খুচরা ব্যবসায়ের দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো,খুচরা ব্যবসায় গঠন সহজসাধ্য কেন?,ক্ষুদ্রশিল্প কী?,কুটির শিল্প কী?,ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে প্রধান দুটি পার্থক্য ব্যাখ্যা করো

প্রশ্ন সমাধান: খুচরা ব্যবসায়ের দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো,খুচরা ব্যবসায় গঠন সহজসাধ্য কেন?,ক্ষুদ্রশিল্প কী?,কুটির শিল্প কী?,ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে প্রধান দুটি পার্থক্য ব্যাখ্যা করো

প্রশ্ন: খুচরা ব্যবসায়ের দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: খুচরা ব্যবসায়ের দুটি বৈশিষ্ট নিচে ব্যাখ্যা করা হলো—
১. খুচরা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ী তার পণ্যদ্রব্য শুধু ভোক্তাদের নিকট খুচরা মূল্যে অর্থাৎ অল্প পরিমাণ দ্রব্য ওই দ্রব্যের মূল্য অনুসারে খুচরা বিক্রয় করে।
২. ভোক্তাদের যখন যে পরিমাণ জিনিসের দরকার হয় তখন সেই পরিমাণ জিনিস খুচরা দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারে।

প্রশ্ন: খুচরা ব্যবসায় গঠন সহজসাধ্য কেন?

উত্তর: খুচরা ব্যবসায় গঠন সহজসাধ্য। কেননা এরূপ ব্যবসায় তুলনামূলকভাবে স্বল্প মূলধনে এক মালিকানার ভিত্তিতে শহরে, গ্রামেগঞ্জের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বা জনসমাগম ঘটে এমন যেকোনো স্থানে গঠন করা যায়। তা ছাড়া এরূপ ব্যবসায় গঠনে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

প্রশ্ন: ক্ষুদ্রশিল্প কী?

উত্তর: সেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য বা প্রতিস্থাপন ব্যয় অনধিক ১.৫০ কোটি টাকা সেসব প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্রশিল্প বলে।

প্রশ্ন: কুটির শিল্প কী?

উত্তর: যা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পূর্ণ অথবা খণ্ডকালীন সময়ে উৎপাদন বা সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত তাকে কুটির শিল্প বলে।


আরো ও সাজেশন:-

প্রশ্ন: ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে প্রধান দুটি পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে দুটি পার্থক্য দেওয়া হলো।
১. পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পারিবারিক পরিবেশে গড়ে ওঠা শিল্পই কুটির শিল্প। আর স্বল্প পুঁজি ও স্বল্পসংখ্যক কর্মচারী নিয়ে এক মালিকানা, অংশীদারি অথবা সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্পকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
২. কুটির শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা। আর ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কোটি টাকা।

প্রশ্ন: ক্ষুদ্র শিল্পের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ক্ষুদ্র শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এতে স্বল্প পুঁজি ও স্বল্পসংখ্যক কর্মচারী প্রয়োজন। যেকোনো উৎস থেকে সংগৃহীত স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে কেউ তার নিজস্ব ব্যবসায়িক বুদ্ধিবৃত্তিকে এ শিল্পে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে। এ শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কোটি টাকা।

প্রশ্ন: কুটির শিল্পকে খণ্ডকালীন উৎপাদন ইউনিট বলা হয় কেন?

উত্তর: কুটির শিল্প প্রধানত পরিবারভিত্তিক এবং উদ্যোক্তা নিজেই এর কারিগর। পারিবারিক অন্যান্য কাজ সম্পাদন করার পর অবসর সময়ে শ্রম নৈপুণ্য প্রয়োগ করে তারা শিল্পের পণ্য উৎপাদন করে। এ অর্থে কুটির শিল্পকে খণ্ডকালীন উৎপাদন ইউনিট বলা হয়।

প্রশ্ন: কুটির শিল্পের দুটি অবদান বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর: কুটির শিল্পের দুটি অবদান নিচে দেওয়া হলো—
১. কুটির শিল্প অনেক কম মূলধন নিয়ে ও ঝামেলামুক্তভাবে সহজেই গড়ে তোলা যায়। তাই কুটির শিল্প আত্মকর্মসংস্থানের একটি বড় উৎস।
২. প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে কুটির শিল্প অনন্য।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment