গণ আজাদী লীগ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় গণ আজাদী লীগ
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ হলো ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল। দলীয় সভাপতি হলেন আলহাজ্ব আবদুস সামাদ। দলটি কেন্দ্রীয়-বাম ১১-দলীয় জোটের সদস্য।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলটি নবাবগঞ্জের তিনটি আসনে তিনজন প্রার্থী দিয়েছিল[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]।
সামাদ নবাবগঞ্জ-৩ আসনে দাঁড়িয়ে ৪৬৮ টি ভোট পেয়েছিলেন (২.১৫%)। নবাবগঞ্জ-১ আসনে দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ১০৮ টি ভোট (০.০৪%) এবং নবাবগঞ্জ-২ এ মোহাম্মদ বজলুর রহমান পেয়েছিলেন ২০৪ ভোট (০.০৯%)।
৯৪৭ সালের ৩ জুন বৃটিশ-ভারতের সর্বশেষ গভর্ণর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটন তার রোয়েদাদ ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পর মুসলিম লীগের অল্প সংখ্যক বামপন্থী কর্মীদের উদ্যোগে জুলাই মাসে “গণ আজাদী লীগ” নামে একটি সংগঠন গঠিত হয়।
“আশু দাবী কর্মসূচী আদর্শ” নামে তারা একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেন। তারা ঘোষণা করেন:
দেশের স্বাধীনতা ও জনগনের স্বাধীনতা দুইটি পৃথক জিনিষ। বিদেশী শাসন হইতে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করিতে পারে, কিন্তু তাহার অর্থ এই নয় যে, সেই দেশবাসীরা স্বাধীনতা পাইল।
রাজনৈতিক স্বাধীনতার কোন মূল্য নাই, যদি সেই স্বাধীনতা জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ন না করে, কারন অর্থনৈতিক মুক্তি ব্যতিত সামাজিক ও সংস্কৃতিক উন্নতি সম্ভব নয়।
গণ আজাদী লীগ কত সালে এবং কার নেতৃত্বে গঠিত হয়
সুতরাং, আমরা স্থির করিয়াছি পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে থাকিব। এতদুদ্দেশ্যে আমরা দেশবাসীর সম্মূখে আদর্শ ও কর্মসূচী উপস্থিত করিতেছি।.
সত্যিকার পাকিস্তান অর্থে আমরা বুঝি, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি। সুতরাং আমাদের এখন কর্তব্য এই নবীন পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রকে সুন্দর ভাবে গঠিত করা, এবং মানুষের মধ্যে বৈপ্লবীক দৃষ্টিভঙ্গি আনয়ন করা।