মরণ যদি হয় করোনা ভাইরাসের আক্রমণে তবে সেই মরণ নাকি হবে শাহাদাত বরণের সমতুল্য।
শহীদদের মর্যাদা লাভ করবেন যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবেন।তাই বলে কেউ কি চাইবেন করোনায় কারো মৃত্যু হোক?আজ করোনার আঘাতে বিশ্বের সদাব্যস্ত নির্ঘুম শহরগুলো যেনো থমকে গেছে।
প্রতিটি শহর যেনো একেকটি ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে।মৃত্যুর ভয়ে মানুষের জীবন জীবিকা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।মানুষের জনজীবন স্থবির,নিশ্চল ও পানসে হয়ে গিয়েছে।বিশ্বের সকল শহরগুলোই এখন আর তার উদ্দিপনায় মেতে নেই,নেই কোনো আপন জৌলুসে হাসিখুশী ও উল্লাসিত।
স্বজন হারানোর বেদনায় মানুষের হৃদয় আজ ভারাক্রান্ত।তার সাথে যুক্ত হয়েছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব।ফলে দেশে দেশে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছুই অনেক দিন থেকে প্রায় বন্ধ। এই রূপ রেখা যেকোন মন্দা ও মহামারীকালিন অতি সাধারণ একটি বেদনার কষ্টকর চিত্র।
মন্দাকালের কিছু সর্বজনীন বৈশিষ্ট আছে,যেমন ক্রমবর্ধমান অস্বাভাবিক বেকারত্ব,উৎপাদন হ্রাস,চাহিদার নিম্নগতি,খাদ্য সঙ্কট,মুদ্রাস্ফীতি,ঋণ সঙ্কট,ব্যবসা বাণিজ্যে দেউলিয়াত্ব ইত্যাদি।বর্তমান করোনা মহামারী মন্দাকালীন অন্যান্য সব বৈশিষ্ট্য সহ এক অভূতপূর্ব রৌদ্ররুপ নিয়ে বিশ্বে হাজির হয়েছে যা ইতোপূর্বে বিশ্বের সকল মানবজাতি খুব সহজেই আঁচ করতে পেরেছেন।
করোনা ভাইরাস ছোঁয়াছে রোগটি এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদেরকে যে বিভ্রান্তি ও গোলকধাঁধার মধ্যে রেখেছে তাতে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে আমাদেরকে হয়তোবা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে ফিরতে এবং অভ্যস্থ হয়ে যেতে হবে।সামাজিক প্রক্রিয়ায় সচেতনতার মাধ্যমে জনসাধারণের মনে উদ্ভূত মহামারী সম্পর্কে ভয়ভীতি যখন কমে যাবে অর্থাৎ মানুষ যখন মহামারীর সাথে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে,
সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করতে মানিয়ে নিতে শিখবে তখনই মহামারীটি হয়তোবা আপনা আপনিই অদৃশ্য ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে।তবে এই ধারণা শুধুমাত্র গোবরে পদ্মফুল মাত্র।এই ধারণা শুধুমাত্র মানুষের মনে এক প্রকার শক্তি কিংবা বেঁচে থাকার জন্য প্রেরণা ও খোরাক যোগাবে এর চাইতে বেশি কিছু কল্পনা করাটা খুবই বোকামীর লক্ষণ বলে মনে হবে।
করোনার করুণ সময়কে মোকাবেলা করে সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করতে গেলেই হয়তোবা অতি সহজে মৃত্যুর স্বাদ গ্ৰহণ করতে হবে।তবুও মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে করোনার করুণ সময়কে সর্তকতা অবলম্বন করে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে শুধুমাত্র আমাদের পরিবারের জন্য, সুন্দর সুফলা সোনার বাংলাদেশের জন্য।আমরা একদিন এই মহামারী কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো তবে অনেক প্রিয় মানুষকে চির বিদায় দিতে হবে,মা তার আদরের সন্তানকে হারিয়ে পাগলের মতো হয়ে যাবে ভাই তার স্থেহের বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে,পিতা তার একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যাবে তখনই এই ধরণের চিত্র চোখ দিয়ে দেখতে হবে। তবুও আমরা এই মহামারী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অবশ্যই একদিন চিরচেনা হাসিখুশী সুন্দর পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান সময়ের একজন কলম যোদ্ধা
-লেখক সাংবাদিক
-মোঃ ফিরোজ খান
গাজীপুর-বাংলাদেশ
ferogkhan88@gmail.com
- পাবলিক ইস্যুর বিধানাবলি আলোচনা কর
- কন্টেন্ট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন,কন্টেন্ট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?
- গর্ভাবস্থায় ভুল ধারণা
- সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ সম্পর্কে আলোচনা কর
- সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ সম্পর্কে আলোচনা কর