তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও? কেন? তোমার ভবিষ্যৎ স্বপ্নপূরণে কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে করো তা লিপিবদ্ধ কর।
এই পেশায় আত্মনিয়োগ করলে গরীব-দুঃস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে সেবাদান করা যায়।
এই পেশা বা ক্যারিয়ার বিকাশের বিভিন্ন ধাপ বা পরিকল্পনার পর্যায়গুলো দেওয়া হলো :
নিজেকে জানাঃ
ক্যারিয়ারের পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে জানার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের আগ্রহ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দক্ষতা বা যোগ্যতা, মূল্যবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে ও বুঝে প্রতিটি ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
যে কাজ আমরা করতে ভালোবাসি, তেমন কাজ যদি জীবনের অধিকাংশ সময়ই করা যায় তাহলে ক্যারিয়ার আনন্দময় হয়ে ওঠে।
আবার যে কাজে আমাদের আগ্রহ নেই, সে কাজ করলে ভালো করার সম্ভাবনা কম থাকে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ
ক্যারিয়ার গঠনে আমাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়। যেমন আমি কোন বিভাগে পড়ব অথবা ভবিষ্যতে কোন পেশা বা বৃত্তি বেছে নেব ইত্যাদি। প্রতিটি সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের জীবনযাপন শৈলী, মান, উপার্জন, জীবনের গতিময়তা ইত্যাদি এর মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারে।
আমাদের এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত শুধু নিজের জীবন নয় পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়কেও প্রভাবিত করতে পারে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিজের হাতে নাও থাকতে পারে।
যেমন অনেক সময় নির্ধারিত শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট শাখা বা বিভাগ বরাদ্দ হতে পারে।
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে যে যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
তাই এ সমস্ত বিষয়ে চিন্তা করে আগে থেকেই সতর্ক থেকে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা এক ধরনের সিদ্ধান্ত।
যেমন আমার লক্ষ্য যদি হয় চিকিৎসক হওয়া তাহলে আমাকে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করতে হবে।
বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য আমাকে বিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে এবং এ বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
মনে রাখা দরকার লক্ষ্যপূরণ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে লক্ষ্য পরিবর্তন করা যেতে পারে।
পরিবর্তনশীল কাজের ধরন সম্পর্কে ধারনাঃ
দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কাজের চাহিদা ও সুযোগের পার্থক্য রয়েছে।
আবার কাজের এই চাহিদা সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হয়।
এই পরিবর্তনশীল চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিভিন্ন জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে হবে।
উচ্চতর জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশঃ
যেকোনো ধরনের কাজের জন্যই ন্যূনতম পর্যায়ের ভাষা দক্ষতা, বিশেষ করে মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা, উপার্জনের জন্য অনুপ্রেরণা, সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপনের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি রপ্ত করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতিঃ
প্রতিটি চাকরি বা পেশার জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখাপড়া, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা এই দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারি।
এছাড়া কর্মক্ষেত্রে কিছু সাধারণ দক্ষতা যেমন বিভিন্ন মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি দক্ষতার পাশাপাশি মনোযোগ, ধৈর্য, কাজের প্রতি নিষ্ঠা প্রভৃতি গুণ থাকা আবশ্যক।
সংবেদনশীল হওয়াঃ
বিভিন্ন পেশা ও কর্মে নিযুক্ত মানুষের প্রতি সহনশীল, সহমর্মী ও সংবেদনশীল হতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়, আমি ভবিষ্যতে কোন ধরনের কাজ করবো বা করতে চাই তা বোঝার জন্য নিজের আগ্রহ, যোগ্যতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ক্যারিয়ার নির্ধারণে ‘আগ্রহ’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে পড়তে এবং সে সংক্রান্ত কাজ করতে আমরা অনুপ্রাণিত হই।
আগ্রহ না থাকলে অনেক বিষয়ই একঘেয়ে মনে হয়। যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজে মানুষের সাফল্য নাও আসতে পারে।
S.S.C
- ৯ম-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায় হিলিয়ামের উল্লেখ আছে
- Class: 9 Bangla Assignment Answer 2021
- দাখিলা ৯ম শ্রেণি বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
- সম্প্রসারিত ভাব: ”সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা,রত হয়ে নিজ নিজ কাজে“
- স্ব শিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব
- দেশপ্রেম সম্পর্কিত আলোচনা বঙ্গবাণী ও কপোতাক্ষ নদ কবিতায় আলোতে
- (উপভোগ হাতে খড়ি, পিত্রালয়, সর্বজনীন, মাননীয়, নিদারুণ, নীলিমা, আশীর্বাদ, চন্দ্রমুখ, কবিত্ব) বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশের বিভিন্ন পরিচ্ছেদ পেশ করবো
- কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন
- নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ে রুকনউদ্দীন কায়কাউসের
- কোন প্রতিষ্ঠানে কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য সমন্বয় সাধন প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করো
1 thought on “তোমার ভবিষ্যৎ স্বপ্নপূরণে কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে করো তা লিপিবদ্ধ কর”