ক্রিয়াপদ কাকে বলে, ক্রিয়াপদের উদাহরণ ও শ্রেনীবিভাগ, ক্রিয়াপদের বৈশিষ্ট্য, ক্রিয়াপদের গঠন, ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কি কি, বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদ এর সংজ্ঞা , সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে, অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে, সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে, অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে, দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে, প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে,যৌগিক ক্রিয়া কাকে বলে, মিশ্র ক্রিয়া কাকে বলে
বাক্য তৈরির জন্য ক্রিয়াপদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে কোনো বাক্যে ক্রিয়াপদ থাকবেই। তবে কখনও কখনও হয়ত তার চেহারা চোখে পড়ে না, তার সাহচর্য মেলে আড়ালে।
যেমন- রহিম ভালো ছেলে।
এখানে ক্রিয়াপদটি, রহিম হয় ভালো ছেলে – এমন লেখা হলে ‘হ’ ধাতু থেকে তৈরি ক্রিয়াপদটি লক্ষ্যযোগ্য হত। কিন্তু বাক্য গঠনে ‘হয়’ ক্রিয়াপদটির প্রয়োজন নেই। ক্রিয়া বর্তমানকালে প্রায়ই নিহিত থাকে। বাক্যে সাধারণত ‘হ’ এবং ‘আছ’ ধাতু দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদ উহ্য থাকে।
ক্রিয়াপদ কাকে বলে :-
যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদনা করা হয়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
অন্যভাবে ক্রিয়াপদ কাকে বলে? এর উত্তরে বলা যায়, বাক্যের অন্তর্গত যে পদ দ্বারা কোনো পুরুষ কর্তৃক নির্দিষ্ট কালে কোনো কার্যের সংঘটন বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
ক্রিয়াপদের উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় –
সুব্রত বই পড়ছে।
সুব্রত আগামী দিনে ইউটিউব এ ক্লাস করাবেন।
ক্রিয়াপদের বৈশিষ্ট্য :-
১ – বাক্য গঠনের জন্য ক্রিয়াপদ খুবই অপরিহার্য।
২ – যে কোনো বাক্যে ক্রিয়াপদ অবশ্যই থাকবেই।
৩ – ক্রিয়াপদ কখনো কখনো বাক্যে নিহিত বা অনুক্ত থাকতে পারে। একে অনুক্ত ক্রিয়াপদ বলে।
যেমন- আজ প্রচণ্ড শীত = আজ প্রচণ্ড শীত (অনুভূত হয়), ইনি আমার বড় বোন = ইনি আমার বড় বোন (হন)ইত্যাদি।
ক্রিয়াপদের গঠন :-
ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে পুরুষ অনুযায়ী কালসূচক ক্রিয়াবিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ গঠন করতে হয়। আমরা জানি পড়া, খাওয়া, করা, যাওয়া এগুলো ক্রিয়াবাচক শব্দ।
যেমন – ‘পড়া’ ক্রিয়া শব্দটিকে যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দাঁড়ায় পড়+ ‘আ’ এখানে পড়’ হলো মূল অংশ বা ধাতু’ আর ‘আ’ হলো বিভক্তি। অর্থাৎ ক্রিয়াপদের দুটি অংশ ধাতু ও বিভক্তি।
ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কি কি :-
ক্রিয়াপদের প্রকারভেদ বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। যেমন –
আমাদের ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া পদকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
১ – সমাপিকা ক্রিয়া এবং
২ – অসমাপিকা ক্রিয়া।
সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া ছাড়াও বিবিধ অর্থে ক্রিয়াকে বিভিন্ন শ্রেনীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন –
- সকর্মক ক্রিয়া,
- অকর্মক ক্রিয়া,
- দ্বিকর্মক ক্রিয়া,
- প্রযোজক ক্রিয়া,
- যৌগিক ক্রিয়া ও
- মিশ্র ক্রিয়া।
বিভিন্ন প্রকার ক্রিয়াপদ এর সংজ্ঞা :-
আরো ও সাজেশন:-
সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে সব ক্রিয়া পদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে মনের ভাব প্রকাশিত বা উল্লেখিত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
যেমন – কমলা স্কুল থেকে ফিরে খেলতে গেল। টুম্পা সকাল বেলা পড়তে বসল।
ওপরের দুটি বাক্যে ‘খেলতে’ এবং ‘বসল’ ক্রিয়াপদের দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পাচ্ছে। সুতরা এই দুটি পদ সমাপিকা ক্রিয়া।
অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে ক্রিয়াপদের দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।
যেমন – কমলা স্কুল থেকে ফিরে খেলতে গেল। টুম্পা সকাল বেলা পড়তে বসল।
ওপরের দুটি বাক্যে ‘ফিরে’ এবং ‘পড়তে’ ক্রিয়াপদ দুটির দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, তাই এই দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া।
যেকোনো বাক্যের শেষে বসে সমাপিকা ক্রিয়াপদ এবং বাক্যের মাঝখানে বসে অসমাপিকা ক্রিয়াপদ।
সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে সব ক্রিয়ার কর্ম আছে বা থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
যেমন – টুম্পা বই পড়ে। ববিতা ভাত খায়। সঞ্জয় দাবা খেলে।
এই বাক্যগুলিতে ‘বই’, ‘ভাত’, ‘দাবা’—শব্দগুলি কর্ম। তাই ক্রিয়াগুলি সকর্মক ক্রিয়া। ক্রিয়ার ওপর কী দিয়ে বাক্যকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই ক্রিয়ার কর্ম।
অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে সব ক্রিয়ার কর্ম থাকে না, তাদের অকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন – আমি যাই। ললিতা পড়ে। তপন ঘুমায়।
এই বাক্যগুলিতে কর্ম নেই, তাই এরা অকর্মক ক্রিয়া। কারণ কী খাই, কী পড়ে, কী ঘুমায় প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।
দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে সব ক্রিয়ার দুইটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
যেমন – শিক্ষিকা ছাত্রীকে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
এই বাক্যটিতে দুটি কর্ম – ছাত্রীকে এবং ব্যাকরণ। এদের মধ্যে একটি মুখ্য কর্ম অপরটি গৌণ কর্ম। সাধারণত বস্তুবাচক ও অপ্রাণীবাচক শব্দ মুখ্য কর্ম এবং প্রাণীবাচক শব্দ গৌণ কর্ম হয়ে থাকে।
প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে সব ক্রিয়া এক জনের প্রযোজনাকে অন্য কর্তৃক অনুষ্ঠিত হয়, সেই সব ক্রিয়াকে প্রযোজক ক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
সংস্কৃত ব্যাকরণে প্রযোজক ক্রিয়াকে ণিজন্ত ক্রিয়াও বলা হয়ে থাকে।
প্রযোজক কর্তা : যে সব ক্রিয়া সাধারণত প্রযোজনা করে, তাকে প্রযোজক কর্তা বলে।
প্রযোজ্য কর্তা : যাকে দিয়ে বা যার সাহায্যে ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত বা সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে। যেমন
যেমন – মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
এখানে মা – প্রযোজক কর্তা, শিশুকে – প্রযোজ্য কর্তা এবং চাঁদ দেখাচ্ছেন প্রযোজক ক্রিয়া।
প্রযোজক ক্রিয়ার গঠন :
প্রযোজক ক্রিয়ার ধাতু = মূল ক্রিয়ার ধাতু + আ যেমন মূল ধাতু √ হাস + আ= হাসা (প্রযোজক ক্রিয়ার ধাতু)। হাসাচ্ছেন বিভক্তি = হাসাচ্ছেন (প্রযোজক ক্রিয়া)।
যৌগিক ক্রিয়া কাকে বলে :-
সাধারণত একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একসাথে সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তবেই তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন –
তাগিত দেওয়া অর্থে – ঘটনাটা শুনে রাখ।
নিরন্তরতা অর্থে – তিনি বলতে লাগলেন।
কার্যসমাপ্তি অর্থে – ছেলে মেয়েরা শুয়ে পড়ল।
আকস্মিকতা অর্থে – সাইরেন বেজে উঠল।
অভ্যস্ততা অর্থে – শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
অনুমোদন অর্থে – এখন যেতে পার।
মিশ্র ক্রিয়া কাকে বলে :-
বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধনাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর. হ. দে, পা, যা, কাট, গা, ছাড় ধর, মার প্রভৃতি ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। যেমন –
বিশেষ্যের পরে – আমরা তাজমহল দর্শন করলাম। ছেলেটি গোল্লায় গেছে।
বিশেষণের পরে – তোমাকে দেখে বিশেষ আনন্দ হলাম।
ধ্বনাত্মক অব্যয়ের পরে – মাথা ঝিম ঝিম করছে। ঝম ঝম করে বৃষ্টি পড়ছে।
রচনা ,প্রবন্ধ | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক | Paragraph | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র ও Application | উত্তর লিংক | অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক | Composition | উত্তর লিংক |
চিঠি ও Letter | উত্তর লিংক | প্রতিবেদন | উত্তর লিংক | CV | উত্তর লিংক |
ইমেল ও Email | উত্তর লিংক | সারাংশ ও সারমর্ম | উত্তর লিংক | Seen, Unseen | উত্তর লিংক |
Essay | উত্তর লিংক | Completing Story | উত্তর লিংক | Dialog/সংলাপ | উত্তর লিংক |
অনুবাদ | উত্তর লিংক | Short Stories/Poems/খুদেগল্প | উত্তর লিংক | Sentence Writing | উত্তর লিংক |
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করোবিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো বিনিয়োগ ব্যাংকের (Investment Bank) ট্রেডিং ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা মূলত ক্লায়েন্টদের জন্য এবং …
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্যখিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য, খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য খিলাফত ও বর্তমান আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের …
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communicationWhat do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication What is Business Communication? Business communication refers …
- Describe the barriers to effective communication in business organizationWhat are the barriers to effective communication?, Describe the barriers to effective communication in business organization Barriers to Effective Communication …
- সমাজদর্শন ও রাষ্ট্র দর্শনের সম্পর্ক, সমাজদর্শ ও রাষ্ট্রদর্শনের সম্পর্ক, Relation between Social Philosophy & Political Philosophyসমাজদর্শন ও রাষ্ট্র দর্শনের সম্পর্ক, সমাজদর্শ ও রাষ্ট্রদর্শনের সম্পর্ক, Relation between Social Philosophy & Political Philosophy সমাজতত্ত্বের সঙ্গে যেমন সমাজদর্শনের …
- দর্শনের বিষয়বস্তুকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?, দর্শনের বিষয়বস্তু হিসেবে অধিবিদ্যা আলোচনা করুন।দর্শনের বিষয়বস্তুকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?, দর্শনের বিষয়বস্তু হিসেবে অধিবিদ্যা আলোচনা করুন। দর্শনের বিষয়বস্তুকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ …
- দর্শনের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা করদর্শনের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা কর,দর্শনের প্রকৃতি বা স্বরূপ বা ধরন বা বৈশিষ্ট্যগুলাে আলােচনা কর ঘটনা ও তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট …
- দর্শন বলতে কী বোঝো?, দর্শনের বৈশিষ্ট্য ,দর্শন ও বিজ্ঞানের সাদৃশ্য ,“দর্শনের প্রত্যয়”- পাশ্চাত্য দর্শনদর্শন বলতে কী বোঝো?, দর্শনের বৈশিষ্ট্য ,দর্শন ও বিজ্ঞানের সাদৃশ্য ,“দর্শনের প্রত্যয়”- পাশ্চাত্য দর্শন Philosophy (ফিলোসোফি) শব্দের অর্থ কি? ইংরেজি …