কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, কিডনির ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা – Home Remedies for Kidney Disease
কিডনি আমাদের দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তা আমরা সবাই জানি। কিডনি মূলত দেহে ছাঁকন যন্ত্রের কাজ করে থাকে। কিডনি তার ছাঁকনির মাধ্যমে রক্তকে ছেঁকে পরিশোধিত করে এবং দূষিত পদার্থ সমূহ দেহ হতে মুত্রের সাহায্যে বের করে দেয়। এভাবে কিডনি আমাদের দেহকে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে।
পেঁয়াজ খেতে হবে প্রতিদিন অন্তত একটি থেকে দুইটি মাঝারি আকৃতির । একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য বলছি ছোটরাও খেতে পারেন তবে পরিমাণে কম । পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা রক্তের চর্বি দূর করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে । এছাড়া পেঁয়াজের পটাশিয়াম প্রোটিন কিডনির জন্য বেশ উপকারী ।
কিডনির ইনফেকশন হলে আপনাকে শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। কারণ পানির মাধ্যমেই কিডনি থেকে টক্সিন, সংক্রামক উপাদান বের হয়ে যায়। প্রতিদিন তাই অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে আপনাকে।
কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়
কিডনির ইনফেকশন দূর করতে রসুন বেশ কার্যকর। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুন রাখলে বা প্রতিদিন দুই তিন কোয়া রসুন খেলে তা কিডনি ইনফেকশনের উপসর্গ সারিয়ে তুলবে। রসুনে থাকা অ্যালিসিনে ব্যথা নিরসন, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান আছে।
মশলা হিসেবে হলুদ খুব উপকারী। এতে থাকা কারকিউমিনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান আছে। আর তা মাইক্রোব তৈরিতে বাধা দেয় যা কিডনি ইনফেকশনের জন্য দায়ী। তাই প্রতিদিনের রান্নায় হলুদ ব্যবহার করা উচিত। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বেশি পরিমাণে হলুদ খাওয়া উল্টো কিডনিতে পাথর তৈরি করে।
দারুচিনি কিডনি ফাংশন এর উন্নতি ঘটায় । প্রতিদিন 1 ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি খেলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে ।
প্রচলিত আছে প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তার থেকে দূরে রাখুন। কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, এতে পলিফিনল নামের আ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি আছে যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিডনি ভালো রাখে যে ৪ মসলা
যাঁদের কিডনিতে পাথরজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত আপেল খেলে সেই পাথর নরম এবং ছোট হয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কোলেস্টেরল কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে, হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পরিচিত।
বাঁধাকপিতে ভিটামিন-B6, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-K ফলিক এসিড রয়েছে তা কিডনি ফাংশন এর উন্নতি ঘটায় । তবে এক্ষেত্রে বাঁধাকপি খুব করে রান্না করে নয় । বরং ভাপে সেদ্ধ করে অর্থাৎ স্ট্রিম করে খেতে হবে । এতেই বাঁধাকপির সম্পূর্ণ উপকার পাওয়া যাবে ।
লাল ক্যাপসিকামে কম পরিমানে পটাশিয়াম আছে যা কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি,এ, ভিটমিন বি৬, ফলিক এসিড ও ফাইবার রয়েছে।
কিডনির পাথর দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
কিডনির রোগ নিরাময়ে অ্যালোভেরা ভালো কার্যকর। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় অ্যালোভেরা। তাই দিনে একবার অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরার নির্যাস নিয়ে দুই গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে মিক্সারে মিক্স করে পান করুন। এর সঙ্গে লেবুর রসও যোগ করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে সব সময় ও বেশি পরিমাণে অ্যালোভেরা খেলে তা উল্টো কিডনি ড্যামেজ করে দিতে পারে।
লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।
কিডনির ইনফেকশন দূর করতে আদাও বেশ কার্যকর। এতে থাকা জিনজেরোলস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। তাই প্রতিদিন আদা মেশানো চা পান করতে পারেন অথবা কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে দিনে ৪ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা গলব্লাডার স্টোনের রোগীদের আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
চেরি ফল নিশ্চয় সকলেই চেনেন লাল চেরি এটি আপনার কিডনিকে সবসময়ই ভালো রাখার কাজ করবে । কিডনি ফাংশন এর উন্নতি ঘটাবে, এর মধ্যে কি ভিটামিন সি ভিটামিন কে এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে । তার শরীরে প্রবেশ করার পরে কিডনির জন্য কাজ করে ।
লাল আঙ্গুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড, যা আপনার কিডনিকে রাখবে সদা তরুণ। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
মিষ্টি আলুতে পটাশিয়ামের মতো ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কিডনিতে খারাপ প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পরিশেষে : কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, কিডনির ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট
স্বাস্থ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী ঔষধি গুন গোপন সমস্যা রূপচর্চা রোগ প্রতিরোধ