ক্ষুদ্র অর্থায়নের চাহিদা ও যোগান বলতে কী বুঝ?, মাইক্রো ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই বলতে কি বুঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
ক্ষুদ্র অর্থায়নের চাহিদা ও যোগান বলতে কী বুঝ?, মাইক্রো ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই বলতে কি বুঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর ।
বর্তমান বিশ্বে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উন্নয়নের কার্যকর কৌশল হিসেবে ক্ষুদ্র অর্থায়ন বহু প্রচলিত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্ষুদ্র অর্থায়নের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী জামানতবিহীনভাবে আর্থিক অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। নিম্নে ক্ষুদ্র অর্থায়নের চাহিদা ও যোগানের ব্যাখ্যা করা হলো :
চাহিদা :
(i) সংশ্লিষ্ট অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্ষুদ্র ও যৎসামান্য ঋণের বিভিন্ন খাতসমূহের গুরুত্ব নির্ধারণ করতে হবে। বিভিন্ন খাত বলতে- উৎপাদন, শিল্পসেবা এবং কৃষিকে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ের ধরন, গ্রাহকের লিঙ্গ, কর্মীর সংখ্যা, বিনিয়োগের পরিমাণ, চলতি মূলধন, ঋণের ইতিহাস, ঋণের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য ইত্যাদি বিষয় ঠিক করতে হয়। (ii) প্রয়োজনীয় ঋণের শর্ত, মৌসুম, প্ৰবৃদ্ধি, বিভিন্ন চলকের সংবেদনশীলতা চাহিদার বৈশিষ্ট্য দ্বারা ক্ষুদ্র অর্থায়নের আওতা নির্ধারণ করতে হয় ।
(iii) প্রদানযোগ্য ঋণের বাধা ও সমস্যাসমূহের নির্ধারিত হয়। (iv) ব্যবসায়ের শ্রেণি, আকৃতি, ঋণের শর্ত ও ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত সমূহ ক্ষুদ্র অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যোগান :
(i) বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ সরবরাহকারী সংস্থার প্রদানযোগ্য ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ I
(ii) তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনডিও-এর ক্ষুদ্র অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য বাবা।মূহ নির্ধারণ। (iii) বর্তমান ক্ষুদ্র অর্থায়ন কার্যক্রম ক্ষুদ্রঋণের যোগানের বিভিন্ন তথ্য নির্ধারণ করা তার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনজিও-এর ঋণগ্রহীতার সংখ্যা, ঋণের বৈশিষ্ট্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং পোর্টফোলিও সম্প্রসারণে বাধা ইত্যাদি ।
উপসংহার : উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, দেশের উন্নয়নের পূর্বানুমান ক্ষুদ্র অর্থায়নের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরেও চাহিদা ও যোগানের বাস্তবায়ন দ্বারা এটি সামগ্রিক অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারে ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।