চাষার দুক্ষু গদ্যের মূল ভাব, ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মূল ভাব আলোচনা কর, চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের মূলভাব কী?, চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের সারমর্ম, মূল ভাব আলোচনা ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের,এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মূল ভাব

বিষয়: চাষার দুক্ষু গদ্যের মূল ভাব, ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মূল ভাব আলোচনা কর, চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের মূলভাব কী?, চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের সারমর্ম, মূল ভাব আলোচনা ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের,এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মূল ভাব, hsc বাংলা ১ম পত্রের ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের মূল ভাব নোট, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র চাষার দুক্ষু মূল ভাব সার সংক্ষেপ ও মূলভাব,চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের ব্যাখ্যা

সারমর্ম

তাঁর শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাÐ থেকে শুরু করে লেখালেখির জগৎ উৎসর্গ করা হয়েছে পশ্চাৎপদ নারীসমাজের মুক্তি ও সমৃদ্ধির জন্য। কিন্তু ‘চাষার দুক্ষু’ শীর্ষক প্রবন্ধটি তৎকালীন দারিদ্র্যপীড়িত কৃষকদের বঞ্চনার মর্মন্তুদ দলিল হয়ে আছে। ভারতবর্ষের সভ্যতা ও অগ্রগতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি দেখিয়েছেন, সেখানে কৃষকদের অবস্থা কত শোচনীয়। কুটির শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে আত্মনির্ভরশীল গ্রাম সমাজকে চরম সংকটের মধ্যে ফেলেছে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী। কৃষকদের এই মুমূর্ষু অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন গ্রামে গ্রামে পাঠশালা প্রতিষ্ঠানের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আর গ্রামীণ কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রবন্ধে রোকেয়ার অসাধারণ পাÐিত্য, যুক্তিশীলতা ও চিন্তার বিস্ময়কর অগ্রসরতার প্রতিফলন ঘটেছে।


আরো ও সাজেশন:-

চাষার দুক্ষু প্রবন্ধের মূলভাব:

চাষার দুক্ষু প্রবন্ধটি মূলত তৎকালীন দরিদ্রপীড়িত কৃষকদের দূর্দশার চিত্রটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভারতবর্ষের কৃষকদের শোচনীয় অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু ভারতবর্ষের সেই কৃষকদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হতো না। তাই লেখক কৃষকদের করুণ দরিদ্রের জন্য তথাকথিত সভ্যতার নামে একশ্রেনীর মানুষের বিলাসিতাকে দায়ী করেছেন। অধুনিক শিল্প হিসেবে গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তথা কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।



পাঠ পরিচিতি

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত ‘চাষার দুক্ষু’ শীর্ষক রচনাটি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত “রোকেয়া রচনাবলি” থেকে চয়ন করা হয়েছে। তাঁর শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে লেখালেখির জগৎ উৎসর্গীকৃত হয়েছে পশ্চাৎপদ নারীসমাজের মুক্তি ও সমৃদ্ধির জন্য। কিন্তু ‘চাষার দুক্ষু’ শীর্ষক প্রবন্ধটি তৎকালীন দারিদ্র্যপীড়িত কৃষকদের বঞ্চনার মর্মন্তুদ দলিল হয়ে আছে। ভারতবর্ষের সভ্যতা ও অগ্রগতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি দেখিয়েছেন, সেখানে কৃষকদের অবস্থা কত শোচনীয়। পাকা বাড়ি, রেলওয়ে, ট্রামওয়ে, স্টিমার, এরোপ্লেন, মোটর গাড়ি, টেলিফোন, টেলিগ্রাফসহ আরও যে কত আবিষ্কার ভারতবর্ষের শহুরে মানুষের জীবন সমৃদ্ধ ও সচ্ছল করে তুলেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু সেই ভারতবর্ষেই কৃষকদের পেটে খাদ্য জোটে না, শীতে বস্ত্র নেই, অসুখে চিকিৎসা নেই। এমনকি তাদের পান্তাভাতে লবণও জোটে না। সমুদ্র তীরবর্তী লোকেরা সমুদ্রজলে চাল ধুইয়ে লবণের অভাব মেটানোর চেষ্টা করে। টাকায় পঁচিশ সের চাল মিললেও রংপুরের কৃষকগণ চাল কিনতে না পেরে লাউ, কুমড়া, পাট শাক, লাউ শাক সিদ্ধ করে খেয়ে জঠর-যন্ত্রণা নিবারণ করে। কৃষকদের এই চরম দারিদ্র্যের জন্য তিনি সভ্যতার নামে এক শ্রেণির মানুষের বিলাসিতাকে দায়ী করেছেন। আবার কোনো কোনো কৃষককেও এই বিলাসিতার বিষে আক্রান্ত করেছে। এছাড়া গ্রামীণ কুটির শিল্পের বিপর্যয়ও কৃষকদের দারিদ্র্যের অন্যতম কারণ। কুটির শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে আত্মনির্ভরশীল গ্রাম-সমাজকে চরম সংকটের মধ্যে ফেলেছে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী। কৃষকদের এই মুমূর্ষু অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন গ্রামে গ্রামে পাঠশালা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আর গ্রামীণ কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রবন্ধে রোকেয়ার অসাধারণ পাণ্ডিত্য, যুক্তিশীলতা ও চিন্তার বিস্ময়কর অগ্রসরতার প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment