দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে আত্মকর্মসংস্থানের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিরুপণ, কর্মসংস্থান ধারণা ও আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার সংজ্ঞা, ব্যবসায় উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিন্যাস, বাংলাদেশে আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্ব

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল দাখিল 2022 বিষয়: আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 1928
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে আত্মকর্মসংস্থানের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিরুপণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • কর্মসংস্থান ধারণা ও আত্মকর্মসংস্থান,
  • উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার সংজ্ঞা,
  • ব্যবসায় উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিন্যাস,
  • বাংলাদেশে আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্ব,

নির্দেশনা :  

  • বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও আত্মকর্মসংস্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে,
  • আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব বর্ণনা করতে,
  • আত্মকর্মসংস্থানের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করতে হবে,
  • আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় বর্ণনা করতে হবে,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও আত্মকর্মসংস্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে,

বেকার সমস্যা বেকার ব্যক্তির উপর যেমন অভিশাপস্বরূপ তেমনি কোনো দেশ বা জাতি কিংবা দেশের অর্থনীতির উপরও অভিশাপস্বরূপ। বাংলাদেশের যাবতীয় জটিল সমস্যাবলির মধ্যে বেকার সমস্যা অন্যতম প্রধান সমস্যা। বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে যেখানে শতকরা মাত্র ২৫ জন লোক শিক্ষিত সেখানে যদি অসংখ্য কর্মক্ষম মানুষ কর্মহীন বা বেকার হয়ে পড়ে, তাহলে দেশের সংকট যেকোনো স্তরে গিয়ে পৌঁছায় তা বলাই বাহুল্য।


বেকার : ‘বেকার’ শব্দটি ‘কার’ শব্দের পূর্বে ফরাসি ‘বে’ উপসর্গ যোগে সৃষ্টি। যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কর্মহীন। সাধারণ অর্থে যার কোনো কাজ নেই বা যেকোনো কাজ করে না সে-ই বেকার। সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায়- বেকার হচ্ছে তারা যারা সামাজিক অবস্থায় যথেষ্ট কর্মক্ষম হওয়ার বিপরীতে কাজ পায় না।

অর্থনীতির দৃষ্টিতে- কাজ করার যোগ্যতা বা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কর্মসংস্থান বা কাজের সুযোগ না থাকার নাম বেকারত্ব। আর যে বা যারা কাজের সামর্থ্য ও ইচ্ছা থাকার পরও কাজের সুযোগ পায় না তারাই বেকার। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণভাবে বেকার বলতে আমরা দুই শ্রেণিকে বুঝি।

আত্মকর্মসংস্থান কী?

নিজস্ব পুঁজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।


জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা। বিভিন্ন খুচরা বিক্রয়, রেডিও ও টেলিভিশন মেরামত, হাঁস – মুরগি পালন, মৌমাছি চাষ ইত্যাদি আত্মকর্মসংস্থানের আওতাভুক্ত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব বর্ণনা করতে,

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। তাই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব অনেক। নিন্মে আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব বর্ণনা করা হলঃ

  • সম্পদের সুষ্ঠু ব্যাবহারঃ আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যাবহার করা যায়। যেমনঃ অন্যের অধিনস্ত না হয়ে নিজের খালি জমিতে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
  • বেকারত্ব দূরীকরণঃ দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে আত্মকর্মসংস্থান মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সরকারের পক্ষে বিপুল সংখ্যক বেকার গোষ্ঠীকে চাকুরি দেওয়া সম্ভব না। তাই নিজেই নিজের কর্মসংস্থান দেশের বেকার সমস্যা অনেকাংশে দূর করে।
  • অর্থনৈতিক উন্নয়নঃ আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বিপুলসংখ্যক বেকার জনগােষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হবার পাশাপাশি দেশের জনশক্তির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
  • দারিদ্র্য দূরীকরণঃ আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রতার মধ্যে জীবন-যাপন করে। দারিদ্র্যের কারণে তারা জীবন ধারণের মৌলিক চাহিদাগুলাে পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব ।
  • যুব সমাজের দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণঃ আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বিপথগামী যুব সমাজ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। তারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
  • শহরমুখী জনস্রোত নিয়ন্ত্রণঃ কর্মসংস্থানের সুযােগ না থাকায় গ্রামের লােকজন শহর অভিমুখে যাত্রা করে। শহরেও তাদের কর্মসংস্থানের তেমন সুযােগ নেই । আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ প্রবণতার অবসান ঘটবে।
  • সামাজিক অপরাধ রােধঃ কর্মসংস্থানের সুযােগ না থাকায় বেকার যুব সমাজ অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা তাতে বিঘ্নিত হয় । আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিপথগামী যুব সমাজকে সমাজের উন্নতিতে কাজে লাগানাে সম্ভব হবে।

অতএব, আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যাই শুধু দূর হবে না, এর মাধ্যমে যেমন সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা পাবে তেমনি দেশেরও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • আত্মকর্মসংস্থানের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করতে হবে,

আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র: আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণায় নিজ মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় চালিত যে কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত থেকে যেমন সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করা যায়, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবদান রাখা যায়।

চাহিদা আছে এমন পন্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে বা সেবাদান করে অর্থ উপার্জন করা যায়। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে আমাদের যে সকল সম্পদ রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করে কীভাবে সম্মানজনক জীবিকা উর্পাজন করা যায়। এসব বিষয় বিশ্লেষন করে আমরা আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র-

  • হস্তচালিত তাঁত, 
  • মাদুর বা ম্যাট তৈরি, 
  • মৃৎশিল্প, বাঁশজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরন, 
  • লবণ উৎপাদন, টেইলারিং, 
  • পোশাক প্রস্তুতকরণ,
  •  মাটির বাসন প্রস্তুতকরণ, 
  • মাছ শুকানো, 
  • আলুর চিপস তৈরি, 
  • কলার চিপস তৈরি, মাখন তৈরি
  • গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির খামার, 
  • বেতের সামগ্রী তৈরি, 
  • পাটেঁর শৌখিন দ্রব্য তৈরি, 
  • গেঞ্জি তৈরি, 
  • ঝিনুক দ্রব্য তৈরি, 
  • বেকারি, আটা ময়দা তৈরি, 
  • এমড্রয়ারী, 
  • কাঠের খেলনা তৈরি, 
  • ফটো ফ্রেম তৈরি, 
  • পিঠা তৈরি, 
  • কাঠের ও বাঁশের টুথপিক তৈরি;

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় বর্ণনা করতে হবে,

উদ্যোগ যেকোনো বিষয়ের ব্যাপারে হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ, শ্রম বিনিয়োগ করা হলো ব্যবসায় উদ্যোগ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মনে করো তুমি বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারো। এখন নতুন এক ধরনের বেতের চেয়ার দেখে সেটা বানানোর চেষ্টা করলে। এটা তোমার উদ্যোগ।

এখন তুমি যদি অর্থ সংগ্রহ করে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরি দোকানে স্থাপন করে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করো তখন এটি হবে ব্যবসায় উদ্যোগ। ব্যবসায় উদ্যোগ এর প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন কিন্তু অন্যান্য উদ্যোগের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ। একটি ব্যবসায় স্থাপনার ধারণা চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে ব্যবসায়টি স্থাপন ও সফলভাবে পরিচালনাই ব্যবসায় উদ্যোগ।

বিশদ ভাবে বলতে গেলে, ব্যবসায় উদ্যোগ বলতে বোঝায় লাভবান হওয়ার আশায় লোকসানের সম্ভাবনা জেনেও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য দৃঢ় ভাবে এগিয়ে যাওয়া ও সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা।

ব্যবসায় উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য : যেকোনো উদ্যোগকে ব্যবসায় বলা যায়না তাই কোন উদ্যোগকে ব্যবসায় উদ্যোগ বিবেচিত করার জন্য নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা প্রয়োজন:

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১) উদ্যোক্তার সকল কার্যাবলী ব্যবসায় উদ্যোগ। যার প্রাথমিক লক্ষণ নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনে ব্যবস্থা করতে পারেন।

২) এটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা বা পরিকল্পনা। অর্থাৎ নতুন কিছু সৃষ্টির পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।ব্যবসায় স্থাপন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ডে সফল ভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।

৩) ব্যবসায় উদ্যোগ এক ধরনের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যার কারণে ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করা হয়। ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।

৪) ব্যবসায় উদ্যোগ এর অন্য একটি ফলাফল হল একটি পণ্য বা সেবা।

৫) ব্যবসায় উদ্যোগ এর ফলাফল হল একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর মানে হলো ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোন চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে।

আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা : দরিদ্র পরিবারের সন্তান এসএসসি পাস আজহার আলী ২০০০ সালে জাহাজে কাজ শুরু করেন। ছোট চাকরি খাটুনি অনেক কিন্তু বেতন অনেক কম। সংসার চলছিল না।বাধ্য হয়ে তাকে জাহাজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে গ্রামে ফিরে আসতে হয়।

ঔষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেয়ার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তবে পরিশ্রমি আজহার দমে যাননি। বাড়ির আশেপাশে পতিত জমি নিয়ে কিছু একটা করার কথা ভাবতে থাকেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ শুরু করেন পতিত জমিতে কলা চাষ। সপ্তাহে এখন তার ক্ষেত্রে ৭ মণ করলা ফলে। করলার আয় দিয়ে আজহারের ছয় সদস্যের পরিবারের ভরণ পোষণ করছে স্বাচ্ছন্দে।

আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্ক : আমরা জানি আত্মকর্মসংস্থান হল নিজস্ব পুঁজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা।জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের চারপাশে এমন অনেক আত্মকর্মসংস্থান মূলক কর্মকান্ড দেখা যায়। কলেজ গেটের পাশে যে চানাচুর বা আমড়া বিক্রি করে সেটি ও তাদের আত্মকর্মসংস্থান। এরকম নানাবিধ জীবিকার উপায় আত্মকর্মসংস্থান আয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে হাঁস-মুরগী পালন, নার্সারি, ফুলের চাষ, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরি, টেইলারিং ইত্যাদি আত্মকর্মসংস্থানের আওতাভুক্ত।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে আত্ম-কর্মসংস্থানের সম্পর্ক নিবিড়। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন।তিনি সাধারণত প্রচলিত যে কোন কর্মকে জীবিকার উপায় হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।যার মধ্যে সাধারণত নতুনত্ব বা সৃজনশীলতা থাকে না।

নিজের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও মুনাফা অর্জনে আত্মকর্মসংস্থানের প্রধান উদ্দেশ্য।অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা নিজের কর্মসংস্থান ও আর্থিক স্বচ্ছতার জন্যে কাজ শুরু করলেও তিনি নতুন পণ্য বা সেবা সামগ্রীর উৎপাদন করে ব্যবসায় শুরু করেন, উক্ত পণ্যের বাজার চাহিদা সৃষ্টি করেন, আবার বাজারে প্রচলিত দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবসায় শুরু করলেও অল্পদিনের মধ্যেই তিনি উদ্যম ,সাহস ও সৃজনশীলতার দিয়ে অনেকের মধ্যে সাড়া জাগাতে সক্ষম হন।

উদ্যোক্তার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে তার ব্যবসায় শুরু করেন।

একজন আত্মকর্মসংস্থান কারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তার পরিণত হবেন যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন ,ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না। (an entrepreneur is self employed, but someone who is self employed isn’t necessarily an entrepreneur.)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment