কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান,চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন
সর্বশেষ সংশোধিত ও জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪
কুমিল্লা জেলা ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি জেলা। এর উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা অবস্থিত। কুমিল্লা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪
কুমিল্লা জেলা (চট্টগ্রাম বিভাগ) আয়তন: ৩০৩৪.৭৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°০২´ থেকে ২৪°৪৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°৩৯´ থেকে ৯১°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা।
জনসংখ্যা ৫১৭৭১০৬; পুরুষ ২৪৭৬৫৭৪, মহিলা ২৭০০৫৩২। মুসলিম ৪৯২৩৫৭২, হিন্দু ২৫০৮৪৩, বৌদ্ধ ১৯৩৮, খ্রিস্টান ৪৩২ এবং অন্যান্য ৩২১।
জলাশয় মেঘনা, গোমতী, ডাকাতিয়া ও ছোট ফেনী নদী এবং কার্জন খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন এ অঞ্চল প্রাচীন সমতটের অধীনে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। নবম শতাব্দিতে এ জেলা হরিকেলের রাজাদের অধীনে আসে। এ শহরের ৫ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণে লালমাই ময়নামতিতে দেব বংশ (অষ্টম শতাব্দি) ও চন্দ্র বংশের (দশম ও একাদশ শতাব্দির মাঝামাঝি) রাজত্ব ছিল। এ জেলা ১৭৬৫ সালে প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে। ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা নামে এই জেলা গঠিত হয়। ১৯৬০ সালে কুমিল্লা জেলা নামকরণ হয়। ১৯৮৪ সালে এই জেলার চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
৩০৩৪.৭৪ | ১৬ | ১০ | ১৭৪ | ২৩০৪ | ৩৩৩৯ | ৮৪০৩২৬ | ৪৩৩৬৭৮০ | ১৭০৬ | ৫৩.৩ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | |||||||||
উপজেলার নাম | আয়তন(বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
আদর্শ সদর | ১৪২.৭২ | ১ | ৬ | ১৪৬ | ১৯৩ | ৫,৩২,৪১৯ | ৩৭৩০ | ৬৫.৭ | |
চান্দিনা | ২০১.০১ | ১ | ১৩ | ১২১ | ২২৩ | ৩৫০২৭৩ | ১৭৪২ | ৫১.০ | |
চৌদ্দগ্রাম | ২৭০.৪৯ | ১ | ১৩ | ৩৬৬ | ৪০৩ | ৪৪৩৬৪৮ | ১৬৪০ | ৫৬.৯ | |
তিতাস | ১০৯.৩০ | Ñ | ৯ | ৬৩ | ১৩৮ | ১৮৪৬১৭ | ১৬৮৯ | ৪৩.০ | |
দাউদকান্দি | ৩১৪.৯৯ | ১ | ১৫ | ১৬৯ | ২৬৭ | ৩৪৯৯১০ | ১১১১ | ৫০.৭ | |
দেবীদ্বার | ২৩৮.৬৫ | ১ | ১৫ | ১২৯ | ১৯২ | ৪৩১৩৫২ | ১৮০৭ | ৫২.৮ | |
বরুড়া | ২৪১.৬৯ | ১ | ১৪ | ২১৩ | ৩১৪ | ৪০৫১১৮ | ১৬৭৬ | ৫২.১ | |
বুড়িচং | ১৬৩.৭৬ | Ñ | ৮ | ১৪৯ | ১৭২ | ৩০১৮২৫ | ১৮৪৩ | ৫৭.০ | |
ব্রাহ্মণপাড়া | ১২৮.৪৮ | Ñ | ৮ | ৫৩ | ৬৫ | ২০৪৬৯১ | ১৫৯৩ | ৫৪.৭ | |
মনোহরগঞ্জ | ১৫৯.৩৩ | Ñ | ১১ | ১৪৬ | ১৮১ | ২৪৪৯৪৩ | ১৫৩৭ | ৫৫.৯ | |
মুরাদনগর | ৩৪০.৭৩ | Ñ | ২২ | ১৫৪ | ৩০৫ | ৫২৩৫৫৬ | ১৫৩৭ | ৪৮.৮ | |
মেঘনা | ৯৯.৫৭ | Ñ | ৭ | ৩৯ | ১০২ | ১১২৪৫৩ | ১১২৯ | ৪৪.৬ | |
লাকসাম | ১২৪.৭৯ | ১ | ৬ | ১০৪ | ১৩৯ | ২৫৩৬৫০ | ২০৩৩ | ৫১.৫ | |
লাঙ্গলকোট | ২২৫.৯৫ | ১ | ১২ | ১৯৩ | ২৭০ | ৩৭৩৯৮৭ | ১৬৫৫ | ৫১.২ | |
সদর দক্ষিণ | ১৩৬.৬১ | ১ | ৬ | ১৬৬ | ২০৭ | ২৫৮২৭৮ | ১৮৯১ | ৫৫.১ | |
হোমনা | ১৪২.৭৮ | ১ | ৯ | ৭৩ | ১৫৪ | ২০৬৩৮৬ | ১৪৪৫ | ৩৯.৭ |
কুমিল্লা জেলার ইতিহাস
খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে জেলাটি হরিকেলের রাজাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। লালমাই ময়নামতি দেব রাজবংশ (খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী) এবং চন্দ্র রাজবংশ (খ্রিস্টীয় দশম ও মধ্য একাদশ শতাব্দীতে) শাসিত ছিল।
১৭৩২ সালে এটি জগৎ মাণিক্যের বঙ্গ-সমর্থিত ডোমেনের কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৭৬৪ সালে ত্রিপুরার রাজার বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন, যা মূলত শমসের গাজীর নেতৃত্বে গঠিত হয় কুমিল্লার একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা।
এটি ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অধীনে আসে। এই জেলাটি ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। এই জেলার চাঁদপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা ১৯৮৪ সালে জেলায় রূপান্তরিত হয়।
জেলাটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এটি লালমাই ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ এবং কুমিল্লা জাদুঘর সহ অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের আবাসস্থল।
কুমিল্লাও একটি প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ এবং কুমিল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল।
কুমিল্লা নামকরণের ইতিহাস
কুমিল্লা নামটি বাংলা শব্দ কোমোলাঙ্কো (বাংলা: কমলাঙ্ক) থেকে এসেছে, এই অঞ্চলের পূর্ববর্তী প্রাচীন নাম, যার অর্থ ‘পদ্ম পুকুর’। এটি একসময় প্রাচীন সমতটের অধীনে ছিল এবং পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে।
কুমিল্লা জেলার থানা/উপজেলা সমূহ
কুমিল্লা জেলা ১৭টি উপজেলায় বিভক্ত যা হলো:
- দেবিদ্বার উপজেলা,
- বরুড়া উপজেলা,
- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা,
- চান্দিনা উপজেলা,
- চৌদ্দগ্রাম উপজেলা,
- দাউদকান্দি উপজেলা,
- হোমনা উপজেলা,
- লাকসাম উপজেলা,
- মুরাদনগর উপজেলা,
- নাঙ্গলকোট উপজেলা,
- কুমিল্লা সদর উপজেলা,
- মেঘনা উপজেলা,
- মনোহরগঞ্জ উপজেলা,
- সদর দক্ষিণ উপজেলা,
- তিতাস উপজেলা,
- বুড়িচং উপজেলা,
- লালমাই উপজেলা।
কুমিল্লা দর্শনীয় স্থান সমূহ
এখানে কুমিল্লা জেলার কিছু জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান/পর্যটন আকর্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
শালবন বিহার ময়নামতি
শালবন বিহার ময়নামতি কুমিল্লায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি বৌদ্ধ মঠগুলির একটি গ্রুপ যা ৭ম শতাব্দীর। সাইটটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং এটি এর সুসংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষের জন্য পরিচিত।
ময়নামতি যুদ্ধ কবরস্থান
ময়নামতি যুদ্ধ কবরস্থান কুমিল্লায় অবস্থিত একটি কমনওয়েলথ যুদ্ধ কবরস্থান। এটি কমনওয়েলথ সৈন্যদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় নিহত হয়েছিল। কবরস্থানটি যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং নির্মল স্থান।
শাহ সুজা মসজিদ
শাহ সুজা মসজিদ কুমিল্লায় অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট আকবরের পুত্র শাহ সুজা তৈরি করেছিলেন। মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যের একটি সুন্দর নিদর্শন এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ধর্মসাগর
ধর্মসাগর কুমিল্লায় অবস্থিত একটি মানবসৃষ্ট পুকুর। এটি পিকনিক এবং নৌবিহারের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এছাড়াও পুকুরটি বেশ কয়েকটি মন্দির এবং মসজিদের আবাসস্থল।
রানীর কুঠি কুমিল্লায় অবস্থিত একটি প্রাসাদ। এটি 18 শতকে মুঘল সেনাপতি মীর জুমলার স্ত্রী রানী ভবানী দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রাসাদটি মুঘল স্থাপত্যের একটি সুন্দর নিদর্শন এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
গোমতী নদী
গোমতী নদী কুমিল্লার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। এটি মাছ ধরা এবং নৌকা চালানোর জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। নদীটিতে বেশ কয়েকটি মন্দির ও মসজিদ রয়েছে।
চন্ডিমুড়া মন্দির
চন্ডিমুড়া মন্দির কুমিল্লার লালমাইতে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় স্থান। মন্দিরটি হিন্দু স্থাপত্যের একটি সুন্দর উদাহরণ এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড় কুমিল্লায় অবস্থিত একটি পাহাড়। এটি হাইকিং এবং পিকনিকের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। পাহাড়টি বেশ কয়েকটি মন্দির এবং মসজিদের আবাসস্থল।
কুমিল্লা জেলার অনেক পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে এগুলি কয়েকটি মাত্র। এর সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাথে, কুমিল্লা সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে বা দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
কুমিল্লা জেলার পার্ক সমূহ
এখানে কুমিল্লা জেলার পার্ক সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
কুমিল্লা জেলা পার্ক
কুমিল্লা জেলা পার্ক বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরে অবস্থিত একটি পাবলিক পার্ক। এটি শহরের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার এবং বাইরে উপভোগ করার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান। পার্কটি হ্রদ, একটি খেলার মাঠ, একটি চিড়িয়াখানা এবং বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে সহ বিভিন্ন আকর্ষণের আবাসস্থল। এছাড়াও পার্কে সারা বছর ধরে বেশ কিছু ইভেন্ট এবং ক্রিয়াকলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেমন কনসার্ট, উত্সব এবং পিকনিক।
উদ্যানটি বিভিন্ন ধরণের গাছপালা এবং প্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতি রয়েছে। পার্কের হ্রদটি কার্প, তেলাপিয়া এবং ক্যাটফিশ সহ বিভিন্ন ধরণের মাছের আবাসস্থল। পার্কের চিড়িয়াখানাটি বাঘ, সিংহ, হাতি এবং বানর সহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল।
হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো এবং পিকনিকিং সহ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য পার্কটি একটি জনপ্রিয় স্থান। এছাড়াও পার্কে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীরা খাবার বা জলখাবার উপভোগ করতে পারে। পার্কটি ইভেন্ট এবং ক্রিয়াকলাপের জন্যও একটি জনপ্রিয় স্থান, যেমন কনসার্ট, উত্সব এবং পিকনিক৷
কুমিল্লা জেলা উদ্যান হল একটি সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পার্ক যা বিশ্রাম নেওয়ার এবং বাইরে উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে একটি দিন কাটানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক
ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক হল কুমিল্লায় অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক। এটি পরিবার এবং শিশুদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। পার্কটিতে একটি রোলার কোস্টার, একটি ওয়াটার পার্ক এবং একটি চিড়িয়াখানা সহ অনেকগুলি রাইড এবং আকর্ষণ রয়েছে।
যে কারণে কুমিল্লা জেলা বিখ্যাত
কুমিল্লা জেলা অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত, যার মধ্যে রয়েছে:
- ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান: কুমিল্লা জেলা ময়নামতি বৌদ্ধ বিহার সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের আবাসস্থল, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। ময়নামতি বৌদ্ধ বিহারগুলি হল প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারগুলির একটি দল যা ৭ম এবং ৮ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। মঠগুলো ইটের তৈরি এবং পোড়ামাটির ফলক দিয়ে সজ্জিত। তারা বাংলাদেশের বৌদ্ধ স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: কুমিল্লা জেলায় গোমতী নদী এবং লালমাই পাহাড় সহ অনেকগুলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান রয়েছে। গোমতী নদী মেঘনা নদীর একটি উপনদী এবং এটি সাঁতার, নৌকাবিহার এবং মাছ ধরার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। লালমাই পাহাড় হল কুমিল্লা শহরের কাছাকাছি অবস্থিত পাহাড়ের একটি দল। পাহাড়গুলি বনে আচ্ছাদিত এবং হাইকিং এবং পিকনিকিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুমিল্লা জেলা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলির একটি বিস্তৃত পরিসর অফার করে। বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (BARD) হল একটি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট যা ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। BARD বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য নিবেদিত।
- ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: কুমিল্লা জেলা তার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির জন্যও বিখ্যাত, যেমন রোশ মালাই। রোশ মালাই হল এক ধরনের দুধ ভিত্তিক মিষ্টি যা চিনি, দুধ এবং ক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় মিষ্টি এবং প্রায়শই এটি একটি ডেজার্ট বা স্ন্যাক হিসাবে পরিবেশন করা হয়।
- জনগণ: কুমিল্লা জেলার মানুষ তাদের আতিথেয়তা ও উষ্ণতার জন্য পরিচিত। তারা সবসময় দর্শকদের সাহায্য করতে এবং তাদের স্বাগত বোধ করতে ইচ্ছুক। কুমিল্লা বাংলাদেশী জনগণের উষ্ণতা এবং আতিথেয়তা অনুভব করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
কুমিল্লা একটি প্রাণবন্ত এবং ঐতিহাসিক জেলা যা দর্শনার্থীদের অফার করার জন্য অনেক কিছু। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য এবং এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য এটি একটি চমৎকার স্থান।