অ্যাসাইনমেন্ট: কম তাপমাত্রায় খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের মূলনীতি।
শিখনফল :
১। কম তাপমাত্রায় খাদ্যদ্রব্যে সংরক্ষণ এর মূলনীতির বর্ণনা করতে পারবে ।
২। গুদামজাত খাদ্যদ্রব্যের স্থায়িত্বকাল যে সকল বিষয়ের উপর নির্ভরশীল তা বর্ণনা করতে পারবে ।
নির্দেশনা :
- খাদ্যদ্রব্যে সংরক্ষণের মূলনীতি।
- খাদ্যদ্রব্যে সংরক্ষণের স্থায়িত্বকাল।
- প্রাণিজ খাদ্যদ্রব্য ঠান্ডা গুদামজাতকরণ।
উত্তর সমূহ:
- খাদ্যদ্রব্যে সংরক্ষণের মূলনীতি।
খাদ্য সংরক্ষণ (ইংরেজি: Food preservation) হল খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক (যেমনঃ ঈস্ট) এবং অন্যান্য অণুজীবের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং খাদ্যের জারণ না ঘটতে দিয়ে এর পচন রোধ করে খাদ্যের স্বাদ ও গুণমান অক্ষুণ্ন রাখার প্রক্রিয়া।
খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া উদ্ভাবিত হয়েছে। কিউরিং, পিকলিং, হিটিং, কুলিং, ফ্রিজিং ইত্যাদি খাদ্য সংরক্ষণের জনপ্রিয় কয়েকটি প্রক্রিয়া। এছাড়াও পূর্বে বেশকিছু প্রক্রিয়া অনুসৃত হত; এ প্রক্রিয়াগুলোতে তুলনামূকলভাবে বর্তমানের চেয়ে কম শক্তিপ্রয়োগ করলেও হত, এবং তা কম কার্বন নিঃসরণ করত।
সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে ক্রমেই খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কৃষির বিকাশ থেকে শিল্প বিপ্ল্ব পর্যন্ত খাদ্য সংরক্ষনের নানান প্রক্রিয়া বিকাশ লাভ করতে থাকে। প্রধানত ২ উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়ঃ প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের নানান প্রক্রিয়া আছে।
এসব পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণ করলে তা স্বাস্থ্যের উপরে কোনপ্রকার বিরূপ প্রভাব ফেলে না। কৃত্রিম উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যেসব রাসায়নিক পদার্থগুলোকে সীমিত মাত্রায় ব্যবহার ক্রতে হয়। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য যথাক্রমে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ্স ও কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ্স ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি শুষ্ককরণ
খাদ্যদ্রব্যের পচন রোধের জন্য যেসকল পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তার মধ্যে শুষ্ককরণ অন্যতম। প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১২, ০০০ সালে মধ্য-পূর্ব এবং প্রাচ্যে সূর্যালোকের সাহায্যে খাদ্যদ্রব্যকে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হত। সবজি এবং ফলমূল স্বাভাবিকভাবেই সূর্যালোকের মাধ্যমে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা গেলেও মধ্যযুগের বাড়িঘরের গঠনের কারণে বাড়ির ভেতরে যথেষ্ট পরিমাণে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারত না। তাই অনেক সময় আগুনের সাহায্যও নেওয়া হত।[৩]
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
শীতলীকরণ
শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্যের পচনকারী এনজাইমের ক্ষতিকার প্রভাব এবং অনূজীবের বংশবিস্তার রোধ করার জন্য খাদ্যকে নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। গরম কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়ায় এই প্দ্ধতিতে দীর্ঘদিন খাদ্যের গুণাগুণ অক্ষুণ্ন রেখে সংরক্ষন করা যায়।
হিমায়ন
ফ্রিজের দরজায় একটি সচিত্র সহায়িকা।
হিমায়ন বর্তমান সময় পর্যন্ত সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রক্রিয়া। অর্থনৈতিক এবং ঘরোয়া উভয়দিক থেকেই এই পদ্ধতি অত্যন্ত জনপ্রিয়। নানা ধরনের রান্না করা কিংবা না করা খাবার এই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়। হিমায়নের জন্য বাণিজ্যিকভাবে হিমাগার ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে এক সময়ের খাদবার অন্য সময়ে ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
উত্তাপন
উত্তাপন প্রক্রিয়ায় অধিক তাপমাত্রা সৃষ্টি করে অণুজীব জন্মাতে বাঁধা দেওয়া হয়। এটিও খাদ্য সংরক্ষণের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রক্রিয়া।
- খাদ্যদ্রব্যে সংরক্ষণের স্থায়িত্বকাল।
খাদ্যশস্য গুদামজাতকরণ (Grain Storage) বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান, গম ও ভুট্টা প্রায়শই কিছুকালের জন্য গুদামে রাখা হয়। ফসল তোলার পর গুদামজাত খাদ্যশস্যের ক্ষতির মাত্রা বাংলাদেশে ১০-২৫ শতাংশের মতো। গুদামজাত অবস্থায় পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ অংশত এজন্য দায়ী। ফসল তোলার পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি বস্ত্তত যথাযথ মাড়াই, পরিষ্করণ, শুকানো ও গুদামজাতকরণের ওপর নির্ভরশীল।শস্য সংরক্ষণ: ডোল, পাটের বস্তা, মটকা
শস্য শুকানো শস্যে সঠিক মাত্রায় পানি রেখে অতিরিক্ত পানি অপসারণই হলো শুকানো। বাংলাদেশে খাদ্যশস্য সনাতন পদ্ধতিতে রোদে শুকানো হয়ে থাকে। রোদে কৃষিপণ্য শুকানো এদেশে সর্বাধিক অনুসৃত পদ্ধতি। এ চিরাচরিত পদ্ধতিতে ভেজা শস্য সমতল ভূমিতে, সাধারণত সমান করা মাটির উপর, সরাসরি রোদে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছড়িয়ে রাখা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
উন্নত দেশসমূহে ব্যবহূত উচ্চ তাপমাত্রার ড্রায়ার ব্যবহার আর্থিক দিক থেকে বাংলাদেশে লাভজনক নয়। দেশের সকল এলাকায় প্রচুর সৌর-বিকিরণ থাকায় রোদে শুকানোর পদ্ধতি এখানে ব্যাপক। সৌর-ড্রায়ার প্রচলন একাধারে আশাপ্রদ, পরিবেশগতভাবে সঠিক ও দূষণমুক্ত বলেই প্রতীয়মান হয়। সীমিত পরিমাণ বীজের ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ড্রায়ার/সৌরতাপচালিত নিরুদক যন্ত্র এবং প্রচুর পরিমাণ বীজের ক্ষেত্রে ব্যাচ-টাইপ শুষ্ককরণ ও গুদামজাতকরণ পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় হতে পারে।
গুদামজাতকরণ শস্যমানের অবনতি রোধই গুদামজাতকরণের প্রাথমিক লক্ষ্য। কাজটি প্রত্যক্ষভাবে না করে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, নির্বিঘ্ন বায়ু চলাচল এবং জীবাণুসংক্রমণ, কীটপতঙ্গ ও ইঁদুরের আক্রমণ রোধের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশে কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটানো এবং বীজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য খাদ্যশস্য গুদামজাত করে থাকে। এভাবে সঞ্চিত শস্য মোটামুটি মোট উৎপাদনের ১০-১০০% হতে পারে। গড় গুদামজাতকরণের পরিমাণ উৎপন্ন শস্যের প্রায় ৭০%। খাদ্যশস্য পাত্রে বা ভাঁড়ারে রাখা হয়। বাংলাদেশে এজন্য ব্যবহূত পাত্রের মধ্যে রয়েছে মটকা, মাটির হাঁড়ি, পাটের বস্তা ইত্যাদি। অধিক পরিমাণ শস্য রাখা হয় সনাতন গুদামজাতকরণ ব্যবস্থায় ভাঁড়ার, গোলাঘর ও সাইলো অথবা ভূগর্ভস্থ শস্যাগারে। প্রাপ্ত শস্যের প্রায় ৯০% ভাঁড়ারে সঞ্চিত থাকে।
গ্রামাঞ্চলে গুদামজাত থাকে মোট উৎপন্ন শস্যের ৮০% এবং তা সনাতন গুদামজাতকরণ ব্যবস্থায় সম্পন্ন হয়। গুদামজাতকরণের সনাতন কৌশল সাংস্কৃতিক রীতিনীতিতেই প্রোথিত এবং তা বংশপরম্পরায় অব্যাহত রয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের ধরন ও শস্যাদির পরিমাণ অনুযায়ী শস্যাগারের নমুনা ও ধারণক্ষমতা নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে খামার পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৮ ধরনের গুদামজাতকরণ পদ্ধতি ব্যবহূত। এর মধ্যে সাধারণ প্রচলিত শস্যাগারগুলি হচ্ছে ধানগোলা (বেত বা বাঁশের তৈরী মাঝারি ও বড় আকারের চোঙাকার বা আয়তাকার পাত্র), বেড় (বাঁশের তৈরী মাঝারি ধারণক্ষমতার চোঙাকার পাত্র) ও ডোল (স্বল্প ধারণক্ষমতার বাঁশনির্মিত চোঙাকার ভান্ড)।
বাঁশের তৈরী ভান্ডের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহূত হয় ডোল ও বেড়। ডোলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে একটি তলা রয়েছে, বেড় ও ধানগোলার তা নেই। ডোল সচরাচর ০.৬ মিটার চওড়া ও ১ মিটার উঁচু এবং ধারণক্ষমতা ২৪০-৪৫০ কেজি। বেড় প্রায় ১.৫ মিটার উঁচু ও ১.৫ মিটার চওড়া এবং ধারণক্ষমতা ৭০০ থেকে ১২০০ কেজি। আয়তাকার ধানগোলা প্রায় ৭ মিটার লম্বা, ৩.৫ মিটার চওড়া ও ৩ মিটার উঁচু এবং ধারণক্ষমতা ৪০০০ থেকে ৪০,০০০ কেজি। এগুলির মধ্যে ধানগোলা বেশি মজবুত করে তৈরি। তবে এ তিন ধরনের পাত্রই ফসল তোলা থেকে বীজবপন পর্যন্ত ধানের বীজ গুদামজাতকরণের জন্য উপযুক্ত এবং এ তিনটির মধ্যে ডোল সর্বোৎকৃষ্ট। বেড় ও ডোলের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা যথাক্রমে ২৪৫০ কেজি ও ৭৫০ কেজি।
বস্তাভর্তি শস্য শস্যাগারে গুদামজাত করা হয়। এগুলিকে ‘মামুলি গুদামঘর’ বলা হয়ে থাকে। বস্তাভর্তি খাদ্যশস্য গুদামজাতকরণ ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় মালগুদাম (গ্রামাঞ্চলে ও শহরের মহল্লা এলাকায়) ও কেন্দ্রীয় মালগুদাম (আঞ্চলিক পর্যায়ে)। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় মালগুদামগুলি মূলত খাদ্যশস্যের স্বল্পমেয়াদি ভান্ডার হিসেবে ব্যবহূত হয়। এসব খাদ্যশস্য ফসল কাটার মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অথবা অন্যান্য স্থানীয় মালগুদাম, কেন্দ্রীয় মালগুদাম ও সাইলো থেকে আনা। অন্যান্য স্থানীয় মালগুদাম, কেন্দ্রীয় মালগুদাম ও রেশন দোকানগুলিতে পাঠানোর জন্য আমদানিকৃত শস্যও এগুলিতে রাখা হয়। দেশে জরুরি প্রয়োজনের সময় খাদ্যনিরাপত্তার ব্যবস্থা হিসেবে খাদ্যশস্য, বিশেষত গম গুদামজাত করার জন্য সাইলো ব্যবহূত হয়ে থাকে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- প্রাণিজ খাদ্যদ্রব্য ঠান্ডা গুদামজাতকরণ।
সল্টিং বা লবণ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে লবণ, কিউরিং লবণ, মসলা এবং ব্রাউন চিনি অথবা খাবার লবণ, সোডিয়াম নাইট্রেট ও সোডিয়াম ল্যাকটেট দিয়ে মাংস মেখে ২৪ ঘণ্টা রেখে ফ্রিজে ১ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতি টিএফডিএ অনুমোদিত। সল্টিং পদ্ধতিতে মাংস সবচেয়ে বেশি টাটকা এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। মাংসের অক্সিডেটিভ ও মাইক্রোবিয়াল পচন প্রতিরোধ এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে ভালো হয়।
ক্যানিং পদ্ধতি: মাংস সংরক্ষণের আরও এক পদ্ধতিকে থার্মাল স্টেরিলাইজেশন বলে। এক্ষেত্রে মাংস প্রায় ২৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ড্রাই করে ঠান্ডা করা হয়। এরপর কাচের জার বা বয়ামের মুখ আটকে তাতে এই মাংস প্রায় এক বছর রাখা যায়। এই পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংস কাটা, রান্নার আগে সিমিং, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ঠান্ডা করা ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কাঁচা মাংস
- বাজার থেকে মাংস এনেই ফ্রিজে রাখা জরুরি। কিন্তু পরিষ্কার না করে নয়। পুরোপুরি পরিষ্কার করতে না পারলেও পানি দিয়ে কিছু সময় ধুয়ে মাংসে লেগে থাকা রক্ত ধুয়ে নিতে হবে। কারণ, রক্তসহ মাংস দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এ ছাড়া এতে মাংসে একধরনের গন্ধও তৈরি হয়।
- মাংস পলিথিন বা পাত্রে না রেখে শুধু ফেলে রাখা যাবে না। এতে মাংসের গুণাগুণ নষ্ট হয়। যতখানি সম্ভব মুখ বন্ধ পাত্র বা পলিথিনের মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রাখতে হবে। এতে বরফ হওয়া মাংস বের করতেও সুবিধা।
- কাঁচা মুরগির মাংস ডিপ ফ্রিজে আস্ত অবস্থায় রাখলে তা প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। আর কাটা অবস্থায় ৫-৬ মাসের মধ্যে রান্না করাই উত্তম।
- মাংস প্রয়োজন বুঝে ছোট ছোট প্যাকেটে সংরক্ষণ করুন। এতে যেদিন যে প্যাকেটটি প্রয়োজন, সেটিই নামাতে পারবেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মাংস রাখার সময়
- ফ্রিজে মাংস রাখার আগে অবশ্যই ডিপ ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিতে হবে। আবার মাংস রাখার কিছুদিন পরও আবার ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিন। এতে ফ্রিজের খাবারে দুর্গন্ধ হবে না।
- ফ্রিজে মাংস গুছিয়ে রাখতে হবে। এলোমেলো ও গাদাগাদি করে মাংস রাখা সঠিন সংরক্ষণের নিয়ম নয়।
- ফ্রিজে মাংস রাখলে দুটি প্যাকেটের মাঝে একটি দূরত্ব রাখুন। এতে বাতাস চলাচল করতে পারবে।
- মাংসে অপ্রয়োজনীয় হাড় ও তেল–চর্বি থাকলে তা কেটে ফেলে দিতে হবে। কারণ বরফ হলে পরবর্তীকালে পরিষ্কার করা কঠিন।
- গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, হাঁসের মাংসও ভিন্ন প্যাকেটে রাখুন। মাংস বলে সব এক করে মিলিয়ে রাখা যাবে না।
- যে মাংস একটু থেঁতলে নিতে চান, তা ফ্রিজে রাখার আগেই নিতে হবে। কারণ, বরফ হলে তা তাজা মাংসের মতো থাকবে না।
- মাংস যদি দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখার পরিকল্পনা থাকে, তবে অবশ্যই ওপরে একটু লবণ ছিটিয়ে নিতে পারেন। এতে মাংসের স্বাদ, গুণাগুণ ও ঘ্রাণ ভালো থাকবে।
মাংস বের করার পর
- মাংস সরাসরি পানিতে ভিজিয়ে বরফ ছাড়ানো ঠিক নয়; বরং পলিথিন বা পাত্র ভিজিয়ে রাখুন। বরফ ছেড়ে দিলে পানি দিয়ে ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে রান্না করে ফেলুন।
- মাংসের রং, গন্ধ ও স্বাদ ঠিক রাখতে বেশি পানিতে ধোয়া বা বারবার ফ্রিজ থেকে বের করা যাবে না।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপি বা চুরি করা থেকে বিরত থাকুন (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মাংস ফ্রিজে রাখবেন যেভাবে
খাদ্যবিজ্ঞানে মাংসকে ফেলা হয় অতি পচনশীল খাদ্যের তালিকায়। অর্থাৎ ঠিকমতো সংরক্ষণ করা না হলে মাংস খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়। পশু জবাইয়ের পর বেশিক্ষণ বাইরে রেখে দিলে মাংসের পেশিগুলো খুব নরম হয়ে যায়। এতে মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিমূল্য দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাংস যত দ্রুত সম্ভব ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে ফ্রিজে ঢুকানোর আগে ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফ্রিজ অপরিষ্কার থাকলে মাংসে দুর্গন্ধ হতে পারে। কিংবা অন্য কোন দূর্গন্ধযুক্ত খাবারের সাথে রাখলে দূর্গন্ধ আসতে পারে মাংস থেকে।
এরপর অবশ্যই ভালোভাবে রক্ত ধুয়ে ফেলে মাংস পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধোয়ার পর অতিরিক্ত পানি ঝরানোর জন্য বড় ঝুড়িতে রেখে দিতে হবে। মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে পলিথিন প্যাকেটে রেখে ভালোভাবে মুখ পেঁচিয়ে বন্ধ করে ফ্রিজে রাখতে হবে। তাহলে মাংস অনেকদিন ভালো থাকবে। জিপার সিস্টেম বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিক ব্যাগ দোকান থেকেও কিনে নিতে পারেন।
তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজে মাংস রেখে না খাওয়াই ভালো। মাংসের বিভিন্ন রেসিপির সেরা স্বাদ নিতে টাটকা মাংস রান্না করাই শ্রেয়। মাংস ফ্রিজে রাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাংসের টুকরা বেশি বড় না হয়। ছোট ছোট টুকরা করে মাংস সংরক্ষণ করা ভালো। আর যে পলিথিন দিয়ে মাংস সংরক্ষণ করবেন, সেটি যেন মোটা ও পরিষ্কার হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
মাংস হালকা সিদ্ধ করেও সংরক্ষণ করা যায়, তাতে মাংস আরও ভালো থাকে। মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিমাণ মতো হলুদ, লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে মাংস অনেকদিন ভালো থাকে। রোদে শুকিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। অনেকটা রোদে শুকানো শুঁটকি মাছের মতো এ প্রক্রিয়াটি। প্রথমে মাংস ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো চর্বি না থাকে। এবার চিকন তারে গেঁথে মাংস রোদে শুকাতে হবে। এভাবে শুকালে মাংসে কোনো পানি থাকে না। তাই মাংস অনেকদিন ভালো থাকে। এছাড়া আপনি চাইলে মাংস একবারে রান্না করে ছোট ছোট বক্সে করে ফ্রিজে কম তাপে সংরক্ষণ করতে পারেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]