জনাব আরিফের বাসার পাশে একটি ব্যাংক আছে। জনাব আরিফ ঐ ব্যাংকে একটি হিসাব খুলেতে চাচ্ছেন। জনাব আরিফ ঐ ব্যাংকে কিভাবে হিসাব খুলবেন বর্ণনা করুন। hsc (bou) class 12 finance and banking 2nd paper science 3rd assignment solution 2021

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিমা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 03 বিষয় কোডঃ 2887
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ জনাব আরিফের বাসার পাশে একটি ব্যাংক আছে। জনাব আরিফ ঐ ব্যাংকে একটি হিসাব খুলেতে চাচ্ছেন। জনাব আরিফ ঐ ব্যাংকে কিভাবে হিসাব খুলবেন বর্ণনা করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ব্যাংক হিসাবের শ্রেণিবিভাগ আলােচনা বর্ণনা করতে হবে।

প্রথমেই আমরা জেনে নেই ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে, ব্যাংক একাউন্ট সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো-

  1. চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট (current account)
  2. সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট (savings account)
  3. ডিপিএস- ডিপোজিট পেনশন স্কিম (DPS – deposit pension scheme) 
  4. এফডিআর – ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট (FDR- fixed deposit receipt)

১:চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট (current account) – সাধারণত চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য। যেখানে নিয়মিত লেনদেন হয়ে থাকে। আপনি চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্টে প্রতিদিন যতবার খুশি ততবার টাকা জমা এবং উত্তোলন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার কোন বিধি-নিষেধ থাকবে না। তবে চলতি হিসাবের ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে যত টাকা থাকুক না কেন এর উপর আপনি কোন লভ্যাংশ পাবেন না। পক্ষান্তরে আপনাকে বছর শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে!

২: সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট (savings account)- সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট মূলত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য খোলা হয়। এখানে আপনি টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন এবং আপনার সঞ্চিত টাকার উপর আপনি বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণে লভ্যাংশ পাবেন। মূলত ব্যাংক ভেদে লভ্যাংশের পরিমাণে হেরফের হতে পারে তবে সকল ব্যাংক-প্রতিষ্ঠান ৪-৬% লভ্যাংশ জমা টাকার উপরে প্রদান করে থাকে। এবং ব্যাংক ভেদে আপনি দিনে বা মাসে কতবার লেনদেন করতে পারবেন তা নির্ধারিত থাকে সেভিংস একাউন্টে।

৩: ডিপিএস- ডিপোজিট পেনশন স্কিম (DPS – deposit pension scheme) –ডিপিএস হচ্ছে এমন একটি ব্যাংকিং সুবিধা যেখানে আপনি প্রতিমাসে বা বছরে অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখলে নির্ধারিত সময় পরে আপনি আপনার জমা টাকা এবং লভ্যাংশ সহ এক বারে ফেরত পাবেন। এবং এ ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন এর জন্য উপযুক্ত নয় এখানে শুধুমাত্র আপনার টাকা জমা রাখতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষেই তুলতে পারবেন।

৪: এফডিআর – ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট (FDR- fixed deposit receipt)- এফডিআর বা ফিক্স ডিপোজিট হচ্ছে এমন একটি ব্যাংকিং সুবিধা যেখানে আপনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ একবারে জমা রাখবেন। এবং নির্ধারিত সময়ে পরে সুদসহ আসল আপনাকে তারা ফেরত দিয়ে দেবে। ব্যাংক ভেদে পাঁচ থেকে দশ বছরে তারা দ্বিগুণ টাকা ফেরত দিয়ে থাকে। এবং এটি ও লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যাংক হিসাব হলো আমানতকারী ও ব্যাংকের মধ্যে যোগাযোগ এবং লেন-দেনের মাধ্যম। ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য অবশ্যই একটি নিয়ম মানতে হবে।

আসুন সেটি নিয়ে আলোচনা করি। ব্যাংকে চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব খোলার পদ্ধতি প্রায় একই ধরনের। শুধু আবেদন পত্রের রংয়ের ভিন্নতা ছাড়া কোন পার্থক্য নেই।

তাই এই দু’টি বিষয়কে একই সাথে আলোচনা করা হলো হিসাব খোলার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে আবেদনপত্র নিতে হবে।

আবেদনপত্র বন্টনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা প্রথমেই চলতি হিসাব নাকি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হবে তা নিশ্চিত হয়ে নির্ধারিত আবেদনপত্র প্রদান করেন। এর সাথে তিনি দস্তখতের নমুনা কার্ড প্রদান করেন এবং কিরূপে আবেদন পত্র ও দস্তখত কার্ড পূরণ করা হবে তারও ইংগিত প্রদান করেন।

১. আবেদন পত্রের পাঁচটি অংশ নিুরূপ তথ্যাদি দ্বারা পূরণ করতে হয় ঃ

(১.১) আবেদনকারীর বিবরণ: এই অংশ আবেদনকারীর নাম, পিতা বা স্বামীর না, জাতিয়তা, পেশা, বয়স, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি দ্বারা পূরণ করতে হয়।

(১.২) পরিচয়দানকারীর বিবরণ: এই অংশে পরিচয় বা সনাক্তকারী ব্যক্তিকে তার নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষর এবং তার হিসাব নম্বর উলেখ করতে হয়।

(১.৩) মনোনীত ব্যক্তির পরিচয়: এই অংশে আবেদনকারীকে একজন নমিনি (ঘড়সরহবব)-এর নাম, ঠিকানা, বয়স সংক্রান্ত তথ্যাদি সংুক্ত করতে হয়। আমানতকারীর মৃত্যুর পর এই মনোনীত ব্যক্তি হিসাবের টাকা পেয়ে থাকে।

(১.৪) স্বাক্ষর: আবেদনকারীকে স্বাক্ষর প্রদান করতে হয়। যৌথ নামে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থানে প্রত্যেককেই স্বাক্ষর দিতে হয়।

(১.৫) ছবি: বর্তমানে প্রচলিত নিয়মের আলোকে আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীকে দুই কপি (পি.পি) সাইজ সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হয় যা পরিচয় দানকারী সত্যায়িত করে থাকে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. নমুনা স্বাক্ষর কার্ড পূরণ: এই কার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে তাকে নিজ নাম তিনবার লিখতে হয় এবং তিনটি স্বাক্ষর দিতে হয়। স্বাক্ষরের গরমিল হলে ব্যাংক চেকের টাকা দেয় না।

৩. প্রয়োজনীয় দলিল পত্রাদি সংযোজন: আবেদনকারী আবেদনপত্রের সাথে নিচের দলিলাদি সংযুক্ত করে দিতে হয়: ছবি; নমিনির ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, সার্টিফিকেট

[প্রতিষ্ঠান হলে ব্যবসায় পরিচালনা সংক্রান্ত দলিলাদি যেমন, ট্রেড লাইসেন্স, স্মারক লিপি, নিবন্ধনপত্র ইত্যাদি।

৪. আবেদনপত্র জমা দান : এই পর্যায়ে আবেদনকারীকে পূরণকৃত আবেদন পত্র, নমুনাস্বাক্ষর কার্ড এবং প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় দলিলসমূহ হিসাব খোলার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হয়। পূরণকৃত ফরম এবং সংযুক্ত সকল তথ্যাদিতে সন্তুষ্ট হলে তিনি একটি হিসাব নাম্বার বরাদ্দ করে তা আবেদন পত্র এবং নমুনা স্বাক্ষর কার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর ম্যানেজার আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং এর সাথে সাথেই আবেদনকারী হিসাব খোলার অনুমতি প্রাপ্ত হয়।

৫. জমার রসিদ সংগ্রহ এবং প্রাথমিক জামানত জমা: হিসাব খোলার অনুমতি পত্র পাবার পরই আবেদনকারী অর্থ জমা দিলেই তাঁর হিসাবটি সচল হয়ে যাবে।

৬. চেক ও পাস বই প্রদান: প্রাথমিক আমানত ব্যাংকে জমা দেয়ার পর ব্যাংক আমানতকারীকে টাকা উত্তোলনের সুবিধার জন্য চেক বহি এবং টাকা জমা ও উঠানোর হিসাব সংরক্ষণের জন্য পাস বহি প্রদান করে থাকে। হিসাব খোলার মাধ্যমে আমানতকারী ব্যাংকের গ্রাহকে পরিণত হয়।

খ) স্থায়ী হিসাব খোলার পদ্ধতি ঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সুন্দরভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র এবার দায়িত্ব-প্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হয়। তিনি পূরণকৃত ফরম ও সাথে সংযুক্ত সকল তথ্যে সন্তুষ্ট হলে হিসাব খোলার অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর আবেদন পত্রে উলিখিত অর্থ গ্রহণের জন্য একটি রসিদ প্রদান করেন। তিনি রসিদে একটি নাম্বার প্রদান করেন এবং তার স্থায়ী হিসাব রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে। অতঃপর নাম্বারযুক্ত স্থায়ী জমা রসিদটি আমানতকারীকে হস্তান্তর করে। এই রসিদে টাকার পরিমাণ, জমার মেয়াদ, সুদের হার, জমাকারীর নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষরসহ অন্যান্য নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ থাকে। আমানতকারী ঋউজ টি নিজস্ব হেফাজতে যত্ন করে রাখে এবং মেয়াদ শেষে ব্যাংকে উপস্থাপন করা হলে ব্যাংক সুদ বা মুনাফাসহ সকল অর্থ প্রদান করে।

ব্যাংক হিসাব বন্ধ করার পদ্ধতি

কোনো ধরনের ঋণ না থাকলে গ্রাহকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ব্যাংক হিসাবটি বন্ধ করে দেয়।

১) হিসাব বন্ধ করার অনুরোধপত্র (কোম্পানির ক্ষেত্রে অনুমোদিত সভার অনুরোধপত্র)

২) অব্যবহৃত চেকবই, পাসবই, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ফেরত দিতে হবে।

কোন মক্কেল তার ব্যাংক হিসাব (চলতি বা স্থায়ী) বন্ধ করতে আগ্রহী হলে ব্যাংকের ম্যানেজার বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতেহয় এবং সাথে পাস বুক ও অব্যবহৃত চেকবইটি ফেরৎ দিতে হয়।

একই সাথে আমানতকারীর হিসাবও খতিয়ান পৃষ্ঠায় ‘হিসাব বন্ধ’ লিখে রাখে। অবশ্য বিভিন্ন কারণে এমনিতেই হিসাব বন্ধ হয়ে যায়: যেমন, মক্কেলের মৃত্যু হলে, সে পাগল বা দেউলিয়া হলে, হিসাব বন্ধ করার নোটিশ দিলে, ৩য় ব্যক্তির নিকট হিসাবের অর্থ হস্তান্তর করলে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ইত্যাদি।

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment