গ্রামের নাম কদমতলী
% শ্যামল বণিক অঞ্জন %
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরুপ লীলাভুমি যেন কদমতলী গ্রামটি! চারদিক ঘিরে দৃষ্টিনন্দন সবুজের সমারোহ,মেঠোপথের দুইধারে তাল খেজুর, কদম, কৃষ্ণচূঁড়া সহ হরেক রকম গাছ যেন কুর্নীশ করে চলেছে সদা সর্বদা গাঁয়ে আগত কোন নতুন অতিথি কিম্বা পথিকজনদের।
দিগন্ত ছোঁয়া ফসলের মাঠ,সারি সারি কাঁচা ও টিনের ঘর,ছায়া ঘেরা, পাখিদের কুহু কুজন, সুনির্মল বাতাসে এক স্বর্গীয় সুখের আবাসভুমি শান্ত,স্নিগ্ধ সতেজ প্রাণবন্ত কদমতলী।
যে দিকেই দুচোখ যায় অবারিত সবুজে প্রশান্তিতে ভরে যায় মন প্রাণ! গ্রামটির পাশ ঘেঁষে বয়ে চলেছে নদী,নদীর দুকুল ঘিরে কাশবন প্রাণবন্ত হয়ে উঠে শুভ্রতায় শরতে।সারাদিন ছোট বড় ডিঙি অথবা ইঞ্জিন চালিত নৌকা সহ হরেক রকমের নৌকা নদীর বুক চিঁড়ে চলে যায় গন্তব্যে,জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত থাকে দিনোমান।
আয়তনের দিক দিয়ে খুব একটা বড় নয় কদমতলী গ্রামটি,জনসংখ্যাও খুবই কম।পরিকল্পিত পরিবার ব্যবস্থার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছে এই গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার!
এখানে বসবাস করা অধিকাংশ্য পরিবারই কৃষি নির্ভর, কৃষি কাজই এদের প্রধাণ এবং একমাত্র পেশা। গুটি কয়েক সংখ্যালঘু জেলে পরিবারও আছে এই কদমতলী গ্রামটিতে।
সকলেই মিলেমিশে হাতে হাত ধরে যুগের পর যুগ সহবস্থাণ করে যাচ্ছে কদমতলীতে।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধেও এই গ্রামের অনেক পরিবারের ভুমিকা ছিলো প্রসংশনীয়। জেলে পরিবারের নিবারন মাঝি সহ আরো কয়েকটি পরিবারের ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীকার সংগ্রামে, কেউ কেউ হয়েছিলো শহীদ আবার কেউবা যোদ্ধাহত।
আদর্শ একটা গ্রাম হবার সকল রসদই যেন জমা আছে এই কদমতলী গ্রামের ভান্ডারে।এখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোর প্রত্যেকটি সদস্যই ভীষণ পরিশ্রমী, নারী পুরুষ সকলেই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সবাই যেন সচেষ্ট।
পাখির গানে, নদীর কলতানে প্রতিদিন ঘুম ভাঙে কদমতলী গ্রামের মানুষদের। পুরুষরা লাঙল গরু নিয়ে ছুটে চলে ফসলের মাঠে,নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঘর গৃহস্থালির কাজে,ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয়ের পথে চলে, কেউ কেউ আবার নিজের হাতের ফলানো বিভিন্ন রকম শাক সবজী, নিজ গরুর দুধ অথবা মাছ নিয়ে রওনা হয় কাছের গ্রাম্য বাজারে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে আরো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠে গ্রামটি।
এতো কিছুর পরেও যেন কিছুটা বাকী রয়ে যায় সারাটি বছর, যেটুকু পূর্ণতা পায় বর্ষা এলে! আষাঢ় এলেই যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার হয় অপ্সরী কদমতলীর।
অঝর ধারার বৃষ্টিতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ছুটাছুটি,পুকুরের জলে ঝাঁপাঝাঁপি, বৃষ্টিতে ভিজে সাঁতার কাটা ভেলায় চড়া,কাঁদায় লুটোপুটি খেয়ে ফুটবল খেলায় মেতে উঠা,ছিপ বর্শী বা বিভিন্ন রকমের জাল দিয়ে মাছ ধরার মনোরম দৃশ্যগুলো সত্যিই স্মৃতিকাতর করে দেয় যে কোন মানুষকে!
খাল বিল পুকুর ডোবা নদীতে উপচে পড়া জলে চিকচিক করে চারদিক! সন্ধ্যে হলেই ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক বর্ষার আমেজটাকে ছড়িয়ে দেয় প্রাণে প্রাণে।
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন