ক্ষুদ্র ঋণ অর্থায়নের নীতি ব্যাখ্যা কর,ক্ষুদ্র ঋণ অর্থায়নের নীতি আলোচনা কর
ক্ষুদ্র ঋণ অর্থায়নের নীতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিশ্বের গরিব লোকদের মূল আর্থিক সুবিধা গ্রহণে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। দরিদ্র লোকদের কোনো সম্পত্তির মালিকানা থাকে না। তাই তারা নিরাপদ ঋণ গ্রহণ করতে পারে না। তাদের পূর্ব কোনো ঋণের বিষয়ে জ্ঞানও থাকে- না।
শিক্ষার অভাব, অনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে তাদের ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। পুরাতন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দূর্গম গ্রামীণ সমাজে সহজে প্রবেশ করতে পারে না। তাই গরিব জনগোষ্ঠী গ্রামের মহাজন শ্রেণির নিকট থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে গরিব থেকে আরো গরিব হয় ।
ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম বাতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম বা ক্রিম ব্যতিক্রম ব্য গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলো নিম্নের নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে ।
নিম্নে এদের বিবরণ দেওয়া হলো :
১. দলগত ঋণদান : ক্ষুদ্রঋণ সাধারণত ক্ষুদ্র ঋণ সাধারণত দলগত জনগোষ্ঠীকে প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে দলের সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করে ঋণ প্রদান করা হয়। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে দলের সদস্যসংখ্যা পাঁচ বা এর অধিক হতে পারে।
২. উচ্চ সুদের হার : সাধারণত ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার বেশি হয়ে থাকে। উচ্চ প্রশাসনিক ব্যয় ও ক্ষুদ্র ঋণের কারণে ক্ষুদ্র ঋণে সুদের হার বেশি হয়ে থাকে । আমাদের দেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রদানকৃত ঋণের উপর ২০%-এর অধিক হারে সুদ ধার্য্য করে থাকে। যদিও ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে স্বল্প হারে ঋণের সুদ কাম্য। কিন্তু ঋণের আকার, ঋণগ্রহীতার ঋণ ফেরতে ব্যর্থতা এবং সুদ আদায়ে অধিক কর্মী ইত্যাদি কারণে সুদের হার বেশি হয় ।
৩.মহিলাদের লক্ষ স্থিরকরণ : ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে সাধারণত মহিলাদের বেশি সম্পৃক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে মহিলাদের বেশি ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। কারণ মহিলারা বিশ্বস্ত তার সাথে ঋণের অর্থ ফেরত দেয় । মহিলাদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা- খাতের উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষ ভূমিকা রাখে। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয় ।
৪. ক্রমবৃদ্ধি ঋণদান : ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান ক্রমবৃদ্ধি ঋণ প্রদানের নীতি অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ঋণ গ্রহীতা ছোট আকারের ঋণ দিয়ে ঋণ গ্রহণ শুরু করে এবং ফেরত প্রদান সাপেক্ষে পরবর্তীতে আরো বেশি পরিমাণ ঋণ পায়। এ নীতির ফলে ঋণগ্রহীতার ঋণ ফেরত সামর্থ্য পরিমাপ করা যায়। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয় ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।