বিষয়: দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখুন, ভাব সম্প্রসারণ রচনা দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য , দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাব সম্প্রসারণ রচনা, দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাব সম্প্রসারণ PDF Download, নিয়োগ পরীক্ষায় আসা দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
অপরাধ হচ্ছে এমন এক ধরনের কাজ, যা রাষ্ট্রের আইনের চোখে নিষিদ্ধ। আর যে মানুষটি ওই অপরাধমূলক কাজ করে তাকে আমরা অপরাধী বলি। অপরাধ কখনও ভালো হতে পারে না; কিন্তু অপরাধী সংশোধনের মাধ্যমে ভালো হতে পারে।
অপরাধ ছোট, বড়, মাঝারি, ম্যানুয়াল, ডিজিটাল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। অপরাধের ধরন, প্রভাব ও বিস্তার বুঝে অপরাধীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া হয়। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে অপরাধের শাস্তি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
তবে অপরাধী সম্পর্কে আমরা যাই বলি না কেন, সে যে এক ধরনের বুদ্ধিমান (চতুর) এতে কোনো ভুল নেই। আমরা স্কুলে ছাত্র থাকাকালে ভাবসম্প্রসারণ করেছি- ‘দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য’। মানুষের মেধা ও বুদ্ধি যদি সঠিক পথে কাজে না লাগে, তাহলে সেই বুদ্ধি ও মেধা সমাজে আরও বেশি বিপদ সৃষ্টি করে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনেক বড় ধরনের অপরাধ সৃষ্টিকারীকে আমরা দেখতে পেয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ও অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি হলেন- পাপিয়া, সাহেদ, ডাক্তার সাবরিনা, আরিফ চৌধুরী, ওসি প্রদীপ প্রমুখ।
এরা কেউ কিন্তু কম মেধাবী ব্যক্তি নন। ভাবা যায়, পাপিয়া কিংবা সাহেদের মতো মানুষের কিনা দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে জানাশোনা ছিল! কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? শুধুই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে? তাদের এই রাজনৈতিক প্রভাব কিভাবে এলো?
তারা নিজেদের বুদ্ধি এবং সমাজের অন্য অপরাধীদের সহযোগিতায় আজকের এই আসনে এসেছেন। তবে হ্যাঁ, আপনারা এটাকে বুদ্ধি না বলে কুবুদ্ধিও বলতে পারেন। তাই আমাদের সমাজ থেকে অপরাধীকে নয়, অপরাধ পরিচালনা করে এমন ব্যক্তি কিংবা সংগঠনকে খুঁজে খুঁজে নিষ্ক্রিয় করতে পারলে তবেই অপরাধ নির্মূল হবে।
অপরাধী ভাই-বোনদের বলছি, আপনার যে মেধা ও বুদ্ধি আছে তা দিয়ে দেশে আপনার যথেষ্ট সুনাম অর্জনের সুযোগ আছে। কেন আপনি আপনার নিজের শান্তিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন? টাকার জন্য? সন্তান বা পরিবারের সুখের জন্য? কেন আপনাকে অপরাধ করতে হবে? সমাজের জন্য কাজ করার যথেষ্ট বুদ্ধি, শক্তি, জনবল, নেটওয়ার্ক সবই আপনার আছে। আপনি তাহলে কেন দেশের আইনের বরখেলাপ করছেন? ভেবে দেখেন, একসময় অপরাধী হিসেবে ধরা পড়ে মিডিয়ার সামনে মাথা নিচু করে বসে থাকতে হবে আপনাকে।
অথচ আপনি আপনার মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে হতে পারতেন পরিবার, সমাজ, এমনকি দেশের একজন হিরো। তাতে মানুষ আপনাকে সম্মান করে সারা জীবন মনে রাখত। দিন শেষে হতে পারতেন পরিবারের প্রিয় ব্যক্তি, সমাজের প্রিয়জন, দেশের প্রিয় মুখ। অথচ আপনার সামান্য ভুলের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির স্বীকার হবেন আপনি নিজে। দেশের মানুষের চোখে হবেন অপরাধী, মিডিয়ার লোক খুঁজে বেড়াবে আপনার ছোট-বড় সব অপকর্ম।
যে লোকটি আপনার টাকায় সংসার চালাচ্ছে, সেও আপনাকে দূরে ঠেলে দেবে। যাদের সুখের জন্য আপনি এত কিছু করছেন সেই সন্তান বা পরিবারের লোকেরাও আপনার অপরাধের জন্য সমাজে নানাভাবে নিগৃহীত হবে এবং একসময় তারা আপনাকে ঘৃণা করতে থাকবে। পরিশেষে আপনার কর্মফল হিসেবে আপনাকে জেল, হাজত ভোগ করতে হবে।
অপরাধ করে কেউ কোনোদিন সুখী হতে পেরেছে এমন উদাহরণ পৃথিবীতে নেই। তাই ক্ষণিকের সুখকে ভোগ না করে বুদ্ধিকে শুদ্ধ পথে চালিয়ে আত্মতৃপ্তি নিয়ে জীবন কাটান। এতে নিজে ভালো থাকবেন, অন্যরাও ভালো থাকবে।
আরো ও সাজেশন:-
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
দুর্জন হলাে খারাপ স্বভাবের লােক। কথা, কাজ প্রভৃতি দ্বারা অন্যের ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধনের স্বভাব ধর্ম দুর্জনের বৈশিষ্ট্য। দুর্জন ব্যক্তি শিক্ষিত ও অশিক্ষিত দুই হতে পারে। তবে দুর্জন বিদ্বান হলেও অকল্যাণকর, অশুভ তাই পরিত্যাজ্য। মনুষ্যত্ব-বিরােধী কুপ্রবৃত্তিগুলাে দুর্জন লােকের নিত্যসঙ্গী। এ ধরনের ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র দুর্বল, ব্যবহারে এরা রূঢ়, চিন্তায় তরল। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ এদের দ্বারা উপকৃত হয় না। এরা সমাজের কলঙ্ক। এরা আত্মকেন্দ্রিক, লােভী এবং স্বার্থপর।
কোনাে কোনাে দুর্জন লােক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় বটে, কিন্তু বাস্তবিকভাবে গুণী ও মহৎ হয় না। তাদের শিক্ষার সার্টিফিকেট একটি কাগজ ছাড়া অন্য কিছু নয়। সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষা এদের চরিত্র ও মানসিকতায় কোনাে পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। এরা শিক্ষিত হয়ে আরাে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। চাতুরী ও ছলনায় আরও কূটকৌশলী হয়ে এরা সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করে। এদের সাহচর্যে সততার অপমৃত্যু ঘটে। মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ তার উত্তম চরিত্র। মানুষের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অপরাপর বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটানাে আবশ্যক। তেমনি বিদ্বান হওয়াও একটি গুণ। বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
বিদ্যা মানুষের মনের চোখ খুলে দেয়। বিদ্যা মানবজীবনের সফলতার সহায়ক। বিদ্বানের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলােয় মন আলােকিত হয়। কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি চরিত্রহীন হয়, তবে তার বিদ্যার কোনাে মূল্য থাকে না, সে তার বিদ্যাকে অন্যায় কাজে লাগায়। এরা নিজের স্বার্থ বা অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যে কোনাে কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে। চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করে জীবনের কোনাে কল্যাণ সাধন করা যায় না। তাই দুর্জন যদি বিদ্বানও হয়, তবু তার সান্নিধ্য ও সংস্রব ত্যাগ করাই মঙ্গলজনক।
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
মূলভাব : বিদ্যা অমূল্য সম্পদ হলেও চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির সঙ্গ ত্যাগ করা মঙ্গলজনক।
সম্প্রসারিত ভাব : চরিত্র বিদ্যার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান- সে বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। সমাজে চরিত্রহীন ব্যক্তিকে সকলেই ঘৃণা করে, সে বিদ্বান হোক অথাব মূর্খই হোক। চরিত্রহীন ব্যক্তির সঙ্গ পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। প্রবাদ আছে, কোন কোন বিষধর সাপের মাথায় মূল্যবান মণি থাকে। তাই বলে কোন ব্যক্তি মণি লাভের আশায় বিষধর সাপের সাহচর্য লাভ করতে চায় তাহলে সেটি হবে বোকার কাজ। কারণ এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হবে। কারণ এতে মৃত্যুর আশংকা থাকে। তাই দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির সঙ্গে চলাফেরাও মঙ্গলজনক নয়। এতে জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ অর্থাৎ নিষ্কলুষ চরিত্রও কলুষিত হতে পারে। তাই দুর্জন ব্যক্তি অর্থাৎ চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত।
চরিত্র মানবজীবনের শ্রেষ্ঠতম সম্পদ আর সে চরিত্র একবার নষ্ট হয়ে গেলে সে আর মানুষ থাকে না, সে পশু বলে পরিগণিত হয়। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান হলেও তার সাহচর্য ত্যাগ করাই শ্রেয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
দুর্জনের স্বভাব-ধর্ম অন্যের ক্ষতি করা। তাই কোনো শিক্ষিত লোক যদি চরিত্রহীন হন, তবে অবশ্যই তার সঙ্গ পরিহার করা উচিত। কারণ, তার কাছ থেকে উপকার পাওয়ার চেয়ে বরং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিদ্বান লোক সুজন না হলে তার সান্নিধ্য কাম্য বলে গণ্য হয় না।
মনুষ্যত্ব-বিরোধী কুপ্রবৃত্তিগুলো দুর্জন লোকের নিত্যসঙ্গী। এই ধরণের ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র দুর্বল, ব্যবহারে এরা রূঢ়, চিন্তায় তরল। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ এদের দ্বারা উপকৃত হয় না। এরা সমাজের কলঙ্ক। এরা আত্মকেন্দ্রিক, লোভী এবং স্বার্থপর। কোনো কোনো দুর্জন লোক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় বটে, কিন্তু বাস্তবে হয় না জ্ঞানী।
তাদের শিক্ষার সার্টিফিকেট একটি কাগজ ছাড়া অন্য কিছু নয়। সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষা এদেশে চরিত্রে ও মানসিতায় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। এরা শিক্ষিত হয়ে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। চাতুরি ও ছলনায় আরও কূটকৌশলী হয়ে এরা সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করে। এদের সাহচর্যে সততার অপমৃত্যু ঘটে। মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ তার চরিত্র। মানুষের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অপরাপর বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটানো আবশ্যক। তেমনি, বিদ্বান হওয়াও একটি গুণ।
বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে। বিদ্যা মানুষের মনের চোখ খুলে দেয়। বিদ্যা মানব জীবনের সফলতার সহায়ক। বিদ্বানের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলো মন আরোকিত হয়। কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি চরিত্রহীন হয়, তবে তার বিদ্যার কোনো মূল্য থাকে না, সে তার বিদ্যাকে অন্যায় কাজে লাগায়।
এরা নিজের স্বার্থ বা অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে যে কোনো কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে। চারিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করে জীবনের কোনো কল্যাণ সাধন করা যায় না। তাই দুর্জন যদি বিদ্বানও হয়, তবে তার সান্নিধ্য ও সংশ্রব ত্যাগ করাই মঙ্গলজনক।
- ডিগ্রি ৩য় বর্ষের সাজেশন (১০০% কমন ডাউনলোড করুন), ডিগ্রি ৩য় বর্ষের পরীক্ষার সাজেশন [নিশ্চিত ১০০% কমন সকল বিষয়ে]
- hsc/এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন, ফাইনাল সাজেশন এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র, hsc logic 1st paper suggestion 100% common guaranty, special short suggestion hsc suggestion logic 1st paper
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
মূলভাব
জ্ঞান মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জনে সাহায্য করে। তবে বিদ্বান হলেই মানুষ চরিত্রবান হবে এমন কোনাে নিশ্চয়তা নেই। আর কোনাে চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তাকে এড়িয়ে চলা উচিত।
সম্প্রসারিত ভাব
শুধু মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ মানবিক গুণসম্পন্ন হয় না। জন্মের পরে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। বিদ্যা মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জনে সহায়তা করে। এজন্য মানুষ জীবনের একটি উল্লেখযােগ্য সময় ব্যয় করে বিদ্যার্জন করে। বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্রই সম্মানের পাত্র। সকলেই তাঁকে মান্য করে। তাই বিদ্যা মূল্যবান এতে কোনাে সন্দেহ নেই। কিন্তু চরিত্র তার চেয়েও মূল্যবান। চরিত্র মানুষের সাধনার ফল। সাধনার জন্য প্রয়ােজন তপস্যা; যা মানুষের প্রবৃত্তিকে প্রখর করে, বুদ্ধিকে শানিত করে, আচরণকে মার্জিত করে, হৃদয়কে প্রশস্ত করে, মনকে দৃঢ় করে, শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী করে। চরিত্রই মানুষের মনুষ্যত্বের রক্ষাকবচ। সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিদ্বান হলেও চরিত্রহীন। এসব চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তি দুর্জন ব্যক্তি হিসেবে সমাজে পরিচিতি লাভ করে। সমাজের সকলেই তাকে পরিত্যাগ করে।
কেননা এসব দুর্জন ব্যক্তি স্বীয় স্বার্থোদ্ধারে অপরের মারাত্মক ক্ষতি করতেও দ্বিধাবােধ করে না। বিদ্যাকে তারা মুখােশ হিসেবে ব্যবহার করে। এসব লােকের সাহচর্যে গেলে মঙ্গলের পরিবর্তে অমঙ্গল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তি সাপের মতাে হিংস্র ও বিষাক্ত। প্রবাদ আছে, বিষাক্ত সাপের মাথায় মহামূল্যবান মণি থাকে। বিষাক্ত সাপের মাথার মণি আর চরিত্রহীন ব্যক্তির বিদ্যা প্রায় সমার্থক। মণি লাভের আশায় কেউ বিষাক্ত সাপের সংস্পর্শে যায় না। তার কারণ বিষাক্ত সাপের ধর্ম ছােবল মারা। দুধকলা দিয়ে পুষলেও সুযােগ পেলেই সে ছােবল মারবে। এতে মৃত্যু অবধারিত। চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তি সাপের মতােই বিপজ্জনক। বিদ্যার্জনেরজন্য তার সংস্পর্শে গেলে সুযােগ পেলেই সে ক্ষতি করবে। একথা সবাই জানে যে, বিদ্বান ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের হলে জগতের অশেষ কল্যাণ হয়, আর দুশ্চরিত্রের বিদ্বান ব্যক্তি দ্বারা জগতের অশেষ ক্ষতি হয়। তাই দুর্জন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সঙ্গ কারাে কাম্য নয়।
মন্তব্য
বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন ব্যক্তির সাহচর্য অবশ্যই পরিত্যাজ্য। কেননা, বিদ্বান হলেও চরিত্রহীন হওয়ার কারণে তার সংস্পর্শে গেলে নিজের চরিত্র খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
মূলভাব : বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র সম্মানিত। কিন্তু দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির লােক বিদ্বান হলেও সে সমাজের দুশমন।সকলেই তাকে ঘৃণা করে।
সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যার মতাে মূল্যবান সম্পদ আর নেই। বিদ্বান ব্যক্তিকে সকলেই সম্মান করে। বিদ্বানের সংস্পর্শেএলে জ্ঞানের আলােয় মন আলােকিত হয়; এতে চরিত্র গঠনের সুযােগ ঘটে। বিদ্যার আলােয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতারঅন্ধকার দূর হয়। বিদ্যা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বিদ্বানের ভূমিকায় সমাজ ওদেশ সমৃদ্ধির আলােয় আলােকিত হয়।
বিদ্যার সম্মােহনী শক্তি যেমন ব্যক্তি জীবন থেকে দূর করে সংকীর্ণতা ও কলুষতার অন্ধকার, তেমনি তা সমাজকেও করে প্রগতির আলােয় আলােকিত। কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির হয়,তবে তার অর্জিত বিদ্যার কোনাে মূল্য থাকে না। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ তার দ্বারা উপকৃত হয় না। সকলেই তাকে ঘৃণাকরে। দুর্জন ব্যক্তি সাপের সাথে তুলনীয়। তার অর্জিত বিদ্যার তুলনা করা চলে সাপের মাথার মণির সাথে। মানুষ সাপকে ভয় করে। কাছে গেলেই জীবননাশ সুনিশ্চিত। প্রাণনাশের ভয়ে কেউ সাপের মাথার মূল্যবান মণি আনতে সাহস পায় না।বিদ্বান ব্যক্তি যদি খারাপ প্রকৃতির হয় তবে সেও সাপের মতাে ভয়াবহ। তার কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা থেকে। জীবননাশ তথা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মন্তব্য : সমাজে দুর্জনের স্থান নেই। সে বিদ্বান হলেও সর্বত্র ঘৃণিত ও পরিত্যাজ্য।
Paragraph & Composition/Application/Emali | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক | প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক |
একই ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন
দুজন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য
মূলভাবঃ বিদ্যা এবং চরিত্র এ দুটি মানবজীবনে মূল্যবান সম্পদ। বিদ্বানের সঙ্গ কল্যাণকর কিন্তু বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন এমন ব্যক্তির সঙ্গ কখনাে মঙ্গলজনক নয়, এদের সঙ্গ সর্বদাই পরিত্যাজ্য। এ ধরনের বিদ্বান ব্যক্তিরা তাদের অসৎ চরিত্রের মাধ্যমে সজ্ঞানে দেশ, জাতি ও সমাজের ভয়ানক ক্ষতি করেন।
সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্বান ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বত্রই সম্মানিত। বিদ্বান ব্যক্তির জ্ঞান-আলাের সংস্পর্শে এলে সকলেরই মন আলােকিত হয়। তদুপরি যদি তিনি সৎ চরিত্রবান হন তবে তার চরিত্র মাধুর্য সকলকেই মুগ্ধ করে, তিনি সকলের ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্র হন। আর যদি বিদ্বান ব্যক্তি চরিত্রহীন হন, তখন তিনি অশ্রদ্ধার পাত্র হন। কেউ সহজে তার সঙ্গে মিশতে চায় না, কথাবার্তা এমনকি চলাফেরাও করতে চায় না। সকলেই তার কাছ থেকে দূরে থাকে। কারণ চরিত্রহীন ব্যক্তি তার অসৎ উদ্দেশ্য ও হীনস্বার্থ হাসিলে তৎপর থাকেন। তিনি তখন দুর্জন ব্যক্তির মতাে ভয়ংকর রূপ নেন। যেকোনাে অন্যায় কাজ করতে তিনি দ্বিধা করেন না। এ ধরনের ব্যক্তির সাহচর্য পেলে নিজ চরিত্রও কলুষিত হতে পারে।
তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির সাহচর্য আমাদের কারাে কাম্য নয়। বিষধর সাপের মাথায় মহামূল্যবান মণি থাকে, তাই বলে মণি লাভের নিমিত্তে বিষধর সাপের কাছে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। তেমনি বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন ব্যক্তির সাহচর্যে গিয়ে বিদ্যা লাভ করলে বিপদও হতে পারে । সমাজে ঘৃণিত ও নিন্দনীয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সাধনা করে অর্জন করা বিদ্যাও অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তিকে সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত।
জীবনকে সুন্দর করতে হলে দুর্জনকে পরিহার করতে হবে। দুর্জন ব্যক্তি যতই বিদ্বান হােক না কেন সে সবসময় নিন্দনীয় ও ঘৃণিত। তাকে সবসময় পরিহার করা উচিত।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে? উত্তর-২৩ মার্চ, ১৯৭২,বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়? উত্তর- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২,গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উত্তর-০৪ নভেম্বর,১৯৭২,কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়? উত্তর-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- Degree 3rd Year Exam Marketing 5th paper Suggestion