বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় একুশে একুশের প্রথম গান, প্রথম উপন্যাস, প্রথম কবিতা, প্রথম শহীদ মিনার
- একুশের প্রথম গান- ভুলব না ভুলব না রচয়িতা -গাজীউল হক
- একুশের প্রথম উপন্যাস আরেক ফাল্গুন- জহির রায়হান
- একুশের প্রথম কবিতা কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি রচয়িতা চট্টগ্রামের মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী।কবিতাটি প্রথম আবৃতি করা হয়= লাল দিঘির ময়দানে।
- একুশের প্রথম গল্প একুশের গল্প জহির রায়হান।
- একুশের প্রথম শহীদ মিনার রাজশাহী কলেজ চত্বরে নির্মাণ করা হয় ।
- ঢাকার শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান। বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।
একুশের নিয়ে কবিতা নাটক, উপন্যাস, ও রচনা
একুশের প্রথম নাটক=কবর। কবর নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচনা করেন= ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৩ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়=২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ সালে, কেন্দ্রীয় কারাগারে। মুনীর চৌধুরী কার অনুরোধে নাটকটি লেখেন= রনেশদাস গুপ্তের অনুরোধে। একুশের প্রথম সংকলন ও এর সম্পাদক = একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়), হাসান হাফিজুর রহমান। একুশের প্রথম সংঘঠন ও এর প্রতিষ্ঠাতা =তমুদ্দিন মজলিস(আবুল কাশেম)।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একুশের স্বীকৃতিঃ
- জাতিসংঘ => ২০০৮
- ইউনেস্কো => ১৯৯৯(১৭ নভেম্বর)(৩১ তম সম্মেলনে)
- মোট দেশ => ১৮৮টি দেশ পালন করে।
- প্রথম স্বীকৃতিদান কারি দেশ => কানাডা।
ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য জেলখানায় অনশন করেন=শেখ মুজিবুর রহমান,মহিউদ্দিন আহমেদ
। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে কার নেতৃত্বে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে = *গাজিউল হক*। বাংলা ভাষার পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য কোন পত্রিকাকে নিষিদ্ধ করা হয়= *অবজারভার*। ১৯৫২ সালের আগে ভাষা দিবস পালিত হত= *১১ মার্চ*। পাকিস্তানের একমাত্র বাঙ্গালি রাষ্ট্রপতি = খাজা নাজিমুদ্দিন। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা = ডাঃ সানজিদা খাতুন।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র →দৈনিক সৈনিক। প্রথম শহিদ →রফিক উদ্দিন। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান– ৭ম।
১.ভাষা আন্দোলেনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন– জেলে। ২. সরকারি ভাষা হিসাবে বাংলার ব্যবহার শুরু হয়– ১৯৫৬ সালে। ৩. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের গীতিকার– আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
৪. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের ১ম সুরকার– আব্দুল লতিফ। ৫. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানটির বর্তমান সুরকার– আলতাফ মাহমুদ।
৬. ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ এই গানটির গীতিকার– ফজল এ খোদা। সুরকার ও শিল্পী– আ: জব্বার।
৭. ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ এই গানটির গীতিকার ও সুরকার– আব্দুল লতিফ।
৮. ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস– আরেক ফাল্গুন। লেখক> জহির রায়হান।
৯. ভাষা আন্দোলন বিষয়ক নাটক– কবর। লেখক> মুনীর চৌধুরী। ১০. ‘কবর’ নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় কবে— ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (কারাগারে)। ১১. স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেটে কিসের ছবি ছিল– শহীদ মিনার।
১২. দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়– জাপানে। ১৩. পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ছিলেন– ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৪. ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র কোন পত্রিকা– সাপ্তাহিক সৈনিক।
১৫. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন– নুরুল আমিন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন– খাজা নাজিম উদ্দিন। ১৬. ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ কে বলেছেন–মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
১৭. ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হত– ১১ মার্চ। ১৮. বাংলা ভাষা তৎকালীন পাকিস্তান
সংবিধানে গৃহীত হয়– ১৯৫৬ সালে। ১৯. ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়– ১৯৪৮ সালে।
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি আসা প্রশ্ন
২০. ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছিল– বাংলা একাডেমী (১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর)।
২১. বাংলা একাডেমির চত্ত্বরের মুরাল হল– মোদের গরব। ২২. ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ প্রবর্তন
করা হয়– ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে। ২৩. কোন দেশের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা– সিয়েরা লিওন।
২৪. ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে দেশের বাইরে বিশ্বের প্রথম স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়– অস্ট্রেলিয়া, সিডনি। ২৫. বাংলাদেশের বাইরে প্রথম কোথায় বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়– কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে। ২৬. ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়– ১৯৭৭ সালে।
২৭. কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘একুশে পদক’ লাভ করে– ইউনেস্কো (২০০৩ সালে)। ২৮. ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়– ১৯৪৮ সালে। ২৯. ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়– ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে। ৩০. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা সনের কত তারিখ ও কি বার ছিল– ৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ সন, বৃহস্পতিবার।
৩১. জাতীয় শহীদ মিনারের প্রতীকটি কি প্রকাশ করে– মা তার সন্তানদের মাতৃভাষার গল্প শুনাচ্ছে। ৩২. জাতীয়/কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের আয়তন– ১৫০০ বর্গ ফিট বা ১৪০ বর্গ মিটার, উচ্চতা– ৪৬ফিট বা ১৪ মিটার। স্থপতি– হামিদুর রহমান (সহকারী ছিলেন– নভেরা আহমেদ)।
৩৩. জাতীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন– বরকতের মা হাসিনা বেগম, ১৯৬৩ সালের ২১ফেব্রুয়ারি (প্রথম শহীদ মিনার উদ্ধোধন করেন– শহীদ শফিউরের বাবা)। ৩৪. ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়– ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালের ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে।
৩৫. ২১শে ফেব্রুয়ারীকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে প্রথম পালন করে– ১৮৮টি দেশ (২০০০সালে)।
৩৬. ২১শের প্রথম সংকলন ‘কাঁদতে আসি নি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ এ কবিতাটি লিখেছেন– মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
৩৭. ‘মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা’ এ কবিতাটির লেখক– অতুল প্রসাদ সেন। ৩৮. ‘কুমড়ো ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা’ এ কবিতাটির লেখক– আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ। ৩৯. ‘ফেব্রুয়ারী একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় বরকতেরই রক্ত’ এ কবিতাটির লেখক– আল মাহমুদ।
৪০. একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হয়েছিলেন– ৮ জন (রফিক, বরকত, সালাম, শফিউর, জব্বার, আওয়াল, অলিউল্লাহ ও একজন অজ্ঞাতনামা বালক। ১ম শহীদ হন রফিক।
চাকরির পরীক্ষায় আসা ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন
১. প্রশ্ন : পাকিস্তান গণ পরিষদে কে বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আনেন?উত্তর : গণ পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ২. প্রশ্ন : উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কবে করা হয়? উত্তর : ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে।
৩. উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কোথায় গৃহীত হয়?উত্তর : করাচির শিক্ষা সম্মেলনে। ৪. প্রশ্ন : তমুদ্দিন মজলিস কী? উত্তর : একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।
৫. প্রশ্ন : তমুদ্দিন মজলিস কবে গঠিত হয়?উত্তর : ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭। ৬. প্রশ্ন : উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে কবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়?উত্তর : ২ মার্চ ১৯৪৮। ৭. প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?উত্তর : নুরুল আমিন।
৮. প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?উত্তর : খাজা নাজিমউদ্দিন। ৯. প্রশ্ন : প্রথম তৈরি শহীদ মিনার কে উন্মোচন করেন?উত্তর : শহীদ শফিউরের পিতা। ১০. প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে কবে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়?উত্তর : ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
১১. প্রশ্ন : ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- কথাটি কে বলেছিলেন?উত্তর : মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ১২. প্রশ্ন : কত সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়?উত্তর : ১৯৫৬ সালে। ১৩. প্রশ্ন : কত তারিখে শহীদ দিবস পালিত হয়?উত্তর : ২১ ফেব্রুয়ারি।
১৪. প্রশ্ন : শহীদ দিবসের আরেকটি নাম কি?উত্তর : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৫. প্রশ্ন : কবে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়?উত্তর : ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর।
১৬. প্রশ্ন : কোথায় বসে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়? – ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে।
১৭. প্রশ্ন : কবে থেকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হচ্ছে?উত্তর : ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ১৮. প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলন স্মরণে কী পদক প্রবর্তন করা হয়?উত্তর : একুশে পদক। ১৯. প্রশ্ন : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কারা শহীদ হন?উত্তর : সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার ও তাজুলসহ অনেকে। ২০. প্রশ্ন : মাতৃভাষার জন্য কারা সংগ্রাম করেছে?উত্তর : বাংলাদেশ।
সংগৃহিত।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগীতা এবং সাধারণ জ্ঞানের কুইজ প্রতিযোগীতা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে প্রশ্ন আসে। তাই আজ লিখবো ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর-
১. পূর্ব বাংলায় কিসের ভিত্তিতে ভাষা আন্দোলন হয়েছে?
উত্তরঃ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ।
২. সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে?
উত্তরঃ ৩০ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে।
৩. বাংলাভাষাকে পাকিস্তান গণপরিষদ অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় কখন?
উত্তরঃ ৭ মে ১৯৫৪ সালে ( ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের ২১৪(১) নং অনুচ্ছেদে বলা হয় ”The state language of Pakistan shall be Urdu and Bengali.”)
৪. ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি কে উত্থাপন করেন?
বা, পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক পরিষদের ধারা বিবরণীতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের প্রথম দাবি করেছিলেন কে?
বা, ভাষা আন্দোলনের পথ প্রদর্শক খ্যাত ছিলেন কে?
উত্তরঃ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
৫. ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয় কবে?
উত্তরঃ ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে।
৬.’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি’- গানের রচয়িতা/গীতিকার কে?
উত্তরঃ আবদুল গাফফার চৌধুরী।[ গানটির সুরকার আলতাফ মাহমুদ। তবে গানটিতে প্রথম সুর দেন আব্দুল লতিফ]
৭. ‘এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে রমনার উর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি’ – এর রচয়িতা কে?
উত্তরঃ মাহবুব আলম চৌধুরী।
৮. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে?
উত্তরঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
৯. বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে প্রথম ধর্মঘট কবে হয়?
উত্তরঃ ১১ মার্চ ১৯৪৮ ।
১০. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থাপতি কে?
উত্তরঃ হামিদুর রহমান।
১১. কোন সংস্থা একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করে?
উত্তরঃ ইউনেস্কো (UNESCO)।
১২. ভারতের কোন রাজ্যে বাংলাভাষাকে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ঝাড়খণ্ড।
১৩. ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা কত সাল ছিল?
উত্তরঃ ১৩৫৮ (বৃহস্পতিবার, ৮ ফাল্গুন)।
১৪. ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ হাসান হাফিজুর রহমান।
১৫. বাংলাকে কোন দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সিয়েরা লিওন।
১৬. কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে?
উত্তরঃ ২০০০ সাল থেকে।
১৭.’কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা
খোকা তুই কবে আসবি’ – পঙক্তিটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
১৮. ১৯৪৮-৫২ -এর ভাষা আন্দোলনের সময়কালে প্রতি বছর ‘ভাষা দিবস’ হিসাবে কোন দিনটি পালন করা হত?
উত্তরঃ ১১ মার্চ।
১৯. কোনটি ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র ছিল?
উত্তরঃ সাপ্তাহিক সৈনিক।
২০. ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ -এই পুস্তিকার লেখক কয়জন?
উত্তরঃ ৩ জন ( অধ্যাপক আবুল কাসেম, অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন ও আবুল মনসুর আহমদ )।
২১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তরঃ নুরুল আমিন।
২২. “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোনো ভাষা নয়” – এটি কার উক্তি?
উত্তরঃ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ( ২১ শে মার্চ ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে এক ভাষণে পাকিস্তানের স্থপতি ও গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ এই কথা বলেছেন।এছাড়াও ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন একই কথা বলেন ) ।
২৩. বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বের ( ১৯৬০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রবতির্ত হয় ) ।
২৪. তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর।
২৫. সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে?
উত্তরঃ ৩১ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে।
২৬. একুশের প্রথম গান ‘ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ – এর রচয়িতা কে?
উত্তরঃ ভাষাসৈনিক আ ন ম গাজীউল হক।
২৭. ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হন কে?
উত্তরঃ রফিকউদ্দিন আহমদ
২৮. ভাষা শহীদ আবুল বরকত কে কবে একুশে পদক (মরণোত্তর) দেয়া হয়?<br />
উত্তরঃ ২০০০ সালে
২৯. শহীদ আবদুস সালাম পেশায় কি ছিলেন?
উত্তরঃ সরকারের ডিরেক্টর অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের পিয়ন
৩০. ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় শহীদ কে?
উত্তরঃ আবদুল জব্বার
৩১. ভাষা শহীদ শফিউর রহমান পেশায় কি ছিলেন?
উত্তরঃ ঢাকা হাইকোর্টের হিসাবরক্ষণ শাখার কেরানি
৩২. ভাষা শহীদ আবদুল আউয়াল কিভাবে শহীদ হন?
উত্তরঃ ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল হাইকোর্টের সামনে পৌছলে পুলিশ বাহিনীর ট্রাকের চাপায় তাঁর মৃত্যু হয়
৩৩. বালক অহিউল্লাহ কত বছর বয়সে রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য শহীদ হন?
উত্তরঃ মাত্র ৮ বছর বয়সে
৩৪. ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ বাংলা একাডেমি
৩৫. দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় কোথায়?
উত্তরঃ টোকিও, জাপান।
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
১৯৩৮: মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি বেগম ফজিলাতুননেসার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৪২: অসুস্থতার কারণে একটু বেশীবছর বয়সে বঙ্গবন্ধু এন্ট্রাস (প্রবেশিকা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই বছরেই কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজের বেকার হোষ্টেলের ২৪নম্বর কক্ষে তিনি থাকতে শুরু করেন।
১৯৪৪: কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন। এই বছরই ফরিদপুর ডিষ্টিক্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক নিযুক্ত হন।
১৯৪৬: বঙ্গবন্ধু বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় কলকাতা ইসলামি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হন। এই বছরই প্রদেশিক নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৪৭ : বঙ্গবন্ধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন।
১৯৪৭ : ৬ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় গণতান্ত্রিক যুব কর্মীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৪৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।
১৯৪৮ : ২৩ ফেব্রুয়ারী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দুকে পাকিস্থানের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার তৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন।
১৯৪৮ : ২ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
১৯৪৮ : ১১ মার্চ, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট আহবানকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।
১৯৪৮ : ১৫ মার্চ, বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান।
১৯৪৮: ১১ সেপ্টেম্বর: ফরিদপুরের কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বঙ্গবন্ধু আবার গ্রেফতার হন।
১৯৪৯ : ২১ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তিপান।
১৯৪৯ : ৩ মার্চ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে ধর্মঘট ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান।
১৯৪৯ : ২৯ মার্চ: আন্দোলনে যোগদেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে অযৌক্তিক ভাবে জরিমানা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার প্রতি সমর্থন জানান।
১৯৪৮ : ২০ এপ্রিল: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সৃষ্ট আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৪৯ : ২৩ জুন: পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৯ : ২৭ জুলাই: বঙ্গবন্ধু জেল থেকে মুক্তিপান। মুক্তি পেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।
১৯৪৯ : পূর্ব বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হলে খাদ্যের দাবীতে তিনি আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৫০ : ১ জানুয়ারী: এই আন্দোলনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৫২ : ১৪ ফেব্রুয়ারী: বাংলা রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন।
১৯৫২ : ২১ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চলে। শহীদ হন সালাম, রফিক, বরক সহ অনেকে। জেল থেকে বঙ্গবন্ধু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন এবং একটানা ৩ দিন অব্যাহত রাখেন।
১৯৫২ : ২৭ ফেব্রুয়ারী: টানা অনশনে অসুস্থ বঙ্গবন্ধুকে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তিদেয়া হয়।
১৯৫৩ : ১৬ নভেম্বর: প্রাদেশিক আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৩ : ৪ ডিসেম্বর: প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সব বিরোধী দল মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।
১৯৫৪ : ১০ মার্চ: সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে বিজয়ী হন।
১৯৫৪ : ২ এপ্রিল: যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা গঠিত হয়।
১৯৫৪ : ১৪ মে: বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় বয়:কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৫৪ : ৩০ মে: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধু এ দিনই করাচী থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং গ্রেফতার হন।
১৯৫৪ : ২৩ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধু জামিনে মুক্তি পেলে জেল গেটেই তাকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৫৪ : বঙ্গবন্ধু কারাগার থেমে মুক্তিপান।
১৯৫৫ : ৫ জুন: বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৫৫ : ১৭ জুন: ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবী করেন।
১৯৫৫ : ২১ অক্টোবর: আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন ধর্ম নিরপেক্ষতা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দ প্রত্যাহার করে নতুন নামকরণ করা হয় আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পুনরায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৮ : ৭ অক্টোবর: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলীর উপর আক্রমন এবং তার মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী করেন।
১৯৫৮ : ১২ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
১৯৫৯ : ৫ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান কিন্তু তার গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এ সময় তিনি বার বার গ্রেফতার হন এবং ছাড়া পান।
১৯৬২ : ২ জুন: চার বছরের সামরিক শাসনের অবসান ঘটলে ১৮ জুন শেখ মুজিব মুক্তি লাভ করেন।
১৯৬৪ : ২৫ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবত করা হয়।
১৯৬৪ : ৫, ১১ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিরোধি দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়।
১৯৬৪ : ২৬ জুলাই: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধি দল কঅপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি গঠিত হয়।)
১৯৬৫ : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কঅপ এর পক্ষ থেকে মিস ফাতিমা জিন্নাহকে প্রার্থী দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ফাতিমা জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪দিন আগে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৬৬ : ১৮ মার্চ: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গৃহীত হয়। এরপর তিনি ৬ দফার পক্ষে দেশ ব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন এ সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বার বার গ্রেফতার করা হয়। ৩ মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন। শেষ বার তাকে গ্রেফতার করে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়।
১৯৬৮ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে মোট ৩৫জন বাঙ্গালী সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিছিন্ন করার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।
১৯৬৮ : ২৮ জানুয়ারী: নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আদালতে লিখিত বিবৃতি দেন। এই বিবৃতি পড়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দালন গন অভুঙ্খানে রূপ নেয়। ছাত্র সমাজ ছয় দফার সমর্থনে ১১ দফা দাবী উপস্থাপন করে।
১৯৬৯ : ৩০ জানুয়ারী: উদ্ভুত পরিস্থিতি ঠেকাতে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তানী জান্তা সরকার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন।
১৯৬৯ : ১৫ ফেব্রুয়ারী: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে মামলার অন্যতম আসামী সাজেন্ট জহুরুল হককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধ ভাঙ্গা বন্যার মতো রাস্তায় নেমে আসে।
১৯৬৯ : ২২ ফেব্রুয়ারী: তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শিরোনামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।
১৯৬৯ : ২৩ ফেব্রুয়ারী: ডাকসু এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে এক বিশাল সম্বর্ধনা দেয়ার আয়োজন করে। ঐ সভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৬৯ : ১০ মার্চ: রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। গোল টেবিলে ৬ দফার পক্ষে বঙ্গবন্ধু দৃঢ় অবস্থান নেন। তবে ঐ বৈঠক ব্যর্থ হয়।
১৯৬৯ : ২৫ মার্চ: রাওয়াল পিন্ডি গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থ হবার প্রেক্ষিতে আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারী করেন।
১৯৬৯ : ২৮ নভেম্বর: জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ এর ১ জানুয়ারী থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। ঐ বছরের শেষ ভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও ঘোষণা করেন।
১৯৭০ : ১ জানুয়ারী: ১৯৫৮ সালের পর প্রথম রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। বঙ্গবন্ধু প্রথম দিন থেকেই ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন।
১৯৭০ : ৪ জুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে মতিঝিল ইডেন হোটেল প্রাঙ্গনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ একক ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১৯৭০ : ৫ জুন: পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনী এলাকা বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে ৩১০টি আসন আর জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসন নিদির্ষ্ট করা হয়।
১৯৭০ : ১৫ আগষ্ট: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন যথাক্রমে ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর।
১৯৭০ : ৮ অক্টোবর: ইসলামাবাদ থেকে ১৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতীক ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। স্মরনীয় যে, ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিলো নৌকা।
১৯৭০ : ২৮ অক্টোবর: বঙ্গবন্ধু বেতার ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাষণ দেন। তিনি বলে, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম। তার সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগের বিকাশ । তিনি দেশবাসীর কাছে ছয় দফার পক্ষে ম্যান্ডেট চান।
১৯৭০ : ১২ নভেম্বর: পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ ঝড় এবং জলোচ্ছাসে ১০/১২ লাখ মানুষ মারা যান। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এই অঞ্চলের জনগনের প্রতি চরম উদাসীনতা তুলে ধরেন। এই সময় সোনার বাংলা শ্মশান কেনো শিরোনামে তথ্য সম্বলিত একটি পোষ্টার জাতিকে নাড়া দেয়।
১৯৭০ : ৭ ডিসেম্বর: বন্যা-দুর্গত এলাকা বাদে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় ৮৮টি আসন।
১৯৭০ : ১৭ ডিসেম্বর: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তান ২৯৮টি আসন লাভ করে।
১৯৭১: ৩ জানুয়ারী: আওয়ামী লীগের সকল নির্বাচিত সদস্য ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রনয়ন তথা ৬ দফা বাস্তবায়নের শপথ গ্রহণ করেন। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি এই রবীন্দ্র সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বাঙালী জাতির মুক্তির সংকল্প ব্যক্ত করেন। শপথ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সংগীতের পর জয় বাংলা বাংলার জয়। গানটি পরিবেশিত হয়।
১৯৭১ : ১০ জানুয়ারী: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সংগে তিন দফা বৈঠক করেন। ৪দিন পর ফিরে আসার সময় তিনি বলেন শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
১৯৭১ : ২৭ জানুয়ারী: জুলফিকার আলী ভূট্টো ঢাকা এসে বঙ্গবন্ধুর সংগে কয়েকদফা আলোচনা করেন। কিন্তু ভূট্টোর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়।
১৯৭১ : ১৩ ফেব্রুয়ারী: এক সরকারী ঘোষণায় বলা হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ৩ মার্চ ১৯৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
১৯৭১ : ১ মার্চ: জাতীয় পরিষদ অধিবেশনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হয় হোটেল পূর্বানীতে। ঐ দিনই আকস্মিক ভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন। সারা বাংলা ক্ষোভে ফেটে পরে। বিক্ষুদ্ধ জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজপথ। বঙ্গবন্ধু এটাকে শাসকদের আরেকটি চক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন। তিনি ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহবান করেন।
১৯৭১ : ২ মার্চ: ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বত:স্ফুর্ত হরতাল পালিত হয়। উত্তাল জনস্রোতে ঢাকা পরিণত হয় এক বিক্ষোভের শহরে। জান্তা সরকার ঢাকা শহরের পৌর এলাকায় সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ জারী করেন।
১৯৭১ : ৩ মার্চ: বিক্ষুদ্ধ জনতা কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। সামরিক জান্তার গুলিতে মারা যান ৩জন আহত হন কমপক্ষে ৬০জন। এই সময় পুরো দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে।
১৯৭১ : ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক যুগান্তকারী ভাষনে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত। সারাদেশে শুরু হয় এক অভূতপূর্ব অসযোগ আন্দোলন।
১৯৭১ : ১৬ মার্চ: বিস্ফোরণমুখ বাংলাদেশে আসেন ইয়াহিয়া খান। বঙ্গবন্ধুর সংগে তার দীর্ঘ আলোচনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু তার গাড়ীতে কালো পতাকা উড়িয়ে হেয়ার রোডে প্রেসিডেন্ট ভবনে আলোচনার জন্য যান।
১৯৭১ : ১৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম জন্মদিন। এই দিন ইয়াহিয়া খানের সংগে দ্বিতীয় দফা আলোচনা থেকে ফিরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলে এদেশে জন্ম দিনই বা কি আর মৃত্যু দিনই বা কি আমার জনগনই আমার জীবন।
১৯৭১ : ২৩ মার্চ: কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষনা দেন। সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারী ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু এদিন সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন।
১৯৭১ : ২৫ মার্চ: পৃথিবীর ইতিহাসে এক নৃশংসতম কালো রাত্রি ২৫ মার্চ। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে মানুষের ঢল নামে। সন্ধ্যায় খবর পাওয়া যায় ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। তার সাড়ে এগারটায় শুরু হয় অপারেশন সার্চ লাইট। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা।
১৯৭১ : ২৬ মার্চ: ১২-৩০ মিনিট ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হবার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামের জহুরুল আহমেদ চৌধুরীকে প্রেরণ করেন। চট্টগ্রাম বেতার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বানী স্বকন্ঠে প্রচার করেন। পরে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে অবস্থিত অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান ঐ ঘোষণা পূণ:পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে করাচীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৭১ : ২৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন এবং স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে বীর বাঙালী গড়ে তোলে স্বত:স্ফুর্ত প্রতিরোধ। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের এক গৌরবজ্জল অধ্যায়।
১৯৭১ : ১৭ এপ্রিল: তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার ভবের পাড়ার (বৈদ্যনাথ তলা) আমবাগানে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মদ ঘোষণা করেন আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর এবং অস্থায়ী রাজধানী মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ : ২৫ মে: ক্রমেই মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হতে শুরু করে। সংগঠিত হয় প্রবাসী সরকার। ২৫ মে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু হয়। এই কেন্দ্রের সিগনেচার টিউন ছিলো জয় বাংলা বাংলার জয়। কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারিত হতে থাকে। এই কেন্দ্র থেকে প্রচারিত শোন একটি মুজিবরের কন্ঠে…… গানটি বাঙালীর উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়।
১৯৭১ : ৩ আগষ্ট: পাকিস্তান টেলিভিশন থেকে বলা হয় ১১ আগষ্ট থেকে সামরিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর বিচার শুরু হবে। এই ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ এবং উদ্বেগের ঝড় বয়ে যায়। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসী বাঙালীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী সন ম্যাকব্রাইডকে ইসলামাবাদে পাঠান। কিন্তু পাকিস্তানী জান্তা সরকার বিদেশী আইনজীবী নিয়োগে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে।
১৯৭১ : ১০ আগষ্ট: পাকিস্তানী জান্তা সরকার বঙ্গবন্ধুর পক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবী একে ব্রোহীকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যখন ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খানের ভাষনের টেপ শোনানো হয় তখন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে অস্বীকার করেন এবং ব্রোহীকে অব্যহতি দেন। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরী হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপ্ন বস্তবতা স্পর্শ করতে থাকে।
১৯৭১ : ১১ নভেম্বর: বঙ্গবন্ধুকে ইয়াহিয়া খানের সামনে হাজির করা হয়। ইয়াহিয়ার সংগে ছিলেন ভূট্টো এবং জেনারেল আকবর। ইয়াহিয়া করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালে বঙ্গবন্ধু বলে দুঃখিত ও হাতে বাঙালীর রক্ত লেগে আছে ও হাত আমি স্পর্শ করবো না। এ সময় অনিবার্য বিজয়ের দিকে এগুতে থাকে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
১৯৭১ : ২ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন লায়ালাপুর কারাগারে ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর সংগে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ঐ সমঝোতা প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন।
১৯৭১ : ১৬ ডিসেম্বর: ত্রিশ লাখ শহীদ এবং তিন লাখ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আসে আমাদের বিজয়। বাঙালী জাতি মুক্ত হয় পরাধীনতার শৃংখল থেকে। কিন্তু মুক্তির অপূর্ণতা রয়ে যায় স্বাধীনতার স্থাপতি তখন নির্জন কারাগারে।
১৯৭২ : ৩ জানুয়ারী: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জুলফিকার আলী ভূট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন শেখ মুজিবকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া হবে।
১৯৭২ : ৮ জানুয়ারী: বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পান। পিআইয়ের একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনে পাঠানো হয়। ৮ জানুয়ারী ভোরে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে পৌছেন। তার হোটেলের সামনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যেতে চাই।
১৯৭২ : ১০ জানুয়ারী: সকালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথের আগ্রহে ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর এক বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু নয়া দিল্লী পৌছালে রাষ্ট্রপতি ভি.ভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধু বলেন অশুভের বিরুদ্ধে শুভের বিজয় হয়েছে। ঐ দিন বিকেলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। লাখো মানুষের জনস্রোত, বাঁধভাঙ্গা আবেগে অশ্রসিক্ত জাতিরপিতা বলেন আজ আমার জীবনের স্বাদপূর্ণ হয়েছে ।ঐ দিন জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু হৃদয়কাড়া এক ভাষণ দেন। ঐ রাতেই তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭২ : ১২ জানুয়ারী: দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
১৯৭২ : ১২ মার্চ: স্বাধীনতার মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়।
১৯৭২ : ২৬ মার্চ: শোষনহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়।
১৯৭২ :২০ এপ্রিল: শুরু হয় গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।
১৯৭২ : ৪ নভেম্বর: গণপরিষদে বাংলাদেশের খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়। এ উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেন বিজয়ের ৯ মাসের মধ্যে শাসনতন্ত্র দেয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার দেয়ার অর্থ হলো জনগনের উপর বিশ্বাস করি।
১৯৭২ : ১৬ ডিসেম্বর: নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। বাতিল করা হয় গণপরিষদ।
১৯৭২ : ৭ মার্চ: নতুন সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতির জনকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩০০টির মদ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয়।
১৯৭৩ : ৩ সেপ্টেম্বর: আওয়ামীলীগ, সিপিবি ও ন্যাপের সমন্বয়ে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়।
১৯৭৪ : ২৩ সেপ্টেম্বর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালী নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিণষষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেন।
১৯৭৫ : ২৫ জানুয়ারী: দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী বিল পাশ করেন। এই বিলের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৭৫ : ২৫ ফেব্রুয়ারী: রাষ্ট্রপতি এক ডিগ্রীর মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলনে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একটি নতুন একক রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৭৫ : ১৫ আগষ্ট: স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক
Professor Primary Assistant Teacher book লিংক
ইংরেজি
বাংলা
বাংলা ব্যাকরণ
গণিত
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার সাজেশন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (EEDMOE) উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)’ ও ‘ড্রাফটসম্যান’ নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন