কুষাণ সাম্রাজ্য, কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কে ছিলেন তার রাজধানী কোথায় ছিল
কুষাণ সাম্রাজ্য ছিল প্রথম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীতে মধ্য এশিয়ার ব্যাক্ট্রিয়া ও স্কাইথিয়া অঞ্চলে গড়ে ওঠা একটি মিশ্র চীনা-ব্যাক্ট্রীয় সাম্রাজ্য।
ব্যাক্ট্রিয়া (আজকের আফগানিস্তান) অঞ্চলে গড়ে ওঠা এ সাম্রাজ্যটি পার্শ্বর্তী শিনচিয়াং, পার্থিয়া, পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং বেনারসি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে ছিল। সম্রাট কুজুল কদফিসেস ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা।
খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর প্রথমার্ধে শুংনু (চৈনিক: 匈奴, ফিনিন: Xiōngnú শুংনু) নামে এক উপজাতি তাদের প্রতিবেশী ইউয়েচি (চৈনিক: 月支, ফিনিন: Yuèzhī উ্যয়েট্ষ্র্) নামে অপর এক উপজাতিকে হারিয়ে দেয়।
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর য়ুঝি উপজাতির লোকেরা পশ্চিমদিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। তারা পশ্চিমদিকে সরে ইলি নদীর উপত্যকা পেরিয়ে ইস্সিক কুল হ্রদের (ইংরাজীতে Lake Issyk Kul) দক্ষিণতীর ধরে এগোতে থাকে। তাদের এই স্থান পরিবর্তন শকসহ বেশ কিছু উপজাতিকে তাদের সামনে এগোতে বাধ্য করে।
১৪৫-১২৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী কোন সময়ে তারা ব্যাকট্রিয় ও পার্থিয়ায় বসতি স্থাপন করে। এক প্রজন্ম পর তারা সেই জায়গা ত্যাগ করে কাবুল উপত্যকা পেরিয়ে পাঞ্জাব সমভূমিতে প্রবেশ করে। খ্রিষ্টাব্দ শুরুর দিকে য়ুঝি উপজাতির নেতা কিউ-সিউ-কিও (ইংরাজীতে K’iu-tsiu-k’io) বাকী চার নেতাকে মেরে সমগ্র উপজাতির প্রধান হয়ে বসে। তার নাম থেকেই নাম হয় কুএই-শাং (ইংরাজীতে Kuei-shang), বা কুষাণ। কণিষ্কের অধীনে এই সাম্রাজ্য বিশাল আকৃতি লাভ করে।
এ সাম্রাজ্য ইউরোপের রোমান সাম্রাজ্য, চীনের হান রাজবংশ ও পূর্ব আফ্রিকার আক্সুমিত সাম্রাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ।
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর যেসব বৈদেশিক জাতি ভারতে অনুপ্রবেশ করে তাদের মধ্যে কুষাণরাই ছিল সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য।
মৌর্যদের পর তারাই প্রথম একটি বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। কুষাণদের আদি নিবাস kalerkanthoচীনের উত্তর-পশ্চিমাংশে। চৈনিক ঐতিহাসিক সুমা-কিয়েনের মত অনুযায়ী, কুজল কদফিসেস নামের জনৈক ইউচি কুষাণদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং ভারতে প্রবেশ করে কাবুল ও কাশ্মীর দখল করেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এই কুজুল কদফিসেস ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। কুজুল কদফিসেস মারা গেলে তাঁর পুত্র বিম কদফিসেস রাজা হন।
বিম কদফিসেসের পর অন্য কুষাণদের একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বংশের প্রথম রাজা ছিলেন কণিষ্ক। কণিষ্ক সিন্ধুনদের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর ভারতে রাজ্য বিস্তার করেন।
তিনি বিস্তর খাঁটি সোনার মুদ্রা চালু করেন। তিনি এক প্রকার বৌদ্ধ স্তুপ ও একটি মঠ নির্মাণ করেন, যা পাশ্চাত্য পর্যটকদের বিস্ময়ের উদ্রেক করে। তিনিই ছিলেন কুষাণদের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজা।
কণিষ্ক নিজে শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর আমলে সংস্কৃতির বিস্তার ঘটে। ধারণা করা হয়, কণিষ্ক ১৫১ সালে মারা যান। কণিষ্কের বংশধররা ২৩০ সাল পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে রাজত্ব করে। তারা তত দিনে ভারতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমনভাবে মিশে গেছে যে কারো কারো ভারতীয় নামও ছিল। যেমন—তাদের এক রাজার নাম ছিল ‘বাসুদেব’।
কণিষ্কের মৃত্যুর পর তাঁর পরবর্তী রাজা বিশিষ্ক, হুবিষ্ক, দ্বিতীয় কণিষ্ক, প্রথম বাসুদেব, তৃতীয় কণিষ্ক, দ্বিতীয় বাসুদেব প্রমুখ রাজার যোগ্যতা কখনোই কণিষ্কের মতো ছিল না। বিশেষত শেষ দুজনের রাজত্বকালে কুষাণরা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই সুযোগে অসংখ্য আঞ্চলিক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। উত্তর প্রদেশে নাগ ও মাঘ বংশীয় রাজারা পাঞ্জাবে বৌধেয় প্রমুখরা বিদ্রোহে শামিল হয়। এই সময় পশ্চিম ভারতে শকরা স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং নিজেদের রাজ্যকে সুসংহত করে। এ ছাড়া পারস্যের সাসনীয় সম্রাটদের হাতে কুষাণরা পরাস্ত হয়। অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, অর্থনৈতিক ক্রমাবনতি এবং নানা ধরনের আক্রমণের সূত্রে কুষাণ সাম্রাজ্য ক্রমেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- ১১ম -১২ম শ্রেণীর এইচএসসি ও আলিম এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ১০ম শ্রেণীর এসএসসি ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৬ষ্ঠ ,৭ম,৮ম ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
- একটি রচনা লিখুন লকডাউন,লকডাউন রচনা
- অনুচ্ছেদ নৈতিকতা, ‘নৈতিকতা’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন নৈতিকতা
- Write a paragraph on ‘Green Investment in Tourism’
- write five sentences about Green Investment in Tourism
- ২৫০ শব্দের এসডিজি অর্জনে পর্যটনের ভূমিকা অনুচ্ছেদ লিখুন
- অনুচ্ছেদ লিখুন এসডিজি অর্জনে পর্যটনের ভূমিকা