শ্রেণি: দাখিল /৯ম/ 2022 বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 150 |
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- ১। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে পারবে,
- ২। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে,
- ৩। ঐতিহাসিক ছয়। দফার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে,
- ৪। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে,
নির্দেশনা :
- ১। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য,
- ২। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,
- ৩। ঐতিহাসিক ছয় দফার গুরুত্ব,
- ৪। ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব।,
- ১। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য,
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। ভাষা, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভৌগোলিকপরিবেশ, খাদ্যাভ্যাসসহ সকল ক্ষেত্রে বিস্তর ব্যবধান থাকা সত্বেও কেবল ধর্মের ভিত্তিতে এক হাজারমাইলের ব্যবধানে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তকরে এই অসম রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়। এই রাষ্ট্রের কর্ণধাররা প্রথমই শোষণ ও বৈষম্যের হাতিয়ার হিসেবেবেছে নেয় বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলাকে। অথচ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় পাকিস্তানেরভাষাগত জনসংখ্যার একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, মোট জনসংখ্যার ৫৪.৬০% বাংলা,২৮.০৪% পাঞ্জাবি, ৫.৮% সিন্ধি, ৭.১% পশতু, ৭.২% উর্দু এবং বাকি অন্যান্য ভাষাভাষী নাগরিক। এরথেকে দেখা যায় উর্দু ছিল পাকিস্তানি ভাষাভাষির দিক থেকে ৩য় স্থানে।
অন্যদিকে তদানীন্তন পূর্ব বঙ্গের জনসংখ্যা ৪.৪০ কোটির মধ্যে ৪.১৩ কোটি ছিল বাংলা ভাষাভাষী। এখানে ৯৮% বাংলা এবং মাত্র ১.১% ছিল উর্দু ভাষী। অথচ বাংলা ভাষাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু সংগ্রামের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি জাতিমাতৃভাষার ওপর এ আঘাতের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পাকিস্তান সৃষ্টির ছ’মাস পেরুতে না পেরুতে তারা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য রাজপথে নামে যা ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় পর্বের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করে।
- ২। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন যুক্তপাকিস্তানের প্রথম নির্বাচন (পূর্ব পাকিস্তানে)। ১৯৫১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও পাক সরকার নির্বাচন দিতে পড়িমসি করে। তাদের ধারণা ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ভয়াবহতা পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ নির্বাচনে পরাজিত হবে। সে জন্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব করে। তারা চেয়েছিল পূর্ব বাংলায় তাদের তাঁবেদার সরকার গঠিত হবে। তাদের শাসনক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। সে প্রচেষ্টার কৌশল হিসেবে ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলার প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা বাংলার উপর আক্রমণ চালায়। ১৯৪০ সালের পাকিস্তানে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান গঠন করার কথা থাকলেও পরবর্তীকালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের’ ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়। লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ‘একাধিক রাষ্ট্র’ গঠিত হলে পূর্ববাংলা প্রথমেই স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারত। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ধর্মীয় ঐক্যের উপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র পাকিস্তান গঠন করা হয়। দেশ বিভক্তির পর থেকে পূর্ববাংলার জনগণ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অধিকারসমৃদ্ধ সুখী ও স্বাধীন জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে আসছিল। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির অব্যবহিত পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ববাংলার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে। তাদের কার্যকলাপে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থরক্ষা করতে তারা সম্পূর্ণ নারাজ।
তাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিতে তারা গড়িমসি করে। কিন্তু পূর্ববাংলার নেতৃবৃন্দের চাপের মুখে মোহাম্মদ আলীর তৎকালীন সরকার ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
পরিশেষে ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয় বাঙালি জাতির জীবনে এক স্মরণীয় অধ্যায়। এ নির্বাচনে জয় লাভ করে এদেশবাসী অধিকার সচেতন হয়ে উঠে। নির্বাচনের ফলাফল বাঙালিকে রাজনীতি সচেতন ও জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।
- ৩। ঐতিহাসিক ছয় দফার গুরুত্ব,
পাকিস্তান ঔপনিবেশিক শাসনামলে পূর্ব বাংলায় যত রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণীত হয়েছে ৬ দফা ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান তার ছয়দফা দাবির মধ্যে এমন সব দাবি উত্থাপন করেছেন যা বাঙালিকে একটি আলাদা জাতিসত্তা হিসেবে তুলে ধরেছে। এ কারণে ৬ দফা কর্মসূচিকে বাঙালির বাচার দাবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ৬ দফার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে নিম্নে আলােচনা করা হলাে-
১. বাঙালির মুক্তিসনদ : পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠির অত্যাচার, নিপীড়ন এবং শােষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। কারণ পরবর্তীকালে ৬ দফার উপর ভিত্তি করে বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়। ৬ দফাকে কেন্দ্র করে মূলত বাঙালিদের মধ্যে একটি নবজাগরণের সৃষ্টি যা বাঙালির মুক্তির জন্য একান্ত অপরিহার্য। এ প্রসঙ্গে বাঙালির জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ৬ দফা বাংলার কৃষক, শ্রমিক, মজুর, মধ্যবিত্ত তথা আপামর মানুষের মুক্তির সনদ এবং বাংলার স্বাধীনতার গ্যারান্টি।
২.শােষণ ও বৈষম্যের প্রতিবাদ : ৬ দফা দাবি ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পশ্চিমাগােষ্ঠি কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে শােষণের বিরুদ্ধে প্রথম বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। কারণ এর পূর্বে বাঙালি জাতির কোনাে নেতা এমন সুসংগঠিত দাবি বাঙালির জাতির সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন নি। শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন কালে বলেছেন “আমাদের বাঁচার দাবি ৬ দফা কর্মসূচি।’ সত্যিই শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বাঁচাতে ছয় দফা কর্মসূচি জনসম্মুখে তুলে ধরেন।
৩. বাঙালি জাতীয়তাবাদের সুদৃঢ় বহিঃপ্রকাশ : ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সুদৃঢ় ঘটেছিল। এ আন্দোলনের সময় সমগ্র বাঙালি জাতি একটি প্লাটফর্মের অধীনে চলে আসে। ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার এক মূর্ত প্রতীক এবং এ কারণেই এর প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাঙালি জাতি ১৯৬৯ এ ঝাপিয়ে পড়েছিল।
৪. স্বায়ত্তশাসনের দাবি : ৬ দফা দাবির মাধ্যমে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানকে একটি পৃথক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি পেশ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচারণার ফলে ৬ দফার দাবি অতি শীঘ্র সমগ্র । বাংলার জনগণের প্রাণের দাবি হয়ে ওঠে। স্বায়ত্তশাসনের দাবি আদায়ের ঢেউ সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
৫.স্বাধিকার আন্দোলন : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালিরা স্বাধিকার আন্দোলন পরিচালনা করে। তবে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম দিকে এ আন্দোলন তেমন পূর্ণতা পায় নি। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতিকে তাদের স্বাধিকার আদায়ের অপরিসীম শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। যেসব উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল তার একটিও বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাঙালি জাতি ৬ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
৬. ১৯৭০ এর নির্বাচনে প্রভাব : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ৬ দফার প্রভাব ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ছয় দফা কর্মসূচিকে তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে সন্নিবেশ করে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তথা শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনে জয়লাভ করলে জনগণকে ৬ দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। ফলে আওয়ামী লীগ উক্ত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
- ৪। ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব।,
এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্ব ইতিহাসে নতুন এক শিকরে পৌঁছে যায়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতা ও গেরিলাযুদ্ধের দিক-নির্দেশনা। এর পরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বজ্র নিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনার পথ ধরেই ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বিশ্বমানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হলো :
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১. গণতন্ত্রের ডাক : বঙ্গবন্ধু তার ১০৯৫ তথা ১১০৮ শব্দের ভাষণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের শাসনতন্ত্র তৈরির আকুল আবেদন ও তীব্র আকাঙ্খা পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো এবং এ দেশকে আমরা গড়ে তুলবো’।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার এ ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. বৈষম্যের ইতিহাস উপস্থাপন : বঙ্গবন্ধু ভাষণের প্রথম পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ তেইশ বছরের বৈষম্যমূলক ইতিহাস তুলে ধরেন। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির মধ্য দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ ও শাসন করতে থাকে, গড়ে ওঠে বৈষম্যের পাহাড়। সামরিক বাহিনীর তিনটি সদর দপ্তরই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীতে ৯৫ ভাগই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি, অর্থনৈতি ক্ষেত্রে এ বৈষম্য ছিল আরও ব্যাপক।
৩. নির্যাতনের পর্ণাঙ্গ চিত্র : বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি জাতির ওপর দীর্ঘ তেইশ বছরে যে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। জাতির জনক তার ভাষণের তৃতীয় লাইনেই বলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম রাজশাহী রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে- তিনি ভাষণে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসনামলকে বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস হিসেবে উল্লেখ করেন।
৪. সংগ্রামী চেতনার ডাক : স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের দাবিতে বাঙালি জাতি যে সংগ্রামের সূচনা করে আত্মাহুতি দেয় বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে তা তুলে ধরেছেন। নানাদিক থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত জনগণ তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য আন্দোলন চালাতে থাকে। মৃত্যুর মুখেও নির্ভয়ে এগিয়ে যায় এবং রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। দেশকে মুক্ত করার জন্য জনগণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালালেও পাক সামরিক বাহিনী গুলি চালায় নিরীহ জনগণের ওপর। তবুও সংগ্রামী জনগণ পিছপা হয়নি।
৫. বাঙালি জাতীয়তাবাদ : বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় হিন্দু, মুসলমান, বাঙালি, অবাঙালি সবার কথাই বলেছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদ যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোনো নেতা করতে পারেনি। তিন সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে একতার জলন্ত শিখার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন তার সম্মোহনী বক্তব্যের মাধ্যমে, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল।
৬. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা : তিনি অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে যে কৌশল প্রয়োগের নির্দেশনার দিয়েছেন তা, খুবই গরুত্ববহ। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, রাস্তাঘাট যা যা আছে আমি যদি হুকুম দেবার না পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে, আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব’।
০৭ . মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে এই বলে মুক্তির সংগ্রাম ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এই নিষ্কম্প ঘোষণা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা দিয়েছিল। জাতির উদ্দেশ্যে এই ছিল তার যুদ্ধপূর্ব শেষ ভাষণ। তাই এতে তিনি যুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়ে পস্তুতির কথা বলেছিলেন। তখন বাঙালির হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তাই যার যা আছে তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তার এই সংগ্রাম ঘোষণায় যে পশ্চিমাদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাবে তা তিনি ধারণা করেছিলেন। সেজন্য তৎকালীন হানাদার শাসকদের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। তিনি তার অনন্য ভাষণে মুক্তিসংগ্রামের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ জনতার সামনে যে তেজোদ্বীপ্ত জ্বালাময়ী কাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা বাঙালির মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। বাঙালিকে স্বাধীনতা লাভের জন্য উন্মত্ত করেছিল্ বাংলার মানুষ বর্ণ-গোত্র ও ধর্ম ভুলে গিয়ে দেশের জন্য হাসিমুখে জীবন দিতে শপথ করেছিল। ইউনেস্কো এ ভাষণকে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার এর মাধুর্য, শ্রেষ্ঠত্ব ও গরুত্ব এবং বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাস এখন পৃথিবীর নানা প্রান্তে-ছড়িয়ে বহু-ভাষী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এটি এখন শুধু বাংলাদেশের নয় বরং সারা বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব সংস্থার স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গবেষণা হবে, বিশেষ করে জ্ঞানান্বেষী তরুণ সমাজের মনে এটি স্থান পাবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- Class: 6 To 10 Assignment Answer Link
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট : | উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট |
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক | মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক |
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]
- মাধ্যমিক ৬ষ্ঠ/ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 6 islam and moral education solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৬ষ্ঠ/ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 6 information and communication technology solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৭ম/সপ্তম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 7 Ict solution (6th week) 2022, class 7 Ict answer 2022 [6th week Ict solution 2022]
- মাধ্যমিক ৭ম/সপ্তম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 7 Islam and moral education solution (6th week) 2022
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]