দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখ,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ বর্ণনা কর ।
দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখ,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ বর্ণনা কর
দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। নিম্নে এ সকল উৎস সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো :
১. মালিক : দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের প্রথম ও অন্যতম প্রধান উৎস হিসাবে মালিক পক্ষকে বিবেচনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, ·একমালিকানা কারবারের ক্ষেত্রে মালিক নিজে অংশীদারি কারবারের ক্ষেত্রে অংশীদারগণ এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ার মালিকগণ মূলধন সরবরাহ করে থাকে।
২. অনপত্ৰ : দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ঋণপত্র ইস্যুকে বিবেচনা করা হয় ।
৩. বাণিজ্যিক ব্যাংক : সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংক স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে কখনও কখনও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে ।
৪. বিমা কোম্পানি : বিমা কোম্পানিসমূহ শর্তসাপেক্ষে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে।
৫. আর্থিক প্রতিষ্ঠান : বিভিন্ন প্রকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান; যেমন : বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে।
৬. বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান : কতিপয় বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান জামানতের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। যেমন : বাংলাদেশ গৃহ নির্মাণ ঋণদান সংস্থা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংস্থা, আন্ত জাতিক অর্থসংস্থান সংস্থা ইত্যাদি ।
৭. দায় গ্রাহক : দায় গ্রাহকগণ নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে । শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করা সম্ভব না হলে দায় গ্রাহকগণ নিজেরাই শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয় করে অর্থসংস্থান করে থাকে ।
৮. সঞ্চিত তহবিল : কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফা ও অন্যান্য সঞ্চিত তহবিল দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
৯. ইজারা কোম্পানি : বিভিন্ন ইজারা কোম্পানি মূল্যবান সম্পত্তি ইজারা প্রদানের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করে থাকে ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, বিভিন্ন . উৎস থেকে বিভিন্ন উপায়ে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করা যেতে পারে ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।