প্রশ্ন সমাধান: নারী শিল্পোদ্যোক্তা কাকে বলে,নারী শিল্পোদ্যোক্তা কে,নারী শিল্পোদ্যোক্তা কারা,নারী শিল্পোদ্যোক্তা বলতে কি বুঝ?,কিভাবে হবেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তা কি
একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যাবসায়ি ।
নারী উদ্যোক্তা কি
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা শব্দটা শুনলেই অনেকে নাক সিটকানো শুরু করেন। কারন আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে নারী উদ্যোক্তা মানে হলো নারীদের নিসিদ্ধ কাজ করা। কারন আমাদের সমাজে নারীদের জন্য বরাদ্ধ কেবল গ্রিহস্থলি কাজ কর্ম। একজন নারী উদ্যোক্তা আর একজন পুরুষ উদ্যোক্তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। একজন নারি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় ।
কিন্তু আমাদের সামজিক এই বাধা কে কাটিয়ে অনেক নারী উদ্যোক্তা আজকাল তাদের কাজ দিয়ে সফলতার অনেক উচ্চ শিখরে পৌঁচে গেছেন। এখন মানুষের মন থেকে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি অবজ্ঞা অনেকটা কেটেছে। মানুষের মনে নারী উদ্যোক্তাগণ এখন জায়গা করে নিয়েছেন। অনেক পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাগণ এগিয়ে যাচ্ছেন তাদের কাজ দিয়ে, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।
নারী উদ্যোক্তা বলতে কি বোঝায়
আসলে আমরা পুরুষ উদ্যোক্তা বলতে জা বুঝি নারী উদ্যোক্তা বলতে তাই বুঝি। একজন নারী উদ্যোক্তা যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । নারী উদ্যোক্তাকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেবার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের দেশে এই শব্দটাকে আলাদা একটা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করি। কারন আমাদের দেশে নারিকে কেবল পুরুষের পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু একজন নারি যে নিজেও একটা উদ্যোগ নিয়ে সফল কিংবা স্বনিরভর হতে পারে সেটা আমরা মনেই করিনা। কারন সেই আদিকাল থেকেই নারিকে আমরা বন্ধি করে রাখতে ভালোবাসি।
নারী উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য
একজন নারী উদ্যোক্তার আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য নেই। একজন পুরুষ উদ্যোক্তা এবং একজন নারী উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য তেমন কোন পার্থক্য নেই। সবাই সমান। আমাদের সমাজে কেবল নারী উদ্যোক্তাকে আলাদা হিসাবে দেখা হয়। নারী উদ্যোক্তা হলো সেই নারী যে নিজেকে সফল কিংবা স্বনির্ভর হতে নিরন্তর কাজ করে যায়। একজন নারী উদ্যোক্তা পুরুষের পাশাপাশী পরিবারে অর্থনৈতিক কাজে ভূমিকা রাখে। দেশের উন্নয়নে কাজ করে ।
১। স্বাধীন ব্যবসাই যার স্বপ্ন
অনেক নারীই আছেন যাদের জন্যে একটি ভালো বেতনের চাকরিই যথেষ্ট। এদের মধ্যে কিছু নারী উদ্যোক্তা আছেন যারা উচ্চাভিলাষী, বেকারত্ব এড়াতে তারা নিজেদের একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পারদর্শী করে তোলেন। এতে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ক্ষতির কিছু নেই, নির্দোষ চাহিদা বলা যায়। কিন্তু একজন নারী উদ্যোক্তা অন্যের কাজ সম্পন্ন করে যতটা না তৃপ্তি লাভ করেন, তার চেয়ে বেশী তৃপ্তি লাভ করেন নিজ কাজের সফলতায়। নতুন কিছু করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য দরকার তীব্র মাত্রার আত্মবিশ্বাস। আপনার জীবনের লক্ষ্য আর ব্যবসার উদ্দেশ্য এক না হয়ে থাকলে এগুলোর একটিকে অপরটির সাথে সম্পৃক্ত করুন। নতুবা, ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলার সমূহ সম্ভাবনা রয়ে যায়।
২। চাহিদা পূরণের সুযোগ সৃষ্টিই যার কাজ
অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তাই ব্যক্তিগত চাহিদার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের ব্যবসার প্রাথমিক ধারনাটি পেয়ে থাকেন। আমরা কোন সমস্যার পড়লে সাধারনত উপেক্ষা করে চলে আসি, তা নিয়ে আর ভাবতে চাই না। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা চান ভবিষ্যতে তার মত এই ঝামেলার মুখোমুখি যেন আর কারো না হতে হয়। তাই তিনি সমাধান খোঁজেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর প্রবর্তিত ব্যতিক্রমধর্মী সমাধান ব্যবস্থা, তাঁর রুটি-রুজির যোগান দিয়ে থাকে।
৩। ঝুঁকিগ্রহণ যার নেশা
একজন জাত নারী উদ্যোক্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা তাকে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা করে রাখে। চাকরিজীবিরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট রাখার প্রচেষ্টা নিয়েই তাদের দিনানিপাত হয়। পক্ষান্তরে একজন নারী উদ্যোক্তা সর্বদাই অবস্থানের পরিবর্তনের পক্ষপাতী, এবং পরিবর্তন প্রায়শঃই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সুযোগ গ্রহণ, অনিশ্চয়তার প্রতি অদ্ভূত টান এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও নিজেকে সামলে রাখার ক্ষমতা একজন উদ্যোক্তাকে অনন্য ও অদ্বিতীয় করে তোলে।
৪। স্বপ্নতাড়িত আবেগ যার কাছে অগ্রাধিকার পায়
একজন নারী উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, সফলতার চেয়ে আবেগের গুরুত্ব বহুলাংশে বেশী। সফলতা সাধারণত ব্যক্তি-বস্তু-স্থানবিশেষে চরকির মত ঘূর্ণায়মান, কিন্তু একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পেছনে আবেগের ভূমিকাই সর্বাধিক। একজন ব্যবস্থাপক হয়তো সাপ্তাহিক বা মাসিক আয়-ব্যয় অথবা লাভ-ক্ষতির সংখ্যার প্রতি বেশী মনোযোগী হয়ে থাকেন, অপরদিকে প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য একজন উদ্যোক্তার কাছে প্রতিটি মুহূর্তই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
৫। অসাধ্য সাধনে যার নেই অনীহা
একজন চাকুরীজীবীর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের ওপর। অপরদিকে একজন নারী উদ্যোক্তা অতীত ও বর্তমানের সকল নথি ব্যবহার করে থাকেন মনমতো ভবিষ্যৎ গড়ার চাবিকাঠি হিসেবে। পূর্বতন সকল স্মারক ও প্রমাণ যদি কোনকিছুকে একদম অসম্ভব বলেও দাবী করতে চায়, একজন উদ্যোক্তা সেগুলোকে বাধা হিসেবে না দেখে অসাধ্য সাধনের কোন না কোন রাস্তা খুঁজে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ধৈর্য্যের অভাব বা সিদ্ধান্তের ঝুঁকি তার কাছে কোন বাধা নয়। কারন যুগান্তকারী পরিবর্তন রাতারাতি ঘটে না, অনেকগুলো ছোট পদক্ষেপ একসময় বড় পরিবর্তনে রূপ নেয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সফল নারী উদ্যোক্তা হতে চাইলে করণীয়
পুরুষদের পাশাপাশি পেশাজীবনে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে নারী। চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসাবেও এগিয়ে এসেছে নারীরা। তবে পুরুষ শাসিত সমাজে তাদের এগিয়ে যেতে চাই বাড়তি কিছু। তবেই মেধা ও যোগ্যতার মিশ্রণ ঘটিয়ে আশাপ্রদ ফল পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা উদ্যোক্তা নারীদের সফলতার জন্য দিয়েছেন কিছু কার্যকর পরামর্শ। এগুলো দেখে নিতে পারেন :
যোগাযোগ কাজে লাগানো : কর্মজীবনে সবারই বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে গড়ে ওঠে নেটওয়ার্ক। এই পরিচিত মহলের সার্বিক সহযোগিতা নিতে হবে। নারীদের এমন অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সংস্পর্শে থাকতে হবে। এরা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা জটিলতা নিরসনে সুপরামর্শ দেবেন। নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানোর লক্ষ্য ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাথায় রাখতে হবে।
ফান্ড প্রস্তুত করা : কর্মক্ষেত্রে নারীরা নানা বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ব্যবসা শুরু এবং তাকে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ বড় একটি বিষয়। একজন পুরুষের বিনিয়োগ পাওয়া বেশ সহজ হয়ে থাকে; কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তা কঠিন। তাই নারীদের বিভিন্ন উপায়ে কিছু ফান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে সঞ্চয়ের প্রয়োগও ঘটতে পারে।
পারদর্শীতা কাজে লাগানো : বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিখ্যাতরা রোল মডেল হয়ে ওঠেন। এ ক্ষেত্রে নারীদের এমন অনুকরণীয় এবং অনুস্মরণীয়দের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে নারীরা যেসব বিষয়ে পারদর্শী এবং আগ্রহী সেসব ক্ষেত্রেই কাজ করা উচিত। পছন্দের কাজে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা অর্জন এবং পরিচিত মহল গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সংসার ও ব্যবসা একসাথে চালাতে হবে : নারী এমনিতেই নানা বাধার মুখে এগিয়ে যান। কাজেই তাদের সব কাজে সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা তেমন নেই। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তারা কীভাবে সন্তান লালন করছেন বা সংসার সামলাচ্ছেন ইত্যাদি বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। এতে নারীরা ব্যাপক চাপের মুখে থাকেন। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনটি। ব্যক্তিগত জীবনের সব সামলে নিয়েও ব্যবসা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে সংসার একটা চলমান প্রক্রিয়া। ব্যবসার স্থানে তা রেখে সব কাজ সঠিকভাবে পালন করা উচিত।
ভয়কে করুন জয় : ব্যর্থতার ভয় সবার মাঝেই কাজ করে। আবার অনেকের মাঝে সফলতার ভয়ও ভর করে। বিশেষ করে নারীরা প্রায়ই চিন্তা করেন, প্রাথমিক কাজে সফল হলে পরের কর্মযজ্ঞ কীভাবে সামলে উঠবেন? এই ভয় থেকে ব্যবসার প্রসারণ ঘটে না। মূলত এই অমূলক ভয়ের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে ভাবতে শিখতে হবে। অন্যরাও যেন আপনাকে একই দৃষ্টিতে দেখেন, তাও নিশ্চিত করতে হবে। একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হওয়ার ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত করুন।
সময়ের সদ্ব্যবহার : নারীদের জন্য সব কাজের জন্য সময় বের করা খুব কঠিন বিষয়। সংসার সামলানো থেকে শুরু করে ব্যবসার এত কাজ কীভাবে সম্ভব? কিন্তু এ বিষয়টি সাধারণ যে, জীবনে অনেক কাজ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করতে হবে। প্রতিদিনের কাজে বাড়তি কিছু যোগ হতেই পারে। আর কাজটি পছন্দের হলে তো কথাই নেই। যদি উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার ব্যবসা ভালো লাগে, তবে এটাও প্রতিদিনের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাজেই তার জন্য কিছু সময় আলাদা করে রাখতেই হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
নারী উদ্যোক্তারা যে 10টি সমস্যার সম্মুখীন হন এবং সমস্যার প্রতিকারের উপায়
উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি দেশের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করেছে। নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে এবং দেশে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সমাজে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে।
নারী উদ্যোক্তাদের প্রদান সমস্যা
পারিবারিক সীমাবদ্ধতা
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাধারণত চিন্তা করেন মহিলারা তাদের পরিবারকে সময় দিবে। ব্যবসা-বাণিজ্য করার বিষয়ে খুব কম পরিবারই নারীদের উৎসাহিত করে থাকেন। যেটা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বপ্রথম পরীক্ষা।
অর্থের অভাব
পরিবারের সদস্যরা নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করেন না। তারা নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা শুরু করা ব্যবসায়িক উদ্যোগে অর্থ বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করেন। ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের প্রকল্প স্থাপনের জন্য মধ্যবিত্ত নারী উদ্যোক্তাদের উপযুক্ত আবেদনকারী হিসাবে বিবেচনা করে না এবং অবিবাহিত মহিলা বা মেয়েদের আর্থিক সহায়তা দিতে দ্বিধা বোধ করে কারণ তারা নিশ্চিত নয় যে কে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কিনা। এই ব্যাপারটি নারী উদ্যোক্তাদের অনেক বড় একটি সীমাবদ্ধতা অনেক সময় নারী উদ্যোক্তারা এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে না উঠতে পেরে তাদের উদ্যোগটি বন্ধ করে দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, কিরণ মজুমদার তার ব্যবসার জন্য তহবিল সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ব্যাঙ্কগুলি তাকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল কারণ সেই সময়ে বায়োটেকনোলজি একটি সম্পূর্ণ নতুন ক্ষেত্র ছিল এবং তিনি একজন মহিলা উদ্যোক্তা ছিলেন, যা একটি বিরল ঘটনা ছিল।
কিরণ মজুমদার হলেন একজন ভারতীয় কোটিপতি উদ্যোক্তা।
শিক্ষার অভাব
নারীরা সাধারণত উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে। নারীদের নতুন পণ্য প্রবর্তনের জন্য প্রযুক্তিগত এবং গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার সুযোগ অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে কম থাকে।
ভূমিকা দ্বন্দ্ব
আমাদের সমাজে সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনের চেয়ে বিবাহ এবং পারিবারিক জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিকূল পরিবেশ
সমাজে পুরুষের আধিপত্য। অনেক ব্যবসায়ী পুরুষ নারী উদ্যোক্তাদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নন। পুরুষরা সাধারণত নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করেন না।
অবিচল প্রকৃতির অভাব
নারীদের সাধারণত অন্যদের প্রতি সহানুভূতি থাকে। তারা খুবই আবেগপ্রবণ। এই প্রকৃতি তাদের ব্যবসায় সহজে প্রতারিত হতে দেয় না।
মানসিক শক্তির অভাব
ব্যবসা ঝুঁকি জড়িত ব্যবসায় লোকসান হলে নারী উদ্যোক্তারা খুব সহজেই বিচলিত হয়ে পড়েন।
তথ্যের অভাব
নারী উদ্যোক্তারা সাধারণত তাদের জন্য উপলব্ধ ভর্তুকি এবং প্রণোদনা সম্পর্কে সচেতন নন। জ্ঞানের অভাব তাদের বিশেষ স্কিমগুলি পেতে বাধা দিতে পারে।
কঠোর প্রতিযোগিতা
নারীরা পুরুষদের থেকে অনেক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়। সীমিত চলাফেরার কারণে তাদের পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতা করা কঠিন।
গতিশীলতা
আমাদের সমাজে সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে এবং এর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো আবার একটি কঠিন কাজ।
সমস্যার প্রতিকারের উপায়
আমাদের সমাজে নারী উদ্যোক্তাকে উন্নীত করার জন্য কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, নিম্নরূপ।
প্রচারমূলক সাহায্য
সরকার এবং এনজিওগুলিকে অবশ্যই আর্থিক এবং অ-আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান করতে হবে।
প্রশিক্ষণ
নারী উদ্যোক্তাদের অবশ্যই ব্যবসা পরিচালনা ও সফলভাবে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যেসব নারীরা এখনো উদ্যোক্তা কাজ নিতে অনিচ্ছুক তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি নির্বাচন
যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি নির্বাচনে নারীদের সহায়তা প্রয়োজন। তাদের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলিতে সহায়তা প্রদান করা আবশ্যক যাতে ব্যবসায়িক ইউনিট সফল হয়।
অর্থ
নারী উদ্যোক্তাদের মুখোমুখি হওয়া অন্যতম প্রধান সমস্যা হল অর্থব্যবস্থা। তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে পরিবার এবং সরকারী সংস্থা উভয়েরই উদার হওয়া উচিত।
বিপণন সহায়তা
সীমিত চলাফেরার কারণে নারীরা তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না। অর্থনৈতিক পরিবেশে তাদের পণ্য সফলভাবে বাজারজাত করতে সহায়তা করার জন্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
পারিবারিক সমর্থন
পরিবারের উচিত নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন করা এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সফলভাবে পরিচালনা করতে উৎসাহিত করা।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization