দারিদ্র্য সূচকগুলো আলোচনা কর,দারিদ্র্য নির্ধারকগুলো লিখ,দারিদ্র্যের সূচক বা নির্ধারকগুলো বর্ণনা কর

দারিদ্র্য সূচকগুলো আলোচনা কর,দারিদ্র্য নির্ধারকগুলো লিখ,দারিদ্র্যের সূচক বা নির্ধারকগুলো বর্ণনা কর, দারিদ্র্য সূচকগুলো বিবেচনা

দারিদ্র্য একটি আপেক্ষিক প্রত্যয়। দারিদ্র্য এমন একটি অবস্থা যা নির্দিষ্ট সময়ে একটি সমাজের জীবন মান এবং সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে পরিমাপ করা হয়। উন্নয়ন যেমন একটি বহুমুখী ধারণা, তেমনি দারিদ্র্য একটি বহুমুখী সমস্যার সমন্বয়।

দারিদ্র্য একটি দেশের সকল উন্নয়নের পথে বাধার সৃষ্টি করে। সাধারণ অর্থে, দারিদ্র্য হলো এমন একটি আর্থসামাজিক অবস্থা যে অবস্থায় মানুষ জীবন যাপনের মৌল প্রয়োজনগুলো পূরণের ন্যূনতম মান অর্জনে অক্ষম। দারিদ্র্য চিহ্নিতকরণে কি না, তা নির্ণয় করা যায়। এ নির্ধারকগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিতকরণ দারিদ্র্য দূরীকরণের পূর্বশর্ত।

→ দারিদ্র্য সূচক : দারিদ্র্যের কতগুলো সূচক বা নির্ধারক রয়েছে । নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো :

১. স্বল্প মাথাপিছু আয় : স্বল্প মাথাপিছু আয় দারিদ্র্যের অন্যতম নির্দেশক সাধারণত সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে মাথাপিছু আয় ১৬০২ ডলার যা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম, আর এই স্বল্প মাথাপিছু আয়ের কারণে আমাদের দেশ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হতে পারছে না ।

২. দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি : জনসংখ্যা বাংলাদেশের অন্যতম দারিদ্র্যের সূচক। বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমাদের দেশে অধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নানা রকম সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটার প্রায় ১০৭৭ জন
“বসবাস করে। অধিক জনসংখ্যার ফলে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে না।

৩. ভূমিহীনতা : ভূমিহীনতা আমাদের দেশের দারিদ্র্যের | আরেকটি অন্যতম নির্ধারক। আমাদের দেশের জনগণের | মাথাপিছু ভূমির পরিমাণ ১. একর বিভিন্ন সময় সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের মানুষকে ক্রমশ আরো দুর্বল করছে।

৪. শিক্ষা : শিক্ষা দারিদ্র্য নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি বা কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। আমাদের দেশে শিক্ষার হার অনেক কম, শিক্ষিত জনগণ তাদের নিজেদের চেষ্টায় দারিদ্র্য দূর করে থাকে।

৫. বেকারত্ব : বিশ্বব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ৭৬% লোক বেকার। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি স্বল্প মাথাপিছু আয় ভূমিহীনতা কৃষির উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করে ফলে মানুষ বেকার হয় যা দারিদ্র্যের অন্যতম নির্ধারক।

৬. চিকিৎসা : চিকিৎসা ক্ষেত্রে এদেশের মাথাপিছু আয় ৩৬ টাকা। এছাড়া পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, ঔষধ নেই, হাসপাতাল নেই, নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। তাই আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভোগে অপুষ্টিত। এ কারণে বলা যায়, চিকিৎসা দারিদ্র্যের অন্যতম একটি সূচক ।

৭. প্রসূতি মৃত্যুর হার এদেশে বেশি, যা দারিদ্র্যকে Indicate করে।
৮. সম্পদের অসম বণ্টন, বাসস্থান, পরিশোধ দূষণ ইত্যাদি ও দারিদ্র্য সূচক।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য, অসম অর্থ বণ্টন উন্নয়নে অংশগ্রহণ প্রভৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সুতরাং দারিদ্র্য, আমাদের দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। যার বাস্ত বতা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। আমাদের সকলের উচিত আমাদের দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সাহায্য করা। দারিদ্র্য দূর করা গেলে, আমাদের দেশের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করা সম্ভবপর হবে।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ দারিদ্র্য সূচকগুলো আলোচনা কর,দারিদ্র্য নির্ধারকগুলো লিখ,দারিদ্র্যের সূচক বা নির্ধারকগুলো বর্ণনা কর, দারিদ্র্য সূচকগুলো বিবেচনা

Leave a Comment