আগামী ডিসেম্বরে করোনার ভ্যাক্সিন বাজারে আনতে চেয়েছে গ্লোব বায়োটেক। কিন্তু কিভাবে সম্ভব এত কম সময়ের মধ্যে? যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলছেন, বাংলাদেশের মতো কম উন্নত (এলডিসি) একটি দেশে কোভিড-১৯’র ভ্যাক্সিন তৈরি একটি বিশাল ব্যাপার। ড. খন্দকার মেহেদী আকরাম একজন বায়োমেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট। ভ্যাক্সিন তৈরির সাথে তিনি সরাসরি যুক্ত না থাকলেও মলিকুলার বায়োলজি, ক্লোনিং, ভাইরাল ট্রান্সডাকশন, ভাইরাল রিকম্বিনেশন, অ্যানিমল মডেলিং, জিন সিকুয়েন্সিংয়ের মতো কাজের সাথে জড়িত।
প্রসঙ্গত, গ্লোব বায়োটেক বলেছে ‘এ পর্যন্ত তারা ভ্যাক্সিনের টার্গেট ডিজাইন করেছে এবং খরগোশের শরীরে পরীক্ষা করে সফল হয়েছে। এখন তারা ভ্যাক্সিন টার্গেটগুলো পরীক্ষা করবে ইঁদুরের ওপর।’ গ্লোব বায়োটেক দাবি করেছে তারা সামনের ডিসেম্বরেই বাজারে ভ্যাক্সিন নিয়ে আসবে।
- মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা কর, মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম বর্ণনা কর
- সপ্তাহে কতবার সহবাস সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী?, সপ্তাহে কতবার যৌন মিলন সম্পর্ক গভীর করে?
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে বিস্তারিত লিখুন
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি হয়? এ ব্যাপারে মেহেদী আকরাম বলেন, ভ্যাক্সিন তৈরির চারটি ধাপ। প্রথম ধাপে টার্গেট নির্বাচন করা হয়। এই ধাপে- ইন-সিলিকো টার্গেট অ্যানালাইসিস করতে হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটা এক ধরনের ড্যাটা বেইজ অ্যানালাইসিস (বায়োইনফরমেটিকস)। জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের হোল জিনোম সিকুয়েন্স হয়েছে অনেক। সব সিকুয়েন্স ড্যাটা উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে এনসিবিআই ওয়েবসাইটে যাতে করে বিজ্ঞানীরা করোনার ওষুধ বা ভ্যাক্সিন তৈরি করতে পারে।
ড. মেহেদী আকরাম বলেন, ভ্যাক্সিন তৈরির প্রাথমিক ধাপ হলো হোল জিনোম সিকুয়েন্স থেকে করোনাভাইরাসের জিনের একটি বা কয়েকটি ছোট্ট অংশ বা টার্গেট নির্বাচন করে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিন তৈরি করা। অক্সফোর্ড এবং চীনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন উৎপাদনকারী জিন সিকুয়েন্সকে টার্গেট করে ভ্যাক্সিন তৈরি করছে। যদিও গ্লোব বায়োটেক পরিষ্কারভাবে এখনো বলেনি ওদের টার্গেট কোনটা, শুধু বলেছে তাদের প্রাথমিক টার্গেট ৪টি। গ্লোব বায়োটেকের প্রেস ব্রিফিংয়ে দেয়া তথ্য অনুযায়ী তারা এই ধাপ সম্পন্ন করেছে।
এরপর ভাইরাল ভেক্টর প্রিপারেশনের জন্য ল্যাবরেটরি কার্যক্রমের পালা। ড. আসিফ মাহমুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেননি কোন ধরনের ভ্যাক্সিন তারা আবিষ্কার করছেন। ড. মেহেদী আকরাম বলেন, ধরে নিলাম, গ্লোব অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর বেইজড ভ্যাক্সিন তৈরি করছে। অক্সফোর্ড এবং চীন অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর বেইজড ভ্যাক্সিন তৈরি করছে। অ্যাডিনোভাইরাস হলো এক ধরনের নন্-এনভেলপড ডিএনএ ভাইরাস। এর সংক্রমণে মানুষের সাধারণ সর্দি-জ্বর হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমে অ্যাডিনোভাইরাস থেকে কয়েকটি জিন সরিয়ে ফেলা হয় (ই১ এবং ই৩ জিন) যাতে করে ভাইরাসটি শুধু সংক্রমণ করতে পারবে কিন্তু বংশবিস্তার করতে পারবে না। এই পরিবর্তিত অ্যাডিনোভাইরাসটি কাজ করে ভ্যাক্সিনের ডেলিভারি ভেক্টর বা বাহক হিসেবে। অন্য দিকে ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমিড ডিএনএ ব্যবহার করে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয় পূর্বনির্বাচিত টার্গেট জিনের ডিএনএ কপি। এরপর একটা বিশেষ পদ্ধতিতে সেল কালচারের মাধ্যমে এই টার্গেট ডিএনএ যেমন স্পাইক প্রোটিন জিন প্রবেশ করানো হয় অ্যাডিনোভাইরাসের ভেতর। এভাবে তৈরি করা রিকম্বিনেন্ট অ্যাডিনোভাইরাসটি কোনো কোষকে সংক্রমিত করলেও তা ওই কোষের ভেতরে তৈরি করে করোনাভাইরাসের মতো স্পাইক প্রোটিন। অর্থাৎ এই রূপান্তরিত অ্যাডিনোভাইরাসটি তখন এক ধরনের নকল করোনাভাইরাসের মতো রূপ প্রদর্শন করে কিন্তু কোভিড রোগ তৈরি করতে পারে না। এই রূপান্তরিত অ্যাডিনোভাইরাসটিই ভ্যাক্সিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গ্লোব বায়োটেকের ব্রিফিং থেকে জানা যায়, তারা এই ধাপটি সম্পন্ন করেছে। তারা যদি অ্যাডিনোভাইরাস বেজড ভ্যাক্সিন না বানিয়ে ডিএনএ বা এমআরএনএ বা প্রোটিন ভ্যাক্সিনও প্রস্তুত করে, তারপরও তারা এই ধাপটি সম্পন্ন করেছে। যেহেতু জিন ডিলিটেড অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর এবং প্লাজমিড ডিএনএ এখন সহজলভ্য এবং করোনাভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স রেডি, তাই প্রথম ধাপটি সম্পন্ন করতে ৩ থেকে ৪ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। গ্লোব বায়োটেকের দাবি অনুযায়ী, তারা কাজ শুরু করেছে মার্চের প্রথম থেকে। সে অনুযায়ী যদি তারা এই ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করে তাহলে তারা প্রথম ধাপটি শেষ করে থাকবে মে মাসের মধ্যেই। এর পরের ধাপটি হলো ভ্যালিডেশন।
সূত্র/ নয়াদিগন্ত
- মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা কর, মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম বর্ণনা কর
- সপ্তাহে কতবার সহবাস সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী?, সপ্তাহে কতবার যৌন মিলন সম্পর্ক গভীর করে?
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে বিস্তারিত লিখুন
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো