কারক-বিভক্তি চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন
চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারক-বিভক্তি, বিগত নিয়োগ পরীক্ষায় কমন কারক-বিভক্তি, চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন কারক-বিভক্তি, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় বার বার আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারক-বিভক্তি, কারক-বিভক্তি, কারক-বিভক্তি চাকরি পরীক্ষা সাজেশন, কারক-বিভক্তি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ ও চাকরির পরীক্ষায় জন্য কমন, কারক-বিভক্তি ব্যাংক বিসিএস সরকারি চাকরির জন্য কমন উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত করতে হয়। এই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি।
মা শিশু চাঁদ দেখা।
উপরের বাক্যটিতে কোন শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করা হয়নি। ফলে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে কোন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি, এবং এগুলো বাক্যও হয়ে উঠতে পারেনি। এখন শিশু’র সঙ্গে কে বিভক্তি আর দেখা’র সঙ্গে চ্ছেন’ বিভক্তি যোগ করলে বাক্যটি হবে-
মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
অর্থাৎ, শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একটি বাক্য সম্পূর্ণ হলো এবং এখন আর এগুলো শব্দ নয়, এগুলো প্রত্যেকটি একেকটি পদ।
শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হলে তখন সেগুলোকে বলা হয় পদ। বাক্যে বিভক্তি ছাড়া কোন পদ থাকে না বলে ধরা হয়। তাই কোন শব্দে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন না হলেও ধরে নেয়া হয় তার সঙ্গে একটি বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। এবং এই বিভক্তিটিকে বলা হয় শূণ্য বিভক্তি। উপরের বাক্যটিতে ‘মা’ ও ‘চাঁদ’ শব্দদুটির সঙ্গে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন হয়নি। তাই ধরে নিতে হবে এই শব্দদুটির সঙ্গে শূণ্য বিভক্তি যোগ হয়ে এগুলো বাক্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এই দুটিও এখন পদ।
মৌলিক বাংলা শব্দ বিভক্তিগুলো হলো- শূণ্য বিভক্তি (০), এ, য়, তে, কে, রে, র(এর)। তবে এছাড়াও কিছু কিছু অব্যয় শব্দ কারক সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলো- দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হতে, থেকে, চেয়ে, ইত্যাদি।
বাংলা শব্দ বিভক্তি ৭ প্রকার-
বিভক্তির নাম | বিভক্তি |
প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি | ০, অ |
দ্বিতীয়া বিভক্তি | কে, রে |
তৃতীয়া বিভক্তি | দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক |
চতুর্থী বিভক্তি | কে, রে* |
পঞ্চমী বিভক্তি | হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে |
ষষ্ঠী বিভক্তি | র, এর |
সপ্তমী বিভক্তি | এ, য়, তে |
- চতুর্থী বিভক্তি শুধুমাত্র সম্প্রদান কারকে যুক্ত হয়।
- বচনভেদে বিভক্তির আকৃতি পরিবর্তিত হয়। তবে কোন বিভক্তি চিহ্নিত করার জন্য উপরের বিভক্তির তালিকাটি মনে রাখলেই চলবে।
- বিভক্তির নাম লেখার সময় কখনো সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা যাবে না। অর্থাৎ দ্বিতীয়া বিভক্তিকে কখনোই ২য়া বিভক্তি লেখা যাবে না।
- বিভক্তির তালিকাটি ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে, প্রয়োজন হলে মুখস্থ করতে হবে।
কারক
কারক শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘যা ক্রিয়া সম্পাদন করে’।
বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে।
কারক ৬ প্রকার- ১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণকারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক
কর্তৃকারক
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)
উদাহরণ-
গরু ঘাস খায়। (কে খায়) : কর্তৃকারকে শূণ্য বিভক্তি
কর্ম কারক
যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্মকারক।
বাক্যে দুইটি কর্ম থাকলে বস্ত্তবাচক কর্মটিকে প্রধান বা মুখ্য কর্ম ও ব্যক্তিবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে। তবে দুইটি একই ধরনের কর্ম থাকলে প্রথম কর্মটিকে উদ্দেশ্য কর্ম ও দ্বিতীয়টিকে বিধেয় কর্ম বলে। যেমন- ‘দুধকে মোরা দুগ্ধ বলি, হলুদকে বলি হরিদ্রা’। এখানে ‘দুধ’ ও ‘হলুদ’ উদ্দেশ্য কর্ম, ‘দুগ্ধ’ ও ‘হরিদ্রা’ বিধেয় কর্ম।
কর্তা নিজে কাজ না করে কর্মকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে তাকে প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম বলে।
ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে তাকে সমধাতুজ কর্ম বলে। [ক্রিয়াপদ]
উদাহরণ-
বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। (কাকে দিয়েছেন? আমাকে। কী দিয়েছেন? ল্যাপটপ) : আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), ল্যাপটপ- কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
ডাক্তার ডাক। (কাকে ডাক?) : কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি
আমাকে একটা বই দাও। (কাকে দাও? আমাকে। কী দাও? বই) : আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), বই- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থণা। (কাকে করিবে? আমারে) : কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
তোমার দেখা নাই। (কার দেখা? তোমার) : কর্মকারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
জিজ্ঞাসিবে জনে জনে। (কাকে জিজ্ঞাসিবে? জনে জনে) : কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি
করণ কারক
করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়।
যে উপাদান বা উপায়ে ক্রিয়া সম্পাদন করা হয়, তাকে করণ কারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কী দিয়ে/ কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
উদাহরণ-
পিয়াল কলম দিয়ে লিখছে। (কী দিয়ে লেখে? কলম দিয়ে) :করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
কীর্তিমান হয় সাধনায়। (কী উপায়ে হয়? সাধনায়) : করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
ডাকাতেরা গৃহকর্তার মাথায় লাঠি মেরেছে। (কী দিয়ে মেরেছে? গুলি): করণ কারকে শূণ্য বিভক্তি
লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। (কী দিয়ে চাষ করা হয়? লাঙ্গল দিয়ে): করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
মন দিয়ে পড়াশুনা কর। (কী উপায়ে/ দিয়ে কর? মন দিয়ে) :করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে। (কী দিয়ে ভরেছে? ফুলে ফুলে) : করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। (কী দিয়ে/ উপায়ে চেনা যায়? গোঁফে): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সাধনায় সব হয়। (কী উপায়ে সব হয়? সাধনায়) : করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
এ সুতায় কাপড় হয় না। (কী দিয়ে হয় না? সুতায়) : করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সম্প্রদান কারক
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেয়া হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
‘কাকে দান করা হল’ প্রশ্নের উত্তরই হলো সম্প্রদান কারক।
সম্প্রদান কারকের নিয়ম অন্যান্য নিয়মের মতোই সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকেই এসেছে। তবে অনেক বাংলা ব্যাকরণবিদ/ বৈয়াকরণ একে আলাদা কোন কারক হিসেবে স্বীকার করেন না। তারা একেও কর্ম কারক হিসেবেই গণ্য করেন। কর্মকারক ও সম্প্রদান কারকের বৈশিষ্ট্যও একই। কেবল স্বত্ব ত্যাগ করে দান করার ক্ষেত্রে কর্মকারক হিসেবে গণ্য না করে কর্মপদটিকে সম্প্রদান কারক হিসেবে গণ্য করা হয়।
সম্প্রদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির বদলে চতুর্থী বিভক্তি যুক্ত হয়। চতুর্থী বিভক্তি আর কোথাও যুক্ত হয় না। অর্থাৎ, ‘কে/ রে’ বিভক্তি দুটি সম্প্রদান কারকের সঙ্গে থাকলে তা চতুর্থী বিভক্তি। অন্য কোন কারকের সঙ্গে থাকলে তা দ্বিতীয়া বিভক্তি।
তবে কোথাও নিমিত্তার্থে ‘কে’ বিভক্তি যুক্ত হলে তা চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল। (নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তি)
উদাহরণ-
ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। (কাকে দান করা হল? ভিখারিকে।) : সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
অসহায়কে খাদ্য দাও। (কাকে দান করা হল? অসহায়কে।) : সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্রাণ। (কাকে দান করা হল? অন্ধজনে।): সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সমিতিতে চাঁদা দাও। (কাকে দান করা হল? সমিতিতে।) : সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
অপাদান কারক
যা থেকে কোন কিছু গৃহীত, বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত, রক্ষিত, ভীত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে।
অর্থাৎ, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হওয়া বোঝায়।
‘কি হতে বের হল’ প্রশ্নের উত্তরই অপাদান কারক।
উদাহরণ-
গাছ থেকে পাতা পড়ে। (কি হতে বের হল/ পড়ল? গাছ থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে। (কি হতে বের হল? শুক্তি থেকে) : অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
জমি থেকে ফসল পাই। (কি হতে বের হল? জমি থেকে) : অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
দেশ থেকে হায়েনারা চলে গেছে। (কি হতে বের হল? দেশ থেকে):অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
বিপদ থেকে বাঁচাও। (কি হতে বাঁচাও? বিপদ হতে) : অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
বাঘকে ভয় পায় না কে? (কি হতে ভয় বের হল? বাঘ হতে): অপাদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
মনে পড়ে সেই জৈষ্ঠ্যের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন। (কি হতে বের হল/ পলায়ন? পাঠশালা হতে) : অপাদান কারকে শূণ্য বিভক্তি
বাবাকে বড্ড ভয় পাই। (কি হতে ভয় বের হয়? বাবা হতে): অপাদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। (কি হতে বের হয়েছেন/ এসেছেন? চট্টগ্রাম হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছিলো। (কি হতে বের হল/ ফেলা হল? বিমান হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
অধিকরণ কারক
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
উদাহরণ-
পুকুরে মাছ আছে। (কোথায় আছে? পুকুরে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
বনে বাঘ আছে। (কোথায় আছে? বনে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (কোথায় বাঁধা আছে? ঘাটে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা। (কোথায় বাঁধা? দুয়ারে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সকালে সূর্য ওঠে। (কখন ওঠে? সকালে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
এ বাড়িতে কেউ নেই। (কোথায় কেউ নেই? বাড়িতে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
নদীতে পানি আছে। (কোথায় আছে? নদীতে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
রবিন অঙ্কে কাঁচা। (কী বিষয়ে কাঁচা? অঙ্কে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সজিব ব্যাকরণে ভাল। (কী বিষয়ে কাঁচা? ব্যাকরণে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
ঘরের মধ্যে কে রে? (কোথায়? ঘরে) : অধিকরণ কারকে অনুসর্গ মধ্যে
বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। (কোথায় থেকে দেখা যায়? বাড়ি থেকে):অধিকরণে পঞ্চমী বিভক্তি*
- শেষ উদাহরণটিতে নদী বাড়ি থেকে বের হয়নি, তাই এটি অপাদান কারক নয়। নদী বাড়ি থেকেই দেখা যায়। অর্থাৎ, ক্রিয়াটি বাড়িতেই ঘটছে, তাই এটি অধিকরণ কারক।
অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য
অপাদান ও অধিকরণ কারক আলাদা করতে গিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। অপাদান ও অধিকরণ কারককে আলাদা করে চেনার সহজ উপায় হলো, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হয় বোঝায়। আর অধিকরণ কারকের মাঝেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয়।
যেমন- ‘তিলে থেকে তেল হয়’ আর ‘তিলে তেল আছে’।
প্রথম বাক্যে তিলের ভেতর ক্রিয়া সংঘটিত হয়নি। বরং তিল থেকে তেল বের হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে।
আর দ্বিতীয় বাক্যে তিলের ভেতরই তিল থাকার কথা বলছে। এই ‘আছে’ ক্রিয়াটি তিলের ভেতরে থেকেই কাজ করছে।
[ছবি]
এরকম-বিপদ থেকে বাঁচাও- অপাদান কারক
বিপদে বাঁচাও- অধিকরণ কারক
শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে- অপাদান কারক
শুক্তিতে মুক্তি হয়- অধিকরণ কারক
জমি থেকে ফসল পাই- অপাদান কারক
জমিতে ফসল হয়- অধিকরণ কারক
নিচে কারক নির্ণয়ের উপায় সংক্ষেপে ছক আকারে দেয়া হলো-
ক্রিয়াকে প্রশ্ন | উত্তর যে কারক |
কে, কারা? | কর্তৃকারক |
কী, কাকে? | কর্মকারক |
কী দিয়ে? | করণকারক |
কাকে দান করা হল? | সম্প্রদান কারক |
কি হতে বের হল? | অপাদান কারক |
কোথায়, কখন, কী বিষয়ে? | অধিকরণ কারক |
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
কারক চেনার সহজ উপায়
1. কর্তৃকারক
বাক্যে যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কর্তা। বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে কর্তার যে সম্পর্ক, তাকেই বলা হয় কর্তৃ কারক।
কর্তৃ কারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়াকে ‘কে’ / ‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই কর্তৃ কারক।
বাক্য | প্রশ্ন | কর্তৃ কারক |
---|---|---|
আমি ভাত খাই | “কে” ভাত খায়? | আমি |
রোনাল্ডোরা কাপ জিতেছে | “কারা” জিতেছে? | রোনাল্ডোরা |
মা রান্না করছে | ‘কে’ রান্না করছে? | মা |
ছাত্ররা ফুটবল খেলছে | “কারা” খেলছে? | ছাত্ররা |
2. কর্মকারক
বাক্যের করতে যা করে অর্থাৎ যাকে আশ্রয় করে কর্তা কোনো কাজ বা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
কর্মকারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কী’ / ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই কর্মকারক।
বাক্য | প্রশ্ন | কর্মকারক |
---|---|---|
আমি ভাত খাই | “কী” খাই? | ভাত |
রোনাল্ডোরা কাপ জিতেছে | “কী” জিতেছে? | কাপ |
মা শিশুকে ভাত খাওয়াচ্ছেন | ‘কাকে’ খাওয়াচ্ছেন? | শিশুকে |
ছাত্ররা ফুটবল খেলছে | “কী” খেলছে? | ফুটবল |
3. করণকারক
বাক্যে কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে – করণকারক বলা হয়।
করণ কারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কী দিয়ে’ / ‘কার দ্বারা / ‘ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
বাক্য | প্রশ্ন | করণ কারক |
---|---|---|
অনেকেই বাঁ হাত দিয়ে লেখে | “কি দিয়ে” লেখে? | বাঁ হাত |
পৈতায় বামুন চিনি। | “কি দিয়ে” বামুন চিনি? | পৈতায় |
মা শিশুকে হাত দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছেন? | “কি দিয়ে” ভাত খাওয়াচ্ছেন? | হাত দিয়ে |
টাকায় সব মেলে, বন্ধুত্ব মেলে না। | “কি দিয়ে” সব মেলে? | টাকায় |
4. নিমিত্ত কারক
যখন কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর জন্য বাক্যের কর্তা কোনো ক্রিয়া সম্পাদন করে তখন যার জন্য কাজটি করা হয় তাকে নিমিত্তকারক বলে।
নিমিত্ত কারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কী জন্যে’ / ‘কিসের জন্যে’ / কার জন্য / কার তরে / কিসের নিমিত্ত দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই নিমিত্ত কারক।
বাক্য | প্রশ্ন | নিমিত্ত কারক |
---|---|---|
আমি লেখাপড়ার জন্য কোলকাতায় এসেছি। | “কিসের জন্য” কোলকাতায় এসেছি | লেখাপড়ার |
সকলের তরে আমরা | “কার তরে” আমরা? | সকলের তরে |
5. অপাদান কারক
যে কারকে কোনো পদ পতিত, চলিত, ভীত, গৃহীত, রক্ষিত, জাত, বিরত, বিকৃত ইত্যাদি ক্রিয়া সমন্ধ নিষ্পন্ন করে, তাকে অপাদান কারক বলে।
অপাদান কারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের ক্রিয়াকে ‘থেকে’ / ‘হইতে’ / দিয়া / নিকট / অপেক্ষা দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই অপাদান কারক।
বাক্য | প্রশ্ন | অপাদান কারক |
---|---|---|
বাবাকে আমার যত ভয় | “কার থেকে” আমার যত ভয় | বাবাকে |
তর্কে বিরত হও | “কী হইতে” বিরত হও? | তর্কে |
6. অধিকরণ কারক
বাক্যের ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ কারক বলা হয়।
অধিকরণ কারক চেনার সহজ উপায়ঃ বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কোথায়’ / ‘কখন’ / কী বিষয়ে / দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় সেটিই অধিকরণ কারক।
বাক্য | প্রশ্ন | অধিকরণ কারক |
---|---|---|
নীল আকাশে ভাসলে সাদা মেঘের ভেলা | “কোথায়” ভাসলে সাদা মেঘের ভেলা? | আকাশে |
কালকে এসো | “কখন” এসো? | কালকে |
১: তোমাতে করিব বাস। – কোন ধরনের অধিকরণ?
উঃ ভাবাধিকরণ। কারণ তোমাতে বলতে ‘তোমার ভাবনায়’।
২: তাকে ভূতে পেয়েছে। কোন কারক?
উঃ কর্তৃ কারক। অর্থ : ভূতে ধরেছে।
৩: রইলো পড়ে তোমার কাজ। – কোন কারক?
উঃ কর্তৃ কারক। পড়ে থাকার কাজটি ‘কাজ’-ই করছে।
৪: আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?
উঃ অপাদান কারক। ভয়ের উৎস অপাদান।
৫: জীবনে মরণে তোমার সাথে থাকবো।
উঃ অধিকরণ কারক। জীবনকাল ও মৃত্যুর পরবর্তী কালের কথা বলা হয়েছে।
উঃ কর্ম কারক। পথটিকে অতিক্রম করা বোঝাচ্ছে।
৭: আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ।
উঃ কর্ম কারক। প্রাণকে বেঁধেছি, তাই প্রাণ কর্ম।
উঃ কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি। ষড়রিপুকে জয় করেছেন।
৯: বাংলায় কোন ক্ষেত্রে কর্ম কারকের বিভক্তি লোপ পায়?
উঃ জড় কর্মে ও বিধেয় কর্মে। বিধেয় কর্মে সব সময় লোপ পায়, জড় কর্মে অধিকাংশ সময় লোপ পায়।
উঃ করণ কারক। হেতুবাচক করণ। গন্ধের কারণে টেকা দায়।
উঃ কর্ম কারক। গৌণ-কর্ম। পত্র মুখ্য-কর্ম। জড়ধর্মী কর্ম-পদটি মুখ্য-কর্ম।
১২: পথ রুদ্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে।
১৪: চরণে আশ্রয় দিন। – কোন প্রকার অধিকরণ?
উঃ কর্তৃ কারক। জন্মানোর কাজটি ঘাস করলো।
২০: তাঁর হাতে অনেক ক্ষমতা আছে।
উঃ অপাদান কারক। ভয়ের উৎস অপাদান বলে গণ্য হয়।
২২: দর্শনী দিয়ে ঠাকুর দেখে এলাম।
উঃ কর্ম কারক। এখানে ‘দিয়ে’ পদটি অসমাপিকা ক্রিয়া, অনুসর্গ নয়, তাই করণ হবে না।
২৩: মৃত্যুতে জীবনের পরিসমাপ্তি হয়।
২৪: চলনে বলনে তিনি হলেন খাঁটি বাঙালি।
উঃ করণ কারক। লক্ষণাত্মক করণ। চলন বলন দেখেই বোঝা যায় যে তিনি বাঙালি। তাই চলন বলন হল চেনার লক্ষণ।
২৫: তিনি চাকুরিতে ইস্তফা দিলেন।
উঃ অপাদান কারক। চাকুরি থেকে ইস্তফা দিলেন।
২৭: সমস্ত ঘটনাই কার্যকারণে বাঁধা আছে।
৩০: তোমার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারিনি। – কোন প্রকার কর্ম?
উঃ বাক্যাংশ কর্ম। কর্মটির মধ্যে সমাপিকা ক্রিয়া বা বিধেয় নেই। সে কারণে বাক্যাংশ।
৩১: সৌরভের দুর্দান্ত খেলা ভারতকে জিতিয়েছে। – কোন প্রকার কর্তা?
উঃ বাক্যাংশ কর্তা এবং একই সঙ্গে প্রযোজক কর্তা। ভারত জিতেছে, সৌরভের খেলা জিতিয়েছে।
উঃ কর্তৃ কারক। জন্মানোর কাজটি ঘাসই করেছে।
৩৬: চারা থেকে বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
উঃ অপাদান কারক। রূপান্তরমূলক অপাদান।
৩৭: এক মুহূর্তে চেহারা বদলে ফেলল।
উঃ করণ কারক। কালাত্মক করণ। কাজ করতে যতটা সময় লাগে তা করণ হয়, অধিকরণ হয় না।
উঃ কর্তৃ কারক। জড় বস্তু হলেও পাখাই কর্তা, কারণ পাখাই চলছে।
৩৯: তিনি আকবরের শাসনকালে বর্তমান ছিলেন।
৪০: তোমার শয়তানি ঘরে রেখে এসো।
৪২: ধনী কর্তৃক গরিব শোষিত হয়।
৪৩: “কণ্টক গাড়ি কমলসম পদতল মঞ্জির চীরহি ঝাঁপি…”
উঃ করণ কারক। চীর অর্থে কাপড়। কাপড় দিয়ে নূপুর ঢেকে (রাধিকা বর্ষাভিসারে যাওয়ার অনুশীন করছেন)।
উঃ বাবাকে – গৌণ কর্ম, চিঠি – মুখ্য কর্ম।
৪৫: চঞ্চল চিএ পইঠো কাল।(চর্যাপদ)
উঃ অধিকরণ কারক। অর্থ: চঞ্চল চিত্তে কাল প্রবেশ করল।
৪৬: নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?
উঃ কর্তৃ কারক। এড়ানোর কাজটির কর্তা দেবালয়।
৪৭: শিশু কান্দে ওদনের তরে।(মুকুন্দরাম চক্রবর্তী)
উঃ নিমিত্ত কারক। ওদনের তরে অর্থ ভাতের জন্য।
৪৮: নূতনের ঢালাই করিতেছি পুরাতনের ছাঁচে।
উঃ করণ কারক। ছাঁচ এখানে ঢালাইয়ের উপকরণ।
উঃ করণ কারক। লক্ষণাত্মক করণ। রূপের দ্বারা বিচার করা হচ্ছে।
৫০: কবিতার ছত্রে ছত্রে করুণ রস সৃষ্টি হয়েছে।
উঃ অধিকরণ কারক। অধিকরণের বীপ্সা।
৫১: জনমানসে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
উঃ অপাদান কারক। আগের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
৫৫: শিক্ষকের কাছে আমরা শিক্ষা পাই।
উঃ অপাদান কারক। শিক্ষক এখানে শিক্ষার উৎস। কাছে- অনুসর্গ।
উঃ করণ কারক। মুখের সাহায্যে বলা যায় না।
উঃ অপাদান কারক। মুখ থেকে শুনেছি। আগের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
উঃ নিমিত্ত কারক। কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন।
৫৯: আমি আগামীকাল কাজে যোগ দেবো।
উঃ অধিকরণ কারক। বিষয়াধিকরণ। ঝগড়া বিষয়ে প্রথম।
৬১: স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াতে পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
উঃ করণ কারক। আগের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
৬৩: মদের নেশায় তার প্রাণটা কেড়ে নিল।
উঃ কর্তৃ কারক। নেশা এখানে প্রাণ নেওয়ার কাজ করছে। আগের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
৬৪: মদের নেশায় সে অসুস্থ হয়েছে।
উঃ করণ কারক। এখানে কর্তা সে, তার অসুস্থ হওয়ার কারণ নেশা। হেতুবাচক করণ।
উঃ অধিকরণ কারক। নেশা এখানে ভাবাধিকরণ।
৬৭: তোমার কথায় ব্যঙ্গের সুর ছিলো।
উঃ অধিকরণ কারক। কথার মধ্যে ব্যঙ্গের সুর ছিলো।
উঃ অপাদান কারক। চোখ থেকে জল পড়ছে।
৭৪: মুঠি মুঠি ধানে গহনা তাহার পড়িয়াছে বুঝি ঝরে।
উঃ কর্ম কারক। অসমাপিকা ক্রিয়া-রূপী কর্ম।
উঃ নিমিত্ত কারক। চিকিৎসা এখানে আমার আসার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য।
৭৭: ভুল চিকিৎসার জন্য মারা গেছে।
উঃ করণ কারক। ভুল চিকিৎসা এখানে মৃত্যুর কারণ। উপরের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
৭৮: ইলিশের মরসুমে ঘরে বসে থাকলে কুবেরের চলবে না।
উঃ কর্তৃ কারক। চলছে ক্রিয়ার কর্তা মরসুম। মরসুমটিই চলছে।
৮০: প্রতি বলে ছক্কা হাঁকাচ্ছে।
৮১: দশ বলে পনেরো রান করতে হবে।
উঃ অপাদান কারক। দশ বল থেকে পনেরো করতে হবে।
৮২: ভয়ে প্রাণ শুকিয়ে গিয়েছিল।
উঃ করণ কারক। কাপড় দিয়ে বাঁধা হবে।
৮৫: তাঁর কাপড়ে কোনো জাঁকজমক নেই।
৮৬: বইটা একরাতে পড়ে শেষ করলাম।
উঃ করণ কারক। কালাত্মক করণ। ক্রিয়া সম্পাদন করতে কত সময় লেগেছে তা বোঝানো হচ্ছে।
উঃ অধিকরণ কারক। কখন পড়লাম তা বোঝাচ্ছে।
উঃ সম্বন্ধ পদ। বঙ্গালি উপভাষায় সম্বন্ধ পদে ‘গো’ বিভক্তি যুক্ত হয়।
৮৯: বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খায়। – কোন ধরনের কর্তা?
উঃ সহযোগী কর্তা। বাঘ ও গোরু সহযোগিতার ভিত্তিতে একই কাজ করে।
৯০: একটা ভাঙা কাপে চা খাচ্ছিলাম।
উঃ অপাদান কারক। কাপ থেকে চা খাচ্ছিলাম।
উঃ অধিকরণ কারক। ঢালা ক্রিয়ার আধার কাপ।
৯২: পাখির কূজনে পরিবেশ মুখরিত হল।
৯৩: পাখির কূজনে অপরূপ মিষ্টতা আছে।
উঃ অধিকরণ কারক। উপরের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
৯৬: তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে।
উঃ কর্ম কারক। আগের উদাহরণের ‘কী’ পদটি ‘কথা’-র বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।
১০০: তোমার পরিচর্যায় সে সুস্থ হয়েছে।
উঃ করণ কারক। পরিচর্যা তাকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে।
১০১: একজন মনোবিদকে দেখিয়ে নাও।
উঃ কর্তৃ কারক। প্রযোজ্য কর্তা। প্রযোজক কর্তা ঊহ্য আছে।
উঃ কর্তৃ কারক। উপরের উদাহরণের সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়।
১০৫: আমরা ছুটি প্রার্থনা করছি।
১০৬: ছুটিতে দার্জিলিং বেড়াতে যাবো।
উঃ অধিকরণ কারক। কালাধিকরণ। ছুটি এখানে একটি বিশেষ সময় বোঝাচ্ছে।
১০৮: সব জামাকাপড় তোমার পছন্দে কেনা হবে।
উঃ করণ কারক। পছন্দ অনুযায়ী কেনা হবে। তোমার পছন্দ জামাকাপড় কিনতে সাহায্য করবে।
১০৯: আমার সৌভাগ্যে সে ঈর্ষান্বিত হয়।
১১০: আমার সৌভাগ্যকে সে ঈর্ষা করে।
১১২: চুরির ধনে কারও পেট ভরে না।
১১৩: টাকায় কী না হয়? কোন ধরনের করণ?
১১৬: আজ দুপুরে মাংস-ভাত খেলাম।
১১৭: এই মুহূর্তে তুমি আমার দরবার ত্যাগ করো।
১১৮: কেরি সাহেব তখন বাইবেলের বাংলা অনুবাদ করেছেন।
ইংরেজি
ইংরেজি ব্যাকরণ