নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ১০০% কমন তৎসম অর্ধতৎসম তদ্ভব বিদেশী ও দেশি শব্দ এক সাথে, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় বার বার আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তৎসম অর্ধতৎসম তদ্ভব বিদেশী ও দেশি শব্দ, তৎসম অর্ধতৎসম তদ্ভব বিদেশী ও দেশি শব্দ ব্যাংক বিসিএস সরকারি চাকরির জন্য কমন উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ

[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]

★তৎসম শব্দ★
———————————————
“হস্ত” এ যদি থাকে “শক্তি”
“চন্দ্র” “সূর্য” “নক্ষত্র” করবে “ভক্তি”।
“ভবনের” “পত্র” “ধর্ম”,
“লাভ” “ক্ষতি” “মনুষ্য” “পর্বত” এর “কর্ম”।
“সন্ধায়” করো না “ভোজন” “শয়ন” “গমন”।
———————————————
★ অর্ধতৎসম শব্দ ★
———————————————
“গিন্নী” “মাগগী” “জ্যোছনা” “কুৎসিত” “গতর” এ “বোষ্টম” এর বাড়ীতে “নেমন্তন” খেতে যান।
“পুরুত” ও “কেষ্ট” “খিদে” পেয়ে “আদা” খান।
———————————————
★তদ্ভব শব্দ ★
———————————————
“আখি” “আজ” করেছে “কাজ”,
“মৌ” পরেছে “বিয়ে” র “সাজ”।
“বৌমা” এনেছে “মাছ” “ভাত”।
“মাথা” য় “হাত” ”কান” এ “দাত”,
“চাঁদ” ‘সই” করা “তদ্ভব” এর “কাজ”।
———————————————
★ পর্তুগিজ শব্দ ★
———————————————
“পর্তুগাল” এর “পাদ্রী” সাহেব “চাবি” দিয়ে “গীর্জা” খুলল,
তিনি ১ “বালতি” “আটা” “আনারস” “আলপিন” “পেঁপে” “পেঁয়ারা” “পাউরুটি” “আচার” “সাগু” ও “সালসা” “আলমারি” তে রেখে দিলো।
“বিন্তি” “সাবান” ও “তোয়ালে” নিয়ে “কামরা” য় ঢুকলো। সে ঝর্না ছাড়িয়া তার “কামিজ” এর “বোতাম” ও “ফিতা” খুলিতে লাগলো। এমন সময় “আতা” “জানালা” য় “টোকা” মারিল।
“কেরানী” ও “আয়া” “বারান্দা” র। ”কেদারা” য় বসে ফালতু মস্করা করে একটি গান গাইলো:-
স্বামী আর “ইস্তিরি”
“পেরেক” মারে “মিস্ত্রি”।
———————————————
★ তুর্কি শব্দ ★
———————————————
“বিবি” “বেগম” “কোর্মা” খায়,
“বাবা” “বাহাদুর” দেশ চালায়।
“দারোগা” “বাবু” তাকিয়ে দেখে,
“গালিচা” য় “কুলি” র “লাশ”।
“চাকু” হাতে “বাবুর্চি” তাই দেখে হতবাক।
———————————————
★ দেশি শব্দ ★
——————————————-
এক গঞ্জের কুড়ি ডাগড় টোপর মাথায় দিয়ে চোঙ্গা হাতে পেটের জ্বালায় চুলা কুলা ডাব ও ডিংগা নিয়ে টং এর মাচায় উঠল।
*** গঞ্জ , কুড়ি, ডাগড়, টোপর, চোঙ্গা,চুলা, কুলা, ডাব, ডিংগা,টং ,মাচা ইত্যাদি।

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

বুৎপত্তিগতভাবে বা উৎস বিচারে বাংলা ভাষার শব্দকে ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-তৎসম শব্দ, অর্ধ- তৎসম শব্দ, দেশি শব্দ এবং বিদেশি শব্দ।

ক) তৎসম শব্দ:

তৎসম শব্দ বলতে বুঝায় সংস্কৃত শব্দ। সংস্কৃত ভাষা থেকে যেসব শব্দ সোজাসুজি বাংলায় এসেছে ও যাদেও রূপ অরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে তৎসম শব্দ বলে। তৎসম অর্থ তার(তৎ) সমান (সম)। যেমন –অঞ্চল, অলাবু, আঘাত, উত্তর. উদও, কচু, কবি, কুৎসিত, ক্ষুধা, খাদ্য, চন্দ্র, চড়, চন্দন, ছবি, ছেমড়া, জীবন, জল, জ্যোৎস্না, তালা, দান, দধি, ধর্ম, নদী, পত্র, পাত্র, পুত্র, পরাজয়, পাঠক, পঞ্চম, ফল বংশী, বায়, ভাত, ভবন, মাত, মানব, রাত্রি, শ্রাদ্ধ, সন্ধ্যা, সাগর, সুড়ঙ্গ, সূর্য, হংস, হিম, ইত্যাদি।

তৎসম শব্দ চেনার উপায় উদাহরণ

ণ-যুক্ত শব্দ      অগ্রহায়ণ, চরণ, তৃণ, ব্যাকরণ, ইত্যাদি।

ষ-যুক্ত শব্দ      নক্ষত্র, বৈষ্ণব, ভাষা, মুনষ্য, ষÐ ইত্যাদি।

ঋ-যুক্ত শব্দ      ঋষি, কৃষি, গৃহ, গৃহিণী, নৃত্য ইত্যাদি।

সংস্কৃত ভাষার শ্বদ থেকে বিভিন্ন বাংলা শব্দের উৎপত্তি

সংস্কৃত ভাষার শব্দ        পরিবর্তিত বাংলা শব্দ     সংস্কৃত ভাষার শব্দ        পরিবর্তিত বাংলা শব্দ

দধি                        দই                         শাঢী                       শাড়ি

জল্প                       গল্প                       পক্ব                        পাকা

কার্য                        কাজ                       বাটী                        বাড়ি

খ)তদ্ভব শব্দ

যে সব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলায় স্থান কওে নিয়েছে, সে সব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শ্বদ। এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলে। ‘তদ্ভব’ এর অর্থ হলো তা থেকে উৎপন্ন, তার মানে সংস্কৃত। যেমন- আধ, চাঁদ, চামার, তাম, পাখি, পা, পুস্তক, পাতা, বাছা, ভিটা, মা, মাছ, মাথা, সাপ, হাত, হাতি ইত্যাদি।

তৎসম শব্দ থেকে তদ্ভব শব্দের উৎপত্তি

সংস্কৃত  প্রাকৃত  তদ্ভব    সংস্কৃত  প্রাকৃত তদ্ভব

হস্ত      হুথ      হাত     চন্দ্র     চন্দ     চাঁদ

পাদ     পাঅ    পা       মাতা    মাআ    মা

চর্মকার চম্মআর চামার   ঘৃত      ঘিঅ     ঘি

গ) অর্ধ-তৎসম শব্দ

বাংলা ভাষার কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিত পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়, এগুলোকে অর্ধ-তৎসম শব্দ বলে। অর্থাৎ বাংলা । ভাষায় অর্ধ-তৎসম শব্দগুলো এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। যেমন- কেষ্ট, কুচ্ছিত, খিদে, গিন্নি, গেরাম, ছেরাদ্দ, জ্যোৎস্না, তেষ্টা নেমতন্ন, বোষ্টম, মিষ্টি, ষাড়ঁ ইত্যাদি।

ঘ) দেশি শব্দ

বাংলাদেশের আদিম আধিবাসীদের (যেমন-কোল, মুÐা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু  উপাদান বাংলায় রক্ষিত ডয়েছে। এ সব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ অনার্য জাতির ব্যবহৃত শব্দকে দেশি শব্দ বলে। যেমন- আড়, উল্টা, ওত, কুঁড়ি, কুলা, কালো, খড়, খেয়া, খাড়া, খোঁটা, খোপা, খোকা, খিস্তিখেউড়, গঞ্জ, চাঁপা, চিংড়ি, চিড়া, চাংগারী, চোঙ্গা, চাউল/চাল, চুলা, চোখ, ঝিঙা, ঝাড়, ঝোল, টোপর, টং, ডাব, ডাগর, ডিঙ্গি, ঢেঁকি, ঢোড়া, ঢিল, ঢাল, ঢোল, ঢেউ, নারিকেল, নাগর, পাঠা, পেট, বর্গা, বাতাস, বাদুড়, ভিড়, মোটা, মই রুটি, সোয়া ইত্যাদি।

১. ব্যুৎপত্তিগতভাবে(উৎসগত বিচারে) বাংলা ভাষার শব্দকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

ক. চারটি         খ. দুইটি

গ. পাঁচটি         ঘ. তিনটি

উত্তর: গ

২. বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. ৩ ভাগে      খ. ৪ ভাগে

গ. ৫ ভাগে      গ. ৬ ভাগে

উত্তর: গ

৩. বাংলা ভাষার নিচের কোন প্রকার শব্দেন পরিমাণ সর্বাধিক?

ক. তৎসম       খ. অর্ধ-তৎসম

গ. দেশি ঘ        ঘ. বিদেশি

উত্তর: গ

৪. বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভার দেশী শব্দের ব্যবহার শতকরা-

ক. ২%           খ. ৪%

গ. ৬%           ঘ. ৮%

উত্তর: ক

৫. বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভারে বিদেশি শব্দ কতভাগ এসেছে-

ক. ৫%           খ. ৮%

গ. ১২%         ঘ. ১০%

উত্তর: খ

৬. বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি শব্দ এসছে-

ক. আরবি থেকে           খ. হিন্দি থেকে

গ. উর্দু থেকে              ঘ. ফারসি থেকে

উত্তর: ঘ

৭. তৎসম শব্দ বলতে কী বুঝায়?

ক. তদ্ভব                   খ. দ্বিরুক্তি

গ. সংস্কৃত                  ঘ. কৃদন্ত শব্দ

উত্তর:গ

৮. সংস্কৃত ভাষা থেকে যেসব শব্দ সোজাসুজি বাংলায় এসেছে ও যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে কি বলে?

ক. দেশি                   খ. অর্ধ- তৎসম

গ. তৎসম                  ঘ. তদ্ভব

৯. যেসব সংস্কৃত শব্দ কোন পরিবর্তন ছাড়াই বাংলা ভাষায় এসেছে তাদেরকে কী বলে?

ক. তৎসম                 খ. তদ্ভব

গ. মিশ্র                    ঘ. কোনটিই নয়

উত্তর: ক

১০. ‘তৎসম’ শব্দের মানে হলো-

ক. বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় ব্যাবহৃত এজমালি শব্দ

খ. সংস্কৃত ভাষা থেকে বিবর্তিত শব্দ

গ. হিন্দি ও উর্দু ভাষা থেকে আগত শব্দ

ঘ. আরবি-ফারসি ভাষা থেকে আগত শব্দ

উত্তর: ঘ

১১.নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. হারাম                  খ. চন্দ্র

গ. নক্ষত্র                   ঘ. সূর্য

উত্তর: খ, গ, ঘ

১২. নিচের কোন শব্দটি তৎসম শব্দ

ক. হারাম                  খ. গোয়ালা

গ. পেট                    ঘ. ডিঙ্গি

উত্তর: ক

১৩. তৎসম শব্দ কোনটি?

ক. বৈষ্ণব                  খ. নক্ষত্র

গ. চামার                   ঘ. ইমান

উত্তর: ক, খ

১৪. ‘গৃহিণী’ কি জাতীয় শব্দ?

ক. বিদেশী                 খ. সংস্কৃত

গ. আধা সংস্কৃত           ঘ. দেশি

উত্তর: গ

১৫.‘গৃহ শব্দটি কোন শ্রেণিভুক্ত?

ক. তৎসম                 খ. তদ্ভব

গ. দেশি ঘ.                ঘ. বিদেশি

উত্তর: ক

১৬. নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. চাঁদ                    খ. বভন

গ. বালতি                  ঘ. হরতাল

উত্তর: খ

১৭. নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. চাঁদ                    খ. খোক

গ. কাঠ                    ঘ. সন্ধ্যা

উত্তর: ঘ

১৮. ‘সন্ধ্যা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?

ক. সংস্কৃত                 খ. হিন্দি

গ. আরবি                  ঘ. গুজরাটি

উত্তর: ক

১৯. চর্মকার কি ধরনের শব্দ?

ক. বাংলা                  খ. সংস্কৃত

গ. প্রাকৃত                  ঘ. তদ্ভব

উত্তর: ক

২০. কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. চা                      খ. চেয়ার

গ. কান                     ঘ. ধর্ম

উত্তর: ঘ

২১.‘ধর্ম কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?

ক. আরবি                  খ. ফার্সি

গ. উর্দু                     ঘ. সংস্কৃত

ঙ. ফরাসি

উত্তর:ঙ

২২. কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. দধি                          খ. মুড়ি

গ. আম                          ঘ. কলম

উত্তর: ক

২৩. কোনটি তৎসম শব্দ

ক. ঝিঁনুক                        খ. মলিকা

গ. পত্র                           ঘ. চাঁদ

উত্তর: গ

২৪. সংস্কৃত শব্দ কোনটি তা নির্দেশ কর

ক. আম্মা            খ. মা

গ. মাতা                         ঘ. মাত

উত্তর: গ

২৫. কোনটি তৎসম শব্দের উদাহরণ?

ক. মোক্তার                     খ. চাহিদা

গ. ক্ষেত্র                         ঘ. ধু¤্র

উত্তর: ঘ

২৬. তৎসম শব্দ কোনটি?

ক. চন্দ্র                           খ. চন্দর

গ. হাত                           ঘ. আইন

উত্তর: ক

২৭.‘গল্প’ শব্দটি সংস্কৃত কোন শব্দ থেকে এসেছেন?

ক. স্বল্প                         খ. অল্প

গ. কল্প                          ঘ. জল্প

উত্তর: ঘ

২৮.‘পাকা’ শব্দের তৎসম রূপ কোনটি?

ক. পক্ব                          খ. পক্ক

গ. পক্ষ                          ঘ. পক্ষè

উত্তর: ক

২৯.‘কাজ’ শব্দের তৎসম রূপ কোনটি?

ক. ক্রিয়া             খ. কর্জ্জ

গ. কার্য                          ঘ. করণীয়

উত্তর: গ

৩০. ‘চন্দ্র’ কোন শব্দের উদাহরণ?

ক. তৎসম                       খ. তদ্ভব

গ. বিদেশি                      ঘ. দেশি

উত্তর: ক

৩১. কোনটি তৎসম শব্দ?

ক. কলম             খ. ফুল

গ. বাড়ি                          ঘ. চন্দন

উত্তর: ঘ

৩২. ‘চড়’ শব্দটি-

ক. দেশি                         খ. সংস্কৃত

গ. পর্তুগিজ                     ঘ. গুজরাটি

উত্তর: খ

৩৩.‘তালা কোন দেশি শব্দ?

ক. পতুগাল                     খ. জাপান

গ. তিউনিশিয়া                 ঘ. ইতালি

উত্তর:  ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তর সংস্কৃত শব্দ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]

শব্দের সংজ্ঞা : অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে শব্দ বলে।  যেমন – এ , এই , হাত , পা , গরু , হাতী , মানুষ , কলম , বই , বাবা , মা ইত্যাদি  ।

উৎপত্তির বিচারে বাংলা শব্দের শ্রেণিবিন্যাস :

উৎস বা উৎপত্তিগত বিচারে বাংলা শব্দগুলাে পাঁচ ভাগে বিভক্ত ।

যথা:-
ক . তৎসম শব্দ


খ . অর্ধ – তৎসম শব্দ


গ . তদ্ভব শব্দ


ঘ . দেশি শব্দ

ঙ . বিদেশি শব্দ


ক ) তৎসম শব্দ : তৎ অর্থ তার ( সংস্কৃত ) ; সম অর্থ সমান । সুতরাং তসম অর্থ সংস্কৃতের সমান । যেসব সংস্কৃত শব্দ অবিকৃতভাবে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে তাদের তৎসম শব্দ বলে । যেমন— হস্ত , পদ , মস্তক , চক্ষু , লতা , ধর্ম , কর্ম , বর্ম , লাভ , ক্ষতি , গমন , ভােজন , শয়ন , যুক্তি , শক্তি , ভক্তি , সন্ধ্যা , চন্দ্র প্রভৃতি । বাংলা ভাষায় শতকরা প্রায় পঁচিশটি শব্দ তৎসম ।

খ ) অর্ধ – তৎসম শব্দ : যে সব সংস্কৃত শব্দ , লােকমুখে বিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়ে বাংলা ভাষায় ভিন্নরূপ হয়েছে , তাদের অর্ধ – তৎসম শব্দ বলে । যেমন- গৃহিণী < গিন্নী ; গাত্র < গতর ; শ্রাদ্ধ < ছােরাদ্দ ; কৃষ্ণ < কেষ্ট ; সত্য < সত্যি ; মহােত্সব < মােচ্ছব ; নিমন্ত্রণ< নেমন্তন্ন ; পটিক < ফটিক ; পুরােহিত < পুরুত ; বৈষ্ণব < বােষ্টম ; ক্ষুদা < খিদে ; মহার্ঘ < মার্গগ প্রভৃতি

গ ) তদ্ভব শব্দ : তৎ অর্থাৎ তাহা ( সংস্কৃত ) ; ভব অর্থাৎ উৎপন্ন । তদ্ভব । অর্থ সংস্কৃত হতে উৎপন্ন । বহু সংখ্যক সংস্কৃত শব্দ কালক্রমে প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় আসার ফলে বর্ণ – বিন্যাসে , বাহা – আকৃতিতে , উচ্চারণ ও অনেক ক্ষেত্রে অর্থের দিক দিয়ে এমনভাবে পরিবর্তিত হয়েছে যে , এদের আর সংস্কৃত বলে মনে । হয় না । এসব শব্দকে তদ্ভব শব্দ বলে । প্রকৃত বাংলা হাত হত্য চদ ব্রা চাদ পা কাজ । আজ কান । দই পাদ পাত্র । কার্য কাজ অদ্য অজ , কর্ণ কন্ন দহি দধি

ঘ ) দেশি শব্দ : যে সকল শব্দ আর্য ও অনার্য জাতির ভাষা হতে বাংলা ভাষায় এসেছে , এদেরকে দেশি শব্দ বলে । যেমন— কুলা , চোঙ্গা , | টোপর , ডিঙ্গা , টেকি , ঢােল , ডাব , কুড়ি , পেট , খড় , খবর , খুকি , খোসা , ছাই , মই , মেকি , যাঁতা , বাদুড় , বােঝা ইত্যাদি ।

ঙ ) বিদেশি শব্দ : রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক , ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক । কারণে আগত বহু বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান নিয়েছে , এগুলােকে বিদেশি শব্দ বলে । নিচে বাংলা ভাষায় প্রচলিত কতিপয় বিদেশি শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো : কেয়ামত , আদালত , ঈদ , উকিল , কলম , কিতাব , দোয়াত , গায়েব , অরিবি শব্দ : আল্লাহ , ইসলাম , ঈমান , ওযু , কোরবানি , কুরআন , মহকুমা , মুন্সেফ, মােক্তার , দুনিয়া , গােলাম , কবর ইত্যাদি । চশমা , তােশক , দফতর , দরবার , দোকান , দস্তখত , দৌলত , নালিশ , তুর্কি শব্দ : দারােগা, চাকর , তােপ , বাবুর্চি , কোর্মা , বাবা , কাচি , কুলি , খোদা , গুনাহ , দোযখ , পয়গম্বর , ফেরেস্তা , বেহেস্ত , রােযা , ৩ ফারসি শব্দ : বিবি , ইত্যাদি ।

ইংরেজি শব্দ :  কলেজ , ইউনিয়ন , ফুটফল , পেলি , স্কুল , মাস্টার , অফিস | অয়েল , আর্ট , বরাে , টিকিট , পাথলিক , ড্রেন , বাথরুম , মানিব্যাগ , হাসপাতাল , গ্রাস , চেয়ার , কফি , কেরােসিন , পুলিশ ইন্দি চীনা শব্দ । চা , চিনি , লিচু , সিন্দুর ইত্যাদি ।

জাপানি শব্দ: রিক্সা , হারিকিরি সাম্পান , প্যাগােড়া ইত্যাদি ।

পর্তুগীজ শব্দ : আনারস , আলমারি , চাৰি , বালতি , পাউরুটি , গুদাম বাসন , মিস্ত্রি ইত্যাদি ।

বর্মি শব্দ:  আচার , আলপিন , পেঁপে , বােমা , বােতাম , গীর্জা কেরানী , আয়া , বন্দর বর্মি শব্দ ফুঙ্গি , লুঙ্গি ইত্যাদি ।

গুজরাটি শব্দ : হরতাল , খদ্দর , জাষ্ঠী ইত্যাদি । ফারসি শব্দ : রেস্তরা , কুপন , ওলন্দাজ , কার্তুজ , কাফে ইত্যাদি ।

হিন্দি শব্দ: আচ্ছা , কমলা , কুত্তা , খানাপিনা , চানাচুর , জঙ্গল , ঠাণ্ডা পানি , বাচ্চা , সাথী , চেহারা , বুট , ভরসা , সাচ্চা ইত্যাদি ।

রাশিয়ান শব্দ : কলশেভিক , সােভিয়েত ইত্যাদি ।

মহারাষ্ট্রীয় শব্দ : বগী , চৌথ ইত্যাদি ।

মালয়ী শব্দ : সাগু , গুদাম ইত্যাদি ।

ইন্দোনেশিয় শব্দ : বর্তমান , বাতাবি ইত্যাদি ।

মিশ্রশব্দ : কোনাে কোনাে সময় দুটি ভিন্ন ধরনের ভাষার মিলনে বাংলা ভাষায় এক ধরনের নতুন শব্দের সৃষ্টি হয় , এগুলােকে মিশ্র শব্দ বলে । যেমন— রাজা – বাদশ ( বাংলা + ফারসি ) , হাট – বাজার , হেড – মৌলভী ( ইংরেজি ) , হেড পণ্ডিত ( ইংরেজি + সংস্কৃতি ) , ডাক্তারখানা , পকেটমার ইত্যাদি ।

পারিভাষিক শব্দ : বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে । যেমন— অম্লজান ( অক্সিজেন ) , নথি ফাইল ) , প্রশিক্ষণ ( ট্রেনিং ) , ব্যবস্থাপক ( ম্যানেজার ) , বেতার ( রেডিও ইত্যাদি ।

গঠন অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ : 


গঠন অনুসারে বাংলা শব্দ দু’প্রকার ।
যথা :

ক . মৌলিক শব্দ ;


খ , সাধিত শব্দ

১ . মৌলিক শব্দ : যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায় না , তাদেরকে মৌলিক শব্দ বলে । মৌলিক শব্দ প্রত্যয় , বিভক্তি বা উপসর্গযুক্ত থাকে । ব্রণ গােলাপ , হাত , পুষ্প , পরাগ ইত্যাদি ।


২. সাধিত শব্দ : মৌলিক শব্দ বা ধাতুর সাথে প্রত্যয় , উপসর্গযােগে নতুন শব্দ গঠিত হলে বা সমাস নিষ্পন্ন হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি হলে , তাদেরকে বলে সাধিত শব্দ । উদাহরণ – দিন + ইক = দৈনিক , মনু + অ = মানব । প্র + ভাত = প্রভাত , তিন ভুবনের সমাহার = ত্রিভুবন ।

অর্থ অনুসারে শব্দের শ্রেণিবিভাগ :

অর্থের পার্থক্য বিচারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা
১. যৌগিক শব্দ ;
২. রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ ;
৩. যােগরূঢ় শব্দ

১.যৌগিক শব্দ : যে সব শব্দের অর্থ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের অর্থ ১ . অনুযায়ী হয়ে থাকে , সেগুলােকে যৌগিক শব্দ বলে । যেমন- কৃ + তব্য = কর্তব্য ( যা করা উচিত ) বাৰু + আনা = বাবুয়ান = ( বাবুর ভাৰ ) দুহিতা + য = দৌহিত্র ( কন্যার পুত্র )

২. রূঢ়ি শব্দ : যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযােগে গঠিত হয় এবং মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনাে বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে । যেমূল্প– পাঞ্জাবি , প্রবীণ , হস্তী ।

৩ . যােগরূঢ় শব্দ : সমাস নিষ্পন্ন যেসব শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অর্থের অনুগামী না হয়ে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে , তাদেরকে যােগরূঢ় শব্দ নাল । যেমন – পস্কজ- পস্কে জন্মে যা।বিশেষ অর্থে -পদ্ম। রাজপুত- রাজাপুত। বিশেষ অর্থে-  জাতি বিশেষ।

সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

ভাষার সম্মান নির্ভর করে তার প্রকাশক্ষমতার উপরে। যে ভাষা যত বিচিত্র ভাব ও বস্তু এবং যত গভীর অনুভূতি প্রকাশ করতে সক্ষম সে ভাষা তত উন্নত। ভাষার এই প্রকাশক্ষমতার মূল আধার হলো ভাষার শব্দসম্পদ। এটি তিনভাবে সমৃদ্ধ হয় – উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত প্রাচীন শব্দের সাহায্যে, অন্য ভাষা থেকে গৃহীত কৃতঋণ শব্দের সাহায্যে এবং নতুন সৃষ্ট শব্দের সাহায্যে। বাংলা ভাষারও শব্দভাণ্ডার এই তিনটি উপায়ে সমৃদ্ধ হয়েছে।
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসগত বিচারে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি –
১) মৌলিক বা নিজস্ব, ২) আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ, এবং ৩) নবগঠিত শব্দ

১) মৌলিক বা নিজস্ব শব্দ :
যেসব শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা [ বৈদিক ও সংস্কৃত ] থেকে উত্তরাধিকার-সূত্রে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলা হয়।
মৌলিক শব্দগুলিকে চার ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। যথা –
ক) তৎসম শব্দ, খ) অর্ধতৎসম শব্দ গ) তদ্ভব শব্দ ঘ) দেশি শব্দ

তৎসম শব্দ :
যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিতভাবে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে তৎসম শব্দ বলা হয়।
তৎ =সংস্কৃত, সম=সমান অর্থাৎ তৎসম কথাটির অর্থ সংস্কৃতের সমান।
যেমন – জল, বায়ু, কৃষ্ণ, সূর্য, মিত্র, জীবন, মৃত্যু, বৃক্ষ, লতা, নারী, পুরুষ ইত্যাদি।
তৎসম শব্দগুলোকে আবার দুটো ভাগে ভাগ করা যায় – সিদ্ধ তৎসম ও অসিদ্ধ তৎসম।

সিদ্ধ তৎসম:
যেসব শব্দ বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যে-গুলো ব্যাকরণ-সিদ্ধ সেগুলো হলো সিদ্ধ তৎসম।
যেমন – সূর্য, মিত্র, নর, লতা ইত্যাদি।

অসিদ্ধ তৎসম:
যেসব শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় না ও সংস্কৃত ব্যাকরণসিদ্ধ নয় অথচ প্রাচীনকালে মৌখিক সংস্কৃতে প্রচলিত ছিল, সেগুলোকে ডঃ সুকুমার সেন অসিদ্ধ তৎসম শব্দ বলেছেন।
যেমন – কৃষাণ, চাল, ডাল [ বৃক্ষশাখা ] ইত্যাদি।

অর্ধতৎসম শব্দ :
যেসব সংস্কৃত শব্দ বাংলায় এসে বাঙালির উচ্চারণে কিছুটা পরিবর্তন ও বিকৃতি লাভ করেছে, সেগুলোকে অর্ধতৎসম বা ভগ্নতৎসম শব্দ বলা হয়।
যেমন – কৃষ্ণ > কেষ্ট, নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন, ক্ষুধা > খিদে, রাত্রি > রাত্তির ইত্যাদি।

তদ্ভব শব্দ :
যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি বাংলায় আসেনি, মধ্যবর্তী পর্বে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
তৎ = সংস্কৃত, ভব=উৎপন্ন অর্থাৎ তদ্ভব কথাটির অর্থ সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন।
যেমন – সংস্কৃত ইন্দ্রাগার > প্রাকৃত ইন্দাআর > বাংলা ইন্দারা,
সং- কৃষ্ণ > প্রা- কন্হ > বাং- কানু ,কানাই
ধর্ম > ধম্ম > ধাম
মৎস্য > মচ্ছ > মাছ
কার্য > কজ্জ > কাজ
গাত্র > গাঅ > গা
হস্ত > হত্থ > হাত

তদ্ভব শব্দকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায় – নিজস্ব ও কৃতঋণ তদ্ভব।

নিজস্ব তদ্ভব শব্দ :
যেসব তদ্ভব শব্দ যথার্থই বৈদিক বা সংস্কৃতের নিজস্ব শব্দের পরিবর্তনের ফলে এসেছে সেগুলোকে নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
যেমন –
ইন্দ্রাগার > ইন্দাআর > ইন্দারা,
উপাধ্যায় > উবজঝাঅ > ওঝা ইত্যাদি।

কৃতঋণ তদ্ভব :
যেসব শব্দ প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে সেসব শব্দকে কৃতঋণ তদ্ভব বা বিদেশী তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
যেমন – গ্রীক দ্রাখমে > সং দ্রম্য > প্রা দম্ম > বাং দাম।

দেশি শব্দ :
বঙ্গদেশের প্রাচীনতম অধিবাসী কোল, ভিল প্রভৃতি অনার্যজাতির ভাষা থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলোকে দেশি শব্দ বলে।
যেমনঃ
অঢেল, কচি, কলা, কাতলা, কুলো/কুলা, কুকুর, খড়, খেয়া, খোকা, খুকি, খাঁজ, গাদা, ঘাড়, ঘোড়া, চাউল/চাল, চিংড়ি, ছানা, ঝাঁটা, ঝিঙে, ঝড়, ঝাড়, ঝিলিক, ডাক, ডোবা, ডাগর, ডাব, ডিঙি, ঢেঁকি, ঢেউ, ঢিল, ঢোল, তেঁতুল, মুড়ি , থোড়, পাল, পালটা, পাঁঠা, বাদুড়, ভিড়, ফিঙে, দোয়েল, প্রভৃতি ।

২) আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ :
যে সমস্ত শব্দ সংস্কৃতের নিজস্ব উৎস থেকে বা অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি, অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে সেই শব্দগুলোকে আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।
কৃতঋণ শব্দের অর্থ যা ধার নেওয়া হয়েছে।
আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দকে দু ভাগে ভাগ করা হয় – ভারতীয় ও বিদেশী।

ভারতীয় শব্দ :
যেসব শব্দ এদেশেরই অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে সেই শব্দগুলোকে ভারতীয় বা প্রাদেশিক শব্দ বলে ।
যেমনঃ
হিন্দি থেকে – পয়লা, দোসরা, তেসরা, জোয়ার, ঝাণ্ডা, কুয়াশা, গুজব, ফের, থানা, লাগাতার, বাতাবরণ, সেলাম, দোস্ত, ওস্তাদ্ ,মস্তান, ঘেরাও, জাঠা, খানা, কাহিনি প্রভৃতি।

গুজরাতি থেকে- হরতাল, খাদি

পাঞ্জাবি থেকে – চাহিদা, শিখ

বিদেশী :
যেসব শব্দ এদেশের বাইরের কোনো ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে সেগুলোকে বিদেশী শব্দ বলা হয়।
যেমন –
ইংরেজি থেকে – স্কুল, কলেজ, কেয়ার, টেবিল, ফাইল, টিকিট, কোর্ট, লাট, < lord, সিনেমা, থিয়েটার, হোটেল, কমিটি ইত্যাদি।
জার্মান থেকে – জার, নাৎসী ইত্যাদি।

পোর্তুগীজ – আনারস, আলপিন, আলকাতরা, আলমারি, পেয়ারা, পাউরুটি, জানালা, বালতি, বোতাম ইত্যাদি।

স্পেনীয় – কমরেড ,ডেঙ্গু

ইতালীয় – কোম্পানী, গেজেট ইত্যাদি।

ওলন্দাজ – ইসকাবন, হরতন, রুইতন তুরুপ ইত্যাদি।

চিনা – চা, চিনি, লুচি, লিচু।

বর্মী – ঘুগনি, লুঙ্গি, ফুঙ্গি।

ফারসী – সরকার, দরবার, বিমা, আমীর, উজীর, ওমরাহ, বাদশা, খেতাব।

আরবী – আক্কেল, কেতাব, ফসল, মুহুরী, হজম, তামাসা, জিলা।

নবগঠিত শব্দ :
নতুন করে গড়ে-ওঠা শব্দকে নবগঠিত শব্দ বলে।এই শ্রেণির শব্দগুলি নীচে আলোচনা করা হলো-

মিশ্র বা সংকর শব্দ :
একশ্রেণির শব্দের সঙ্গে অন্য শ্রেণির উপসর্গ প্রত্যয় ইত্যাদির যোগে অথবা বিভিন্ন শ্রেণির শব্দের পারস্পরিক সংযোগে যেসব নতুন শব্দ সৃষ্টি হয় তাকে মিশ্র শব্দ বলে।
যেমন –
হেড [ ইং ] + পণ্ডিত [ বাং ] = হেডপণ্ডিত। মাস্টারমশাই, রেলগাড়ি, অফিসপাড়া

ফি [ ফারসী ] + বছর [ বাংলা ]= ফি-বছর।

পুলিশসাহেব(বিদেশি+বিদেশি) ,
হেডমৌলবী , উকিল-ব্যারিস্টার, কোর্টকাছারি,

বাবুগিরি(বিদেশি প্রত্যয় যুক্ত) ,
পণ্ডিতগিরি, বাড়িওয়ালা , ঘুষখোর, চালবাজ, বাজিকর, ডাক্তারখানা

বেআক্কেল(বিদেশি উপসর্গ যুক্ত)
বেকসুর, গরমিল, গরহাজির ইত্যাদি।

অনূদিত শব্দ :
অনুবাদের মাধ্যমে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলিকে অনূদিত শব্দ বলে ।
যেমনঃ
দূরদর্শন (Television ),
শ্বেতপত্র (White paper ),
কালোবাজার (Black market)

খণ্ডিত শব্দ :
কোনো শব্দের বিশেষ অংশ বাদ দিয়ে উচ্চারণ করলেও যদি অর্থের পরিবর্তন না হয় তবে তাকে খণ্ডিত শব্দ বলে।এই প্রক্রিয়াকে ক্লিপিংস বা সংক্ষেপিত পদও বলা হয়।
যেমনঃ
প্লেন <এরোপ্লেন, মাইক < মাইক্রোফোন, ফ্রিজ < রেফ্রিজারেটর। ফোন > টেলিফোন
বাইক > বাইসাইকেল

জোড়কলম শব্দ:(পোর্টম্যানটু)
জোড়কলম শব্দ হচ্ছে একাধিক শব্দের বিভিন্ন রূপমূল জুড়ে তৈরি এক নতুন রূপমূলের শব্দ। যেমন :
ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা
হাঁস+ সজারু = হাঁসজারু
বিরাট +অনুষ্কা = বিরুষ্কা

মুণ্ডমাল শব্দ:
কোনো শব্দগুচ্ছের প্রত্যেক শব্দ থেকে প্রথম ধ্বনিগুলি নিয়ে একটি শব্দ তৈরি হলে, তাকে বলে মুণ্ডমাল শব্দ ( অ্যাক্রোনিম)।

যেমন :- পিপুফিশু (পিঠ পুড়ছে, ফিরে শুই)।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি = নি ব শি স
হেড মাস্টার = এইচ এম
ভেরি ইম্পর্টাণ্ট পার্সন = ভি আই পি
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন = বি বি সি

সমাস শিখতে লাগবে না আর ছ’মাস – এখনই ক্লিক করুন

✍বিভিন্ন ভাষার শব্দ মনে রাখার কৌশল:

১. পোর্তুগিজ শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
গির্জার পাদরি বারান্দার জানালার পাশ দিয়ে পিস্তল নিয়ে গুদামের বড়ো কামরার আলমারির চাবি খুলে বালতি ভর্তি পাউরুটি, আনারস, আতা, আচার, পেয়ারা, কপি, কাবাব এবং কেরাণিকে দিয়ে ইস্পাতের অন্য বাসনে আলকাতরা,আলপিন, ইস্তিরি, ফিতা, বোতাম, পেরেক, বোমা নিয়ে বেরিয়ে এসে সাবান মার্কা তোয়ালে পেতে বসলেন।

ব্যাখ্যা: গির্জা, পাদরি, বারান্দা, জানালা, পিস্তল, গুদাম, কামরা, আলমারি, চাবি, বালতি, পাউরুটি, আনারস, আতা, আচার, পেয়ারা, কপি, কাবাব, কেরানী, ইস্পাত, বাসন, আলকাতরা, আলপিন, ইস্তিরি, ফিতা, বোতাম, পেরেক, বোমা, সাবান, মার্কা এবং তোয়ালে পর্তুগিজ শব্দ।

২.ফারসি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
ফারসি এই শব্দটা এসেছে পার্সি থেকে। পার্সি এসেছে পারস্য থেকে। পারস্য হলো ইরানের আদি নাম। অর্থাৎ ফারসি শব্দগুলো ইরানি শব্দ।

ক) আইন সংক্রান্ত সকল শব্দ আরবি কিন্তু ‘আইন’ শব্দটিই ফারসি শব্দ। যেমনঃ আদালত, এজলাস, হাকিম, মুহুরি, ইশতেহার ইত্যাদি আইন বিষয়ক শব্দ তাই এগুলো আরবি শব্দ। শুধুমাত্র ‘আইন’ নিজেই ফারসি শব্দ।

খ) শব্দের শেষে যদি কর/গর থাকে এবং তা পেশা বোঝায় তাহলে সেই শব্দগুলো ফারসি শব্দ। যেমনঃ কারিগর, জাদুকর, সওদাগর ইত্যাদি।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

গ)ছয়টিপ্রত্যয়(দায়,বাজ,বন্দি,সই,চি,নবীশ) এই শব্দগুলো যদি শব্দের শেষে থাকে তবে সেই শব্দগুলো ফারসি শব্দ। যেমনঃ দুর্নীতিবাজ, ঝাড়ুদার, চৌকিদার, অংশীদার, চাপাবাজ, ধোকাবাজ, রাজবন্দি, গৃহবন্দি, নজরবন্দি, কারাবন্দি, টেকসই, জুতসই, মানানসই, চলনসই, উদিচী, শিক্ষানবিশ ইত্যাদি।

ঘ) চারটি রং ( নীল- তৎসম শব্দ, চকলেট- ম্যাক্সিকাম শব্দ, কালো- দেশি শব্দ, ম্যাজেন্টা- ইতালি শব্দ) বাদে পৃথিবীর সকল রংয়ের শব্দগুলোই ফারসি শব্দ।

৩. ওলন্দাজ শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
ওলন্দাজদের তাস খেলতে টেক্কা তুরুপ হরতন রুইতন ইস্কাপন লাগে।
ব্যাখ্যা: ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, হরতন ও রুইতন।

৪. তুর্কি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
সুলতান দারোগার বাবা আলখেল্লা পরে বেগম রহিমা খাতুন ও চাকরকে সাথে নিয়ে শিকারে গেলেন। তার বন্দুকের গুলিতে চাকুওয়ালা বাবুর্চি এবং কুলির লাশ পড়লে সাজা ভোগ শেষে মুচলেকা দিয়ে জনগনের বারুদ নেভালেন।

ব্যাখ্যা: বাবা, দারোগা, কুলি, লাশ, চাকু, বাবুর্চি , সুলতান, বন্দুক , বারুদ , চাকর, মুচলেকা, খাতুন ,বেগম, আলখেল্লা ইত্যাদি তুর্কি শব্দ।

৫. আরবি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
আদালতে ইসলাম উকিলের ইশারায় ইহুদি আসামী গাফিলতি কবুল করে খাজনার খারাপ দলিলের খবর জবাব দিয়ে জামিন পেল।এদিকে দোয়াত কলমের দৌলতে গরিব শৌখিন নবাব জেলা মহকুমার মসজিদে শরবত আদায়ের হিসাব তালিকা দাখিল করল।

অফিস,আদালত, আমলা, আলাদা, আসবাব, আসর, আসল, আসামি, আস্তাবল, ইমারত, ইশারা, ইসলাম, ইস্তফা, উকিল, উজির , ওকালতি, ওজন, ওরফে,কদম,কদর, কবজা, কলম, কিস্তি, কেচ্ছা, খবর, খাজনা, খারিজ , খালাস, খালি, খাসি খুন, গজল, গরজ, গরমিল, গরিব,গোলাম,ছবি, জবাব, জমা, জরিপ,জলসা, জল্লাদ, তারিখ,তারিফ, জাহাজ, জিনিস, তালিকা, দুনিয়া, দোয়াত

৬.জাপানি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
হাসনাহেনা ক্যারাটে ও জুডো শিখতে রোজ রিকসায় যায়।
ব্যাখ্যা: হাসনাহেনা, ক্যারাটে, জুডো, রিকসা

৭. চীনা শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
চা, চিনি, লিচু ও লুচি চীনাদের প্রিয় খাবার। ব্যাখ্যা: চা, চিনি, লিচু ও লুচি চীনা শব্দ।

৮. বর্মী শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
বর্মীরা লুঙ্গি ও ফুঙ্গি পরে ঘুগনি খায়।
ব্যাখ্যা: লুঙ্গি, ফুঙ্গি, ঘুগনি।

১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক

Professor Primary Assistant Teacher book লিংক

ইংরেজি

ইংরেজি ব্যাকরণ

প্রশ্ন বিগত ৩০ বছরের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
Parts of Speech বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Article বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Appropriate Preposition  বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Preposition বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Right forms of verb বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Voice বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Narration বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Phrase and Idioms বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
prefix and suffix বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Word Meaning বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Synonym-Antonym বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Spelling বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Translation /Vocabulary বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Sentence Correction বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
English literature বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
One word Substitutions বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
প্রায় ৩০০টি প্রশ্ন উত্তরসহবিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

চাকুরি

    Leave a Comment