জাবেদা তাৎপর্য বণনা কর, জাবেদা গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর, জাবেদা উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
জাবেদা তাৎপর্য বণনা কর, জাবেদা গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর, জাবেদা উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
জাবেদারের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা এবং গুরুত্ব :-
সংঘটিত লেনদেনগুলো প্রথমে জাবেদাভুক্ত না করে সরাসরি খতিয়ান বহিতে লিপিবদ্ধ করলে ভবিষ্যতে ঝামেলা হতে পারে। কোন নির্দিষ্ট তারিখে দেনাদার ও পাওনাদারের মধ্যে দেনা পাওনা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে খতিয়ান বই হতে তথ্য বের করা সময় সাপেক্ষ। কাজেই দ্রুত সময়ে তথ্য বের করার জন্য জাবেনা বইয়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন :- জাবেদার কাকে বলে । জাবেদার কত প্রকার ও কি কি
ব্যবসায় জগতে প্রতিদিন অনেক লেনদেন সংঘটিত হয়। এই লেনদেনগুলোকে সরাসরি খতিয়ান বইতেও দেখা যায়। কোন একটি লেনদেন খতিয়ান বইতে লেখা না হলে তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই কষ্টসাধ্য বা ঝামেলাপূর্ণ কাজ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য জবেদা বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নিম্নে এর প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধা আলোচনা করা হলোঃ
১. হিসাবের প্রাথমিক বই :-
কোন লেনদেন সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বপ্রথম এই বইতে হিসাবভুক্ত করা হয়। ফলে কোন লেনদেন হিসাবভুক্ত করণে বাদ পড়ে না। এ সব কার্যক্রমের ফলে নিখুঁত হিসাব সংরক্ষিত হয়।
২. দু’তরফা দাখিলার প্রয়োগ :-
সংঘটিত লেনদেনগুলোকে দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির নীতি অনুসারে ডেভিড ও ক্রেডিট নির্ণয় করে লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে ইহা বিজ্ঞানসম্মত এবং সর্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
৩. খতিয়ানের সাহায্যকারী :-
জাবেদা হতে খতিয়ান বইতে লেনদেনগুলো তারিখের ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ হয় বলে কোন লেনদেন হিসাব হতে বাদ পড়ে না। ফলে খতিয়ান বইতে সঠিক ফলাফল প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন :- রেওয়ামিল কাকে বলে?
৪. ভুল ত্রুটি হ্রাস :-
প্রতিদিনের লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে প্রথমে এই বইতেতে লেখা হয় বলে হিসাবের ভুল ত্রুটি হ্রাস পায়।
৫. তথ্যের উৎস :-
লেনদেনগুলোকে তারিখের ক্রমানুসারে প্রথমে জাবেদা বইতে লেখা হয়। ফলে একটি নির্দিষ্ট তারিখের প্রয়োজনীয় তথ্য অতি সহজেই খুঁজে বের করা যায়।
সুতরাং পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, নিখুঁত হিসাব এবং সর্বেজিনের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য জাবেদার কোন বিকল্প নেই। তাই ইহার প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা অনস্বীকার্য।
জাবেদা তাৎপর্য বণনা কর, জাবেদা গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর, জাবেদা উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর