পরিবাহীর এমন একটি ধর্ম, যা পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে এবং এর মান বিভিন্ন পরিবাহীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। R- কে পরিবাহীর রোধ বলা হয়। অতএব l, ওহমের সূত্র থেকে প্রাপ্ত রোধের গুণগত সংজ্ঞাটি হল– যে ধর্মের জন্য কোনো পরিবাহী ওর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহকে বাধা দেয় , তাকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে।

রোধের সংজ্ঞা (Definition of resistance) : ওহমের সূত্র থেকে প্রাপ্ত রোধের পরিমাণগত সংজ্ঞাটি হল উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবহমান তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে পরিবাহীটির রোধ বলা হয়।
R = V/I
রোধের SI একক : SI- তে রোধের একক =
ভোল্ট/অ্যাম্পিয়ার = ওহম ( ) [ রোধের প্রতীক ]।
রোধের মাত্রীয় সংকেত: [R] = ML2T-3I-1/I =ML2T-3I-2

ওহমের সংজ্ঞা : R = V/I সম্পর্ক নির্দেশ করে R = 1 যখন , V = I = 1। সুতরাং, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে 1 ভোল্ট বিভবপার্থক্য প্রযুক্ত হলে ওই পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে যদি 1 amp প্রবাহমাত্রা যায়, তবে ওই পরিবাহীর রোধকে বলা হয় 1 ওহম।

Covered Topics: ওহমের সূত্র টি লেখ ও ব্যাখ্যা কর, ওহমের সূত্রের গাণিতিক রূপ, ওহমের সূত্র থেকে রোধের ধারণা, ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা, রোধ কাকে বলে, রোধের সংজ্ঞা দাও, রোধের একক কী

Leave a Comment