চিকেন পক্স হলে কি গোসল করা যাবে। চিকেন পক্স এর ঔষধ: চিকেন পক্স বাংলায় যাকে জল বসন্ত বলা হয়।এটা খুবই জটিল একটি রোগ।
এটা খুবই কষ্টকর একটি রোগ যার হয় সে বুঝতে পারে । এই রোগ টি ছোঁয়াচে যার ফলে একজন থেকে আরেকজন খুব দ্রত সংক্রমিত হয়ে থাকে। এই রোগটি সাধারণত জীবনে একবার ওই হয়ে থাকে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১৫ বছরের নিচে শিশুরা বেসি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
চিকেন পক্স কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা, চিকেন পক্স লক্ষণ ও প্রতিকার
তবে সকল বয়সী ছোট বড় সবারই জল বসন্ত বা চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত এই রোগটা সবসময় দেখা যায় না। বিশেষ করে বসন্তকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। একজন থেকে আরেকজন পরিবারের কারোর দেখা দিলে দেখা যায় পরিবারের অন্য সদস্যদের ও দেখা দেয়। তাই এই ঋতুতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
চিকেন পক্স হলে করণীয় কি? চিকেন পক্স এর ঔষধ
চিকেন পক্স হলে কেউ অবহেলা করবেন না। হঠাৎ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের উক্ত আর্টিক্যালে উল্লেখিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ মেনে চলুন। আশা করি দ্রুত এই রোগ হতে মুক্তি পাবেন। তাই এই আর্টিকেলে আমরা জানতে পারবো চিকেন পক্সের লক্ষণ, ঔষধ, খাদ্য তালিকা, চিকিৎসা ও চিকেন পক্স হলে করণীয় কী? তো চলুন বিস্তারিত সবকিছু জেনে নেই।
চিকেন পক্স কি?
শুরুতেই জেনে নেই চিকেন পক্স আসলে কি? জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হল একধরনের ছোঁয়াচে রোগ, যা ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাস এর সংক্রমণের কারণে এই রোগ দেখা দেয়। যেকোনো বয়সী মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ১৫ বছরের কম বয়সীদের আক্রান্তের হার বেশি। এবং সাধারণত জীবনে একবারই হয়ে থাকে এই রোগ। যা বসন্তকালে ছড়ায়।
চিকেন পক্স কেন হয়?
বসন্তকালে চিকেনপক্স এর সংক্রামন বেশি হয়ে থাকে। কারণ উক্ত সময়ে ভেরিসেলা জোস্টার নামক একটি ভাইরাস সংক্রমণ করে এবং তা চারদিকে ছড়িয়ে পরে। ফলে এই রোগ হতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন: পায়খানা রাস্তায় সহবাস করলে কি হয়?,
চিকেন পক্স কীভাবে ছড়ায়?
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি কিংবা ত্বকের সংস্পর্শ বা ব্যবহৃত পোশাকের মাধ্যমে অন্য ব্যাক্তি ও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত এই রোগ হওয়ার পর শরীরে একধরনের ফুসকুড়ি হয়। এই ফুসকুড়ির খোসা থেকেও অন্যরা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ কেউ আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি ও ফুসকুড়ির খোসা বাতাসে বাহিত হয়েও এই রোগ অন্যদের মাঝে ছড়াতে পারে। তাই এই রোগ হলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে।
চিকেন পক্স এর লক্ষণ
- ত্বকে প্রথমে ঘামাচির মতো গুটি উঠতে থাকে।
- ঘামাচি গুলো ফুসকুড়িতে পরিণত হয়।
- শরীর ব্যথা অনুভূত হয়।
- জ্বর আসে।
- পেটব্যথা হতে পারে।
- লালচে ফুসকুড়িতে চুলকানি।
- ফুসকুড়িতে জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয়।
- ফুসকুড়িতে পানি জমে আস্তে আস্তে এই গুলো শুকিয়ে কালো বর্ণের খোসায় পরিণত হয়।
- কাশি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে।
- সাধারণত ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত এই রোগের স্থায়িত্ব হয়ে থাকে।
চিকেন পক্স হলে করণীয়
চিকেন পক্স হলে কিছু করণীয় অনুসরণ করলে দ্রুত এই রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি করণীয় উল্লেখ করা হল:
আরো পড়ুন: পুরুষাঙ্গের বড় করার ব্যায়াম
১. চিকেন পক্স হলে সবসময় রোগীর শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। এই জন্য রোগীকে প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করতে হবে । তবে তাই গোসল করা জরুরি। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না।
২. গোসলের সময় নিম পাতা ফুটিয়ে সেই ফুটানো পানি দিয়ে গোসল করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যা পক্স দূর করতে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।
৩. পক্স হলে জ্বর আসতে পারে তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হলে যদি সাভাবিক জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
৪. দিনে কয়েকবার রোগীর শরীর ঠান্ডা জলে মুছিয়ে দিন, এতে ত্বকে খানিকটা হলেও আরাম হবে এবং শরীরের ব্যথা কমে যাবে।
৫. প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার করে জামা-কাপড় বদলানো উচিৎ। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
৬. পক্স হলে সুতি ছাড়া অন্য কাপড়ের পোশাক না পরাই ভাল, কারণ এতে চুলকানি বা অস্বস্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে।
৭. পক্সে যদি চুলকায় তাহলে কখনো নখ লাগাবেন না । নখ লাগালে ত্বকে স্থায়ীভাবে পক্সের দাগ থেকে যেতে পারে। আবার সেই নখ যদি শরীরের অন্য কোথাও লাগে বা কারোর শরীরে লাগে তাহলে তা থেকে সংক্রমণও ছড়াতে পারে। তাই পক্স হলে নখ ছোট রাখুন।
আরো পড়ুন: মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়
৮. যদি অতিরিক্ত চুলকানি দেখা দেয় তাহলে চুলকানি কমাতে অলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন লাগাতে পারেন এতে আরাম পাবেন।
৯. পক্স হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করুন এবং পাশাপাশি পক্সের ওপর অ্যান্টিবায়োটিক মলম ও লাগাতে পারেন।
চিকেন পক্স হলে কোন খাবারগুলো খাবেন না?
*চিকেন পক্স হলে চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যেমন- মাখন, তেল, বাদাম, পনির, নারকেল বা চকলেট ইত্যাদি জাতীয় খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকে, যা পক্সের পক্সের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
*অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পেটের জন্য খারাপ। আর পক্স হলে কখনো মুখের ভেতরেও পক্স হয়, এতে ঝাল লাগলেই ব্যাথা বা সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: সন্তান জন্মদানের পর সহবাস
*কিছু কিছু খাবার আছে যেমন, আখরোট, চিনাবাদাম, কিসমিশ ইত্যাদি যাতে অর্গিনিন নামে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা চিকেন পক্সের জীবাণুর বংশবিস্তার করতে সহায়তা করে। যদিও এই অ্যাসিড অন্যান্য সময় শরীরের জন্য খুবই ভালো তবে বসন্তের সময় তা একেবারেই খাওয়া যাবেনা।
চিকেন পক্স এর খাবার
- বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কেননা এই সময় পানিশূণ্যতা দেখা দিতে পারে। তবে পানি ফুটিয়ে পান করলে ভাল হবে।
- চিকেন পক্স হলে বেশি বেশি ফল খাওয়া উচিৎ, কেননা এতে শরীরের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে। এইজন্য বেশি বেশি আঙুর, কলা, আপেল ইত্যাদি খান। আর যদি ফল খেতে ভালো না লাগলে ফলের জ্যুস খেতে পারেন।
- চিকেন পক্স হলে শরীরে অত্যাধিক পরিমানে খনিজ ও অন্যান্য ভিটামিন প্রয়োজন হয়। এইজন্য ডাবের পানি সবচেয়ে উপকারী।
- এই সময় বেশি বেশি সিদ্ধ সবজি খেতে পারেন। তেল ছাড়া খেতে পারলে ভাল অন্যথায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
- ত্বকের যে কোন সমস্যা নিরাময়ে দই অত্যন্ত কার্যকর। তাই দই খেতে পারেন।
- চিকেন পক্স হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে পারেন।
- গোসলের পাশাপাশি নিম পাতার রস খেতে পারেন। যতই তেতো হোক তা খেলে শরীরের জন্য উপকার পাবেন।
চিকেন পক্স এর চিকিৎসা
চিকেন পক্স এর র্নিদিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। ভাইরাসজনিত রোগ বিধায় এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো ঔষধের প্রয়োজন হয় না। তবে এর লক্ষণ অনুযায়ী যেমন, জ্বর, চুলকানি, ব্যথার ঔষধ দেওয়া হয়। আবার রোগ যদি বেশি হয় তাহলে এর তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে কখনো কখনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নাশক ওষুধও দেওয়া হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন, পরামর্শ ও নিয়ম কানুন মেনে চললে এমনিতেই দ্রত ভালো হয়ে যায়।
চিকেন পক্স এর লোশন
আরো পড়ুন: মাথা ব্যথার দোয়া,মাথা ব্যথা দূর করার দোয়া
চিকেন পক্স হলে নিম্নের লোশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Calamine
- Calamilon
- Calamin M
চিকেন পক্সের দাগ দূর করার ক্রিম
নিচের ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Skinova antiseptic Cream
- Berberis Cream
- Soneta Cream
- Betameson Cream
পক্সের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত ভাল হয়ে গেলে ও এর দাগ থেকে যায়। যদি দাগ দূর করার জন্য কিছু করা না হয় তাহলে এই দ্গ গুলো চিরস্থায়ী হয়ে যায়। পরে সারাজীবনই এই দাগ বহন করতে হয়। সাধারণত চিকেন পক্স হওয়ার এক থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ভাল হয়ে গেলে ও দাগ থেকে যায়। তাই নিচে ঘরোয়া উপায়ে দাগ দূর করার কিছু উপায় বলবো যে গুলো ব্যবহার করলে আশা করি দাগ গুলো থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে। সবাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।
ডাবের জল:- ডাবের জল ত্বকের যে কোন সমস্যায় বেশ উপকারী। ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে পারবেন খুব সহজেই। তাই ডাবের জল পক্সের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই পক্স ভাল হয়ে গেলে প্রতিদিন নিয়ম করে দাগ গুলোতে ডাবের জল দিবেন। যতদিন দাগ থাকে ততদিন দিয়ে যাবেন।
মাখন:- পক্সের দাগ দূর করতে মাখন বেশ কাজে দেয়।কারণ পক্সেরদাগের স্থানে নিয়মিত টাটকা মাখন লাগাবেন। আশা করি এক সপ্তাহ এর মধ্যেই দাগ চলে যাবে। মাখন দাগ উঠাতে খুব দ্রুত কাজ করে।
বেকিং সোডা:- পক্সের দাগ দূর করতে বেকিং সোডা ও ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা হলো একধরনের আ্যালকালিন পদার্থ। যার এসিডিটি খুব নিচু স্তরের বলা হয়। তাই এক গ্লাস পানিতে হাফ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিয়ে পানিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে দাগে লাগান। আশা করি দাগ দূর করতে বেশ কাজে দিবে।
গাঁদা ফুল:- চিকেন পক্সের দাগ দূর করতে গাঁদা ফুল ভাল কাজ করে । তাই ২ টেবিল চামচ গাঁদা ফুল এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে গাঁদা ফুল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন তারপর দাগ গুলোতে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে।
লেবুর রস:- লেবুর রস জলে মিশিয়ে তা দাগে লাগাতে পারেন। লেবুর রস যে কোন দাগ দূর করতে বেশ কাজে দেয়। তাই পক্সের দাগ দূর করতে ও খুবই ভাল কাজ করে। তবে চেষ্টা করবেন রাতের বেলায় লাগাতে। দিনের বেলায় সূর্যের আলো লেবুর রসের সাথে মিশে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মধু:- প্রতিদিন ৩-৪ বার করে মধু লাগাতে পারেন। কারণ মধু ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। যতদিন দাগ থাকবে ততদিন মধু ব্যবহার করতে পারবেন।
ওটমিল:- চিকেন পক্সের দাগ ও চুলকানি দূর করতে ওটমিল ব্যবহার করতে পারেন। বেশ উপকার পাবেন। আধা কাপ ওটমিলের সাথে এক কাপ গরম পানি নিন। তারপর এটি ঠাণ্ডা করে দাগ গুলোতে লাগাতে পারেন।
চন্দনের তেল:- চন্দনের তেল আমরা অনেকেই রূচর্চার জন্য ব্যবহার করি। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চন্দনের তেলের জুড়ি নেই। তাই চিকেন পক্সের দাগ দূর করতে চন্দনের তেল বেশ কার্যকরি। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভাল উপকার পাবেন।
রসুন:- পক্সের সময় রসুন খাওয়া ঠিক না। তবে পক্স ভাল হয়ে গেলে তারপর পক্সের দাগ দূর করতে সহায়তা করবে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে কাঁচা রসুন একটু তেতো করে দাগের ওপর লাগাতে পারেন।
নারিকেল তেল:- যাদের দাগ দীর্ঘদিন যাবত কিন্তু এখনো দাগ রয়ে গেছে। তারা প্রতিদিন সকালে দাগের উপর নারিকেলের তেল লাগাতে পারেন।
পেঁপে এবং মধুর পেস্ট:- পেঁপে ও মধুর পেস্ট পক্সের দাগ দূর করতে চমৎকার কাজ করে। কারণ এইগুলোতে আছে এনজাইম, এমাইনো এসিড ইত্যাদি যা দ্রুত দাগ দূর করে। তাই পাকা পেঁপে আর মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ২ বার লাগান ।
এলোভেরা জেল:- এলোভেরার কাঁচা পাতা থেকে যে তরল জেল বের হয় তা প্রতিদিন দাগে লাগান। তাহলে দ্রুত দাগ দূর হয়ে যাবে।
FAQ ( আপনার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর)
চিকেন পক্স হলে কি গোসল করা যাবে?
চিকেন পক্স হলে অবশ্যই গোসল করা যাবে। প্রতিদিন গোসল করতে পারবেন। তবে গোসলের সময় ঘসা মাজা করা যাবে না। পারলে নিম পাতা ফুটিয়ে টান্ডা করে এই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
চিকেন পক্স কতদিন থাকে?
চিকেন পক্স হলে সাধারণত ১-২ সপ্তাহ এর মধ্যে ভাল হয়ে যায়। তবে দাগ থাকে অনেক দিন। নিয়মিত চিকিৎসা করলে দ্রুত পক্স ও দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
চিকেন পক্স এর দোয়া
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْمَجِيْدُ) ‘আল-মাঝিদু’ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। এ পবিত্র নাম নিয়মিত আমল করলে বসন্ত রোগ বা মহামারী আক্রান্ত এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যায়।
শেষ কথা
চিকেন পক্স হলে এতো চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত সতর্ক থাকলে এবং পাশাপাশি চিকেন পক্স এর ঔষধ খেলে এবং নিয়ম কানুন মেনে চললে দ্রুত এই রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট